বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩৪

নেই দেশের নাগরিক

 

পাগলা ষাঁড়ের মতো ধেয়ে এল ঘূর্ণি ঝড়। ফুঁসে উঠল নদী। ঝুঁটি বেঁধে তেড়ে আসতে লাগল ঢেউ। নৌকোটা কাগজের ঠোঙার মতো দুলে উঠল। কড়াইয়ের ফুটন্ত দুধে যেভাবে ফেনা উতলে ওঠে, সেভাবে উতলে উঠছে নৌকোর খোল! চোখ ঝাপসা দূরে একটি নৌকো বাঁশপাতার মতো উতলে উতলে উঠছে। নুহু, বৈঠাটাকে তেরছা করে ধরে জল খুঁচে ধরতে লাগল। মতি হাড়শক্ত হাতে হাল ধরে আছে। যেদিক থেকে চণ্ডাল হাওয়াটা ধেয়ে আসছে, সেদিকে তেরছা করে নৌকোটাকে ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। যাতে করে হাওয়ার ঝাপ্টাটা কম লাগে। ‘গ’ ‘গ’ করে রাক্ষুসে শব্দ আছড়ে পড়ছে নৌকোর খোলে। যেন মনে হচ্ছে, নৌকোটাকে কাগজের ঠোঙার মতো দুমড়ে মুচড়ে জলের তলে পুঁতে দেবে।

“মা” বলে একবার ডুকরে উঠল সাকিব। “এই তো বাপ, আমি তোর মাথার সিতেনেই বসে আছি।“ অভয় দিল আরিফা। হালেমা মিনমিন করে ‘আয়াতাল কুরশি’ পড়ছেন। জাফর আবারও গলা ছিঁড়ে ‘খক’ করে উঠল। হালেমা আপদ-বিপদ থেকে উদ্ধার পাবার দোয়া পাঠ থামিয়ে বিড়বিড় করে উঠলেন, “আল্লাহ, তুমি আমাদের এ কোন জাহান্নামে ফেললে!” জাফর আলির বুকের ব্যামুটা এবার জোর দিয়ে চাগাড় দিল! ‘খক’ ‘খক’ করতে করতে মাথা চাওর দিয়ে বালিশ ছেড়ে উঠল। ডানদিক গলা বেঁকিয়ে ‘থু’ করে রক্তকফ’টা ছুড়ে ফেললেন। ‘খ্যাঁক’ করে উঠলেন হালেমা, “কফটা দেখে শুনে ফেলবে তো?“ জাফর আলি অন্ধকারে তাঁর ঝাপসা চোখে হালেমার মুখটা সেরকমভাবে দেখতে পেলেন না। শুধু তাঁর আধঠসা কানে বৌ’র খিজলানো কথাগুলো শুনতে পেলেন। অন্ধকারে তাঁর ঘোলা চোখগুলো পিট পিট করে জ্বলছে। তিনি কী আর করবেন, অন্ধকারে দেখতে পাননি কফ ফেলা কাতাড়িটা কোন দিকে আছে। কাতাড়িটা তাঁর মাথার বা’দিকেই রাখা আছে। সে দিকে আর চোখ কি যাবে, বুকে উঠে পড়া জানটা নামাবেন না অন্ধকারে কাতাড়ি খুঁজবেন?

“মা, আল্লাহর দোহায়, এখন মাথা ঠান্ডা করুন।“ বলেই শ্বশুরের বুকটা ডলে দিতে লাগলেন আরিফা।

