শনিবার, ১০ মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক

‘আমরা নয়াপাড়ার ক্যাম্প দিয়ে নদীতে নামব। বিজিবি’র হাতে ধরা পড়ে গেলে বলব, আমরা এই নয়াপাড়া ক্যাম্পে ছিলাম, আমরা এখন আমাদের দেশে ফিরে যাচ্ছি, আমাদের যেতে দিন। সুতরাং ওদের আর আটকানোর কোনো কথা নয়।’ ‘কাজটা যত সহজ ভাবছিস, তত সহজ নয়। যথেষ্ট জটিল এবং রিস্কি।’ নবীর কথাটা শুনে আতিফের মুখে দুশ্চিন্তার ছায়া আরও কালো হয়ে উঠলে, নবী তাকে আশ্বস্ত করল, ‘তুই চিন্তা করিস না। চাচাদের উদ্ধার করবই। প্রহরা যতই কড়া হোক, ফাঁকফোকর কিছু থাকবেই। কথায় আছে না, বজ্রআঁটুনি ফস্কা গেরো।’

নবীর কথায় আতিফের দুশ্চিন্তার ছায়া ঢাকা মুখে চিরিক করে খুশি খেলে উঠল। যেন মনের ঝিম মেরে থাকা সেতারে নবী যেন আলতো করে ছোঁয়া দিয়ে খুশির মিহি ধুন তুলে দিল। সে ধুনের চিকন ঢেউ স্পর্শ করল তার কাতর চোখমুখ। যেভাবে বৃষ্টির ছাটে কাত হয়ে যাওয়া ঘাসের পাতা ঠিকরে পড়া রোদ পেতেই আনন্দে ঝলমল করে ওঠে, নবীর শেষ কথাটায় আতিফের মন’টাও আলতো করে ঝলমলিয়ে উঠল। ‘নবী, তুই খোঁজ নে তো, নয়াপাড়াতে আমাদের কোন কোন লোক আছে।’ ঘুটি সাজাতে লাগল আতিফ।

‘সে না হয় খোঁজ নিচ্ছি, ওখানে আমাদের অনেক লোক আছে, লোক পেতে অসুবিধা হবে না। কিন্তু…।’
‘কিন্তু কী?’
‘এখন তো তুই বেরোতে পারবি না। কালকেই তো আইএসআই’এর লোক আসবেন। তাছাড়া পরশুই তো আমার “লিটিল বার্ড অ্যাক্সান’। সে অ্যাক্সেন তো আমার নেতৃত্বেই হবে।’ ‘তাহলে তুই থাক, আমি একাই নয়াপাড়া যাব।’

‘দেখ, আমি বুঝছি, তোর নয়াপাড়া যাওয়াটা সত্যিই এখন দরকার। খুবই দরকার। কিন্তু আমি তো নিরুপায়। তাছাড়া আর জে এফ’এর লেফটানেন্ট তোকে এই মুহূর্তে ছাড়বে কি না সন্দেহ আছে।’

‘ছাড়বে না মানে? আলবাত ছাড়তে হবে। ওরা না ছাড়লে, আমিই আর জে এফ ছেড়ে চলে যাব।’ ‘তোর মাথা কি খারাপ হয়ে গেছে আতিফ। আবেগ সংবরণ কর। তুই ভাল করেই জানিস যে, এখানে একবার কেউ ঢুকলে আর বেরোতে পারে না। আর বেরোলে লাশ বের হয়।’

‘ওহো, তাহলে আমি এখন কী করব?’ মাথা খুঁটে আতিফ। নবী তাকে বোঝায়, ‘দেখ, আমরা এমন জগতে ঢুকেছি, এখানে কোন পরিবার, আত্মীয়স্বজন বলে কিচ্ছু নেই। একাজে আবেগের বিন্দুমাত্র জায়গা নেই। চোখের পানি এখানে হারাম। কান্না কাপুরুষের লক্ষণ। মুজাহিদ’দের ওসব থাকতে নেই। আমরা তো এই ঠুনকো জীবন আল্লাহকে মহৎ এবাদতের জন্য উৎসর্গ করেছি।’

‘আমরা যত বড় মুজাহিদই হই না কেন, এ শরীরের রক্ত-মাংস তো আর পাথর হয়ে যায়নি? হৃদয়ের অনুভূতিগুলোও ঝেটে মরে যায়নি। এখনো চোখ বুজে আসলে চোখের পাতা দিয়ে নেমে আসে প্রেম। মায়ের আঁচলের হাওয়া। আর চোখ খুললে আমি দেখতে পাই, আমার মা আমার জন্যে থালায় ভাত বেড়ে বসে আছে। এসব কি কখনও শরীর মন থেকে আলাদা হয়? না হবে কোনোদিন? যতক্ষণ দেহে শ্বাস থাকবে, ততক্ষণ থাকবে এসব। তুই বা কেন ঘুমের মধ্যে মাঝে মধ্যে ‘মা’ বলে চিৎকার করে উঠিস?’

