শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৫

বিষাদ বসুধা

শাহবাজ খান সকালে অফিসে এসেই আসিফ আহমেদকে ডেকে পাঠান। আসিফ আহমেদ পড়িমরি করে তার অফিসে গিয়ে হাজির হন। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, এমডি সাহেব চেয়ারম্যান সাহেবের সঙ্গে বৈঠক করছেন। ওখানে বৈঠক শেষ করেই অফিসে আসবেন। কাজেই অপেক্ষা করতে হবে। অপেক্ষার সময় কতক্ষণ তা কেউ জানে না।

আসিফ আহমেদ অতিথি কক্ষে অপেক্ষা করছেন। আর সেখান থেকে ফোনে ফোনে অফিস করছেন। সম্পাদকীয় বিভাগের প্রধানের সঙ্গে কথা বলে সম্পাদকীয় বিষয় চূড়ান্ত করার পাশাপাশি উপ-সম্পাদকীয়তে কার লেখা যাবে না যাবে তা ঠিক করে দেয়। তারপর চিফ রিপোর্টার এবং বার্তা সম্পাদকের সঙ্গে সকালের পরিকল্পনা বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা করেন। তাদের যথাসময়ে বৈঠক করার নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু ভালো রিপোর্টের আইডিয়াও দিয়েছেন তিনি। এরপর তিনি মোবাইলে বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইনগুলো দেখতে শুরু করেন। কোন পত্রিকায় কি রিপোর্ট এসেছে তা দেখেন। এরমধ্যে দুই ঘণ্টা সময় চলে যায়।
আসিফ আহমেদকে আর কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে তা নিয়ে ভাবেন। তারপর এমডি সাহেবের পিএসের কাছে গিয়ে জানতে চান, আর কতক্ষণ তাকে অপেক্ষা করতে হবে।

পিএস হাসি হাসি মুখ করে বলল, সরি স্যার। বুঝতে পারছি না। স্যার না বলা পর্যন্ত আপনাকে অপেক্ষা করতেই হবে। কিছু করার নেই।

দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন আসিফ আহমেদ। আবার অতিথি কক্ষে গিয়ে বসেন তিনি। অপেক্ষা করেন। এ রকম অপেক্ষা তাকে প্রায়ই করতে হয়। আজও করছেন। অপেক্ষা করিয়ে এমডি সাহেবকে বোঝাতে হয়, তিনি মহাব্যস্ত একজন মানুষ। তার সঙ্গে দেখা হওয়া অতো সোজা কথা না! এর নাম নাকি করপোরেট বিজনেস। একটি অফিসের প্রধান তো বটেই; সম্পাদকও। রাষ্ট্র পরিচালনা যারা করেন তারা পর্যন্ত সমীহ করে চলেন। অথচ পত্রিকা মালিকদের কাছে (তবে সবাইকে এক পাল্লায় মাপা যাবে না) সম্পাদকরা অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের মতোই। তারা মনে করেন, আমি নিয়োগকর্তা। আমার সঙ্গে দেখা করতে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে বাধ্য।

অপেক্ষার সময় যেন কিছুতেই শেষ হয় না। এরমধ্যে আরও এক ঘণ্টা চলে যায়। হঠাৎ পিএস অতিথি কক্ষে এসে আসিফ আহমেদকে উদ্দেশ করে বলে, স্যার আপনাকে কাল সকালে আসতে বলেছেন। আজ এখনো চেয়ারম্যান সাহেবের সঙ্গে তার বৈঠক চলছে। ওখানেই তিনি লাঞ্চ করবেন। কাজেই আজ আর হচ্ছে না।
ঠিক আছে। আমি আসছি।

আসিফ আহমেদ নিজের অফিসের দিকে রওয়ানা হওয়ার সময় মনে মনে ভাবেন, কি সিদ্ধান্ত হয় কে জানে। এরা শুধু লাভ-লোকসান চিন্তা করে। প্রতিষ্ঠানের সুনামের কথা ভাবে না। কাজেই যে কোনো ধ্বংসাত্মক সিদ্ধান্ত তারা নিতে পারে। নেয় নেক। কিছুই করার নেই। তাদের প্রতিষ্ঠান তারা ধ্বংস করবে নাকি বাঁচাবে সেটা তারাই ঠিক করুক। আমার দায়িত্ব বলার আমি বলেছি।