“এই দুর্যোগে আবার কাশির ব্যামুটাও উঠল!” হালটাকে আঁকড়ে ধরে আফসোস করে উঠল মতি। ‘দুর্যোগ’এর সঙ্গে যেন মানুষের ‘অসুখ-ব্যাধি’র সমানুপাতিক সম্পর্ক। ‘দুর্যোগ’ ঘরের চৌকাঠে পা দিলেই যেন ‘অসুখ’এর পারদ চড়চড় করে চড়তে শুরু করে। ‘আপদ’ তখন সুচ থেকে পেরেক হয়ে ওঠে। ‘বিপদ’ পাটি পেড়ে গেঁড়ে বসে। কিছু একটা হানাহানি না করা অবধি লোটাকম্বল গুটোয় না। দাঁত নখ বের করে ঝেঁপে বৃষ্টি এল। বৃষ্টির ছাটে নদী আর আকাশ যেন এক হয়ে যাচ্ছে! চরাচর কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না! শুধু বৃষ্টি আর ঘূর্ণিঝড়ের ‘গ গ’ ‘সাঁ সাঁ’ শব্দ অন্ধকারে কামড় বসাচ্ছে। গোটা নদী তখন কালো বোরখা পরে দাঁড়িয়ে আছে। মুখে হাঁড়ির তলার কালি। নদীর স্রোত এমনভাবে ফুঁসে উঠছে, যেন এক হাঁ’য়েই আস্ত নৌকোটাকে গিলে নেবে। একবার নৌকোটাকে শূন্যে তুলে এমনভাবে আছাড় মারল, নুহু প্রায় ছিটকে নদীতে পড়ে যাচ্ছিল। প্রায় এক নৌকো জল উতলে নৌকোর খোলে পড়ল। সবাই ‘আল্লাহ গো বাপ গো’ করে চিখড়িয়ে উঠল। নুহু এবার বৈঠাটাকে নৌকোর সাথে ফাঁস দিয়ে আটকে, বানরের মতো তড়াক তড়াক করে ছইয়ের মটকায় উঠে পড়ল। মতি গলা ছাড়ল, “কোথায় উঠছিস!”

“টাপাটাকে ভারী করছি।“

“কেন?”

“ভার বেশি হলে, হাওয়ার ঝটকা কম লাগবে।“

“তোর ওজনই বা ক-কুইন্টাল যে তোর ভারে টাপা নড়বে না!” খোটা দিয়ে মাথা গরম করে উঠল মতি, “নাম, ভণ্ডামি করার সময় পাস নে? এক্ষুণি ঝড়ের ঝটকায় ছিটকে নদীর বুকে আছড়ে পড়বি।“

“নামছি, নামছি।“ ছইয়ের উপরে গিরগিটির মতো বুক তুলে নদীর দিকে তাকিয়ে থাকল নুহু। সে চোখ ফেড়ে ঝড় দেখছে। দেখছে, আশ্বিনের দাঁত ফোটা ঝড়ে ফুঁসে উঠে কীভাবে ছোবল মারছে নাফ নদী। লবণনদীটা কীভাবে রক্ত খেকো জোঁকনদী হয়ে উঠছে। ঝড়ের এই রণংদেহি মূর্তি দেখে নুহুর চোখের কোটর থেকে মণি বেরিয়ে আসার উপক্রম! সে যেন নৌকো নয়, পাহাড় সমান উথলে ওঠা স্রোতের ঝুঁটিতে ভাসছে। জটপাকানো এই ঝুঁটির মুটি ধরে আশ্বিনের ঝড় যেন নদীকে টেনে আসমানে তুলছে। আর তার সাথে সাথে কাঁথা সেলাই করা সুচের মতো নৌকোটা একবার উপরে উঠছে আর নামছে। পুবালি ঘূর্ণিঝড়টার একটা আলটপকা ঝাপটা গায়ে লাগতেই, হুড়মুড় করে নিচে নেমে এল নুহু। ছইয়ের চাঁচির সাথে সাথে সেও পশ্চিমে ধনুকের মতো বেঁকে গেল। বাঁশের গিঁট থেকে পা সটকে বাদুড়ের মতো ঝুলছে।

“হলো, হলো, এবার ফ্যাচাংটা বাঁধল তো? তখন থেকে মানা করছি, নাম নাম, কথা কানে যাচ্ছে না!” নুহুকে ঝোড়ো অন্ধকারে পা ফসকে কোনোমতে হাত দিয়ে ছইয়ের ধারি ধরে বাদুড়ের মতো ঝুলতে দেখে, তিড়বিড় করে উঠল মতি। ‘ঝপাস’ করে লাফ মারল নুহু। পাছাটা স্প্রিংয়ের মতো চুপসে পায়ের গোড়ালিতে ঠেকল। দুই হাত চ্যাটা হয়ে পড়ল নৌকোর পাটাতনে। মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল, “বাপ রে বাপ!”