‘মা’র কথাটা বলায় নবীর ভেতরটা ধড়াক করে ওঠে। কিচ্ছু বলল না। মূর্তির মতো ঠাই দাঁড়িয়ে থাকল। থুতনিটাকে উপরে তুলে জানালার দিকে চোখ ফেলে চুপ হয়ে গেল। তার আবেগের দরজাটাও শিমুল ফলের মোড়কের মতো খুলে যাচ্ছে। মনের ভাবনাগুলো শিমুল তুলোর মতো ফিনফিন করে উড়ে বেরোচ্ছে। নিশ্চল মূর্তিমানব নবীর চোখ থেকে টপাস করে ঝরে পড়ল অশ্রু। মানুষ নয়, যেন মূর্তি কাঁদছে!
‘আবেগ’ কি আর মাথার উকুন, যে আঙুলের নখের ওপর রেখে ‘পটাস’ করে গেলে মেরে ফেলা যায়? ‘আবেগ’ই তো হল আত্মার শ্বাস। জীবনের স্পন্দন। ‘আবেগ’ না থাকলে একজন মানুষ কীভাবে রক্তের যন্ত্রণা টের পাবেন? প্রকৃতির রঙে মিশিয়ে নেবেন নিজেকে? প্রকৃতিরও ‘আবেগ’ আছে। তাইতো, মেঘ ওঠে, ঝড় বয়, বৃষ্টি পড়ে আবার রোদ ছিটিয়ে ঝলমল করে হাসে। মানুষ তো প্রকৃতির থেকে আলাদা কিছু নয়? মানুষ প্রকৃতিরই সন্তান। প্রকৃতির কোলেই তো তার বড় হয়ে ওঠা। মানুষের মনে ঝড় ওঠে, বৃষ্টি হয় বলেই তো মানুষ এত সৃষ্টি করতে পেরেছেন। সৃষ্টির আহ্লাদে নিজেকে রোদ্দুর বানাতে পেরেছেন।

‘চোখের পানি মোছ। যুদ্ধের পোশাক পরে চোখের পানি ফেলা বড্ড বেমানান।’ আতিফ নবীকে হেস মারে। নবী চুরি করে হাত দিয়ে চোখ মোছে। ভেজা ঢোক গিলে মিনমিন করে, ‘যতই বলি, কষ্ট কি আর শীলনুড়া পিটে বের করা যায়? আনন্দ যেমন রগে রগে বয়, কষ্টও রগে রগে ছোটে। তড়পায়। ফোঁপায়। হু হু করে কাঁদে।’
‘ঠক’ করে দরজায় একটা শব্দ হল। নবী আতিফ থড়বড় করে চোখ মুছে নিল। নবী ঘাড় উঁচু নিচু করে পরনের খাঁকিটা ফিটফাট করে, কোমরে ঝোলানো ছাই রঙের পিস্তলের খোলে রূপোলী রঙের পিস্তলটা পুরে নিল। আতিফ ‘খক’ করে একবার চোরা কাসি কেসে কণ্ঠটাকে ঝালিয়ে নিল। সকালের তেরছা রোদ জানালার ফাঁক দিয়ে ঘরের মেঝেতে ঠিকরে পড়ছে। আলোর সাথে সাথে গা এলিয়ে ঢুকে পড়ছে গাছের শাখা-পাতার ঝিলমিল ছায়া। ঘরের কাঠের মেঝেতে সে ছায়া ছড়ানাচ নাচছে। পাখির কূজন বাতাস ফুঁড়ে ঘুঙুরের মতো ঢুকছে। আতিফের ঠোঁট ফিসফিস করে উঠল, ‘এত সকালে’!
‘তাই তো!’ নবীর চোখে বিস্ময়ের ঘোর। ফিসফিসিয়ে বলল, ‘উপর মহল থেকে খুব তাড়া আছে মনে হয়।’

