শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ভালো শিক্ষক ছাড়া ভালো শিক্ষার্থী তৈরি সম্ভব নয়

নতুন বছরে নতুন শিক্ষা পাঠ্যক্রমে নতুন একটি আশার কথা হলো, ইতোমধ্যে ১ম ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যক্রমে পাইলটিং সম্পন্ন হয়েছে যেটি অত্যন্ত ভালো এবং যেখানে সৃজনশীল বিষয় আছে এবং পরীক্ষার চাপ কম আছে।

মুখস্ত না করে কীভাবে বিষয়গুলো ভালোভাবে বোঝা যায় সেভাবে বিষয়গুলো নিশ্চিত করা হচ্ছে। অনেক রকম ভালো উপকরণ আছে। সমস্যা হলো যারা শিখাবেন, তারা প্রস্তুত হননি এখনো। তাদের প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত সুফল আসবে না। আমাদের চেষ্টা হচ্ছে, তাদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে মাপের শিক্ষক আমাদের প্রয়োজন সেই মানের শিক্ষক আমাদের বেতন ব্যবস্থার মধ্যে পাওয়া যাবে না। এটি আশা করা খুবই বাতুলতা। আমি আশা করি, নতুন বছরে সরকার এবং যারা কর্তাব্যক্তি আছেন তাদের ভেতর এই দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হবে। সরকারও শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবে। এটি অনেকেই মুখে বলেন কিন্তু মনে কতটা ধারণ করেন সেটি আমরা জানি না। কারণ শিক্ষাক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ এখনো জিডিপির দুই শতাংশের ধারে কাছে ঘুরছে।

সেখানে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ক্রমান্বয়ে উন্নতি করছে। আমরা যদি জিডিপির ৬ শতাংশের বেশি যেতে না পারি, বলা বাহুল্য ৭৪ সালের যে কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন তৈরি হয়েছিল, সেখানে সুপারিশ ছিল। কাজেই শিক্ষাব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় অর্থায়নের যোগান দিতে পারব না এবং না দিতে পারলে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাও পশ্চাদপদ থেকে যাবে। ভালো শিক্ষক ছাড়া কখনো ভালো শিক্ষার্থী তৈরি হবে না।

ভালো পাঠ্যক্রমকে সঠিকভাবে রূপান্তর করা আমাদের শিক্ষাক্রমের মধ্য দিয়ে, শিক্ষণ পদ্ধতির মধ্য দিয়ে সে কুশলতা ও দক্ষতার প্রয়োজন, সেটি অল্প বেতনের প্রাথমিক শিক্ষক দ্বারা তৈরি হবে না। নতুন বছরে আমাদের আশাবাদ, একটি সুযোগ যেহেতু আমাদের হাতে আছে এবং সেটি প্রমাণ করার সক্ষমতা আমাদের আছে। বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণ করে আমরা যদি ৭০-৮০ হাজার টাকা দিই একজন শিক্ষককে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীও শিক্ষকতা পেশায় উৎসাহিত হবে। বিশেষ করে মেয়েরা যদি বেশিমাত্রায় অংশগ্রহণ করে সেটি হবে আশাব্যঞ্চক এবং ভালো প্রশিক্ষণ যদি তারা পায় সেটি আমাদের জন্য সুফল বয়ে আনবে।

আমি জানি না নতুন বছরে সেটি সম্ভব হবে কি না। নির্বাচন আসবে ভবিষ্যৎ আশা নিয়ে সুন্দর সুন্দর কথা আমরা শুনব। তবে সেটি কত খানি আন্তরিক সেটি ভাবার বিষয়। আমাদের শ্রেণিকক্ষকে আরও অনেক বেশি উন্নত করতে হবে।

প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ যেন না থাকে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। দুই বছরের কলেজ শিক্ষায় বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীরা রাজনীতির শিকার হয়। যারা রাজনৈতিকভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে তাদেরকে কোনোভাবেই স্থান দেওয়া উচিত নয়। শিক্ষাঙ্গন থেকে রাজনীতির নামে অপরাজনীতি দূর করতে হবে।

আমি একটি কথা বলতে চাই যে, আমাদের শিক্ষার শত্রুরা কিন্তু ঘরের ভেতরেই। নোট বই গাইড বই টিউশন বাণিজ্য যারা করেন, তারা চাইবেন না যে তাদের ব্যবসা হাতছাড়া হয়ে যাক। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সংস্কৃতিতে আমাদের বেশ জোর দিতে হবে। সংস্কৃত শিক্ষা যেটি মানুষকে অগ্রগামী করে। সেই সংস্কৃতি শিক্ষা এবং শিক্ষার একটি আলাদা সংস্কৃতি আছে। দুটির একটি সমন্বয় না ঘটালে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার কোনো উন্নতি হবে না।

একটি খেলার মাঠ যদি না থাকে স্কুলে তাহলে বাচ্চারা কিন্তু কোনোদিনই সুস্থ স্বতস্ফূর্তভাবে বেড়ে উঠবে না। অনেক কিছুই ব্যাপার আছে যেগুলো আমাদের ভাবতে হবে। সেগুলো যদি আমরা শুরু না করি তাহলে আমরা এগোতে পারব না। আগের সেই মান্ধাতা আমলেই সব চলছে। প্রশাসনে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি কিন্তু এক্ষেত্রে শিক্ষকদের অনেক দূরে রাখা হচ্ছে। অথচ প্রশাসন শিক্ষকদের দ্বারাই শিক্ষিত হচ্ছে। কাজেই শিক্ষায় নতুন উদ্যোগ চাই। শুধু তৈরি পোশাক আর বিদেশে শ্রমিক রপ্তানি করে আমরা জীবনেও সামনের দিকে যেতে পারব না। কাজেই শিক্ষাক্ষেত্রে সুনজর না দিলে আমরা আরও পিছিয়ে থাকব।