“দুর্যোগের সময় দেওর লোকটা কী ফ্যাসাদ যে বাধায় না!” বিড়বিড় করে আরিফা। ঝড়ের ধাক্কায় কাত হয়ে তাদের পিঠ আর ছইয়ের দেওয়াল এক হয়ে গেছে। মায়ের কোলে মুখ গুঁজে ভয়ে জড়সড় হয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে সাকিব। আরিফা তার আঁচল দিয়ে মাথা ঢেকে চোখের সামনে থেকে ঝড়টাকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু চোখে না দেখলে কী হলো, মনে যা টের পাচ্ছে, তাতেই নাবালক শিশুর কচি মন ভয়ে আঁতকে উঠছে। চোখে আঁচল দিয়ে বিদ্যুতের ঝলকানি না হয় আড়াল করা যায় কিন্তু স্রোতের উপর ভাত উতলানো ঢাকনার মতো উথালপাথাল করা নৌকোটার উতলামি তো আর আড়াল করা সম্ভব নয়। আরিফা ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে শান্ত করছে, “চুপ, চুপ, এসময় কাঁদতে নেই। কাঁদলে ঝড় আরও রেগে যায়!”

সাকিব, ওসব কান করে না। অনবরত ফুঁপিয়েই যায়। আশ্বিনের ঘূর্ণিঝড়টা নদীর চুলের মুঠি ধরে একবার জোর খিঁচুনি দেয়। ‘হালুম’ করে ওঠে নদীটা। নৌকোটা পশ্চিমদিকে কাত হয়ে উল্টানোর উপক্রম হয়। ‘ঝপাং’ করে নদীর জলে কিছু একটা পড়ার শব্দ হল। “কী পড়ল?” হামলালো মতি।

“মনে হয়, পানির ঘটিটা।“ আন্দাজ করে বলল আরিফা। নুহু নদীর অন্ধকার জলে মুখ বাড়িয়ে বলল, “হ্যাঁ, পানির ঘটিটা পড়ে গেছে।“ স্টেনলেস স্টিলের ঘটিটা স্রোতের মাথার ঝুঁটিতে কাগজের নৌকোর মতো উঠছে আর নামছে। মাঝে মধ্যে বিদ্যুতের আলো পড়ে রূপোর মতো চকচক করছে। একসময় ঘটির মধ্যে জল ঢুকে ঘটিটা ডুবে গেল! স্রোতের একটা ছাট এক মানুষ উপরে উঠে নৌকোর উপরে আঁঠার মতো আঁকড়ে বসে থাকা মতির গায়ের উপর আছড়ে পড়ল। মতির গা-গতর কাকভেজা হলো। এমনিতে বৃষ্টির ছাট গায়ে পেরেক হাঙার মতো হাঙছে, তার উপর স্রোতের এই আছড়ে পড়াটা পেরেকের মাথায় হাতুড় ঠোকার মতো ঠুকল! মতি নৌকোর খোলে জমা জলে আধডুবা হয়ে ডুবে গেল! স্রোতের আছড়ে পড়াটার শব্দ টের পেয়ে আরিফা চিখড়িয়ে উঠল, “তুমি ঠিক আছো তো?” কোনো উত্তর না পেয়ে গলাটা আরও ডুকরে বলল, “ও সাকিবের আব্বা?”

“কী?” মিহি কণ্ঠে উত্তর দিল মতি।

“তুমি, ঠিক আছ তো?” আরিফার গলায় উৎকণ্ঠা।

“হ্যাঁ, ঠিক আছি।“ ষোল আনায় চোদ্দ আনা মিথ্যে বলে বৌ’কে আশ্বস্ত করল মতি। সে জানে, বাড়ির মেয়েকে বাড়ির মরদের আপদ-বিপদের সব কথা বলতে নেই। বললেও সবটুকু বলতে নেই। মেয়েরা ভেঙে পড়ে। বেশি দুশ্চিন্তা করে। তখন সংসারের কাজকম্মই লাটে উঠে যায়।