‘মরতে তো ওদেরকে হয় না। বুদ্ধি দিয়েই খালাস। ঠ্যালা বুঝবে কী করে।’ ঠোঁট বাঁকায় আতিফ। কানের লতিকা লাল হয়ে উঠছে তার। ‘ঠক’। আবারও দরজায় টোকা। আতিফ নবীকে চোখের ইশারা করে। নবী পা টিপে টিপে দরজার দিকে এগোতেই আবারও ‘ঠক’ শব্দটা হল। কাঠের দু-ফালি দরজা। পোক্ত করে ভেজানো আছে। লোহার ছিটকেনির সঙ্গে কাঠের একটা শক্ত হুড়কেও ঠেসে লাগানো আছে। ‘হড়াম’ করে হুড়কেটা খুলল নবী। বাদামী রঙের হুড়কেটা পাশের কোণে হেলান দিয়ে, দরজার মাথার উপরে লাগানো ‘খট’ করে ছিটকেনিটা নিচের দিকে টেনে, ‘ক্যাঁ-অ্যা-চ’ করে দরজাটা খুলল নবী। একমুখ চাপ দাড়ি নিয়ে দরজার একেবারে সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ‘রোহিঙ্গা জেহাদি ফৌজ’ অর্থাৎ আর জে এফ’এর জুনিয়ার কমিশন্ড অফিসার, জে সি ও, মেজর জেনারেল জুনাইদ মোল্লা। তার পেছনে তার মাথা টপকে একজন লম্বা চিকন বডির ফিটফাট লোক দাঁড়িয়ে রয়েছেন। মুখে ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি। গোঁফটা ঘন নয়। ফিনফিনে। গায়ে কালো রঙের কোর্ট। তালগাছের গুঁড়ির মতো লম্বা পা’দুটোয় ছাইরঙা স্যুট। বোদাম খোলা কোর্ট’টার ভেতর থেকে উঁকি মারছে নীল রঙের সার্ট। ভাসা ভাসা চোখের নিচে একটা ঢেঁড়স ফালি নাক। লোকটার চোখের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, তার ব্যক্তিত্বকে চাগান দিচ্ছে। লোকটার হাতে কালো রঙের ছোট সাইজের একটা স্যুটকেস।

‘আসসালামো ওয়ালাইকুম, হুজুর।’ সালাম দিল নবী। আগন্তুক দুজনেই ঠোঁট নড়ালেন, ‘ওয়ালাইকুম আসসালাম।’ ‘আসুন, আসুন, ভেতরে আসুন।’ মাথা ঝুঁকিয়ে পথ দেখাল নবী। তারা অন্দরে ঢুকতেই, আতিফ সালাম দিল। আগত অতিথিরাও প্রত্যুত্তরের সালাম দিলেন।
‘জনাব তশরিফ রাখুন।’ একটা তুলোর গদি লাগানো কাঠের চেয়ার এগিয়ে দিয়ে লম্বা লোকটিকে বসতে বলল নবী। ‘শুকরিয়া’ বলে লম্বা লোকটি চেয়ারে ‘দ’ হয়ে বসলেন। মেজর জেনারেল জুনাইদ মোল্লা শোফাটার ওপরে হেলান দিয়ে বসলেন। ‘আলাপ করিয়ে দিই, ইনি হলেন আই এস আই’এর জুনিয়র ফিল্ড ব্রাঞ্চ অফিসার লেফটেন্যান্ট মজিদ ভাট।’ আতিফ আর নবী একসঙ্গে ‘আদাব’ জানাল। তারপর মজিদ ভাট’এর দিকে চোখ ফেলে আতিফ আর নবীকে দেখিয়ে জুনাইদ মোল্লা বললেন, ‘হুজুর, এ হল আতিফ ইসলাম আর এ হল নবীউল আলম, সবাই নবী বলে ডাকে।’ লেফটেন্যান্ট মজিদ ভাট হাতের তালু পেতে ‘আদাব’ জানালেন।
‘তা নবী তোমার ‘লিটলবার্ড’ এর খবর কী? প্রস্তুতি সব কমপ্লিট তো?’ জানতে চায়লেন মেজর জেনারেল জুনাইদ।
‘জি, হুজুর।’ ঘাড় হেলাল নবী।
‘বালুখালি চৌকি’র রুটম্যাপ পেয়েছ তো?’
‘জি।’
‘বালুখালি চৌকি’ উড়িয়ে দেওয়াটা আমাদের সব থেকে ফরজ কাজ। ওটা যে এই দুনিয়ার একটা দোযখ। ওকে ধুলোতে মিশিয়ে দাও। ‘দাঁত কটমট করে ওঠেন জুনাইদ মোল্লা। কানের গোড়ার রগটা রাগে টনটন করছে।’

