শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক

 

জুনাইদ মোল্লারা গাড়ি চেপে ‘ভুউউ’ করে বেরিয়ে গেলে, আতিফ ধড়ফড় করে ইয়াসিন মাস্টারের নম্বরে ফোন করল। ‘যে নম্বরে আপনি ডায়াল করছেন, সেটি এখন বন্ধ করা আছে’। “ধ্যুর”! মেজাজ আরও খাট্টা হয়ে উঠল আতিফের। আরে বাবা একজ্যাক্ট লোকেশানটা জানতে পারলে তো হতো, হুট করে দুদিনের মধ্যে ঘুরে চলে আসতাম। কথাটা আতিফের মনে আউড়িবাউড়ি খাচ্ছে।

“অত মেজাজ হারালে হবে না বন্ধু।“ বলল নবী। ব্যালকনির কাঠের করিডরে দাঁড়িয়ে সেও লেফটেন্যান্ট মজিদ ভাটদের চলে যাওয়াটা দেখছিল। খট খট করে হেঁটে এল আতিফের কাছে। সকালের নাবালক রোদ ব্যালকনির রেলিংএ হামাগুড়ি দিয়ে দেওয়ালে উঠছে। জানালার কার্নিশ ছুঁয়ে কেবলই কথা শিখছে ‘দিন’। নবী নকশার কারিকুরি করা কাঠের রেলিংএ হেলান দিয়ে কণ্ঠ কাঠ করে বলল, “যে জীবন গেছে, গেছে, সে জীবনের জাবর কেটে আর কী লাভ! আমরা এখন শেষ দ্বীপে এসে ঠোকর খাওয়া নদী, এপার ওপার ভেঙে-গড়ে মোহনায় এসে ঠেকেছি। মৃত্যু নামক সমুদ্রের গিলে খেতে আর কতটুকুই বা বিলম্ব আছে! সমুদ্রে বিলীন হলেই তো মুক্তি।“
“এ মুক্তি কীসের? দেহের না মনের? দেহের মুক্তি তো পচনে, কিন্তু মনের মুক্তি তো পচনে নয়? মানুষ যদি এত সহজেই মনের মুক্তি পেয়ে যেত, তাহলে আর কেনই বা ‘দেশ’ কেনই বা ‘ঘর’? একটা ডোবাপুকুরের স্রোত হয়েই ডাঙায় মিশে যেতে পারত। কোনো খড়কুটোরও হিসেব লাগত না। শুধু ‘ঢিল’কে বলত, আরও একটু আগে এসে ঢেউ তোলনি কেন?”

