শনিবার, ১০ মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৫

বিষাদ বসুধা

শাহবাজ খান সকালে অফিসে এসেই আসিফ আহমেদকে ডেকে পাঠান। আসিফ আহমেদ পড়িমরি করে তার অফিসে গিয়ে হাজির হন। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, এমডি সাহেব চেয়ারম্যান সাহেবের সঙ্গে বৈঠক করছেন। ওখানে বৈঠক শেষ করেই অফিসে আসবেন। কাজেই অপেক্ষা করতে হবে। অপেক্ষার সময় কতক্ষণ তা কেউ জানে না।

আসিফ আহমেদ অতিথি কক্ষে অপেক্ষা করছেন। আর সেখান থেকে ফোনে ফোনে অফিস করছেন। সম্পাদকীয় বিভাগের প্রধানের সঙ্গে কথা বলে সম্পাদকীয় বিষয় চূড়ান্ত করার পাশাপাশি উপ-সম্পাদকীয়তে কার লেখা যাবে না যাবে তা ঠিক করে দেয়। তারপর চিফ রিপোর্টার এবং বার্তা সম্পাদকের সঙ্গে সকালের পরিকল্পনা বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা করেন। তাদের যথাসময়ে বৈঠক করার নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু ভালো রিপোর্টের আইডিয়াও দিয়েছেন তিনি। এরপর তিনি মোবাইলে বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইনগুলো দেখতে শুরু করেন। কোন পত্রিকায় কি রিপোর্ট এসেছে তা দেখেন। এরমধ্যে দুই ঘণ্টা সময় চলে যায়।
আসিফ আহমেদকে আর কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে তা নিয়ে ভাবেন। তারপর এমডি সাহেবের পিএসের কাছে গিয়ে জানতে চান, আর কতক্ষণ তাকে অপেক্ষা করতে হবে।

পিএস হাসি হাসি মুখ করে বলল, সরি স্যার। বুঝতে পারছি না। স্যার না বলা পর্যন্ত আপনাকে অপেক্ষা করতেই হবে। কিছু করার নেই।

দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন আসিফ আহমেদ। আবার অতিথি কক্ষে গিয়ে বসেন তিনি। অপেক্ষা করেন। এ রকম অপেক্ষা তাকে প্রায়ই করতে হয়। আজও করছেন। অপেক্ষা করিয়ে এমডি সাহেবকে বোঝাতে হয়, তিনি মহাব্যস্ত একজন মানুষ। তার সঙ্গে দেখা হওয়া অতো সোজা কথা না! এর নাম নাকি করপোরেট বিজনেস। একটি অফিসের প্রধান তো বটেই; সম্পাদকও। রাষ্ট্র পরিচালনা যারা করেন তারা পর্যন্ত সমীহ করে চলেন। অথচ পত্রিকা মালিকদের কাছে (তবে সবাইকে এক পাল্লায় মাপা যাবে না) সম্পাদকরা অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের মতোই। তারা মনে করেন, আমি নিয়োগকর্তা। আমার সঙ্গে দেখা করতে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে বাধ্য।

অপেক্ষার সময় যেন কিছুতেই শেষ হয় না। এরমধ্যে আরও এক ঘণ্টা চলে যায়। হঠাৎ পিএস অতিথি কক্ষে এসে আসিফ আহমেদকে উদ্দেশ করে বলে, স্যার আপনাকে কাল সকালে আসতে বলেছেন। আজ এখনো চেয়ারম্যান সাহেবের সঙ্গে তার বৈঠক চলছে। ওখানেই তিনি লাঞ্চ করবেন। কাজেই আজ আর হচ্ছে না।
ঠিক আছে। আমি আসছি।

আসিফ আহমেদ নিজের অফিসের দিকে রওয়ানা হওয়ার সময় মনে মনে ভাবেন, কি সিদ্ধান্ত হয় কে জানে। এরা শুধু লাভ-লোকসান চিন্তা করে। প্রতিষ্ঠানের সুনামের কথা ভাবে না। কাজেই যে কোনো ধ্বংসাত্মক সিদ্ধান্ত তারা নিতে পারে। নেয় নেক। কিছুই করার নেই। তাদের প্রতিষ্ঠান তারা ধ্বংস করবে নাকি বাঁচাবে সেটা তারাই ঠিক করুক। আমার দায়িত্ব বলার আমি বলেছি।