আসিফ আহমেদ অফিসে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন বিভাগীয় প্রধান এসে হাজির হয়। তারা উদ্বিগ্ন। কি সিদ্ধান্ত হলো তা জানার জন্য তারা উদগ্রীব হয়ে আছে। একজন বলল, ঈদের আগে বেতন হবে তো! আরেকজন বলল, ছাঁটাই কি ঠেকানো যাবে? আরেকজন বলল, বোনাসের কথা তো চিন্তাও করা যায় না; তাই না।

আসিফ আহমেদ পিওন ডেকে সবাইকে চা দিতে বললেন। নিজে চায়ে চুমুক দিলেন। কিছুক্ষণ স্থির হয়ে বসে রইলেন। কীভাবে কথা শুরু করবেন তা নিয়ে ভাবেন। তারপর বললেন, ঈদে আগে তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে পারলেই আমি খুশি। এখন বোনাস নিয়ে আমি ভাবছি না।
সহকারি সম্পাদক মামুন রশিদ বলল, আপনার ভাবনাই ঠিক আছে। আমরা যে বেতন পাই তা দিয়ে ঠিকমতো মাস চলে না। অথচ টানা তিন মাস বেতন নেই। এভাবে কি চলা যায়! আসিফ আহমেদ বললেন, তোমরা কীভাবে চলবে? আমি নিজেই তো প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে লোন নিয়েছি। তা নাহলে ঠিক মতো চলতে পারতাম না। এরমধ্যে দুই বাচ্চার পেছনে অনেক টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। পিওনদের মুখের দিকে তাকানো যায় না। আমি নিজে মাঝেমধ্যে দুইচার পাঁচশ’ টাকা দিয়ে সাহায্য করি। কিন্তু বেতন না পেলে কাজ করবে কি?

চিফ রিপোর্টার একটু তোতলায়ে কথা বলে। সে কথা শুরু করলে শেষ করতে পারে না। তার কথার ফাঁকে অন্যরা ঢুকে পড়ে। সে দুইতিনবার প্রস্তুতি নিয়েও কথা শেষ করতে পারেনি। এবার সে হাত তুলে বসে আছে। আসিফ আহমেদ তাকে বলার সুযোগ দিয়েছে। সে আগেই বলে দিয়েছে, চিফ রিপোর্টার শেষ না করা পর্যন্ত অন্য কেউ কথা বলবে না।

চিফ রিপোর্টার বলল, ভাই এই সপ্তাহে আমি বেতন না পেলে আর চলতে পারব না। আমার পক্ষে অফিসে আসাও সম্ভব না। ধার করে চলতে চলতে একেবারে শেষ হয়ে গেছি। আর পারছি না। আমার কথা হয়ত একটু বেশি কড়া হয়ে গেছে। এজন্য আমি দুঃখিত।
আসিফ আহমেদ মাথা ঝাঁকালো। তারপর বলল, এই সপ্তাহের মধ্যেই আপনারা যাতে বেতন পান সে চেষ্টা আমি করছি। আপনারা এখন যান। কাজ করেন। কাজ তো আর বন্ধ রাখা যাবে না!

বিভাগীয় প্রধানরা চলে যাওয়ার পর দুপুরের খাবার খেয়ে বিজ্ঞাপন বিভাগের প্রধানকে ডেকে পাঠান আসিফ আহমেদ। তার সঙ্গে বিজ্ঞাপনের কলেকশনের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তার পরামর্শ মোতাবেক বেশ কয়েক জায়গায় ফোন করেন। তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করেন। তারপর হিসাব কষে তিন মাসের বেতন টাকা দিতে হলে কত টাকা প্রয়োজন। সে অনুযায়ী কলেকশন যাতে হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরমধ্যে হিসাব বিভাগীয় প্রধানকে টেলিফোনে তিনি বলে রাখেন যে, ঈদের আগে বেতনের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য। কোথা থেকে কি পরিমাণ টাকা আসছে সে বিষয়েও তিনি সব সময় খোঁজ রাখছেন।