‘জি হুজুর, বালুখালি চৌকিই জেনারেল লুন সান’এর ষড়যন্ত্রের মূল জায়গা। ওটাকে ওড়াতে পারলেই, লুন সান’এর একটা ডানা ভেঙে দেওয়া যাবে। হারামখোর অত সুন্দর স্পটটাকে মানুষ মারার কসাইখানা বানিয়ে ফেললেন!’ রাগে টগবগ করে ওঠে নবী। ‘খট’ করে টি-টেবিলটার ওপর দুটো গ্লাস রাখল আতিফ। কাঁচের ঝাঁ চকচকে গ্লাস। জানালার আলো ঠিকরে হীরের মতো ঝলমল করছে। গ্লাসের গায়ে হিজিবিজি প্রতিবিম্ব।

‘হুজুর, সরবতটা পান করে নিন।’ বলল আতিফ। জুনাইদ মোল্লা একটা গ্লাস হাতে তুলে নিয়ে ‘ঢকঢক’ করে খেয়ে নিলেন। ‘আহ! বেশ বানিয়েছ তো!’ বলে একটা স্বস্তির ঢেকুর তুলে সরবতটার সুনাম করলে, আতিফ মুখ কাঁচুমাচু করে বলল, ‘ওই আর কি।’ মজিদ ভাট সরবতটা এখনো খাননি দেখে জুনাইদ বললেন, “হুজুর, মেহেরবানি করে সরবতটা গ্রহণ করবেন।’

চলবে…

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

 

Header Ad
Header Ad

শাহবাগে বিক্ষোভে উত্তাল জনতা, খালেদা জিয়ার উপস্থিতি চায় ইনকিলাব মঞ্চ

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে উত্তাল আন্দোলন চলছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার সারা দিনব্যাপী এই আন্দোলনে ছাত্র-জনতা ‘ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’ সহ নানা স্লোগানে মুখরিত করে তোলে শাহবাগ চত্বর।

এই প্রেক্ষাপটে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি এক আবেগঘন আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে শাহবাগে আসার জন্য।

হাদি নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে লেখেন— “বাংলাদেশের বেগম জিয়া, শাহবাগে হাজারো শহিদ পরিবার ও সারা বাংলাদেশ আপনার অপেক্ষায়।”

অন্য একটি পোস্টে তিনি আরও লেখেন— “জুলাই যোদ্ধাদের পক্ষ থেকে আপোষহীন নেত্রী বেগম জিয়ার কাছে যেতে চাই আমরা শাহবাগের দাওয়াত নিয়ে। কাইন্ডলি সংশ্লিষ্ট কেউ হেল্প করুন। উনি আমাদের সার্বভৌম অভিভাবক।”

শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে। এর আগে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে ফোয়ারার পাশে তৈরি করা মঞ্চ থেকে আন্দোলনের নতুন ধাপ হিসেবে মোড় অবরোধের ঘোষণা দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

ঘোষণার পরপরই আন্দোলনকারীরা মিছিলসহ শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় এবং অবরোধ শুরু করে।

Header Ad
Header Ad

১৭ বছর পর দেশে ফিরে মসজিদে জুমার নামাজ পড়লেন জোবাইদা রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। ছবি: সংগৃহীত

১৭ বছর পর স্বদেশে ফিরে প্রথমবারের মতো মসজিদে গিয়ে জুমার নামাজ আদায় করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। আজ (শুক্রবার) তিনি রাজধানীর ধানমন্ডির ৭ নম্বর মসজিদে সশরীরে জুমার নামাজে অংশ নেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম। তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জোবাইদা রহমানের নামাজ আদায়ের কিছু ছবি পোস্ট করে লেখেন— "ধানমন্ডি ৭ নম্বর মসজিদে আজ জুমার নামাজ আদায় করেছেন তারেক রহমানের সহধর্মিণী জোবাইদা রহমান।"

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার নাসির, তার স্ত্রী ব্যারিস্টার মেহনাজ মান্নানসহ আরও কয়েকজন।