আসিফ আহমেদ অফিসে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন বিভাগীয় প্রধান এসে হাজির হয়। তারা উদ্বিগ্ন। কি সিদ্ধান্ত হলো তা জানার জন্য তারা উদগ্রীব হয়ে আছে। একজন বলল, ঈদের আগে বেতন হবে তো! আরেকজন বলল, ছাঁটাই কি ঠেকানো যাবে? আরেকজন বলল, বোনাসের কথা তো চিন্তাও করা যায় না; তাই না।

আসিফ আহমেদ পিওন ডেকে সবাইকে চা দিতে বললেন। নিজে চায়ে চুমুক দিলেন। কিছুক্ষণ স্থির হয়ে বসে রইলেন। কীভাবে কথা শুরু করবেন তা নিয়ে ভাবেন। তারপর বললেন, ঈদে আগে তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে পারলেই আমি খুশি। এখন বোনাস নিয়ে আমি ভাবছি না।
সহকারি সম্পাদক মামুন রশিদ বলল, আপনার ভাবনাই ঠিক আছে। আমরা যে বেতন পাই তা দিয়ে ঠিকমতো মাস চলে না। অথচ টানা তিন মাস বেতন নেই। এভাবে কি চলা যায়! আসিফ আহমেদ বললেন, তোমরা কীভাবে চলবে? আমি নিজেই তো প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে লোন নিয়েছি। তা নাহলে ঠিক মতো চলতে পারতাম না। এরমধ্যে দুই বাচ্চার পেছনে অনেক টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। পিওনদের মুখের দিকে তাকানো যায় না। আমি নিজে মাঝেমধ্যে দুইচার পাঁচশ’ টাকা দিয়ে সাহায্য করি। কিন্তু বেতন না পেলে কাজ করবে কি?

চিফ রিপোর্টার একটু তোতলায়ে কথা বলে। সে কথা শুরু করলে শেষ করতে পারে না। তার কথার ফাঁকে অন্যরা ঢুকে পড়ে। সে দুইতিনবার প্রস্তুতি নিয়েও কথা শেষ করতে পারেনি। এবার সে হাত তুলে বসে আছে। আসিফ আহমেদ তাকে বলার সুযোগ দিয়েছে। সে আগেই বলে দিয়েছে, চিফ রিপোর্টার শেষ না করা পর্যন্ত অন্য কেউ কথা বলবে না।

চিফ রিপোর্টার বলল, ভাই এই সপ্তাহে আমি বেতন না পেলে আর চলতে পারব না। আমার পক্ষে অফিসে আসাও সম্ভব না। ধার করে চলতে চলতে একেবারে শেষ হয়ে গেছি। আর পারছি না। আমার কথা হয়ত একটু বেশি কড়া হয়ে গেছে। এজন্য আমি দুঃখিত।
আসিফ আহমেদ মাথা ঝাঁকালো। তারপর বলল, এই সপ্তাহের মধ্যেই আপনারা যাতে বেতন পান সে চেষ্টা আমি করছি। আপনারা এখন যান। কাজ করেন। কাজ তো আর বন্ধ রাখা যাবে না!

বিভাগীয় প্রধানরা চলে যাওয়ার পর দুপুরের খাবার খেয়ে বিজ্ঞাপন বিভাগের প্রধানকে ডেকে পাঠান আসিফ আহমেদ। তার সঙ্গে বিজ্ঞাপনের কলেকশনের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তার পরামর্শ মোতাবেক বেশ কয়েক জায়গায় ফোন করেন। তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করেন। তারপর হিসাব কষে তিন মাসের বেতন টাকা দিতে হলে কত টাকা প্রয়োজন। সে অনুযায়ী কলেকশন যাতে হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরমধ্যে হিসাব বিভাগীয় প্রধানকে টেলিফোনে তিনি বলে রাখেন যে, ঈদের আগে বেতনের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য। কোথা থেকে কি পরিমাণ টাকা আসছে সে বিষয়েও তিনি সব সময় খোঁজ রাখছেন।

সম্পাদকের কথা হিসাব বিভাগ শুনবে, নাকি শুনবে না সেটা তার এখতিয়ার। এটা একমাত্র পত্রিকা; যার হিসাব বিভাগ সম্পাদকের কথায় চলে না। সম্পাদক একশ’ টাকাও হিসাব বিভাগ থেকে বের করতে পারে না। তার জন্য এমডি সাহেবের সই-সাবত লাগে। যদিও আয়-ব্যয়ের হিসাব সম্পাদককেই দিতে হয়। প্রতি মাসে পাঁচ কোটি টাকা সম্পাদককেই আয় করতে হয়।

