বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১৮

নেই দেশের নাগরিক

একবার ‘দুম’ করে বিকট শব্দ হলো! বিজিবি কামান দাগল, ভয় দেখাল, নৌকোর ওপর থাকা নিঃস্ব মানুষদেরকে। মাইকে গলা ফাটিয়ে বলছে, ‘আপনাদের অনুরোধ করা হচ্ছে, আপনারা নিজেদের দেশে ফিরে যান, বাংলাদেশে ঢোকার কোনো পারমিশন আপনাদের দেওয়া হয়নি।’

‘কী করবেন মাস্টার?’ ইয়াসিন মাস্টারকে উদ্দেশ্য করে কাতর স্বরে জিজ্ঞেস করল মতি। যেন গলার স্বরের পেটে বহুতদিন দানাপানি পড়েনি। বড় অসহায় দেখাচ্ছে মতিকে। ইয়াসিন মাস্টারের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে বাকি সবাই।

‘অপেক্ষা।’ মুখ থেকে আলতো করে বেরিয়ে এল কথাটা। ঠোঁট প্রায় নড়লই না। হুল ফোটা ঠোঁটের মতো ঠোঁট দুটো যন্ত্রণায় একটা আরেকটাকে কামড়ে লেগে থাকল।

‘অপেক্ষা!’ কীসের অপেক্ষা? শরীর থেকে একটু একটু করে মাংসগুলো শুকিয়ে শুকিয়ে হাড় হওয়ার জন্যে অপেক্ষা? কলিজা থেকে একটু একটু করে জান নিংড়ে বের হয়ে যাওয়ার জন্যে অপেক্ষা? জীবনের শেষ শ্বাসটুকুকে গলা টিপে খুঁচে খুঁচে মারার জন্যে অপেক্ষা?

শিরদাঁড়া ঝিনঝিন করে ওঠে মতির। তা ছাড়া কী বা আর করার আছে? আমরা তো আর মানুষ নই, জলের পোকা। তাড়া খেকো কুকুর শেয়াল। এ সব ভাবতে ভাবতে ছইয়ের খুঁটিটাকে ধরে মতি বিড়বিড় করে বলল, ‘অপেক্ষাই করি, দেখি মাটি পাই না চাটি পাই।’

‘নৌকোটাকে ঠিক করে ভিড়াই?’ জিজ্ঞেস করল নুহু। ‘হ্যাঁ, তাইই কর।’ ঘোর কাটিয়ে বলল মতি। মতি ছইয়ের খুঁটিটাতে এবার ঠাসা দিয়ে দাঁড়াল। সকালের কুঁড়ি-সূর্য তার কাঁধের আড়ালে। তার ছায়ার থেকে খুঁটির ছায়া কিঞ্চিত বড়। খুঁটির ছায়ায় তার এক খাবলা ছায়া মিশে পেট ফুলে যাচ্ছে। আকাশে পাখির আনাগোনাও বেড়েছে অনেকটা। নীল আকাশের গায়ে চরছে একঝাঁক সাদা মেঘ। সে মেঘ ফুঁড়ে নেমে আসছে পদ্মপাতার মতো উঠোন উঠোন ছায়া। টেঙ্গার চরের লবণাম্বু গাছগুলো থেকে ভেসে আসছে নতুন দেশের গন্ধ। ত্রিপলের চালা দুহাত বাড়িয়ে বলছে, এই তো আমি দেশ, আমার কোলে আয়। বুভুক্ষু মানুষের চোখের সামনে যেমন কোনো খাবারের প্লেট এলে, টপ করে জিভ থেকে লালা ঝরে পড়ে, অনাহারের পেট মহানন্দে ধেই করে নেচে ওঠে, ঠিক তেমনি দেশহীন মানুষের কাছে এক টুকরো দেশের টিকি দেখা মানেই আনন্দে ‘ধিন’ করে নেচে ওঠা। হাতের নাগালের মধ্যে নয়াপাড়া দেখে মতিদের এখন সেই ধিতাং ধিতাং অবস্থা। কিন্তু বিজিবি তাদের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কাঁটা খড়গ হয়েও উঠতে পারে!