২০০৮ সালে দেশ ছেড়ে লন্ডনে পাড়ি জমানো জোবাইদা রহমান চলতি বছরের ৬ মে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফেরেন। ফিরে আসার পর থেকে তিনি গুলশানের ফিরোজা বাসভবনে অবস্থান করছেন। মাঝে মাঝে তিনি বাবার বাড়ি ধানমন্ডির মাহবুব ভবনেও যাতায়াত করছেন।

জোবাইদা রহমানের এই জুমার নামাজে অংশগ্রহণ ও জনসম্মুখে উপস্থিতি বিএনপির রাজনৈতিক পরিসরে তার সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণের একটি বার্তা হিসেবেও দেখা হচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

Header Ad
Header Ad

ভারতে ইউটিউবে বন্ধ যমুনা-বাংলাভিশনসহ ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল

ছবি: সংগৃহীত

ভারত সরকার জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনশৃঙ্খলার উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে ইউটিউবে বাংলাদেশের অন্তত চারটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার সীমিত করেছে। শুক্রবার (৯ মে) স্থানীয় ডিজিটাল পর্যবেক্ষণ সংস্থা ডিসমিস্ল্যাব বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বন্ধ হওয়া চ্যানেলগুলো হলো— যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন, এবং মোহনা টেলিভিশন।

ভারতীয় ব্যবহারকারীরা এখন ইউটিউবে এসব চ্যানেলে প্রবেশ করতে গেলে একটি সতর্কবার্তা দেখতে পাচ্ছেন— "এই ভিডিওটি বর্তমানে এই দেশে প্রদর্শনের জন্য অনুমোদিত নয়, কারণ এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার ভিত্তিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত।"

ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ২০০০-এর ৬৯(ক) ধারা অনুযায়ী, সরকার জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব, জনশৃঙ্খলা বা রাষ্ট্রের অখণ্ডতা বিঘ্নিত হয়—এমন কনটেন্ট বা চ্যানেল বন্ধ করার নির্দেশ দিতে পারে। সেই ধারার অধীনেই ইউটিউবকে টেকডাউন অনুরোধ পাঠানো হয়েছে বলে জানায় ডিসমিস্ল্যাব।

ভারতের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনো বাংলাদেশ সরকার, টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বা ইউটিউব কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক উত্তেজনা ও মিডিয়া কনটেন্টের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ থেকেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে গণমাধ্যম কূটনীতি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়েও আলোচনা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শাহবাগে বিক্ষোভে উত্তাল জনতা, খালেদা জিয়ার উপস্থিতি চায় ইনকিলাব মঞ্চ
১৭ বছর পর দেশে ফিরে মসজিদে জুমার নামাজ পড়লেন জোবাইদা রহমান
ভারতে ইউটিউবে বন্ধ যমুনা-বাংলাভিশনসহ ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল
আটকের পরও যে ফোনে ছেড়ে দেওয়া হয় আবদুল হামিদকে
নওগাঁয় দুলাভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারত, অনিশ্চিত এশিয়া কাপ
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল শাহবাগ, জনস্রোতে ভরপুর রাজপথ
বিএনপি ছাড়া সব রাজনৈতিক দল এখন শাহবাগে: সারজিস আলম
শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যায় গ্রেপ্তার টিনা ৩ দিনের রিমান্ডে
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড ৪১.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস; বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ
কাশ্মীরে ফের বিএসএফের গুলি, ৭ পাকিস্তানি নিহত: দিল্লির দাবি বিচ্ছিন্নতাবাদী
নওগাঁয় ককটেল বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ির টিন
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের বিষয় নয়’: যুক্তরাষ্ট্র
দেশের তীব্র তাপপ্রবাহ নিয়ে যা বলল আবহাওয়া অফিস
আ.লীগ নিষিদ্ধে গুরুত্বের সাথে সরকার বিবেচনা করছে: সরকারের বিবৃতি
টাঙ্গাইলে নাশকতা মামলায় আ.লীগ নেতা রাজ্জাকসহ ২ জন গ্রেফতার
অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল
এবার অপেক্ষা তারেক রহমানের ফেরার, চলছে জোরালো প্রস্তুতি
পদ্মার এক ইলিশের দাম সাড়ে ৮ হাজার টাকা
৫ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় নেওয়া হলো আইভীকে