বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক

খরগোশের মতো কান খাড়া করে উঠল আতিফ! ভ্রূ টান হয়ে চোখ কপালে আটকে গেল! কানের জুলপি টান হয়ে উঠছে। চোখের মণিতে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় বিস্ময়! ঠোঁটজোড়া কাটা মাছের পাখনার মতো ফিনফিন করে হেলে উঠল, “আস্তে নবী!” বলেই নবীর হাত ধরে হিড়হিড় করে টেনে ঘরের ভেতরে ঢোকাল আতিফ। তারপর তার হলহল করে হালতে থাকা শরীরটাকে চার দেওয়ালের মধ্যে লুকিয়ে বলল, “তুই কী বলছিস, তুই জানিস?”
“আলবাত জানি। হান্ড্রেড পারসেন্ট জানি।“
“তোর মাথা সত্যি ঠিক আছে?”
“ঠিক আছে মানে, পুরো হান্ড্রেড অ্যান্ড হান্ড্রেড পারসেন্ট ঠিক।“
“আমার তো মনে হচ্ছে, তোর মাথায় মগজ বলে আর কিচ্ছু নেই। যা আছে তা হলো মড়ার খোল। আর.....।“
“আর কী?” ঠোঁটে বাঁকা হাসি নবীর।
“আর তোর পিঠে মরণের পাখা গজাচ্ছে।“
“মরণের পাখা আবার গজাচ্ছে কী রে! মরণের পাখা তো কবেই গজিয়েছে। এ পাখা নিয়েই তো ঘুরে বেড়াচ্ছি।“
“আর ঘুরে বেড়াতে হবে না। তুই যা ভাবনাচিন্তা মাথায় করে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছিস, তাতে তোর ছায়াই তোর পাখা কেটে দেবে। তুই কি ভুলে যাচ্ছিস, তুই যাকে খুন করার কথা বলছিস, তার লোক ছায়ার মতো মানুষের পেছনে পেছনে ঘুরে বেড়ায়।”
“তুইও একটা কথা ভুলে যাচ্ছিস, আতিফ, ছায়ারও ছায়া থাকে। বাপের যেমন বাপ থাকে, তেমনি ছায়ারও ছায়া থাকে।“
“কিন্তু একটা জিনিস আমার মাথায় কোনোভাবেই ঢুকছে না, হঠাৎ ‘জুনাইদ মোল্লা’ কেন?” ‘জুনাইদ মোল্লা’ নামটা বলার সময় কণ্ঠটা একেবারে নামিয়ে মিনমিন করে বলল আতিফ।
“অত ভয়ের কিছু নেই। অত চুপসে যাচ্ছিস কেন? তুই তো ব্যাটা ভয়ে ছানা ময়দা হয়ে যাচ্ছিস!” নবী আতিফকে ঠেস মারল। আতিফ দরজার দিকটায় একবার চোরা দৃষ্টি ফেলে বলল, “তুই পোড়া লোহা হো গা। ইস্পাত হো গা। আমি ময়দা হয়েই থাকতে চাই।“
তারপর কণ্ঠ লুকিয়ে ফিসফিস করে বলল, “হ্যাঁ, হঠাৎ জুনাইদ মোল্লা কেন? ওঁকে উপরে পাঠিয়ে আমাদের কী লাভ? আমি তো চোখের সামনে কিছুই সেরকম দেখতে পাচ্ছি ন্যা!”
“দেখতে পাবি, দেখতে পাবি, ঠিক দেখতে পাবি। দেখার মতো দেখলে ঠিকই দেখতে পাবি। শ্বাসমূলের মতো একটু মাটি ফুঁড়ে ওঠ, ঠিকই দেখতে পাবি। ওই মাল’টাই তো যত নষ্টের গোঁড়া।“