আতিফের মনের একতারাটা ‘টিং’ করে বেজে ওঠে। একটা বাউল হাওয়া সুর গেয়ে ওঠে আহত মননে। নবী আরও খেয়ালি হয়ে ওঠে, “এ মুক্তি শুধু দেহের, মনের নয়। শুধু নিজের মুক্তির জন্যে তো এ পথে আসিনি? এ মুক্তি সমষ্টির। একটা জাতিসত্তার মুক্তি। মনের মুক্তি হলে কী করে আর ‘দেশ’ ফিরে পাব? ‘দেহ’ ‘মন’ দুইয়ের মুক্তি হলে তো সে মৃত্যু ছাগলের, গরুর, ভাগাড়ের পশুর। দেহের মুক্তি হবে আর মন থেকে যাবে মানুষের মাঝে, তবেই না শহীদ, দেশ ও জাতির জন্যে বলিদান? সে ‘মন’ থেকে যাবে মানুষের মননে, বই ও দেওয়ালে, কথা ও সুরে। লেখনির বর্ণমালায় সে ‘মন’ অমরত্ব পাবে। মানুষের গল্পে হয়ে উঠবে ‘চরিত্র’। ‘দেশহীন’ মানুষদের কাছে এনে দেবে ‘দেশ’। ‘ভিটেহীন’ মানুষদের কাছে এনে দেবে ‘ভিটে’।“
“তুই তো পরশু আবার নিজের জন্মভিটেই ফিরে যাচ্ছিস। তোর কেমন আনন্দ হচ্ছে?”
“এ আনন্দ কাফনে মোড়া আনন্দ। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে যাচ্ছে, এর চেয়ে আনন্দের তো কিছু হয় না? তবু এ আনন্দের পেটে এক রূপ পিঠে আরেক রূপ। পেটে ‘ঘর’ পাওয়ার স্বপ্ন আর পিঠে মৃত্যুর খাড়া। এমন আনন্দ যেন আল্লাহ আর দ্বিতীয় কাউকে না দেন.....।“ ফুঁপিয়ে ওঠে নবী। কান্নার দলা বুক ঠেলে উঠে আসে। আতিফ ঘাড়ে হাত দেয়। বলে, “চোখের পানি মুছ নবী, এ পানি দেখার কেউ নেই।“ তারপর দূরের বককন গাছটার দিকে আনমনা চোখে তাকিয়ে উদাস গলায় বলে, “মাটির মালিক আল্লাহ, তবুও মাটির জন্যেই দুনিয়ায় সব থেকে বেশি মানুষ মরে! মাটির মায়া শরীরের মায়ার চেয়ে কোনো অংশে কম নয় রে। বিটি মাটি, মাটি বিটি, এইই তো জীবন।“
“আমি তো আগামীকাল ভোরেই চলে যাব। তুই কী করবি?” প্রশ্ন করল নবী।
“সেটাই তো ভাবছি রে, হাতে আর মাত্র চার দিন বাকি, যা করার এই চার দিনের মধ্যেই করতে হবে।“ মাথা ঠুকে আতিফ। নবী চোখ নাচিয়ে বলে ওঠে, “আইডিয়া।“
“আইডিয়া! কী আইডিয়া?” করলাফালির মতো ফেড়ে ওঠে আতিফের চোখ।
“না, থাক।“ কথাটা ঢোক গেলার চেষ্টা করে নবী।
“না, থাক, মানে?” থির চোখ বেঁকে উদগ্রিব হয়ে ওঠে আতিফ।
“কিচ্ছু না, তোকে জাস্ট বাজিয়ে দেখছিলাম।“
“এটা একদম ঠিক হচ্ছে না, নবী। সবকিছু নিয়ে ঠাট্টা মশকরা ঠিক নয়। তুই মৃত্যু নিয়েও মশকরা করতে পারিস!”
“ঠাট্টা ঠিক নয় রে।“
“তবে!”
“একটা ভাবনা মাথায় এসেছে, ভাবছি তোকে সেটা বলা ঠিক হবে কি না।“
“কোনো কিন্তু না রেখে ফটাফট বলে ফেল। আমি না তোর জানপেরানের বন্ধু?“
“খারাপ মাইন্ডে নিবি না তো?”
“আরে না না, বন্ধুর কথা আবার খারাপ মাইন্ড কী রে!”
“না, আসলে কথাটা একটু অন্যরকম তো, তাই আর কী।“
“অত, ভড়ং না করে বলে ফেল তো, তখন থেকে শুধু গৌরচন্দ্রিকা গেহেই যাচ্ছে! কথাটা পেট থেকে বের করার জন্যে এবার কি পেটে লাথি মারতে হবে?” খচে উঠে আতিফ। একটা ঠাট্টার ঘুষি তুলতে উদ্যত হলে, নবী থতমত করে বলে ওঠে, “আরে থাম, থাম, অত খচে যাচ্ছিস কেন? তোকে কি আর জ্বালানোর ফুরসত পাব? পরশু তো পরকালের টিকিট কেটেই নেব। তখন না থাকবে এ বান্দা, না থাকবে এ বন্ধুর জ্বালাতন।“
“তোর মতো বন্ধুর জ্বালাতন যে জন্ম জন্মান্তর ধরে সহ্য করতে রাজি আছি রে। আল্লাহর কাছে দোয়া চাইছি, তুই যেন পরকালে গিয়েও আমাকে এভাবেই জ্বালাতন করিস।“