“আল্লাহ তুমি রহম কর। এই জান খেকি ঝড় থামাও।“ আরিফার গলায় আঁকুতি ঝরে পড়ে।

“একি আর শুধু শুধু দমকা ঝড়, যে থামবে? দেখতে পাচ্ছ না, আজরাইল আর মেকাইল ফেরেশতা কী করে ডানা ঝাপ্টাচ্ছে! এ হলো, আজরাইল আর মেকাইলের ডানা ঝাপ্টানোর হাওয়া। এ কি আর এমনি এমনি থামবে? ভুড়ি মোটা করে জান খেয়ে তবেই দমবে। এই বয়সে এই দুর্যোগ কম তো আর দেখলাম না?” কোরানের দোয়া পড়া থামিয়ে বিড়বিড় করে উঠলেন হালেমা। বুড়ো চোখের কোণা দিয়ে ঝরা জলও যেন বুড়ো হয়ে ঝরছে।

“ভাই, নৌকো পশ্চিমে টান মারব? হাওয়ার ঝাপটা কম লাগতে পারে।“ হাঁক ছাড়ল নুহু।

“নাহ, এখন কিচ্ছু নড়ানড়ি করতে হবে না। যেখানে যা আছে সেখানেই থাক। ছইয়ের ওপার থেকে আরও জোরে হাঁক ছাড়ল মতি। নুহু মিনমিন করে উঠল, সব কিছুতেই নাহ! আরে এখন হাওয়ার বেগ আছে, হালটা ধরে আলতো করে বৈঠা টানলেই নৌকোটা তরতর করে ছুটবে, তা না, বলছে, কিচ্ছু করতে হবে না! গাড়ল কোথাকার! কোনো কথা গুরুত্ব দিলে তো হয়! তা না, না শুনে, না বুঝেই, নাহ! বড় ভাইয়ের উপর বিরক্ত হয় নুহু। বৈঠাটা ধরে মুখ ভার করে বসে বৃষ্টিতে ভিজে। তেতো মনটা তিতিবিরক্ত হয়ে বৃষ্টি চিবোয়। মন গেয়ে ওঠে, যাক কে, এভাবেই জীবনটা বিড়ির মতো ধুকে ধুকে ফুরিয়ে যাবে। নুহু টের পাচ্ছে, জীবনটা বিড়ির মতো পুড়তে পুড়তে সর্বনাশের আগুনটা এখন সুতোর বাঁধনে এসে পৌঁছে গেছে! সুতো টপকালেই, বিড়ির পুকটির মতো ছুড়ে ফেলে দিতে হবে এই ছাই হয়ে যাওয়া জীবনটা। তখন আর না থাকবে সুখটান না থাকবে ছাইয়ের আগুন। ঈশ্বর রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পা দিয়ে দল্লে চলে যাবে। জীবনের ধক, আহ্লাদ সব পোড়া ছাই হয়ে ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে।

ঝড় থামার কোনো লক্ষণ চোখে পড়ছে না। আশ্বিনের ঝড়ের এই এক কাল, লাগলে আর ছাড়তে চায় না। জড়িয়ে পেঁচিয়ে, আউড়ি বাউড়ি বাঁধিয়ে মাটিকে ধুলো, ধুলোকে কাদা, আর কাদাকে জল না বানানো অবধি তার দোম নেই! অসময়ে উড়ে এসে জুড়ে বসে। হাঁড়ি ঘটি সব মাটি করে দিয়ে যায়। হালেমারা তো তেড়েফুড়ে ওঠেন, এ ঝড়ের মুখে ঝাঁটা মারতে হয়। গেরস্তের ঘরে আসার আর সময় পায় না? এসময় আমন ধানের কোমর অবধি ক্ষতি হয়। যেসমস্ত ধানে থোড় চলে আসে, তাদের পেট থেকে ভ্রূণ ঝরে যাওয়ার মতো রেণু ঝরে যায়। এ থোড় ধান বাঁধলে, সে ধান পাতান হয়। ধানের ফলন হয় না। আউড় আর পাতানেই ফসলের খৈলেন ভরে যায়। যে ধানে কিছুটা চাল হয়, সে চালও হয় মাছিমরা। ভাতের স্বাদ থাকে না। কশটে হয়। যে বৃষ্টি ফসলের ক্ষতি করে সে বৃষ্টি মানুষের কোনো হিতে লাগতে পারে না। মানুষ তো ফসলেই বাঁধা থাকে। ফসলহীন মানুষ আর কটা দিনই বা বেঁচে থাকতে পারে? মানুষও এক ধরনের ফসল। আবাদি ফসল। জাফর আলি বলেন, মানুষ তো আল্লাহর আবাদ গো আল্লাহর আবাদ। আল্লাহ মানুষ আবাদ করে নিজের উপস্থিতির জানান দেন। মানুষের কাছ থেকে তিনি ‘ইকামতে দ্বীন’ চান অর্থাৎ তাওহিদ বা একমাত্র আল্লাহ তাআ’লার ইবাদত প্রতিষ্ঠিত করা।