পরদিন সকালে আবার আসিফ আহমেদ দৌড়ালেন এমডি সাহেবের কার্যালয়ে। আবার যথারীতি তাকে অপেক্ষায় থাকতে হলো। তাকে বলা হলো, বসতে হবে। স্যার ব্যস্ত আছেন।
এক দুই ঘণ্টা নয়, তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর একজন দৌড়ে এসে বলল, স্যার আসেন। আপনাকে স্যার ডাকছেন।
আপনাকে তো আগে দেখিনি! আপনি কে?
আমি স্যার পিএস। নতুন যোগ দিয়েছি।
মানে! সবুজ নেই?
না স্যার। ওনার পরিবর্তে আজ আমি যোগ দিয়েছি। আমার নাম সাইদুল।
আচ্ছা আচ্ছা। কাল পর্যন্ত আছেন তো?
সাইদুল হাসলো। তারপর বলল, সবই আল্লাহর ইচ্ছা স্যার।

আসিফ আহমেদ এমডি সাহেবের কক্ষে গেলেন। যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শাহবাজ খান বললেন, আপনি চেয়ারম্যান সাহেবের সঙ্গে বেতনের বিষয়ে মনে হয় কথা বলেছিলেন।
আসিফ আহমেদ মাথা নেড়ে সায় দিলেন।
শাহবাজ খান বললেন, তাকে বলতে গেলেন কেন? উনি কোত্থেকে দেবেন? ওনাকে এ সব বিষয়ে জানানোর দরকার নেই। যাকগে শোনেন, ঈদের আগে আমি কাউকে কষ্ট দিতে চাই না। আমি এক মাসের বেতন দেব। বাকিটা আপনারা জোগাড় করেন। আর ঈদের পর ছাঁটাইয়ের তালিকা নিয়ে আসবেন। এতে আর গড়িমসি চলবে না। ঈদের পর ছাঁটাই করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

আসিফ আহমেদ কোনো মন্তব্য করলেন না। শাহবাজ খানের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিজের অফিসের উদ্দেশে রওয়ানা হন। মনে মনে ভাবেন, ছাঁটাইয়ের ভূত মাথা থেকে গেলোই না!

হিসাব বিভাগ প্রধান মনির হোসেনের ফোন পেয়ে নড়েচড়ে বসলেন আসিফ আহমেদ। তিনি বিস্ময়ের সঙ্গে বললেন, এমডি সাহেব এক মাসের বেতন দেবেন না! কেন? তাহলে কত দেবেন?
মনির হোসেন বলল, উনি দেবেন পঁয়ষট্টি লাখ। সেটাও আপনাদের বিজ্ঞাপন বাবদ পাওনা টাকা। নিজের থেকে এক পয়সাও দেবেন না।
বলো কী! তাহলে উপায়?
স্যার, আপনি চেষ্টা করে দেখেন। ঈদের আগে বেতন ক্লিয়ার করতে না পারলে তো আসলেই সমস্যা স্যার।
হঠাৎ তোমার মুখে এই কথা! তুমি তো এক সময় সুর মিলিয়ে বলতে, সাংবাদিকরা বেতন না হলেও চলতে পারে।
সরি স্যার। ভুল হয়ে গেছে। আমার ভুল ধারনা ছিল।
এজন্যই না জেনেশুনে কোনো মন্তব্য করা উচিত না। যাহোক, ঠিক আছে আগে এমডি সাহেবের কাছ থেকে টাকাটা নাও। আমরা এদিকে দেখছি কি করা যায়।
জি। উনি কাল যেতে বলেছেন।

আসিফ আহমেদ ফোন রেখে স্থির হয়ে বসলেন। তিনি উদ্বিগ্ন। কী করবেন তা নিয়ে ভাবেন। মনে মনে বললেন, এমডি সাহেব এক মাসের টাকাও দেবে না! এটা কেমন ধরনের কথা হলো! আমরা তো আমাদের বিজ্ঞাপনের টাকা চেয়েছি। তার মানে মার্কেট থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা জোগাড় করতে হবে। তা না হলে তিন মাসের বেতন শেষ করা যাবে না।

আসিফ আহমেদ দেরি না করে বিজ্ঞাপন বিভাগের প্রধান নূরুজ্জামানকে ডাকলেন। সে তখন কালেকশনের কাজে ব্যস্ত। সম্পাদকের ডাক পেয়ে সে ছুটে যায় তার কাছে। সম্পাদকের কাছ থেকে সবকিছু জানার পর সেও বিরক্তির সঙ্গে বলল, আপনি জানেন স্যার, এই সময় হাতেপায়ে ধরে মানুষের কাছ থেকে টাকা আনছি। কেউ অফিসেই যাচ্ছে না। কারো বাসায় গিয়ে, আবার কাউকে কাউকে অফিসে ডেকে এনে চেক লিখিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। মালিকদের কাছ থেকে এইটুকু সাপোর্ট না পেলে আমরা চলব কি করে?