নবীকে বুকের মধ্যে পুরে নিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে আতিফ। নবীরও বুকের বাঁধ ভেঙে যায়। ডুকরে ওঠে। দুই বন্ধুর কাঁদনে সকালের ঝিরঝিরে বাতাসের চোখও সিক্ত হয়ে ওঠে। কষ্টের সুরেলা ধ্বনি পাতাকাঁপার শব্দে মিশে সদ্য ফোটা সকালকে কান্নাতুর করে দিচ্ছে। পাতার আড়াল দিয়ে ঝিলমিলিয়ে পড়া রোদ দুই বন্ধুর চোখের পাতায় এসে ভিজে যাচ্ছে। তাদের ডুকরানো দেখে রোদ টের পাচ্ছে, চোখের কান্নার চেয়ে অন্তরের কান্নার হাহাকার বেশি। যন্ত্রণা বেশি। দেহের চেয়ে ঢের বেশি কাঁদছে রুহু।
“আরে ধুর, আমরা আবার কাঁদছি কেন? আমরা না মুজাহিদ? আমাদের না কাঁদতে নেই। এসব নাকে চোখে মুখে পেটে ফ্যাত ফুত করতে নেই। হাস, হাস, হা হা হা, হাস, হাস, আতিফ, হাস, নবী তুইও হাস, হা হা।“ মাথা ঝুঁকে নিজের দিকে তাকিয়ে ঠোঁটে হাসির রস মিশিয়ে কেমন যেন পাগলের মতো হেসে ওঠে নবী। আতিফ ‘থ’ মেরে যায় নবীর আচরণে। ছুঁড়াটা কি পাগল হয়ে গেল নাকি! কী সব আজেবাজে বকছে! নবীকে উচ্চস্বরে যাত্রাপালার ভিলেনের মতো ঢাক ফাটা হাসি হাসতে দেখে, দুই হাতের কব্জি ধরে ঝাকা দিয়ে বলে উঠল, “এসব কী পাগলামি করছিস, নবী? তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেল!”