“লক্ষণ ভালো ঠেকছে না রে নুহু। ঝড় যেভাবে তড়পাচ্ছে, মনে হচ্ছে এ ফাঁড়া আর কাটবে না!” মতির কণ্ঠে আশঙ্কার ঘন মেঘ। বড় ভাইকে সাহস জুগিয়ে নুহু বলল, “থামবে থামবে, ঝড় থামল বলে, দেখছ না, পুব আকাশের তলার দিকটা কেমন ফর্সা হয়ে উঠছে। এইটুকু ঝড় আমাদের নৌকোর কিচ্ছু করতে পারবে না। আমার হাতে যখন বৈঠা আছে, তুমি একদম চিন্তা কর না, আমি সব সামলে নেব।“

“হ্যাঁ হ্যাঁ, তুই কী যে একেবারে নূহনবী, যে তোর নৌকোকে আল্লাহ স্বয়ং বাঁচাবেন!” ঠেস মারল মতি।

“আমি নূহনবী না হতে পারি, কিন্তু আমাদের নৌকো তো নূহনবীর নৌকোর থেকে কোনো অংশে কম নয়?”

“কী যে বকিস না, তোর মাথা ঠিক আছে, কোথায় গফার কাঠের নৌকো আর কোথায় এই আম-তুলো কাঠের নৌকো! আর তুইই বা কে? কোথায় আল্লাহর নবী নূহ আর তুই হলি কি এই রাখাইনে জন্মানো চাষা জাফর আলির বেটা নুহুজামান! যার মাথা ঢাকতে গেলে পাছা উদেম হয়ে যায়।”

“নবী না হতে পারি, আল্লাহর উপর ঈমান তো আছে? আল্লাহর ওপর ঈমান থাকলেই আল্লাহ খালি হাতে কোনো বান্দাকে ফেরান না।“

চলবে...

আগের পর্ব পড়ুন

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

এসএন  

Header Ad

বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

ফাইল ছবি

গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। দেশে চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যেই এবার বৃষ্টির সম্ভ্যব্য সময় জানাল আবহাওয়া অফিস। বলা হয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টার শেষের দিকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯টায় দেওয়া বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়া বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, তিন দিনের হিট অ্যালার্ট শেষে সামনের সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।

এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজ থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামী দুই দিন সিলেট অঞ্চল ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা নেই। একই সঙ্গে এ সময়ে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এফডিসিতে ইউটিউবার প্রবেশ নিষিদ্ধ চাইলেন অঞ্জনা

চিত্রনায়িকা অঞ্জনা। ছবি: সংগৃহীত

এফডিসিতে ইউটিউবার ও তথাকথিত নামধারী সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এই দাবি জানান। এফডিসির মূল সমস্যার কারণ হিসেবে ইউটিউবারদের দায়ী করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এই দাবি জানান।

অঞ্জনা তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, এফডিসিতে ইউটিউবার ও তথাকথিত নামধারী সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হোক। এফডিসিতে প্রবেশাধিকার আরো কঠিনতর করা হোক এই দাবি চলচ্চিত্রের সকল শিল্পীদের।