আর বোলো না। আমি আর পারছি না। তুমি দেখ। হিসাব করো। আমার প্রায় তিন কোটি টাকা লাগবে। কার কাছ থেকে কত পাওয়া যাবে। আমার আরও কাকে কাকে ফোন করতে হবে তার তালিকা দাও। যা করার এই সপ্তাহের মধ্যেই করতে হবে। আর কিন্তু সময় নেই!
জি স্যার। আমি আপনাকে তালিকা দিচ্ছি। স্যার, আপনি বেশি চিন্তা করবেন না। আপনি অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাদের জন্য সমস্যা।
তুমিই বলো; এতো চাপ নেওয়া যায়?
নূরুজ্জামান বিরক্তির সঙ্গে বলল, এই রকম আজব প্রতিষ্ঠান আমি কোথাও দেখি নাই স্যার।
ঠিক তখনই প্রশাসনের রাকিব সম্পাদকের কক্ষে ঢুকে বলল, স্যার এমডি স্যারের অফিস থেকে উপস্থিতির তালিকা চাচ্ছে। এক ঘণ্টার মধ্যে ওই অফিসে পাঠাতে হবে।
বিস্ময়ের সঙ্গে আসিফ আহমেদ বললেন, মানে!
করোনার সময় কে কে অফিস করেছে তাদের তালিকা চাচ্ছে। যারা অফিস করেনি তাদের বেতন নাকি দেবে না! রাকিব বলল।
রাকিবের কথা শুনে সম্পাদকের মাথায় যেন বাজ পড়ল।

চলবে…
আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২২

বিষাদ বসুধা: পর্ব ২০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১৯

আরএ/

Header Ad
Header Ad

শাহবাগে বিক্ষোভে উত্তাল জনতা, খালেদা জিয়ার উপস্থিতি চায় ইনকিলাব মঞ্চ

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে উত্তাল আন্দোলন চলছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার সারা দিনব্যাপী এই আন্দোলনে ছাত্র-জনতা ‘ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’ সহ নানা স্লোগানে মুখরিত করে তোলে শাহবাগ চত্বর।

এই প্রেক্ষাপটে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি এক আবেগঘন আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে শাহবাগে আসার জন্য।

হাদি নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে লেখেন— “বাংলাদেশের বেগম জিয়া, শাহবাগে হাজারো শহিদ পরিবার ও সারা বাংলাদেশ আপনার অপেক্ষায়।”

অন্য একটি পোস্টে তিনি আরও লেখেন— “জুলাই যোদ্ধাদের পক্ষ থেকে আপোষহীন নেত্রী বেগম জিয়ার কাছে যেতে চাই আমরা শাহবাগের দাওয়াত নিয়ে। কাইন্ডলি সংশ্লিষ্ট কেউ হেল্প করুন। উনি আমাদের সার্বভৌম অভিভাবক।”

শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে। এর আগে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে ফোয়ারার পাশে তৈরি করা মঞ্চ থেকে আন্দোলনের নতুন ধাপ হিসেবে মোড় অবরোধের ঘোষণা দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

ঘোষণার পরপরই আন্দোলনকারীরা মিছিলসহ শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় এবং অবরোধ শুরু করে।

Header Ad
Header Ad

১৭ বছর পর দেশে ফিরে মসজিদে জুমার নামাজ পড়লেন জোবাইদা রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। ছবি: সংগৃহীত

১৭ বছর পর স্বদেশে ফিরে প্রথমবারের মতো মসজিদে গিয়ে জুমার নামাজ আদায় করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। আজ (শুক্রবার) তিনি রাজধানীর ধানমন্ডির ৭ নম্বর মসজিদে সশরীরে জুমার নামাজে অংশ নেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম। তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জোবাইদা রহমানের নামাজ আদায়ের কিছু ছবি পোস্ট করে লেখেন— "ধানমন্ডি ৭ নম্বর মসজিদে আজ জুমার নামাজ আদায় করেছেন তারেক রহমানের সহধর্মিণী জোবাইদা রহমান।"