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক

Header Ad

ডিবি হেফাজতে নাহিদসহ কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবিতে নেওয়া ওই তিন সমন্বয়ক হলেন- নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

নাহিদ, আসিফ ও আবু বাকের তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে এই তিনজনকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠে।

গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নাহিদ হাসপাতালের সপ্তম তলার ৭০৩ নম্বর কক্ষে আর আসিফ তৃতীয় তলার ৩১১ নম্বর কক্ষে ভর্তি ছিলেন। নাহিদের সঙ্গে তার স্ত্রী আর আসিফের সঙ্গে বাকের ছিলেন।

আগামীকাল চালু হতে পারে মোবাইল ইন্টারনেট

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের মোবাইল ইন্টারনেট সেবা। ফলে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন কয়েক কোটি মানুষ। বিপাকে পড়েছেন এসব ইউজাররা। যদিও দিন দুয়েক আগে চালু করা হয়েছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। কিন্তু ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা কম। সীমিত পরিসরে চালু হওয়া এই ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের সুবিধা অনেকেরই নেই।

এদিকে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে গত সপ্তাহে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছিলেন, রবি-সোমবারের মধ্যেই চালু হবে কাঙ্ক্ষিত মোবাইল ইন্টারনেট।

প্রতিমন্ত্রী পলক আশ্বাস দিয়েছেন, রবি সোমবারের মধ্যেই দেশে পুরোদমে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হবে।

তবে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হলেও ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করা যাবে কি না সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।

এদিকে দেশে ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি করতে গুগলের ক্যাশ সার্ভার চালুর জন্য আইআইজি অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন (বিটিআরসি)।

জানা গেছে, দেশের আইন ও সরকারের নির্দেশনা না মানায় বন্ধ থাকবে মেটার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। তবে যদি ফেসবুক সরকারের নির্দেশনা মানার নিশ্চয়তা দেয়, তখনই এটি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

এর আগে, পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৩ জুলাই রাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। কূটনীতিক পাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি এবং রফতানিমুখী খাত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ সেবা চালু করা হয়। এরপর বুধবার (২৪ জুলাই) রাত থেকে বাসা-বাড়িতেও ইন্টারনেট সেবা মিলছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

'আমাকে নিয়ম শেখানোর দরকার নেই, ওরাই শিখে নিক'

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে কলকাতায় গত ২১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে অশান্তির জেরে কেউ পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় চাইলে তাকে ফেরাবে না রাজ্য সরকার।

মমতার এমন মন্তব্যে আপত্তিও জানিয়েছিল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সে কথা স্বীকারও করে নেওয়া হয়েছে। দিল্লি পৌঁছে অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাংলাদেশের প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অবহিত। আমি সাতবারের সাংসদ ছিলাম, দুবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতি আমি অন্যদের থেকে ভালো জানি। আমাকে শেখানোর দরকার নেই। বরং সঠিক নিয়মগুলো ওরাই শিখে নিক।

একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বলেছিলেন, আমি বাংলাদেশ নিয়ে কোনও কথা বলতে পারি না। যা বলার ভারত সরকার বলবে। তবে বাংলাদেশের কোনও অসহায় মানুষ যদি বাংলার দরজা খটখটায় তাহলে আমি তাদের আশ্রয় নিশ্চয়ই দেবো। কারণ রাষ্ট্রপুঞ্জেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, উদ্বাস্তু হলে তাকে পাশের এলাকা সম্মান জানাবে। বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও প্ররোচনা, উত্তেজনাতে না যাই। ছাত্রছাত্রীদের তাজা প্রাণ চলে যাচ্ছে, তার প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ কূটনৈতিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আপত্তি জানায়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এই ধরনের মন্তব্যে বিভ্রান্তি বাড়বে।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জওসওয়াল জানিয়ে দেন, অন্য কোনও রাষ্ট্র সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন।

সর্বশেষ সংবাদ

ডিবি হেফাজতে নাহিদসহ কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক
আগামীকাল চালু হতে পারে মোবাইল ইন্টারনেট
'আমাকে নিয়ম শেখানোর দরকার নেই, ওরাই শিখে নিক'
‘দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা’
দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী গ্রেপ্তার
আজও ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিল
আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
সহিংসতার অভিযোগে ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাইরে বাকি ৯৫ শতাংশ নিয়ে আদালতে বোঝাপড়া করব’
কোটা আন্দোলনে নিহত রুদ্রের নামে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকের নামকরণ
সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
এক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৬ কোটি টাকা লোকসান
পাকিস্তানের ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি
রিমান্ড শেষে কারাগারে নুরুল হক নুর
ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই সরকারের: মির্জা ফখরুল
নরসিংদী কারাগার থেকে লুট হওয়া ৪৫ অস্ত্র উদ্ধার
বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
মোবাইল ইন্টারনেট কবে চালু হবে, জানাল বিটিআরসি
পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ: ডিবি হারুন
মৃত্যুর দিনক্ষণ গোপন রাখা হয়েছে যে কারণে