“যত নষ্টের গোঁড়া! জুনাইদ স্যার! আমাদের জে সি ও জুনাইদ মোল্লা যত নষ্টের গোঁড়া!” চোখ, ঘেলু সব ঘোল পাকিয়ে যাচ্ছে আতিফের। নবীর কথায় সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। হিসেবের কোনো অংকই মেলাতে পারছে না সে। ‘কচ’ করে কাঠের চেয়ারটা টেনে এলানো বস্তার মতো ‘ধপ’ করে বসল। নবী সোফাটার পেছনে দাঁড়িয়ে বলল, “ব্যাটা, জুনাইদ, দু’দিক থেকে মালকড়ি ভালোই কামাচ্ছে।“
“দু’দিক থেকে মানে!” চোখ বড় করল আতিফ।
“দু’দিক মানে, ‘আইএসআই’ আর ‘এমএসএস’।“
“’এমএসএস’! মানে, চীনের গুপ্তচর সংস্থা?”
“ইয়েস ফ্রেন্ড, চীনের ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি, মিনিস্ট্রি অব স্টেট সিকিউরিটি। যাকে আমরা বলি, ড্রাগনের আগুন।“
“’এমএসএস’র সাথে আবার কী করে কানেকশন তৈরি করলেন!”
“ওটাই তো ঘেলুর খেল, বন্ধু। তলে তলে সব ঘাটের পানি খাচ্ছেন। এ মুখে একবার চুমু খাচ্ছেন, ও মুখে একবার চুমু খাচ্ছেন। মালটা ‘ঘাগু’। আগাও খান তলাও খান। অথচ আমরা ওসবের কিছুই টের পাই না। ‘আইএসআই’এর কাছ থেকেও কাড়ি কাড়ি টাকা নিচ্ছেন আবার ‘এমএসএস’এর কাছ থেকেও কাড়ি কাড়ি টাকা নিচ্ছেন। আর আমাদের মতো ভিটেছাড়া, এঘাটে ওঘাটে ঠক্কর খাওয়া, দিশাহীন, অবসাদগ্রস্ত, দিকভ্রান্ত ছেলেদের ‘বেহেশত’ ‘হুরি’র স্বপ্ন দেখিয়ে ‘মুজাহিদ’ বানাচ্ছেন। আর আমরা তাতে ‘ধেই’ করে নেচে উঠছি। ‘শহীদ’ হওয়ার জন্যে ছটফট করছি। আমরা তো ভাঙা থাম। শেকড় উপড়ানো গাছ। আমাদের যেন কিচ্ছুই করার নেই। শুধু নিজেই নিজের কবরটুকু খুড়লেই বাঁচি!”
“তুই এতসব জানলি কী করে?”
“আমি তো আর তোদের মতো চিনির মতো মিশি না, আমি ওদের সাথে তেলের মতো মিশি। মিশে ভূত হয়ে যাই না। পানি হয়েও যাই না। আলাদা করে হয় তলে অথবা ওপরে ভেসে থাকি। শোন, জীবনটাকে সোজা পেরেকের মতো করে লাভ নেই, অত সোজা হলে হাতুড়ির ঠোকা খেয়ে পুঁতে যেতে হবে। পারলে একটু ব্যাঁকা ট্যারা হো।“
“তুই এত চালাক, আগে তো একচুলও জানতাম না!”
“জানার কী দরকার? আর এ তো চালাকি নয়? এ হলো ‘পেছনের চোখটা খুলে রেখে চলা আর কী।“
“তুই ওভাবে পানি মেপে চলতে পারিস!”
“না পারার কী আছে। আল্লাহ মগজে বুদ্ধি তো কম দেননি? এ মগজ যেমন বারুদ হতেও পারে, আবার মোম হতেও পারে।“
“তুই যে ভেতরে ভেতরে এত শুঁয়োপোকার মতো চরে বেড়াস, তা ঘুণাক্ষরেও আঁচ পাইনি কোনদিন!”
“এ যে মাকড়সার জালের দুনিয়া। পদে পদে বাঁধা। ফন্দি-ফেউর। চোখ-কান না খুলে চললে তো সমূহ বিপদ। মাথার ঘেলু থেকে যেমন ‘গোলাপ ফুল’ ফোটাতে হবে, ঠিক তেমনই, ঘেলুর দাঁত-নখও ফোটাতে হবে।“
