ধর্ম
গত বছরের তুলনায় পূজামণ্ডপের সংখ্যা প্রায় এক হাজার বেড়েছে
যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শুভ মহালয়া উদযাপন করেছেন। এর মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। এ বছর সারাদেশে পূজামণ্ডপের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় প্রায় এক হাজার বেড়েছে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোরে চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে আহ্বান জানানো হয়, যা দেবীপক্ষের সূচনা হিসেবে বিবেচিত। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে দুর্গোৎসবের মূল পর্ব শুরু হবে এবং ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, শুভ মহালয়ার দিনে মা দুর্গা কৈলাশ থেকে পিতৃগৃহে আগমন করেন। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে ভোর থেকে অনুষ্ঠিত হয় মহালয়ার নানা আচার-অনুষ্ঠান। সকাল ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় চণ্ডীপাঠ ও পূজা, এরপর পূর্বপুরুষের আত্মার শান্তি কামনায় তিল-তর্পণ এবং বিশেষ পূজা। এ সময় ভক্তরা ঢাক, কাঁসর ও শঙ্খ বাজিয়ে দেবীকে আহ্বান জানান।
ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পুরোহিত বরুণ চক্রবর্তী জানান, মহালয়ার মাধ্যমে দুর্গোৎসবের ক্ষণগণনা শুরু হয়। এ বছর দেবী দুর্গা আসবেন গজে (হাতি) এবং বিদায় নেবেন দোলায় (পালকি)। পুরাণ মতে, গজে আগমন শুভ লক্ষণ হলেও দোলায় বিদায় অশুভ লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়।
রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশন, লোকনাথ মন্দির, রমনা কালীমন্দির, সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, মা আনন্দময়ী আশ্রমসহ বিভিন্ন মন্দির ও পূজামণ্ডপে মহালয়ার ভক্তিমূলক আয়োজন ছিল। দেশজুড়েও ছিল অনুরূপ আয়োজন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর জানিয়েছেন, এ বছর সারাদেশে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে শুধু ঢাকা মহানগরীতেই থাকছে ২৫৮টি পূজামণ্ডপ। গত বছর সারাদেশে ৩১ হাজার ৪৬১টি এবং ঢাকায় ২৫২টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।