“হ্যাঁ, মাথা খারাপ, মন খারাপ, হাড় মজ্জা সব খারাপ হয়ে গেছে। ভালো রেখেই বা কী হবে। বৌ হবে? বাচ্চা হবে? সংসার হবে? মানুষের জন্মস্বাদ তো পেলামই না। শুধু বারুদ আর কার্তুজের স্বাদেই এ জীবন লোহালক্কর হয়ে উঠল! ফুল না হতাম, একটুখানি মোম তো হতে পারতাম? কারও উষ্ণ ছোঁয়াই একটুখানি গলতে তো পারতাম? গলতে কার না ইচ্ছে করে! গলনেই তো সৃষ্টি। মেঘ গলে বলেই তো বৃষ্টি। না গললে সৃষ্টি হবে কী করে! না গলেই ধোঁয়া হয়ে যেতে হচ্ছে। ধোঁয়া! কিছু না পেয়েই ফুরনোর ধোঁয়া! কোনো মানুষ কি কাঠখড় পোড়ানোর ধোঁয়া হতে চায় না মানুষ গলনের ধোঁয়া হতে চায়? মানুষের ছোঁয়াই মানুষের গলন। জীবনের স্পর্শে জীবনের গলন। সে গলনে আদর আছে, তাপ আছে, আর আছে সমর্পণ। শরীরের সাথে সাথে মনেরও সমর্পণ। এই সমর্পণেই তো বেজে ওঠে সৃষ্টির গান। জীবনের করতাল।“
“কী রে দার্শনিক হয়ে গেলি নাকি! তুই জানিস, তুই কী সব বকছিস!”
“জানি রে জানি। সব মানুষই তো কখনো না কখনো দার্শনিক হয়ে ওঠে। সে হাটের আলু-পটল বিক্রেতাই হোক আর দর্শনের পুঁথি গিলে খাওয়া ইউনিভার্সিটির ডক্টরেটই হোক। যিনিই জীবনকে ছেঁচেছেন, তিনিই দর্শনের পাঠ লিখেছেন। আমরা না হয় শাড়ি ভাঁজের দর্শন শিখিনি, বারুদে আগুন ছোঁয়ার দর্শন তো শিখেছি? জীবনের দর্শন তো ‘মক্কা না ফক্কা’ নয়? জীবনের দর্শন শ্বাসে, বাঁচার স্বাদে। তুই আবার কম কীসে যাস, বন্ধু?”
“এসব ক্লাসের লেকচার শোনাবি, না, ‘আইডিয়াটা’ বলবি? বড়বড় বাতলিং তো ভালোই শিখেছিস?” ঠোঁট বাঁকিয়ে ওঠে আতিফ।
“আচ্ছা, বৌ’র শাড়ি ভাঁজ করে দেওয়ার মধ্যে কতটুকু ‘দর্শন’ লুকিয়ে থাকে জানিস?”
“শালা, আমার তো একশখানা বৌ আছে যে, ওসব ঘেঁটেঘুটে জানা আছে!” রেগে টং হয়ে ওঠে আতিফ।
“না থাক, একটু ভাব, একটু কল্পনা কর।“
“হ্যাঁ, এখন ওসবই ভাবি, জন্মদাতা বাপ-মা পানিতে ঢুবে মরছে, কাল বাদ পরশু নিজেই মরতে যাচ্ছি, আর এখন বসে বসে পরের বৌ’র শাড়ি ভাঁজ করা ভাবি! তোর মাথার ঘেলু মনে হয় সব গোবর হয়ে গেছে!”
“জীবনের স্বাদ তো নিতে শিখলি না! মরণের আগের শ্বাস পড়া পর্যন্ত জীবনের স্বাদ নিতে হয়। মানব জন্ম তো একবারই না? আল্লাহর হাদিস-কোরান তো তাইই বলছে।“
“তো, তুই নাক চুবড়িয়ে স্বাদ নিবি তো অত ভাববিহ্বল হয়ে পড়ছিস কেন? অত দুঃখ কষ্ট মাখা কথা আউড়াচ্ছিস কেন?” আতিফের কথার বাণে এবার ঘায়েল হয়ে যায় নবী। চুপ করে ‘কাপ’ নিয়ে নেয়। আতিফ তার মাথায় আবারও ঠক করে টোকা দেয়, “কী রে, ‘আইডিয়াটা’ বল।“
“ওহ, হ্যাঁ, আইডিয়া।“ নবী এমন করে কথাটা উচ্চারণ করে যেন কোনো ধ্যানমগ্ন ঋষির কেউ ধ্যান ভাঙিয়ে দিল। তারপর কণ্ঠস্বর নিচু করে ফিসফিস করে বলল, “আইডিয়াটা আর কিছুই নয়, একটা খুন।“
“খুন!” আকাশ থেকে পড়ল আতিফ। তার চোখ কপালে উঠার জোগাড়।
“হ্যাঁ, খুন, একটা ছোট্ট খুন। আমরা তো আস্ত একটা ‘রাষ্ট্র’কে খুন করতে চলেছি, সে তুলনায় এটা একটা মামুলি খুন। সেটা একটা গুলিতেও হতে পারে, আবার একটা সাড়ে তিন হাত দড়িতেও হতে পারে।“
“কী সব বকছিস, আমার মাথায় কিছুই ঢুকছে না!”
“ঢুকবে, ঢুকবে, ঠিকই ঢুকবে। ঢুকবে না যাবে কোথায়?”
“অত হেঁয়ালি না করে, ব্যাপারটা এবার খুলে বলত।“
“বলবই তো, বলার জন্যেই তো ভেবেছি। না বললে, কাজটা হবে কী করে?”
“ওহঃ, আবার সেই হেঁয়ালি! ছাড় তোর ওসব বাটপাড়ি কথা।“ মেজাজ খাটা করে ঘরের দিকে পা বাড়াতে বাড়াতে আতিফ মোবাইলটা হাতে নিয়ে বলল, “দেখি, এবার ফোন করে লোকটাকে পাই কি না।“ বলেই মোবাইলটা কানে ধরল। পর পর দুবার ‘রিডায়াল’ করে ‘ধুর’ বলে যেই বিরক্তি প্রকাশ করল আতিফ, অমনি ব্যালকনির করিডর থেকে ভেসে এল, “মেজর জেনারেল জুনাইদ মোল্লা খতম!”