সম্পাদকের কথা হিসাব বিভাগ শুনবে, নাকি শুনবে না সেটা তার এখতিয়ার। এটা একমাত্র পত্রিকা; যার হিসাব বিভাগ সম্পাদকের কথায় চলে না। সম্পাদক একশ’ টাকাও হিসাব বিভাগ থেকে বের করতে পারে না। তার জন্য এমডি সাহেবের সই-সাবত লাগে। যদিও আয়-ব্যয়ের হিসাব সম্পাদককেই দিতে হয়। প্রতি মাসে পাঁচ কোটি টাকা সম্পাদককেই আয় করতে হয়।

পরদিন সকালে আবার আসিফ আহমেদ দৌড়ালেন এমডি সাহেবের কার্যালয়ে। আবার যথারীতি তাকে অপেক্ষায় থাকতে হলো। তাকে বলা হলো, বসতে হবে। স্যার ব্যস্ত আছেন।
এক দুই ঘণ্টা নয়, তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর একজন দৌড়ে এসে বলল, স্যার আসেন। আপনাকে স্যার ডাকছেন।
আপনাকে তো আগে দেখিনি! আপনি কে?
আমি স্যার পিএস। নতুন যোগ দিয়েছি।
মানে! সবুজ নেই?
না স্যার। ওনার পরিবর্তে আজ আমি যোগ দিয়েছি। আমার নাম সাইদুল।
আচ্ছা আচ্ছা। কাল পর্যন্ত আছেন তো?
সাইদুল হাসলো। তারপর বলল, সবই আল্লাহর ইচ্ছা স্যার।

আসিফ আহমেদ এমডি সাহেবের কক্ষে গেলেন। যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শাহবাজ খান বললেন, আপনি চেয়ারম্যান সাহেবের সঙ্গে বেতনের বিষয়ে মনে হয় কথা বলেছিলেন।
আসিফ আহমেদ মাথা নেড়ে সায় দিলেন।
শাহবাজ খান বললেন, তাকে বলতে গেলেন কেন? উনি কোত্থেকে দেবেন? ওনাকে এ সব বিষয়ে জানানোর দরকার নেই। যাকগে শোনেন, ঈদের আগে আমি কাউকে কষ্ট দিতে চাই না। আমি এক মাসের বেতন দেব। বাকিটা আপনারা জোগাড় করেন। আর ঈদের পর ছাঁটাইয়ের তালিকা নিয়ে আসবেন। এতে আর গড়িমসি চলবে না। ঈদের পর ছাঁটাই করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

আসিফ আহমেদ কোনো মন্তব্য করলেন না। শাহবাজ খানের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিজের অফিসের উদ্দেশে রওয়ানা হন। মনে মনে ভাবেন, ছাঁটাইয়ের ভূত মাথা থেকে গেলোই না!

হিসাব বিভাগ প্রধান মনির হোসেনের ফোন পেয়ে নড়েচড়ে বসলেন আসিফ আহমেদ। তিনি বিস্ময়ের সঙ্গে বললেন, এমডি সাহেব এক মাসের বেতন দেবেন না! কেন? তাহলে কত দেবেন?
মনির হোসেন বলল, উনি দেবেন পঁয়ষট্টি লাখ। সেটাও আপনাদের বিজ্ঞাপন বাবদ পাওনা টাকা। নিজের থেকে এক পয়সাও দেবেন না।
বলো কী! তাহলে উপায়?
স্যার, আপনি চেষ্টা করে দেখেন। ঈদের আগে বেতন ক্লিয়ার করতে না পারলে তো আসলেই সমস্যা স্যার।
হঠাৎ তোমার মুখে এই কথা! তুমি তো এক সময় সুর মিলিয়ে বলতে, সাংবাদিকরা বেতন না হলেও চলতে পারে।
সরি স্যার। ভুল হয়ে গেছে। আমার ভুল ধারনা ছিল।
এজন্যই না জেনেশুনে কোনো মন্তব্য করা উচিত না। যাহোক, ঠিক আছে আগে এমডি সাহেবের কাছ থেকে টাকাটা নাও। আমরা এদিকে দেখছি কি করা যায়।
জি। উনি কাল যেতে বলেছেন।