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার নাসির, তার স্ত্রী ব্যারিস্টার মেহনাজ মান্নানসহ আরও কয়েকজন।

২০০৮ সালে দেশ ছেড়ে লন্ডনে পাড়ি জমানো জোবাইদা রহমান চলতি বছরের ৬ মে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফেরেন। ফিরে আসার পর থেকে তিনি গুলশানের ফিরোজা বাসভবনে অবস্থান করছেন। মাঝে মাঝে তিনি বাবার বাড়ি ধানমন্ডির মাহবুব ভবনেও যাতায়াত করছেন।

জোবাইদা রহমানের এই জুমার নামাজে অংশগ্রহণ ও জনসম্মুখে উপস্থিতি বিএনপির রাজনৈতিক পরিসরে তার সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণের একটি বার্তা হিসেবেও দেখা হচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

Header Ad
Header Ad

ভারতে ইউটিউবে বন্ধ যমুনা-বাংলাভিশনসহ ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল

ছবি: সংগৃহীত

ভারত সরকার জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনশৃঙ্খলার উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে ইউটিউবে বাংলাদেশের অন্তত চারটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার সীমিত করেছে। শুক্রবার (৯ মে) স্থানীয় ডিজিটাল পর্যবেক্ষণ সংস্থা ডিসমিস্ল্যাব বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বন্ধ হওয়া চ্যানেলগুলো হলো— যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন, এবং মোহনা টেলিভিশন।

ভারতীয় ব্যবহারকারীরা এখন ইউটিউবে এসব চ্যানেলে প্রবেশ করতে গেলে একটি সতর্কবার্তা দেখতে পাচ্ছেন— "এই ভিডিওটি বর্তমানে এই দেশে প্রদর্শনের জন্য অনুমোদিত নয়, কারণ এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার ভিত্তিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত।"

ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ২০০০-এর ৬৯(ক) ধারা অনুযায়ী, সরকার জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব, জনশৃঙ্খলা বা রাষ্ট্রের অখণ্ডতা বিঘ্নিত হয়—এমন কনটেন্ট বা চ্যানেল বন্ধ করার নির্দেশ দিতে পারে। সেই ধারার অধীনেই ইউটিউবকে টেকডাউন অনুরোধ পাঠানো হয়েছে বলে জানায় ডিসমিস্ল্যাব।

ভারতের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনো বাংলাদেশ সরকার, টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বা ইউটিউব কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক উত্তেজনা ও মিডিয়া কনটেন্টের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ থেকেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে গণমাধ্যম কূটনীতি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়েও আলোচনা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শাহবাগে বিক্ষোভে উত্তাল জনতা, খালেদা জিয়ার উপস্থিতি চায় ইনকিলাব মঞ্চ
১৭ বছর পর দেশে ফিরে মসজিদে জুমার নামাজ পড়লেন জোবাইদা রহমান
ভারতে ইউটিউবে বন্ধ যমুনা-বাংলাভিশনসহ ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল
আটকের পরও যে ফোনে ছেড়ে দেওয়া হয় আবদুল হামিদকে
নওগাঁয় দুলাভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারত, অনিশ্চিত এশিয়া কাপ
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল শাহবাগ, জনস্রোতে ভরপুর রাজপথ
বিএনপি ছাড়া সব রাজনৈতিক দল এখন শাহবাগে: সারজিস আলম
শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যায় গ্রেপ্তার টিনা ৩ দিনের রিমান্ডে
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড ৪১.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস; বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ
কাশ্মীরে ফের বিএসএফের গুলি, ৭ পাকিস্তানি নিহত: দিল্লির দাবি বিচ্ছিন্নতাবাদী
নওগাঁয় ককটেল বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ির টিন
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের বিষয় নয়’: যুক্তরাষ্ট্র
দেশের তীব্র তাপপ্রবাহ নিয়ে যা বলল আবহাওয়া অফিস
আ.লীগ নিষিদ্ধে গুরুত্বের সাথে সরকার বিবেচনা করছে: সরকারের বিবৃতি
টাঙ্গাইলে নাশকতা মামলায় আ.লীগ নেতা রাজ্জাকসহ ২ জন গ্রেফতার
অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল
এবার অপেক্ষা তারেক রহমানের ফেরার, চলছে জোরালো প্রস্তুতি
পদ্মার এক ইলিশের দাম সাড়ে ৮ হাজার টাকা
৫ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় নেওয়া হলো আইভীকে