চলবে...

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

Header Ad

টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

নির্মাণাধীন ভবন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিরাপত্তা বেষ্টুনীবিহীন একটি ভবনে কাজ গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে বাবুল মিয়া বাবু (৫৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার মাইজবাড়ী এলাকার গুটু মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ভূঞাপুর পৌর শহরের ফসলআন্দি এলাকায় সাংবাদিক আসাদুল ইসলাম বাবুলের তিন তলা ভবনের নিচের একটি ড্রেনে পড়ে গিয়ে তিনি মারা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াহেদুজ্জামান পলাশ জানান, জুয়েল নামে এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন বাসায় কাজ করছিলেন ওই নির্মাণ শ্রমিক। কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ পা ফসকে ভবনের চার তলা ছাদ থেকে নিচের একটি ড্রেনে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে তার সহকর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, নির্মাণাধীন এই ভবনের কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল না। নির্মাণ শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে আসছিলেন। নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় এর আগেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

অভিযোগ উঠেছে, থানা পুলিশকে না জানিয়ে কৌশলে ভবনের মালিক জুয়েল হাসপাতাল থেকে তার লাশ নিয়ে যায়।

ভবন মালিক জুয়েল বলেন, নির্মাণ শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের সাথে সমঝোতা হয়েছে। পরিবারকে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হবেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, এ বিষয়ে কেউ অবগত করেনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজিবুল ইসলামকে (বাপ্পি) সভাপতি ও সজল কুণ্ডুকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অনুমোদন দিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ কমিটির অনুমোদন দেন।

কমিটি অনুমোদন দিয়ে এতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'স্মার্ট বাংলাদেশ', 'স্মার্ট মহানগর' বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো।

ঘোষিত কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন কাউসার আহমেদ (ইমন), সৈয়দ ইমরান হোসেন, মো. নাজমুল হোসেন, উবায়দুর রহমান লিও, নিবাস মজুমদার, রেহানুল হক রাফি, রাজীব সাহা, আবু তালিম ভূইয়া, আরাফাত হোসেন মারুফ, মো. হাসিবুল আলম পুলক, শাখাওয়াত হোসেন আরেফিন, মো. শাকিল তালুকদার, আহমেদ আলী রেজওয়ান, সালমান রহমান (আশরাফ), আদনান আইয়ুব, মো. রিয়াজ মোল্লা, শাহজালাল শাহীন, ইশতেফাক হক (ইফাজ), সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (নিবিড়), কাজী জাহিদুল ইসলাম রাজন, মাশরুফ বিন নেসার শান, মো. শাহরিয়ার শাওন, মো. আক্তার হোসেন, মো. বিপ্লব খান,নাইমুল ইসলাম নোমান, নাজমুল হাসান প্রিন্স তালুকদার, সারোয়ার হোসেন, ফারকিলিত সাফাক-ই-আরফাকসাজ, আনিসুর রহমান আনিস, জুটন চন্দ্র দাস,মাহমুদুল হাসান (ইমন)।

এছাড়াও সহ-সভাপতি হিসেবে আরও আছেন, মাজেদুল মজিদ মাহমুদ (সাদমান), সাদি মোহাম্মদ সৈকত, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ রাজু, রাকিবুল ইসলাম শাওন, মো. ফজলে রাব্বি, সোহানুর রহমান সোহান, ওহিদুল ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান, তানভীর আহমেদ, রুবেল মাহমুদ, সাব্বির বিন ইসলাম, মাসুদ রানা, মো. আবু ইউসুফ হৃদয়, আশিক মাহমুদ, মো. নুরুদ্দিন হাওলাদার, মাহমুদ হাসান জিল্লু, মো. ইনজামুল ইসলাম (আকিব), সোহেল রানা, আব্দুল্লাহ আল-হাসান, আহমেদ সারোয়ার স্বচ্ছ, মো. কামরুজ্জামান ইফতি, আরাফাত হোসেন রনি, মো. ইমরান হোসেন, সিফাত হোসেন, শেখ কোরবান ইসলাম, আব্দুল্লাহ আশিক, এফ এম সাইফুজ্জামান সজিব, মো. শামীম খান, বখতিয়ার শিকদার বাপ্পি, সুজন দাস, মো. তাবারক হোসেন (বিপ্লব), বাবু দাস, মো. ইমরান হোসেন পাভেল, জবিউল্লাহ শান্ত, বিশ্বজিৎ হাওলাদার জিৎ, ফেরদাউস আনসারী, নাইমুর রহমান দুর্জয়, জহিরুল ইসলাম খান তুহিন, মেহেদী হাসান রাজু, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, আল আমিন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাগর (সানাফ), সৈয়দ মুক্তাদির সাদ, সৌরভ দেব নয়ন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবিয়াজ সাজেদ, নয়ন শিকদার, কাজী তানবীর হোসেন, মাহবুব আলম মাহিব, রফিকুল ইসলাম রাসেল, ইয়াসির আরাফাত, আক্তারুজ্জামান মান্না।

সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন, সাকিব হোসাইন, শাকিল হোসেন (জীবন), আরমান মাহমুদ তুষার, রহমান ইকবাল (ইকু), জোবায়েদ সাদাফ সাজিদ, দিপ্ত কুন্ডু, জাহিদুল ইসলাম দিপু, মো. রাকিব হোসেন, নাইমুল ইসলাম, মো. সাইদুল ইসলাম জনি, মো. রাহাত হোসেন রাব্বি।

প্রচার সম্পাদক হয়েছেন হামিম খান কাজল। উপ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছেন আরিফুল ইসলাম, এরশাদ হোসাইন, এম আহসানুর রহমান ইমন, এম এস আর সবুজ, মাহবুব আলম খান তনিম, মুনতাসির রাফি।

দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে মো. সাকিব আল হাসান (রাজিব) কে। উপ-দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন নাঈফুজ্জামান কোতোয়াল, শিমুল রায়, জুনাইদ বোগদাদী প্রধান, রাইসুল আলম ইসতিয়াক, শফিক বেপারী, কাজী রাকিব হোসেন।

গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মীর মোহাম্মদ সাইকুন আলী শান্ত। উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মোকারোম হোসাইন রুদ্র, মো. জনি ইসলাম, জুয়েল রানা, মো. মারজুক হোসেন ভুবন, মারুফ বিল্লাহ ও জাফরুল ইসলাম (লিটন)।

শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক করা হয়েছে শাহাদাত মাহমুদ সাকিবকে। উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হয়েছেন মো. জিন্নাত হোসেন, সাব্বির হাওলাদার, প্রতীম বিশ্বাস, রোহান আহমেদ, আহসান হাবিব ইমরান।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন তমাল পাল। উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক করা হয়েছেন এইচ. এম. আমিনুল, নীলপদ্ম রায় প্রান্ত, স্বপন চৌধুরী, রাহুল কুমার ভৌমিক, সোহেল জামান রাকিব।

সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন শাকিল আহমেদ হৃদয়। উপ-সমাজসেবা সম্পাদক করা হয়েছে শেখ মেহেদী হাসান, মাসুম বিল্লাহ, সাদ্দাম হোসেন সাদমানকে। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন মো. আবু হোসাইন। উপ-ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন নাঈম ইসলাম দুর্জয়, তারিকুল ইসলাম অপু, সজল হাওলাদার, মো. নূর নবী (রাঈদ), সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, আব্দুল্লাহ সাবিত আনোয়ার চৌধুরী।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহ আলম বিজয়। উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহরিয়া ইসলাম জয়, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, শেখ মুহাম্মদ নাঈম উল ইসলাম, ওয়াহিদুল ইসলাম নিশান, সৈয়দ লামমিম হাসান নিলয়। পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন সাফায়েত খন্দকার সিয়াম। উপ-পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন ইমতিয়াজ আহমেদ ইমরান, ফয়সাল আহম্মেদ তমাল, মাহমুদুল হাসান তুষার।