“তুই এত পাকা হলি কবে, নবী!” তাজ্জব হয়ে যাচ্ছে আতিফ। যেন এ নবী তার এতদিনের চেনা নবী নয়, এ কোথা থেকে দুম করে পড়া অন্য নবী। অন্য মানুষ।
“মানুষ এমনি এমনি পাকা হয় না, বন্ধু, তাকে পাকতে হয়। মানুষ আপনা আপনি বয়সে পেকে যায়, কিন্তু বুদ্ধিতে পাকে না, বুদ্ধিতে পাকতে গেলে, তাকে বুদ্ধি ঘেঁটেই পাকতে হয়।“
“সবই বুঝলাম, কিন্তু জুনাইদ মোল্লার মৃত্যুর সাথে আমার নয়াপাড়া ক্যাম্প যাওয়ার কী সম্পর্ক?” পিঠ খাড়া করে বসল আতিফ।
“সম্পর্ক আছে আছে। মগজে একটু ঠোকা দে, তাহলেই বুঝতে পারবি।“
“ঠোকা দেব কী, মাথা খুঁটেও কিচ্ছু পাচ্ছি না।“
“আচ্ছা, তোকে এখানে সব থেকে কে বেশি ঘরবন্দি করে রাখার জন্যে কড়াকড়ি করেন?” মাথা খুঁটে আতিফ। হন্যে হয়ে মাথার ঘেলু হাতড়ায়। মাথাটাকে হাঁটুর কাছে ঝোঁকায়। এক মাথা তিন মাথা হয়। “নাহ, ঠিক কাউকে তো সেভাবে ভেবে পাচ্ছি নে!” মাথা তোলে। নবীর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে, “কে বল তো?”
“এত সহজ লোকটাকে নাগাল করতে পারছিস ন্যা!”
“নাহ, ঠিক আন্দাজ করতে পারছি ন্যা। হ্যাঁ, তবে, একজন খুবই তোখিদ করেন।“
“হ্যাঁ, ওটাই তো টেকনিক। উপরে তোখিদদারি, আর ভেতরে চৌকিদারি।“
“মানে?”
“মানে, সহজ, পানির মতো সহজ। সে লোকটা কে?”
“জুনাইদ স্যার। এ তো সবাই জানে, জুনাইদ স্যার, আমার ব্যাপারে বেশি খেয়াল রাখেন।“
“ওখানেই তো রহস্যটা লুকিয়ে আছে।“
“রহস্য!”
“হ্যাঁ, রহস্য। একটা জিনিস কি খেয়াল করেছিস? তুই যখনই, কায়রাপরীর টংকীর কথা তুলিস, তখনই জুনাইদ স্যার কথাটা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ওই প্রসঙ্গটা তুললেই উনি কেমন একটা অস্বস্তি বোধ করেন। ব্যাপারটা যেন কাঁটার মতো তাঁর গায়ে বিঁধে।“
“হ্যাঁ, তা ঠিক, কেমন আমতা আমতা করেন।“
“এখনি তো দেখলি, তুই যেমনি প্রসঙ্গটা তুললি, আর উনি অমনি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন। আমি তোকে চোখ টিপে ছিলাম, কায়রাপরীর প্রসঙ্গটা ওঁর সামনে না বলার জন্যে। কিন্তু তুই হাঘরা, আমার ইশারাটা বুঝতেই পারলি ন্যা!”
“কিন্তু, আমার নাফ নদীতে গিয়ে আব্বা-মাদের উদ্ধার করার সাথে, জুনাইদ স্যারের আমাকে তোখিদ করা, কায়রাপরীর টংকী, এতসবের কী সম্পর্ক!”