‘এখানেই গেড়ে বসে থাকা ভালো। একটা বিহিত কিছু হবেই।’ মাথা থেকে হাত নামালেন ইয়াসিন মাস্টার।
‘তাই! কীরকম?’ আগ্রহে আটখানা হয়ে উঠল মতি। হেলান ছেড়ে দুধাপ এগিয়ে গেল। ইয়াসিন মাস্টার বললেন, ‘এক তো এখানে থাকলে বার্মা সেনার আক্রমণের ভয় নেই, দুই, বাংলাদেশ সরকার তার সিদ্ধান্ত বদল করলেই আমরা চট করে শরণার্থী শিবিরে চলে যেতে পারব। তখন ঠিক একটা হিল্লে হয়ে যাবে।’
‘খাবারেরও অভাব হবে না। বিজিবি ওদের দেশে ঢুকতে না দিক, খাবার তো দেবে।’ যন্ত্রণার দেওয়াল ফুঁড়ে এক চিলতে আনন্দ ঠিকরে বের হয়ে এল নুহুর।
‘হ্যাঁ হ্যাঁ, আমাদের বাপ হয় তো, যে খাবার দেবে। ও ভরসায় থাকেন না। ওদেরকে তো চেনেন না? খাবার না দিয়ে পেটে গুলি দেবে, তখন বুঝবেন ঠেলা।’ দ্বিতীয় নৌকোয় বৈঠা নিয়ে বসে থাকা গাট্টাগোট্টা চেহারার আবুল ফোড়ন কাটল। সে বৈঠাটাকে ঠক করে রেখে বিড়বিড় করল, ‘যতক্ষণ এই শরীরটায় বৈঠা ঠেলার মুরোদ থাকবে, ততক্ষণ জানটুকুন থাকবে, গায়ের জোরটুকুন ফুরিয়ে গেলেই, এ রুহু ঠিক ফুড়ুৎ করে উড়ে গিয়ে আল্লাহর খাতায় জমা হয়ে যাবে। দেশের ভরসা আর করেন না, আমাদের কপালে আল্লাহ আর দেশ লিখে রাখেনি।’
‘অত বকর বকর করিসনে তো?’ ধমকে ওঠেন ইয়াসিন মাস্টার।
‘বকর বকর! আমি ঠিকই বলছি, আমার কথা মিলিয়ে নেবেন।’ কথার ওপর কথা বলল আবুল। তার পটল পেটটা ফুলে ফুলে উঠছে। ডাহুক চোখে জীবনের হাল ছেড়ে দেওয়ার বেবাগি ভাব। চোখটাকে নামিয়ে মনে মনে বিড়বিড় করতে লাগল, আর বারুদ ঠোকার খোল খুঁজে কী হবে? জীবনের বারুদ তো সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ছাই আর বারুদে কি আর আগুন জ্বলে ওঠে? বারুদ ঠোকাই হয়, আগুন আর জ্বলে না।

‘হ্যাঁ হ্যাঁ, তুই তো আল্লাহর পীর ওলি হয়ে গেছিস, যে তোর কথা মিলে যাবে?’ চটে ওঠেন ইয়াসিন মাস্টার। আবুল ওসবে কান করে না। সে মনের সঙ্গে মনের কথা বলতে থাকে, হাওয়া ভরে আর কতদিন বেঁচে থাকা যায়? একসময় হাওয়াও বলবে, আমাকে ভাত দাও। আমাকে জল দাও। তখন জল-ভাত না পেলে হাওয়াও বলবে ‘টা’ ‘টা’ ‘বাই’ ‘বাই’। রুহু তখন শরীরকে ঠেলা মারবে, যা পালা, পালা।

সূর্য ঘাড় থেকে কানে উঠে গেল। রোদ ডাগর হয়ে উঠছে। রোদের সে ডাগর ঝাঁঝ মাথার টিকিতে এসে পড়ছে। নৌকো যাত্রার শেষ কোথায় বোঝা যাচ্ছে না! চোখে যতটুকু সুজছে তাতে মনে হচ্ছে, পশ্চিমে নয়াপাড়ার লেজ ছুঁয়ে পূর্বে নাফ নদীর ওপর আন্তর্জাতিক ‘জিরো পয়েন্ট’ পর্যন্ত জলহস্তির মতো পিঠ তুলে সারি সারি দাঁড়িয়ে রয়েছে রোহিঙ্গা নৌকো। সুন্দরী রমণীর বুকের ওপর হৃদয় এঁকে শুইয়ে আছে নয়াপাড়া শরণার্থী শিবির। রোদ তেতে উঠতেই আরিফা বলল, ‘পেটে কিছু দিয়ে নাও তোমরা। খাবারদাবার যা যতটুকু আছে ততক্ষণ তো খাও।’ কাঁসার বাটিতে আধ-বাটি মুড়ি নিয়ে আরিফা সাকিবকে খাওয়াচ্ছে। সাকিব সে মুড়ি কচমচ করে চিবোচ্ছে। আধ-বাটি মুড়ি দু-গালেই গব গব করে খেয়ে নিল সাকিব। ‘মা, আরও খাব, পেট ভরল না।’ অভাগা চোখ কাতর দৃষ্টিতে মায়ের দিকে তাকাল। ‘আবার পরে খাবি।’ ভোগানোর চেষ্টা করল আরিফা। আদর ঢেলে বলল, ‘রোদটা একটু পড়লেই ভাত ফুটিয়ে দেব বাবু, এখন এই খেয়েই পানি খা।’
‘না, আমি এখুনি খাব।’ বায়না ধরে সাকিব।
‘এখন খাবি তো পাবি কতি?’ চোখ গরম করে ওঠে আরিফা। ‘দেখতে পাচ্ছিস ন্যা, নৌকোতে করে পালিয়ে বেড়াচ্ছি? এখানে কি খাবারের গুদাম আছে? এটা বাড়ি না খাবারের হোটেল, যে যা চাইবি তাই পাবি?’
‘ভ্যা’ করে কেঁদে ওঠে সাকিব। ‘ওকে কাঁদাচ্ছ ক্যানে? ওর কি ওসব বোঝার বুদ্ধি হয়েছে?’ ধমকে ওঠে মতি। বলে, ‘আমার টুকুও ওকে দিয়ে দাও, আমি খাব না।’
‘আমারটাও দিয়ে দাও, ভাবি, আমিও খাব না।’ ভাইয়ের সুরে সুর মেলায় নুহু।
‘তোমরা খাবে না, ব্যস, ভালো কথা, কিন্তু এমনি করে ক-দিন চলবে? কাল-পরশুর মধ্যে তো চালকটাও ফুরিয়ে যাবে!’ আঁচল দিয়ে চোখ মোছে আরিফা। সুড়ুৎ করে নাক টেনে বলে, ‘তার চেয়ে চলো, সবাই মিলে নদীতে ডুব দিয়ে মরি। সব ক্যাচাল মিটে যাক।’
‘এই শুরু হল নাকে কাঁদা! মেয়েদের কাজই হল, একটু কিছু হলেই ফ্যাচফ্যাচ করা! যত্তসব নাকোসরি!’ বিরক্ত হয়ে ওঠে মতি। ঠেস মেরে বলে, ‘শোনো, ওসব কেঁদে টেদে কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। চোখের পানি কবেই বা সমস্যার সমাধান করেছে? রুজির মালিক আল্লাহ, কপালে যদি রুজি লেখা থাকে, তাহলে সে রুজি মানুষ পাবেই পাবে। দুনিয়ার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।’

‘থাক থাক, অত বাতলিং ঝারতে হবে না। দয়া করে মুখ বন্ধ করো।’ ঝেঝিয়ে উঠল আরিফা। মুড়ির ডামটা বগলে পুরে নিচ সোজা কাত করে সড়সড় করে বাটিটায় মুড়ি ঢালতে লাগল। মুড়িতে উপচে পড়ল কাঁসার বাটিটা। বাটিটাকে সাকিবের মুখের সম্মুখে ঠক করে রেখে চোখ ফেড়ে বলল, ‘খা, পেট ভরে খা, খাইকোস কোথাকার!’ সাকিব মায়ের বকুনিতে ভয় পেয়ে আরও জোরে ‘ভ্যা’ করে উঠল।

‘এ তো ভারী ক্যাচাল দেখছি!’ খিচখিচ করে উঠল মতি। সে বেটার কাছে এসে আদুরে গলায় বলল, ‘খাও বাপ, খাও, যত ইচ্ছে খাও, আমি তোমার মাকে বকে দিচ্ছি।’ বলে আরিফাকে ‘এই তুমি আমার ছেলেকে মেরেছ কেন’ বলেই একটু মিহি করে চোখ টিপে, দাঁত কিষে শক্ত করে ঘুষি পাকিয়ে আরিফার পিঠ আলতো করে স্পর্শ করল।

মতির মশকরা দেখে, আরিফার অশ্রু ভেজা চোখ ফিক করে উঠল। মৃত্যুমুখে পড়েও ক্ষুধার নৌকোয় দুজন স্বামী-স্ত্রীর রসিকতা দেখে মেঘের আড়াল থেকে স্বয়ং ঈশ্বরও যেন ‘ফিক’ করে হাসলেন। এ যে জ্বালা-যন্ত্রণার ভেতরে লুকিয়ে থাকা এক টুকরো গোলাপ ফুল। পাথর ফুঁড়ে বের হয়ে আসা কুলকুল ঝর্ণা। জীবনের এখানেই জয়। এখানেই স্বর্গ এখানেই বেহেশত। ‘না’ বলা সত্যেও আরিফার জিরাজিরিতে মতি নুহু সবাই দু-গাল করে মুড়ি চিবোল। গলায় দিল জল। ছায়াটা উল্টোবাজি মারতেই নুহু ছলাৎ করে নদীতে মারল লাফ। তারপর ভূষ করে মাথা তুলল। তার টাক মাথার আধমাথা চুল লবণজলে জুবুথুবু হয়ে গেছে। লবণাক্ত জলে তার চামটা শরীর ছলছল করে উঠল। বুকে ঝোপ বেঁধে থাকা লোমে শিশিরের মতো লেগে আছে কণা কণা সাদা লবণ। বুকটা যেন লবণবুক। গা চোঁয়া জল নাক চুঁইয়ে যখন ঠোঁট গলে ঢুকে গেল, তখন নুহু টের পেল তার শরীরে এখনো স্বাদ আছে। নুহু জানে, শরীর থেকে রুহু যখন বেরিয়ে এসে গলায় ছটফট করে, তখন সে শরীরের আর কোনো স্বাদ থাকে না। নুহু এও জানে, ক্ষুধা যখন পেট থেকে হেঁটে এসে গলা পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়, তখন সে দেহের আর কোনো রস-কষ থাকে না। কিন্তু তার পাংশে জিভ লবণের স্বাদ পায়ে জানান দিচ্ছে, পাংশুটে হলেও এখনো এই দেহের মধ্যে রুহুটা লুকিয়ে রয়েছে। সে প্রাণে এখনো রয়েছে রক্ত-মাংস। সোজা বাঁকা হাড়। সে হাড়ে এখনো বাড়ি মারলে, গান গেয়ে ওঠে। বেজে ওঠে বাঁশির সুর।

‘আবুলভাই আসেন, গোসুল করে নিই। মৃত্যুর পর মুর্দা হয়ে গেলে তো আর গোসুল করার ফুরসত থাকবে না। তখন না থাকবে গোসুল করানোর লোক, না থাকবে দাফন করার লোক!’ জলের নীচ থেকে গলা তুলল নুহু।
‘এই পানিতে কি আর গোসুল করা হয়? এ তো নামেই নদী, নদীর মতো তো আর মিস্টি পানি নয়? লবণাক্ত পানি। এই পানিতে গোসুল করলে গা-হাত-পা চ্যাটপ্যাট করবে। খসখস করবে। এ পানি না পানের না গোসুলের।’ বৈঠা হাতে ফদফদ করে বকল আবুল।
‘আপনি বলছেন কি, পানি না পানের না গোসুলের? আপনি কি জানেন না, এখন পানিই মানি?’
‘সে জানি, একদিন পানির জন্যেই বিশ্বযুদ্ধ লেগে যাবে। যে দেশে যত পানি মজুত থাকবে, সে দেশ তত ধনী হবে। ‘পানির মতো সস্তা’ কথাটা বললে লোকে হাসবে।’
‘এতই যখন বোঝেন তখন গোসুল করতে কেন নামছেন না?’
‘এ যে পানি নয়, লবণ। গায়ে লবণ মেখে গোসুল করলে, শরীর কি আর ঠাণ্ডা হবে?’
‘কেন হবে না? আলবাত হবে। আরে আমাদের শরীরে কি লবণ নেই? শরীর ঘামলে কি শরীর থেকে লবণ বের হয় না? শরীরেরও লবণ দরকার হয়। আর কটা দিনই বা বাঁচবেন? পানি-লবণ, রোদ-কাদা, যা পাবেন মেখে নিন। সবই তো পচে ভূত হয়ে যাবে।’
‘আপনি তাড়াতাড়ি উঠে পড়ুন। ঠাণ্ডা লেগে যাবে। জোয়ারের পানি, নতুন পানি।’
‘আর ঠাণ্ডা! এ শরীর কি সেই শরীর গ? এ শরীরের সব ধকল সহ্য করার ক্ষমতা আছে। এ শরীর রোদেও পুড়তে পারে আবার বৃষ্টিতেও ভিজতে পারে। গরিব মানুষের শরীর কি আর মোম দিয়ে তৈরি? যে একটুতেই গলে যাবে। এ শরীর আল্লাহ ইট-কাঠ-পাথর দিয়ে তৈরি করেছেন। ভেতরে রক্ত-মাংস থাকলেও, বাইরে একটা প্রকৃতি আছে। যে প্রকৃতিতে রোদ-ঝড়-বৃষ্টি সবই হয়। মোষের মতো যেমন মেঘ ওঠে, ঠিক তেমনি কালবৈশাখীর মতো ঝড়ও ওঠে। আবার চাঁদি ফাটা সূর্যও ওঠে। এ শরীরে হাওয়াঘরও আছে। সে হাওয়া কখনো নাচে কখনো ভাঙে।’
‘তুই আবার ঐ বাউলগিরি শুরু করলি?’ বিরক্ত হয়ে ওঠে মতি।
‘বড়ভাই তুমি আর জীবনের কি স্বাদ বুঝলে! তেল-নুনের হিসেব কষতে কষতেই তো জীবনটা ফুরিয়ে দিলে! শরীরের যেমন সংসার আছে, মনেরও একটা সংসার আছে। সে সংসারে আর ক-দিনই বা আগুনের ফুঁ দিলে! সলতেই দিলে কেরোসিনের তেল! সে সংসার চিনতেই পারলে না। শরীরের আকাশেই তো সারাজীবন ঘুড়ি উড়িয়ে গেলে। মনের আকাশে একদিন ঘুড়ির সুতো ছাড়লে বুঝতে, জীবনের রঙ কত রঙিন হয়।’

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব ১৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৯

 

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১

আরএ/

আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি

হিট অ্যালার্ট জারি। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে চলমান তাপমাত্রার পারদে উঠতি গতার খুব একটা হেরফের না হওয়ায় এখনও অস্বস্তি কমেনি। মাথার ওপর গনগনে সূর্যকে সঙ্গী করেই প্রচণ্ড দাবদাহে নাজেহাল পরিস্থিতি পার করছে মানুষ। যদিও কয়েকদিনের তুলনায় কিছুটা বাতাসের উপস্থিতি থাকলেও পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, আমরা এর আগে তিন দিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম তার মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা হিট অ্যালার্ট জারি করে সরকারকে জানিয়ে দিই। সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের করণীয় যা সেটা করবে।

তিনি বলেন, সারাদেশের তাপমাত্রা গতকালের থেকে আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে এটা মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগে পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।

মো. আজিজুর রহমান বলেন, আপাতত দিনের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছি না। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাপমাত্রা আর খুব বেশি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

এদিকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবিরাজ করতে পারে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প আসছে বাংলাদেশের পর্দায়

ডকুফিল্ম ‘মুচাচোস’ এর পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত

৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। সৌদি আরবের কাছে হেরে অঘটন দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল আলবিসেলেস্তারা। তবে শেষমেশ লিওনেল মেসির হাতেই ওঠে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি, এমন বিশ্ব আসরকে সেরা বলতে বাধ্য যে কেউ।

অবিস্মরণীয় এই বিশ্বকাপের রোমাঞ্চ নিয়ে এরইমধ্যে নির্মিত হয়েছে বেশ কিছু ডকুফিল্ম। যার মধ্যে আলোচিত একটি স্প্যানিশ ভাষায় নির্মিত ডকুফিল্ম ‘মুচাচোস’।

স্প্যানিশ পরিচালক জেসাস ব্র্যাসেরাস নির্মাণ করেছেন ১০০ মিনিটের এই ডকুফিল্ম। গত ডিসেম্বরে আর্জেন্টিনায় মুক্তি পাওয়া ‘মুচাচোস’ সেখানকার দর্শকদের মধ্যে দারুণ সাড়া তুলেছিল।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্টার সিনেপ্লেক্স জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার ‘মুচাচোস’ মুক্তি পাবে এই মাল্টিপ্লেক্সের সবগুলো শাখায়।

বাংলাদেশে ডকুফিল্মটি মুক্তি নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া ও মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার বিপুলসংখ্যক সমর্থক রয়েছে। কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার খেলা উপভোগ করেছে কোটি মানুষ। বিশ্বকাপ জয়ের পর ঢাকাসহ সারাদেশ উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল। বাংলাদেশের সমর্থকদের উন্মাদনা দেখে রীতিমত অবাক হয়েছেন আর্জেন্টিনার মানুষও।

“লিওনেল মেসির হাত ধরে বিশ্বকাপ জয়ের এই মুহূর্ত নিয়ে ভক্তদের উৎসাহ ফুরাবে না সহজে। এই ভক্ত-সমর্থকদের জন্যই ‘মুচাচোস’ নিয়ে এসেছি আমরা। আশা করি এই ছবি দেখাটা চমৎকার একটা ব্যাপার হবে দর্শকদের জন্য।’’

‘মুচাচোস’এ অভিনয় করেছেন জেসুস ব্র্যাসেরাস, বসসি অগাস্টিন বসি, হার্নান ক্যাসশিয়ারি, ম্যাক্সিমিলিয়ানো লাসানস্কিসহ আরও অনেকে।

শরীয়তপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৫

হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন সংঘর্ষে আহত এক ব্যক্তি। ছবি: সংগৃহীত

শরীয়তপুরের জাজিরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার প্রতিপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে দফায় দফায় উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের সারেংকান্দি এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।

আহতরা হলেন- শাহাবুদ্দিন সারেং (৩০), মো. আরশাদুল (১১), সৈকত সরদার (১৯), হাজেরা বেগম (৭৫) ও আকাশ হাওলাদার (২৮)।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বেপারী এবং তার নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আব্দুল জলিল মাদবরের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গত ২৭ মার্চ দুপক্ষের সংঘর্ষে বোমার আঘাতে সজীব মুন্সী নামের এক যুবক গুরুতর আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সেই ঘটনার সূত্র ধরে আজ আবারও দুপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এসময় তারা সারেংকান্দি এলাকায় ফসলি জমিতে নেমে একে–অপরকে লক্ষ্য করে হাতবোমা (ককটেল) ছুঁড়তে থাকে। ককটেলের মুহুর্মুহু শব্দে ভারী হয়ে উঠে আশপাশ। এই ঘটনায় শাহাবুদ্দিন, আরশাদুল, সৈকত, আকাশ ও হাজেরা নামে ৫ জন গুরুতর আহত হয়। পরে তাঁদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য শাহাবুদ্দিন, আরশাদুল, সৈকত ও আকাশকে ঢাকায় পাঠান। এছাড়া দুপক্ষের বেশকিছু বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল জলিল মাদবর অভিযোগ করে বলেন, ‘কুদ্দুস বেপারীর লোকজন গতকাল মঙ্গলবার আমাকে উদ্দেশ্য করে ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে বলেন, ‘‘বাবার জন্মে হয়ে থাকলে সবার সামনে গিয়ে মারামারি করিস। পোলাপান সামনে দিয়ে মারামারি করিস না। আগামীকাল সকালে শুরু হবে।’’ এ বিষয়ে আমি পুলিশকে জানিয়েছি। পরে আজ কুদ্দুস বেপারীর লোকজন আমার লোকজনের বাড়িঘর ভাংচুর করে ও আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায়।’

তবে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুস বেপারী বলেন, ‘জলিল মাদবর মারামারি করার জন্য কয়েক গ্রাম থেকে লোকজন এনে আমার লোকজনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। পরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আমার একজন লোক মুমূর্ষু অবস্থায় আছে।’

এ বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, কয়েক বছর যাবত বিলাসপুর ইউনিয়নে দুইটি গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব, হামলা-মামলা চলছে। তারই জেরে আজ দুই পক্ষ সংঘর্ষে জরায়। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ থামাতে চেষ্টা করি। কিন্তু আমরা পৌঁছানোর আগেই দুপক্ষের অন্তত চারজন লোক আহত হয়। তারা বেশ কিছু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। যারা এসব ঘটিয়েছে তাদের আটকের চেষ্টা চলছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প আসছে বাংলাদেশের পর্দায়
শরীয়তপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৫
মুক্তি পেল ইমতু রাতিশ ও অলংকার এর 'বরিশাইল্লা সং'
জরুরি সাংগঠনিক নির্দেশনা দিলো ছাত্রলীগ
সাহিত্য চর্চার আড়ালে শিশু পর্নোগ্রাফি বানাতেন টিপু কিবরিয়া
সাজেকে শ্রমিকবাহী ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬
ধাওয়া খেয়ে গরু ও গাড়ি রেখে পালালো চোর, গাড়িতে আগুন দিল জনতা
আর্জেন্টাইন ফুটবলার কার্লোস তেভেজ হাসপাতালে ভর্তি
সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসিতে মানববন্ধন
রাজবাড়ীতে হিটস্ট্রোকে স্কু‌লশিক্ষকের মৃত্যু
প্রসূতির পেটে গজ ও ফুল রেখে সেলাইয়ের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
তাপদাহ কমে গেলে লোডশেডিং থাকবে না: বিদ্যুৎ সচিব
ইন্টারনেট ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপে ছবি-ভিডিও পাঠাবেন যেভাবে
ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশি নারী বক্সার জিন্নাত ফেরদৌস
নিজে না মেরেও সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন রিয়াজ
নারী কর্মীদের বোরকা ও নেকাব পরা নিষিদ্ধ করল চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল
ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
কালশী উড়ালসেতুর নাম বদলে হলো শেখ তামিম মহাসড়ক
ক্যান্সারে না ফেরার দেশে পেপার রাইম ব্যান্ডের সাদ