
বাজার অস্থিতিশীল করলেই ব্যবস্থা: এফবিসিসিআই
২৩ মার্চ ২০২৩, ০৩:৩৩ পিএম | আপডেট: ০৭ জুন ২০২৩, ০২:৫৭ এএম

রমজানে বাজার অস্থিতিশীল করলেই ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ নেতা এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যবসা করব সৎ ব্যবসায়ী হিসেবে। অসাধু ব্যবসায়ীর তকমা নেব না। এই অপবাদ থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। বাজার ঠিক রাখতে সরকার সিরিয়াস হয়েছে, বাজারদর মনিটরিং করছে। কোনো বাজারে অস্থিতিশীলতা ধরা পড়লে কমিটি বাতিল করে শাস্তি দেওয়া হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) মতিঝিলে এফবিসিসিআই বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত প্রয়োজনীয় পণ্য সমগ্রীর আমদানি, মজুদ, সরবরাহ, বাজার পরিস্থিতি ও বাজার মনিটরিং জোরদার করা লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সবাইকে সতর্ক করে দিতে চাই, এবার রমজানে যাতে বাজারে কোনো জিনিসপত্রের দাম আর না বাড়ে। অন্য দেশের মতো আমরাও এবার উৎসবে কম দামে পণ্য বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
মো. জসিম উদ্দিন বলেন, মজুত বেশি থাকলে আলু, পেঁয়াজের মতো দাম বাড়ানো যাবে না। অনেকে মুখে বলছেন, সবকিছু চাহিদার তুলনায় বেশি পণ্য রয়েছে। তাহলে দাম বাড়ছে কেন? আবার সরকার ধরলে সব ঠিক হয়ে যায়। এভাবে গরুর মাংস, মুরগি, ডিমের দাম বাড়লে সরকারকে আমদানি করতে বলব। কারণ এভাবে মূল্য বাড়তে থাকলে আমদানির বিকল্প দেখি না।
এফবিসিসিআইর সভাপতি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে সরকার এবার খুবই শক্ত অবস্থানে। কাজেই বিভিন্ন পণ্যের দাম যা বাড়ার বেড়েছে আর যেন রমজানে না বাড়ে। মানুষকে কষ্ট দিতে চাই না।
চিনির ব্যাপারে তিনি বলেন, রিফাইনারি মালিকরা বলছেন যথেষ্ট স্টক হচ্ছে কোনো সংকট নাই। অথচ মৌলভীবাজারের চিনি ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা তো এখনই বলছে পর্যাপ্ত সরবরাহ পাচ্ছে না। তাহলে সমস্যাটা কোথায়। মুখে বলবেন এক কথা, হবে আর একটা। তা হবে না। এখানে কেন ঝগড়া করবেন। ৬২ পার্সেন্ট ডিউটি দিতে হয়। নিত্য পণ্য হলে এখানে অবশ্যই ডিউটি কমাতে হবে। সমন্বয় করতে হবে।
মুরগির দামের ব্যাপারে এই শীর্ষ ব্যবসায়ী বলেন, ফার্মের সব মুরগি কি মরে যাচ্ছে যে, এভাবে দাম বাড়তেই থাকবে। আমরা মাংস নিয়ে খুবই শঙ্কিত।
তিনি বলেন, বিশ্ব বাজাররে দাম বাড়লে আমাদের বাড়বে তবে মেকানিজম ঠিক করতে হবে। যে যেভাবে ইচ্ছা বাড়াবেন তা হবে না। এবার রমজান মাসে বাজার স্থিতিশীল রাখতে হবে। বাজার কমিটিকে দায়িত্বশীল হতে হবে। কোনোক্রমেই যাতে অতি মুনাফার লোভে বাজার অস্থিশীল না হয়। বক্তাদের উদ্দেশে এই ব্যবসায়ী বলেন, রমজানের তো অন্য সময়ের তুলনায় মানুষ কম হয়়। তাহলে তো এতটা লাগার কথা না। তারপরও ভোক্তারা বেশি করে কিনছে কেন। অনেকে বেশি করে কিনে বাড়িতে জমিয়ে রাখছেে। তাই ভোক্তাদেরও সচেতন হতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী বাবুসহ সংশ্লিষ্ট সেক্টরের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা।
জেড/এমএমএ/