অঞ্জনা বলেন, ‘কেউ না কেউ সাংবাদিক পরিচয়ে প্রবেশ করে শিল্পীদের বিভিন্ন রকমের উদ্ভট প্রশ্ন করে তাদের ক্ষিপ্ত করে তোলে। তখন শিল্পীরা যখন আবেগে দুই একটা কথা বলে ফেলে সেটার সামনের বা পিছনের কথা গুলো বাদ দিয়ে কেটে ভাইরাল ট্রপিক হিসেবে ফেসবুকে ও ইউটিউবে আপলোড করে দিয়ে শিল্পীকে জোকারে পরিণত করে।’

চিত্রনায়িকা অঞ্জনা। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্র বিনোদন সাংবাদিকদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন "বাচসাস" রয়েছে সেখানে আমাদের অনেক প্রাণের সাংবাদিক ভাইয়েরা রয়েছে যারা শিক্ষিত এবং মার্জিত তারা কখনোই একজন শিল্পীকে অবান্তর প্রশ্ন করে বিভ্রান্ত করেন না। এছাড়া, সাংবাদিকদের আরো অনেক সংগঠন রয়েছে যেখানে শিক্ষিত ও ভদ্র সাংবাদিকগণ আছেন, তারা সব সময় শিল্পী ও শিল্পের কল্যাণ প্রসারে কাজ করেন।’

এই নায়িকা বলেন, ‘টেলিভিশন মিডিয়ার সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা যাদেরকে আমি চিনি ও জানি তারা সবাই যথেষ্ট ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন চলচ্চিত্র শিল্পীদের পাশে তারা সব সময় ছিলেন আছেন ও থাকবেন আশা করি। ছোট্ট একটি ভুল বোঝাবুঝির মাধ্যমে শিল্পী ও সাংবাদিকদের মধ্যকার এতো বছরের সুমিষ্ট একটি সোহার্দপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট হোক সেটা আমার কখনোই কাম্য নয়।

শিল্পী ও সাংবাদিক একে অন্যর পরিপূরক। আসুন সকল মান অভিমান ভুলে গিয়ে আমরা সবাই একে অন্যর ভালোর জন্য উত্তম কাজ করে যাই।’

অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, ক্ষোভে বাসে আগুন দিল শিক্ষার্থীরা

অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণার পর ক্ষোভে বাসে আগুন দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে চলা বিক্ষোভের ৪ দিনের মাথায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে চুয়েট উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১৫১ তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রোর (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সই করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ এপ্রিল মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন মেধাবী ছাত্রের অকাল মৃত্যুতে উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে ২৫ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্তক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক/স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম (পরীক্ষাসহ) বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, ছাত্রদেরকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকাল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদেরকে আগামিকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাদের কাছে জব্দ থাকা দুটি বাসের একটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। এতে ক্যাম্পাস ও আশেপাশের এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য, সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকাল ৩টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে শাহ আমানত পরিবহনের বাসের ধাক্কায় নিহত হন চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা (২২) ও দ্বিতীয় বর্ষের তৌফিক হোসাইন (২১)। এ সময় জাকারিয়া হিমু (২১) নামে আরও এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। দুর্ঘটনার বিষয়টি জানার পর থেকেই আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।

সর্বশেষ সংবাদ

বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
এফডিসিতে ইউটিউবার প্রবেশ নিষিদ্ধ চাইলেন অঞ্জনা
অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, ক্ষোভে বাসে আগুন দিল শিক্ষার্থীরা
থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় ‘এমপিরাজ’ তৈরি হয়েছে: রিজভী
অনুমতি মিললে ঈদের আগেই গরু আমদানি সম্ভব: ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত
আবারও ঢাকাই সিনেমায় কলকাতার পাওলি দাম
ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক কৃষকলীগ নেতাসহ নিহত ২
গোবিন্দগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়
বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নগদ অর্থের তথ্য চেয়ে চিঠি দুদকের
ভূমি মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, নেবে ২৩৮ জন
জয়কে আজীবন বয়কট, ২ জনকে সাময়িক বহিষ্কার
বৃষ্টির আশায় নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
টাঙ্গাইলে পঁচা মাংস বিক্রি, ব্যবসায়ীকে জরিমানা
‘উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ হতে পারে’
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারপতি
তীব্র গরমে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
মনোনয়ন প্রত্যাহার না করা মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের সময়মত ব্যবস্থা