আসিফ আহমেদ ফোন রেখে স্থির হয়ে বসলেন। তিনি উদ্বিগ্ন। কী করবেন তা নিয়ে ভাবেন। মনে মনে বললেন, এমডি সাহেব এক মাসের টাকাও দেবে না! এটা কেমন ধরনের কথা হলো! আমরা তো আমাদের বিজ্ঞাপনের টাকা চেয়েছি। তার মানে মার্কেট থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা জোগাড় করতে হবে। তা না হলে তিন মাসের বেতন শেষ করা যাবে না।

আসিফ আহমেদ দেরি না করে বিজ্ঞাপন বিভাগের প্রধান নূরুজ্জামানকে ডাকলেন। সে তখন কালেকশনের কাজে ব্যস্ত। সম্পাদকের ডাক পেয়ে সে ছুটে যায় তার কাছে। সম্পাদকের কাছ থেকে সবকিছু জানার পর সেও বিরক্তির সঙ্গে বলল, আপনি জানেন স্যার, এই সময় হাতেপায়ে ধরে মানুষের কাছ থেকে টাকা আনছি। কেউ অফিসেই যাচ্ছে না। কারো বাসায় গিয়ে, আবার কাউকে কাউকে অফিসে ডেকে এনে চেক লিখিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। মালিকদের কাছ থেকে এইটুকু সাপোর্ট না পেলে আমরা চলব কি করে?

আর বোলো না। আমি আর পারছি না। তুমি দেখ। হিসাব করো। আমার প্রায় তিন কোটি টাকা লাগবে। কার কাছ থেকে কত পাওয়া যাবে। আমার আরও কাকে কাকে ফোন করতে হবে তার তালিকা দাও। যা করার এই সপ্তাহের মধ্যেই করতে হবে। আর কিন্তু সময় নেই!
জি স্যার। আমি আপনাকে তালিকা দিচ্ছি। স্যার, আপনি বেশি চিন্তা করবেন না। আপনি অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাদের জন্য সমস্যা।
তুমিই বলো; এতো চাপ নেওয়া যায়?
নূরুজ্জামান বিরক্তির সঙ্গে বলল, এই রকম আজব প্রতিষ্ঠান আমি কোথাও দেখি নাই স্যার।
ঠিক তখনই প্রশাসনের রাকিব সম্পাদকের কক্ষে ঢুকে বলল, স্যার এমডি স্যারের অফিস থেকে উপস্থিতির তালিকা চাচ্ছে। এক ঘণ্টার মধ্যে ওই অফিসে পাঠাতে হবে।
বিস্ময়ের সঙ্গে আসিফ আহমেদ বললেন, মানে!
করোনার সময় কে কে অফিস করেছে তাদের তালিকা চাচ্ছে। যারা অফিস করেনি তাদের বেতন নাকি দেবে না! রাকিব বলল।
রাকিবের কথা শুনে সম্পাদকের মাথায় যেন বাজ পড়ল।

চলবে…
আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২২

বিষাদ বসুধা: পর্ব ২০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১৯

আরএ/

Header Ad

থাই প্রধানমন্ত্রীর গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে শেখ হাসিনা

ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে যান তিনি। এ সময় থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

শুরুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সেখানে থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এসময় থাইল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল কর্তৃক প্রদত্ত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা পরে সরকারী ভবনের অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে।

সরকারি বাসভবন ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তার থাই প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর করছেন।

আগুন নেভাতে দেরি হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, ২ ফায়ারম্যান আহত

ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের কাহারোলে পেট্রোল পাম্পে আগুন নেভাতে দেরি হওয়ায় জনতার হামলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দুই সদস্য আহত হয়েছেন এবং পানিবাহী একটি ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আহতরা হলেন- দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের রেজাউল করিম ও গাড়িচালক মোতালেব হোসেন। আহতদের দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৮টার দিকে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের কাহারোল উপজেলার দশমাইল এলাকায় আরিফ ফিলিং স্টেশনে লরি থেকে রিজার্ভ ট্যাংকে পেট্রোল নামানোর সময় আগুন লাগে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।

আগুন ছড়িয়ে পড়ায় আরও ২টি ট্যাংকে আগুন লেগে পুড়ে যায়। খবর পেয়ে কাহারোল উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে গেলেও মহাসড়কে প্রচণ্ড যানজটে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে দেরি করে। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সেখানে থাকা ২৫ থেকে ৩০ জন ব্যক্তি লোহার অ্যাঙ্গেল ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে পানি বহনকারী ট্রাকের ইন্সপেক্টর ও চালকসহ দুই সদস্য মারাত্মকভাবে আহত হয়।

খবর পেয়ে কাহারোলের ইউএনও আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি জানান, লরি থেকে পেট্রোল নামানোর সময় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ফায়ারম্যানদের ওপর হামলা চালানোয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

 

পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা আত্নসাৎ, গ্রেপ্তার ৩

ছবি: সংগৃহীত

পাবনার সাঁথিয়ায় অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ভল্ট থেকে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে ব্যাংকের প্রধান তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দিনভর নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাদেরকে সাঁথিয়া থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার মৃত জান বক্সের ছেলে ও অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার আবু জাফর, সুজানগর দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হারুন বিন সালাম এবং বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের মৃত শুশীল চক্রবতীর্র ছেলে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবতী। ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবর্তী টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন।

গ্রেপ্তার প্রিন্সিপাল অফিসার আবু জাফর ও ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবতী 

সাঁথিয়া থানা ও অগ্রণী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অগ্রণী ব্যাংক রাজশাহী বিভাগীয় ও পাবনা আঞ্চলিক শাখা থেকে পাঁচজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আকস্মিক অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসেন। অডিট শেষে সেখানে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকার আর্থিক অনিয়ম দেখতে পান। পরে ওই অডিট কর্মকর্তারা সাঁথিয়া থানায় অবহিত করলে পুলিশ অভিযুক্ত ওই তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় অগ্রণী ব্যাংক পাবনা আঞ্চলিক শাখার উপমহাব্যবস্থাপক রেজাউল শরীফ বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আদালতে প্রেরণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, অর্থ আত্মসাৎ ও অন্যান্য বিষয়ে দুদক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সর্বশেষ সংবাদ

থাই প্রধানমন্ত্রীর গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে শেখ হাসিনা
আগুন নেভাতে দেরি হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, ২ ফায়ারম্যান আহত
পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা আত্নসাৎ, গ্রেপ্তার ৩
মৃত্যুর দু’বছর পর ব্রুনাই থেকে দেশে ফিরছে দুই প্রবাসীর লাশ
৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা চলছে
পরিবারের অমতে বিয়ে, স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সৌদির যেকোনো ভিসা থাকলেই ওমরাহ পালন করা যাবে
নাটোরে বোনের বৌভাতে গিয়ে একে একে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
জনপ্রতি ১২-১৪ লাখ চুক্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস, গ্রেপ্তার ৫
কুড়িগ্রামে হিট স্ট্রোকে নারীর মৃত্যু
রবিবার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও চলবে ক্লাস
বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৯.২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে নওগাঁ
চেন্নাইয়ের হয়ে খেলা সবসময় স্বপ্ন ছিল: মোস্তাফিজ
বৃষ্টি কামনায় টাঙ্গাইলে ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে আরও ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ
বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
এফডিসিতে ইউটিউবার প্রবেশ নিষিদ্ধ চাইলেন অঞ্জনা
অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, ক্ষোভে বাসে আগুন দিল শিক্ষার্থীরা
থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু