মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান

খাওয়ার বিরতির সময় কাজ যে পর্যায়ে আছে সেখানেই রেখে খেতে বসে যেত তারা। অন্য কারিগরেরাও এসে জড়ো হতো। শীতের সময় কাঠ কিংবা চাঁচনি থেকে জ্বালানো আগুনের পাশে গোল হয়ে বসত সবাই। গরমের সময় বসত ছাদের নিচে। আবদার নামের একজন আরব শ্রমিক ছিল; তার পরনে থাকত আরব দেশের মানুষদের পাজামা, পাজামার পেছনের অংশ ভাঁজ হয়ে ঝুলতে থাকত। পাজামার পা ছিল তার পায়ের গুলের মাঝখান পর্যন্ত। মাথায় একটা কিনারাবিহীন টুপি এবং ছেঁড়া সোয়েটারের ওপরে পরত একটা পুরনো জ্যাকেট। রসিকতা করে সে জ্যাককে ডাকত, আমার সহকর্মী। তার মামা আবদারের সহকর্মী। আর জ্যাকও তার মামার কাজে হাত লাগাত বলেই এরকম সম্বোধন করত সে।

কারখানার মালিকও ছিল একজন বয়স্ক পিপা তৈরিকারী। তার ওই নামহীন কারখানায় সে আসলে নিজের সহকর্মীদের নিয়ে বড় বড় ফরমায়েশী কাজ করত। আরেকজন ইতালীয় শ্রমিক ছিল; সব সময় তার মন খারাপ থাকত এবং ঘন ঘন সর্দি লাগত তার। ওখানে ছিল সার্বক্ষণিক হাসিখুশি ডনিয়েল। জ্যাককে ডেকে নিয়ে হাসি তামাসা আর খেলায় মেতে উঠত সে। জ্যাক কারখানার চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে পালিয়ে বেড়ানোর চেষ্টা করত। তার কালো অ্যাপ্রোন করাতের গুঁড়ায় ঢেকে যেত। গরমের দিনে খোলা পায়ে পুরনো স্যান্ডেল মাটি আর চাঁচনির আবরণে ঢেকে যেত। করাতের গুঁড়ার গন্ধ আর নতুন চাঁচনির গন্ধ শুঁকে আগুনের পাশে এসে আগুনের সুগন্ধি ধোঁয়ার স্বাদ নিতে নিতে জ্যাক জিহ্বা চাটত। কিংবা পিপার তলা সমান করার কোনো যন্ত্র নিয়ে এক খণ্ড কাঠের ওপরে গোঁজ হিসেবে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করত বাইস। নিজের কায়িক কৌশলে নিজে আনন্দ পেত এবং অন্য শ্রমিকেরা তার প্রশংসা করত।

খাওয়ার এরকম এক বিরতিতে জ্যাক তলা-ভেজা স্যান্ডেল নিয়ে বোকার মতো একটা বেঞ্চের ওপরে উঠে পড়ে। হঠাৎ করে সে সামনের দিকে পিছলে চলে গেলে পায়ের নিচের বেঞ্চটা পেছনের দিকে উল্টে যায়। শরীরের সবটুকু ভরসহ জ্যাক পড়ে যায় বেঞ্চের ওপরেই। তার ডান হাতটা বেঞ্চের নিচে ঘষা খায়। সঙ্গে সঙ্গে বোধহীন একটা ব্যথা চাগিয়ে ওঠে হাতে। তবু সে হাসতে হাসতে উঠে দাঁড়ায়। কারণ ততক্ষণে অন্য শ্রমিকরাও দৌড়ে এসেছে তার পড়ে যাওয়া দেখে। কিন্তু মুখ থেকে তার হাসি মুছে যাওয়ার আগেই, আর্নেস্ট ছুটে এসে তাকে কোলে তুলে নিয়ে সাধ্যের সর্বোচ্চ গতিতে কারখানার বাইরের দিকে ছুটতে থাকে। কণ্ঠ দিয়ে তার তোতলানো কথা বের হচ্ছে, ডাক্তারের কাছে, ডাক্তারের কাছে! তখন জ্যাক দেখতে পায়, তার ডান হাতের মধ্যমার মাথার দিকটা পিষ্ট হয়ে কালো পিণ্ডের মতো হয়ে গেছে। সেখান থেকে রক্ত বের হচ্ছে। জ্যাকের হৃদপিণ্ড একবার লাফিলে উঠলে সে জ্ঞান হারায়। পাঁচ মিনিটের মধ্যে তারা তাদের বাড়ির বিপরীতে রাস্তার অপর পাশে যে ডাক্তার ছিলেন তার কাছে পৌঁছে যায়। ফ্যাকাশে মুখে আর্নেস্ট জিজ্ঞেস করে, কিছু হয়নি তো ডাক্তার? তেমন কিছু না, না?

ডাক্তার বললেন, পাশের রুমে গিয়ে অপেক্ষা করো। বড় হলে ছেলে খুব সাহসী হবে।

হতেই হবে। তার অদ্ভূতভাবে জোড়া লেগে যাওয়া আঙুল এখনই তার প্রমাণ দিচ্ছে। তবে থেঁতলে যাওয়া অংশ জোড়া দেওয়ার পর ডাক্তার তাকে একটা মিষ্টি পানীয় উপহার দিলেন এবং তার সাহসের পুরস্কারস্বরূপ একটা ব্যাজ দিয়ে দিলেন। তার পরও আর্নেস্ট তাকে কোলে করে রাস্তা পার করে দিতে চাইল এবং তাদের বাড়ির সিঁড়ির কাছে গিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে জ্যাককে বুকে জড়িয়ে নিল। যতক্ষণ না ব্যথা করে ওঠে জ্যাককে সে বুকের ভেতর ধরেই রইল।

জ্যাক বলল, মামণি, কে যেন দরজায় শব্দ করছে।

আর্নেস্ট এসেছে। যা, দরজা খুলে ওকে নিয়ে আয়। চোর ডাকাতের ভয়ে দরজায় আজকাল তালা দিয়ে রাখি।

জ্যাককে দরজায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আর্নেস্ট বিস্ময়ে ‘হাউ’ করে একটা শব্দ বের করল। সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে জ্যাককে বুকে জড়িয়ে ধরল আর্নেস্ট। চুল সবগুলোই প্রায় সাদা হয়ে গেছে। তবু তার মুখের চেহরাটা বালকসুলভ রয়ে গেছে। মুখের আদল সুগঠিত আছে। তবে তার পা দুখানা যেন আরো বাঁকা হয়ে গেছে। কাঁধ আগের মতোই চওড়া আছে। ভেতরে হেঁটে আসার সময় মনে হলো চার হাত পা যেন দোলাতে দোলাতে হাঁটছে।

জ্যাক বলল, কেমন আছো, মামা?

খুব বেশি ভালো নয়। পেটের পাশে ব্যথা, বাতের ব্যথা। শরীরের অবস্থা খারাপই বলা যায়। আর জ্যাক? হ্যাঁ, ভালোই, ভালো অবস্থাতেই আছে। ক্যাথরিন করমারি তাকে দেখে খুব খুশি হয়েছে। জ্যাকের নানি মারা যাওয়ার পরে, বাচ্চারাও সবাই দূরে চলে গেলে তারা দুভাইবোন এক সঙ্গে আছে। একজনের সাহায্য ছাড়া আরেকজনের চলে না। আর্নেস্টের দেখাশোনা করার জন্য কেউ একজনকে দরকার ছিল। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে ক্যাথরিন তার স্ত্রীর মতো: খাবার রান্না করে দেওয়া, কাপড় চোপড় ধুয়ে ইস্ত্রি করে দেওয়া, প্রয়োজনের সময় তার দেখাশোনা করা– সবই করেছে ক্যাথরিন। আর ক্যাথরিনের যা দরকার ছিল সেটা টাকা পয়সা নয়; তার ছেলেরা তার আর্থিক প্রয়োজন সবই মিটিয়ে থাকে। তার একজন পুরুষ মানুষের সঙ্গ দরকার ছিল এবং আর্নেস্ট তার মতো করে বোনের দেখাশোনা করে আসছে, যখন থেকে তারা অন্যদের থেকে একা হয়ে গেছে।

হ্যাঁ, তারা স্বামী-স্ত্রীর মতোই আছে; শরীরের প্রয়োজনে নয়; রক্তের টানে। প্রতিবন্ধিত্ব যখন খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে ভাঙা ভাঙা বাক্যের ভেতর থেকে জ্বলে ওঠা প্রায় বোবা সংলাপ বিনিময় করে একজন আরেকজনকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করেছে। অন্য যেকোনো দম্পতির চেয়ে তারা একজন আরেকজনের সঙ্গে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ এবং একজন আরেকজনের বিষয়ে অনেক বেশি অবগত।

আর্নেস্ট বলল, হ্যাঁ, হ্যাঁ; সব সময় খালি জ্যাক জ্যাক বলে তোর মা।

ঠিক আছে। আমি তো এসে গেছি, জ্যাক বলল। ঠিকই, জ্যাক এসে গেছে। আগের মতোই মা এবং আর্নেস্ট মামার সঙ্গে আছে জ্যাক। জ্যাক তাদের সঙ্গে কখনও কথা বলতে পারেনি। তাদের প্রতি তার ভালোবাসার প্রবাহ কখনও থেমে যায়নি। তাদের প্রতি তার সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা। তাদেরকে ভালোবাসতে পারার কারণেই তাদের কথা সব সময় জ্যাকের মনের মধ্যে জেগে ছিল। কারণ যাদের প্রতি জ্যাকের ভালোবাসা দেখানো উচিত ছিল তাদের অনেককেই ভালোবাসতে পারেনি সে।

ডানিয়েল কেমন আছে?

ঠিক আছে, ভালো আছে। আমার মতোই বুড়ো হয়ে গেছে। ওর ভাই পিয়েরোত জেলে।

কিসের জন্য?

ও বলে ইউনিয়নের কারণে। আমি বলি, আমি মনে করি আরবদের সাথে তার যোগাযোগ আছে। বলেই আর্নেস্ট চিন্তিত হয়ে পড়ে। তারপর বলে, এই যে ডাকাতদের কথা, এরকম কি ঠিক আছে?

না, অন্য আরবেরা। হ্যাঁ, ডাকাতেরা নয়।

ঠিক ঠিক, আমি তোর মাকে বলেছি বসেরা সব কড়া। তাদের আচরণ চড়া: কিন্তু ডাকাতদেরও বেশি বেশি।

সেরকমই, জ্যাক বলল। তবে পিয়েরোতের জন্য আমাদেরও কিছু করা উচিত।

ভালো, আমি ডানিয়েলকে জানাব।

ডোনাটের খবর কী? (ডোনাট গ্যাসের কারখানায় কাজ করত আর অবসরে মুষ্টিযুদ্ধে অংশ নিত বাড়তি উপার্জনের জন্য)।

মারা গেছে। ক্যান্সার হয়েছিল। আমরা সবাই বুড়ো হয়ে গেছি।

হ্যাঁ, ডোনাট মারা গেছে। তার মায়ের বোন মার্গারিটে খালা মারা গেছে। রবিবারের বিকেলে তাকে নানি জোর করে টেনে নিয়ে যেত খালার বাসায়। জ্যাকের প্রচণ্ড একঘেয়ে লাগত। আধা অন্ধকার খাবার ঘরের টেবিলে কালো কফি সামনে নিয়ে বসা দুই মহিলার প্যাঁচালে মিশেল খালুও বিরক্ত হতেন। জ্যাককে ওই অবস্থা থেকে রক্ষা করতেন মিশেল খালু তার আস্তাবলে নিয়ে গিয়ে।

বিকেলের আলোয় তখনও রাস্তা বেশ উষ্ণ। ছায়া ছায়া আলোয় জ্যাক প্রথমত ঘোড়ার লোমের গন্ধ, খড়ের গন্ধ এবং ঘোড়ার বিষ্ঠার জৈব সারের গন্ধ পেত। কাঠের জাবনাপাত্রের সঙ্গে ঘোড়ার মুখের শিকলের বাড়ি লাগার শব্দ শুনতে পেত। ঘোড়াগুলো লম্বা ঠুলির আড়াল থেকে তার দিকে মুখ ফিরিয়ে চাইত। দীর্ঘদেহী এবং লম্বা গোঁফের মিশেল খালুর গা থেকেও খড়ের গন্ধ আসত।

তিনি জ্যাককে একটা ঘোড়ার পিঠে বসিয়ে দিতেন। ঘোড়াটা জাবনাপাত্রের ভেতর নাক ডুবিয়ে জই খেত। তখন মিশেল খালু জ্যাককে চকলেটের মতো ক্যারোব খেতে দিতেন। জ্যাক চুষে চুষে মজা করে খেত। খালুর প্রতি জ্যাকের বন্ধুসুলভ একটা টান ছিল। তার ব্যক্তিত্ব জুড়েই ঘোড়ার অস্তিত্ব টের পেত জ্যাক। তার সঙ্গেই তারা পরিবারসহ সবাই ইস্টার সোমবারে মুনাস ওরিলেত্তিস মেলায় অংশ নিতে সিডি ফারুস বন এলাকায় যেত। তারা যে এলাকায় বাস করত সেখান থেকে আলজিয়ার্সের উপশহর পর্যন্ত চলাচলকারী ঘোড়ায় টানা ট্রামের একটা ভাড়া করতেন মিশেল খালু।

জাফরির কাজ করা বড় আকারের ট্রাম, পেছনে পেছন ঠেকিয়ে বসার ব্যবস্থা থাকত ভেতরে। ওই ট্রামের সঙ্গেই ঘোড়া জুড়ে দিয়ে চালানো হতো। সামনের ঘোড়াটা মিশেল খালুর আস্তাবল থেকে বেছে নেওয়া হতো। খুব ভোরে বড় বড় লন্ড্রীর ঝুড়ি, ডিম এবং মাখন সমৃদ্ধ বড় বড় পেস্ট্রি জাতীয় রোল (সেটাকে বলা হতো মুনাস) এবং ছোট মচমচে পেস্ট্রি (এটাকে বলা হতো ওরিলেত্তিস) বোঝাই করে গাড়িতে তোলা হতো। বাড়ির মহিলারা মার্গরিটে খালার ওখানে ওই জিনিসগুলো রওনা হওয়ার দুদিন আগেই তৈরি করে রাখত। একটা ওয়েলক্লথের ওপর লেই বিছিয়ে গোটাটার ওপরে ময়দার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়া হতো।

একটু শক্ত হলে বক্সকাঠ দিয়ে কেটে পেস্ট্রির আকার দেওয়া হতো। বাচ্চারা প্লেটে করে নিয়ে গিয়ে ফুটন্ত তেলের একটা দস্তার বেসিনে ফেলে দিত। তারপর ওখান থেকে সারিবদ্ধভাবে পেস্ট্রিগুলো লন্ড্রীর বাক্সে রাখা হতো। বাক্সের ভেতর থেকে চমৎকার ভ্যানিলার গন্ধ ভেসে আসত। সিডি ফারুস পর্যন্ত সারা পথ তারা সেই গন্ধ উপভোগ করতে করতে যেত। রাস্তার ধারে সমুদ্র তীরের সফেনের গন্ধ এসে যোগ হতো পেস্ট্রির গন্ধের সঙ্গে। মনে হতো, ঘোড়াগুলোও প্রাণভরে উপভোগ করছে ওই গন্ধ। লাগাম হাতে মিশেল খালু ঘোড়া চালাতেন।

মাঝে মাঝে তিনি জ্যাকের হাতেও দিতেন লাগাম। ঘুঙুরের জোরালো শব্দে চারটা ঘোড়ার পেছনের পাশ ওঠা নামা দেখে মুগ্ধ হয়ে যেত জ্যাক। ঘোড়ার লেজ ওপরের দিকে উঠে এলে লেজের নিচে গন্ধযুক্ত মল বের হওয়ার এবং মাটিতে পড়ে যাওয়ার আগে আকার ধারণ করতে দেখেও মুগ্ধ হয়ে যেত সে। তখন ঘোড়াগুলোর নালপড়ানো খুর মাটিতে জোরে জোরে আঘাত করতে করতে এগিয়ে যেত। ঘোড়াগুলো পেছনের দিকে মাথা ঝাঁকানি দিলে ঘুঙুরের শব্দ আরো দ্রুত হতো। গন্তব্যে পৌঁছে অন্যরা গাছের নিচে ক্লথ বিছিয়ে ঝুড়িগুলো সাজাতে থাকত।

জ্যাক তখন মিশেল খালুর সঙ্গে ঘোড়াগুলোর গা মুছিয়ে পরিষ্কার করে দিত এবং মুখের সঙ্গে ধূসর বাদামী মোটা কাপড়ের ব্যাগ বেঁধে দিত। ভ্রাতৃসুলভ চোখ বার বার খুলে এবং বন্ধ করে, অস্থির খুরের আঘাতে মাছি তাড়িয়ে ঘোড়াগুলো ব্যাগের ভেতরের জাবনা চিবিয়ে খেতে থাকত। জঙ্গলের জায়গাটাতে লোকে লোকারণ্য: কেউ কেউ পাশাপাশি দাঁড়িয়ে খাচ্ছে। অন্যরা এখানে সেখানে অ্যাকর্ডিয়ন কিংবা গিটারের সুরে নাচছে। পাশেই সমুদ্র গর্জন তুলছে বিশাল শব্দে। সমুদ্রে সাঁতার কাটার মতো গরম তখনও শুরু হয়নি।

তবে অগভীর পানিতে ঢেউয়ের ভেতর দিয়ে খালি পায়ে হেঁটে যাওয়া যেত। কেউ কেউ দুপুরের ঘুমে অচেতন হয়ে পড়ত। সূর্যের আলোর স্পর্শাতীত কোমলতা আকাশের প্রান্তসীমা আরও বিশাল করে তুলত। আকাশের বিশালতা দেখে অদ্ভূত চমৎকার জীবনের জন্য আনন্দ আর কৃতজ্ঞতায় বালক জ্যাকের চোখে জল এসে যেত। কিন্তু মার্গারিটে খালা আর নেই; তার চেহারা কতো সুন্দর ছিল। পোশাকআশাকে ছিমছাম কেতা ছিলো তার। সবাই বলত, কথার মারপ্যাঁচ জানতেন তিনি। তবে তার দোষ দেওয়া যায় না। কিন্তু ডায়াবেটিস তাকে আরাম চেয়ারের সঙ্গে আটকে দিবে; তিনি আরো স্থুল হয়ে যাবেন তা তো কেউ জানত না।

অবহেলিত বাড়িটাতে তিনি এতটাই বিশাল এবং ফাঁপা হয়ে গেলেন যে দেখতে ভয় লাগত। নিঃশ্বাস ফেলতে কষ্ট হতো তার, দেখতেও কুৎসিত হয়ে গেলেন। তার পাশে থাকত তার মেয়েরা এবং খোঁড়া ছেলেটা। তার সেই ছেলেটা জুতা সেলাইয়ের কাজ করত। সবাই গভীরভাবে বেদনাহত হয়ে আশঙ্কায় থাকত, কখন যেন তার দম বের হয়ে যায়। ইনসুলিনে বোঝাই তার শরীর আরো স্থূল হয়ে গেল। সত্যিই একদিন তার দম বন্ধ হয়ে গেল।

চলবে...

এসএ/

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad
Header Ad

বছর ঘুরে ফিরল গণঅভ্যুত্থানের জুলাই

ছবি: সংগৃহীত

আজ ১ জুলাই। দিনটি ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে ‘জুলাই গণ অভ্যুত্থান’-এর সূচনাদিবস হিসেবে। এক বছর আগে এই দিনে দেশের শিক্ষাঙ্গনে শুরু হয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনের নতুন ঢেউ, যা পরিণত হয়েছিল ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে রাজপথে নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)সহ দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

“কোটা না মেধা, মেধা মেধা” স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে শিক্ষাঙ্গন। আন্দোলনকারীরা সরকারকে তিন দিনের আলটিমেটাম দেন, যা পরবর্তীতে রূপ নেয় ৩৬ দিনের এক বিরল গণআন্দোলনে। ২০১৮ সালে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও, ২০২৪ সালের ৫ জুন হাইকোর্ট ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধেই ১ জুলাই ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

সেদিন শিক্ষার্থীরা কলাভবন, শ্যাডো, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও হলগুলো ঘুরে ভিসিচত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্যে সমবেত হন। সেখানে তারা উত্থাপন করেন চার দফা দাবি: ১) ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন বহাল রাখা, ২) মেধাভিত্তিক নিয়োগ অব্যাহত রাখা, ৩) কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল, এবং ৪) কেবল সংবিধান অনুযায়ী অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্যই সুযোগ রাখার প্রস্তাব।

আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট বার্তা দেন, দাবি না মানা হলে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে। ২ জুলাই ঢাবি থেকে গণপদযাত্রা এবং ৪ জুলাই পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষাবর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘৪ জুলাইয়ের মধ্যে সরকারের উচিত আমাদের দাবির চূড়ান্ত আইনি সমাধান ঘোষণা করা।’ তিনি জানান, একইসাথে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজেও গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ওইদিন আন্দোলনে সরব ছিলেন। তারা জানিয়ে দেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বৃষ্টিতে ভিজে বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশ নেন। তাদের বক্তব্য ছিল স্পষ্ট—"১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে, অথচ আজও আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে। চাকরিতে কোটা নয়, নিয়োগ হতে হবে মেধার ভিত্তিতে।"

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে জাবির প্রধান ফটকে গিয়ে প্রতীকী অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। ১০ মিনিট ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উভয় দিক বন্ধ রেখে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দেন তারা—৪ জুলাইয়ের মধ্যে রায় বাতিল না হলে এই মহাসড়ক পুরোপুরি অবরোধ করে রাজধানী অচল করে দেওয়া হবে।

একইসাথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভে অংশ নেন। তারা রায়সাহেব বাজার হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শেষে রফিক ভবনের সামনে এসে সমবেত হন। সেখান থেকে তারা ঘোষণা দেন, প্রয়োজনে রক্ত দিয়েও কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি ঘোষণা করেছে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ নামের দেশব্যাপী কর্মসূচি। আজ সকালে রংপুরের পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে শুরু হবে এ কর্মসূচি। এরপর গাইবান্ধা ও রংপুর সদরে পথসভায় অংশ নেবেন দলটির নেতারা।

অন্যদিকে বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপির উদ্যোগে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে অংশ নেবেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এবং আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পরিবার।

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউজিসি থেকে বরাদ্দ পাওয়া যাবে ৬৯ কোটি টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সোমবার (৩০ জুন) প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে সিন্ডিকেট এর ১০৪তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এই বাজেট উপস্থান করেন। একই সঙ্গে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের সরকারি বরাদ্দের ভিত্তিতে ৭৫ কোটি ৬৯ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করা হয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট চাহিদা ৯২ কোটি ৭০ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা হলেও প্রায় ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বাজেট ঘাটতি নিয়েই পাশ হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট।

পাশকৃত বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই খাতে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। এছাড়া মোট বাজেটের ৬২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ। পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, গবেষণা অনুদান খাতে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে মূলধন খাতে।

বাজেট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, '২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে বাজেট ছিল এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা, সেখান হতে আজকের বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ৭৬ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। আশার কথা হলো গত বছরের তুলনায় নিজস্ব অর্থায়ন হ্রাস করে সরকারি অনুদান বৃদ্ধি করা গেছে। ভবিষ্যৎ-তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক চাহিদা অনুযায়ী সর্বমোট বাজেট বৃদ্ধি পাবে।'

তিনি আরো বলেন, 'ইউজিসির বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত। তবে সংশোধিত বাজেটে ইউজিসির সাথে আলোচনা করে বাজেট আরও বৃদ্ধি করা হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী বলেন, 'সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে বাজেট ব্যয় করা হবে।'

Header Ad
Header Ad

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ খালি রয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০২৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এর বিপরীতে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯১ জন কর্মরত আছেন; খালি আছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ।

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৭টি, ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি, ২০২০ সালে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫ এবং ২০২১ সালে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি, ২০২২ সালে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টি এবং ২০২৩ সালে ৪ লাখ ৭৩ হাজার একটি পদ ফাঁকা ছিল।

এখন সরকারি চাকরিতে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের (আগের প্রথম শ্রেণি) ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৭টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন এক লাখ ৯০ হাজার ৭৭৩ জন। ফাঁকা আছে ৬৮ হাজার ৮৮৪টি পদ।

১০ থেকে ১২তম গ্রেডে (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৮৯টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৬ জন। ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ১৬৬টি পদ।

১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডে (আগের তৃতীয় শ্রেণি) ৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৪টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৫ জন। ফাঁকা আছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৯টি পদ।

অন্যদিকে ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডে (আগের চতুর্থ শ্রেণি) ৫ লাখ ১৯ হাজার ৮১২টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৭৭ জন। ফাঁকা রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৩৫টি পদ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত ও অন্যান্য কাজের জন্য ১৬ হাজার ১১৬টি পদ থাকলেও এসব পদের বিপরীতে কাজ করছেন ৭ হাজার ৮৯০ জন। ফাঁকা রয়েছে ৮ হাজার ১৩৬টি পদ।

প্রথম থেকে ১২তম গ্রেডের গেজেটেড পদগুলোতে নিয়োগ দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আর ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ৬ হাজার ৬৪টি এবং অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে ২ লাখ ৯৬ হাজার ১১২টি পদ ফাঁকা রয়েছে। আর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৫ হাজার ২৯টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ৫১ হাজার ১৫টি পদ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বছর ঘুরে ফিরল গণঅভ্যুত্থানের জুলাই
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প
আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন ‘আইনটা দেখিনি’
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন: মির্জা ফখরুল
বিপিএলে নোয়াখালীর অভিষেক, আসছে ‘নোয়াখালী রয়্যালস’
হোটেল থেকে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্তে যা জানা গেল
আমাদের ডিভোর্স হয়নি, হিরো আলম অভিমান করেছিল: রিয়ামনি
সরকারি উদ্যোগেও কমেনি ইলিশের দাম, খালি হাতেই ফিরছেন ক্রেতারা
মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে সব লেনদেন