“এগুলো হলো এক একটা কাঁটা। নাফ নদীতে গিয়ে তোর আব্বা-মাদের উদ্ধার করাটা তোর কাছে যদি একটা ফুলের মালা হয়, তাহলে এগুলো জুনাইদ স্যারের কাছে ওই ফুলের এক একটা কাঁটা। তুই যে এত কট্টর চীন বিরোধী, সেটা উনি পছন্দ করেন না। উনি সন্দেহ করেন, তুই তলে তলে ইন্ডিয়ান গুপ্তচর সংস্থা ‘র’ এর সাথে যোগাযোগ রাখিস।“
“বলছিস কী!”
“হ্যাঁ, অত অবাক হওয়ার কিছু নেই, আমি ঠিকই বলছি। এ সন্দেহের দুনিয়া রে বন্ধু, সন্দেহের দুনিয়া। এখানে দেওয়ালও তার ছায়াকে সন্দেহ করে। জুনাইদ মোল্লা ভাবেন, তুই হয়ত তলে তলে, ‘র’ এর কাছে ওঁর ‘এমএসএস’ এর সাথে যোগাযোগের কথাটা ফাঁস করে দিবি। তাছাড়া উনি কোনোভাবেই চান না, চীনা সৈন্যদের কব্জায় থাকা কায়রাপরীর টংকীর গোপন কথাটা ‘র’এর কানে যাক।“
“’র’ অর্থাৎ ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং’?”
“হ্যাঁ, ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা।“ মাথা নড়াল নবী। গলা থিতিয়ে বলল,“তাই উনি সব সময় তোকে ও আমাকে কড়া প্রহরায় রাখেন। আমাদের এই চোহদ্দির বাইরে কোত্থাও যেতে দেন না। আমাদের চোখে চোখে রাখার জন্যে লোক লাগিয়ে রেখেছেন।“
“লোক! আমাদের পেছনে!”
“শুধু কী লোক, বলা হয়, তাঁর কথায় এই জঙ্গলের পশুপাখি, গাছপালাও উঠবস করে। জঙ্গলের প্রতিটি পাতায় তাঁর চোখ লাগানো থাকে। তাঁকে ফাঁকি দেওয়া যার তার কম্ম নয়।“ সোফার এককোণে গা এলিয়ে দিয়ে বসল নবী। সোফার কভার থেকে বের হওয়া সুতোর খুঁট আঙুল দিয়ে পাকাতে পাকাতে বলল, “এই বালুখালি চৌকি আক্রমণের প্ল্যান ‘লিটলবার্ড অ্যাকশন’ এর নীলনকশাও তাঁর মাথা থেকে আসা। তিনিই এর মূল ‘মাস্টারমাইন্ড’। এর পেছনেও তাঁর একটা গোপন অভিসন্ধি আছে।“
“এখানেও অভিসন্ধি!”
“হ্যাঁ, অভিসন্ধি। ছকের ভেতরে ছক।“
“ছকের ভেতরে ছক!”
“হু।“
“সেটা আবার কী?”
“আমরা যেই বালুখালি চৌকি আক্রমণ করব, অমনি চীন মিয়ানমার সরকারকে বলবে, মিয়ানমারের সীমান্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এই আক্রমণের পেছনে ‘র’ এর ভূমিকা আছে। ভারত যেকোনো সময় এইসব সেনাঘাঁটি দখল করে নিতে পারে। ফলে, এসব সেনাচৌকি আমাদের কব্জায় থাকাটা বড্ড দরকার। এইভাবে, পরিকল্পনা করে পরোক্ষভাবে বালুখালি চৌকি চীনাদের হাতে তুলে দেওয়া মেজর জেনারেল জুনাইদ মোল্লার টার্গেট। কারণ, চীন জানে, বালুখালি চৌকি তাদের কর্তৃত্বে থাকলে, ভারতকে নিশানা করা আরও সহজ হয়ে যাবে। সমুদ্রপথে ঢিল ছোড়া দূরত্বে যে ভারত।“
“এত কিছু!” ষড়যন্ত্রের হাঁড়ির খবর শুনে আতিফের চক্ষু চড়কগাছ।

চলবে...

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর

চুক্তিতে স্বাক্ষর করছেন কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: পিআইডি

কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চুক্তি সই অনুষ্ঠানে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। এসময় দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করতে আজ মোট পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

চুক্তিগুলো হলো- কাতার এবং বাংলাদেশের মধ্যে সমুদ্র পরিবহন, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে আয়ের ক্ষেত্রে দ্বৈত কর পরিহার এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধ, বাংলাদেশ সরকার এবং কাতার রাষ্ট্রের মধ্যে আইনি ক্ষেত্রে সহযোগিতা, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা এবং বাংলাদেশ-কাতার যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা।

চুক্তি ছাড়াও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে জনশক্তি কর্মসংস্থান (শ্রম), বন্দর (এমব্লিউএএনআই কাতার এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ), বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে এবং বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতার স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।

এর আগে কাতারের আমির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমিরকে টাইগার গেটে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। তারা সেখানে একান্ত বৈঠকেও মিলিত হন। পরে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।

পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্যের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণের আওতাভুক্ত চুয়াডাঙ্গা জেলায় নায়েক ও কনস্টেবলদের 'দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স'-এর  উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ১৫তম ব্যাচে ৪২ জন পুলিশ সদস্যের অংশগ্রহণে সপ্তাহব্যাপী পদমর্যাদা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা  আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা।

পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম'র সার্বিক নির্দেশনায় ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, কুষ্টিয়ার পরিচালনায় বাংলাদেশ পুলিশের সকল পদমর্যাদার সদস্যরা এ প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নিচ্ছেন।

পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান উদ্‌বোধনী ক্লাসে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে পোশাকের মর্যাদা, সৌজন্যতা ও মার্জিত আচরণ, সহকর্মী ও সেবা প্রত্যাশীদের সাথে পেশাগত আচরণ ও করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

উদ্‌বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. রিয়াজুল ইসলাম, (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ); চুয়াডাঙ্গা; মো. নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্); চুয়াডাঙ্গা; আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল); চুয়াডাঙ্গা; আবদুল আলীম, আরওআই, রিজার্ভ অফিস, চুয়াডাঙ্গা; আমিনুল ইসলাম, আরআই, পুলিশ লাইন্স, কুষ্টিয়া ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের প্রতিনিধিসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যবৃন্দ।

গোবিন্দগঞ্জে ১৪ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা

আব্দুল লতিফ প্রধান ও শাকিল আকন্দ বুলবুল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসকের কনফারেন্স রুমে যাচাই-বাছাই শেষে রিটানিং অফিসার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যাচাই-বাছাই শেষে যাদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয় তারা হলেন- চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাকিল আকন্দ বুলবুল। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. মেসবাহ নাহিফুদ দৌলা, উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মো: আব্দুল মতিন মোল্লা, পাপন মিয়া, মাহাবুর রহমান ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম তাজু। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন পাপিয়া রানী দাস, মমতা বেগম, আফরুজা খাতুন, সাকিলা বেগম, ফাতেমা বেগম, উম্মেজাহান, সাথী আক্তার।

উল্লেখ্য, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে এই উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে আগামী ৩০ এপ্রিল প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ও ২ মে সকল প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। আর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে।

সর্বশেষ সংবাদ

কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর
পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন
গোবিন্দগঞ্জে ১৪ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা
রাজধানীতে ছাদ থেকে লাফিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা
ভাড়া বাড়াইনি, শুধু ভর্তুকি প্রত্যাহার করেছি: রেলমন্ত্রী
নবাবগঞ্জে জাল দলিলে জমি দখলের চেষ্টা, সাবেক ও বতর্মান চেয়ারম্যান জেলহাজতে
ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির, গেলেন নেপাল
নওগাঁর মান্দায় বিদ্যুতের আগুনে পুড়ল ৮ বসতবাড়ি
ইন্টারনেটের ধীরগতি নিয়ে দুঃসংবাদ, এক মাস চলতে পারে ভোগান্তি
উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে বিনা ভোটে ২৬ প্রার্থী নির্বাচিত
'রূপান্তর' বিতর্ক: জোভান-মাহিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই চুয়েট শিক্ষার্থীর পরিবার পাবে ১০ লাখ টাকা
সাঘাটায় নির্বাচনের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন টিটু
এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, চরম উত্তেজনা
দিনাজপুরে বাঁশফুল থেকে পাওয়া যাচ্ছে চাল, রান্না হচ্ছে ভাত-পোলাও-পায়েস
পদ্মায় নিখোঁজ তিন কিশোরের লাশ উদ্ধার
বাড়তে পারে তাপমাত্রা
আজ রাতেই দেখা মিলবে ‘গোলাপী’ চাঁদের
চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণা করলো ইসি
দুই মাসের মধ্যে বেনজীরের দুর্নীতি অনুসন্ধানের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