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন হাবিবুর রহমান শাকিল। উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন ফয়সাল আহমেদ ভুবন, সাবের হোসাইন, মুরসালিন সরকার। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সোহাগ রানা। উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সুরুজ ফরাজী, গোলাম রাব্বি সিকদার শফিউদ্দিন মাহমুদ তুষার, আখিয়ারুল ইসলাম আফিক।

আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান (নাহিদ)। উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন কাজী জার্জিস বিন এরতেজা, মো. মঈন হোসেন (সজীব), মো. জুবায়ের হোসেন শেখ রওনক আহমেদ, আরিফুর রহমান ফাহাদ, নওফেল হামিদ জয়। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইরফান আহমেদ বাধন। উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. রাব্বী হোসেন, সজীব হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম।

স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. আরাফাত উল্লাহ। উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আহসানুল্লাহ সজীব, নিয়ামাল ওয়াকিল, নিবিড় হাসান, মো. ফয়সাল রাব্বি। বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবরার খান তাহমিদ। উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবু কাওসার, মো. তানভীর আহমেদ বাপ্পি, মো. জিসান হাওলাদার, মো. ওয়ালিউল।

দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু

দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের হাকিমপুরে গরুবোঝাই ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের থাকা দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। এর আগে, সকালে ঘোড়াঘাট উপজেলায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকের চালক ও সহকারীর মৃত্যু হয়।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে বিরামপুর-হাকিমপুর আঞ্চলিক সড়কের ডাঙ্গাপাড়া বাজারের উত্তর পাশে হাকিমপুর - বিরামপুর উপজেলার জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে ভোরে ঘোড়াঘাট উপজেলার দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের টিএন্ডটি মোড় এলাকায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই মোটরসাইকেল আরোহী হলেন- নবাবগঞ্জ উপজেলার কুমারপাড়া গ্রামের ধীরাজ কুমার ছেলে ধীমান কুমার ঘোষ (৩০) ও একই উপজেলার দাউদপুর এলাকার আনারুলের ছেলে আরিফ হোসেন (৩৫)।

হাকিমপুর থানা পুলিশ জানায়, দুপুরের দিকে মোটরসাইকেল যোগে হাকিমপুর থেকে দুই বন্ধু বিরামপুর যাবার পথে হাকিমপুর উপজেলার শেষ সীমানায় গরু বোঝাই ভটভটির সাথে মোটরসাইকেল ধাক্কা খেয়ে পাকা রাস্তায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়।

নিহত ধীমান কুমার ঘোষ এর মামা হাকিমপুর হিলি পৌরসভার বাসিন্দা স্বপন কুমার বলেন, আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে মোবাইল ফোনে আমাকে ভাগিনা ধীমান কুমার বলেন, মামা আমি জরুরি কাজে হিলি আসছিলাম তাই আপনার সাথে দেখা করতে পারলাম না। এর কিছুক্ষণ পরে দুর্ঘটনার খবর শুনতে পাই এবং হাসপাতালে এসে দেখি আমার ভাগিনা মারা গেছে।

হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. দুলাল হোসেন জানান, দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেলের আরোহীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গরুবাহী ভটভটি জব্দ করে থানায় এবং নিহতদের হাসপাতালে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি না থাকায় লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ভটভটি চালক পলাতক রয়েছে।

এদিকে ঘোড়াঘাট উপজেলায় মালবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার দিনাজপুর -ঢাকা মহাসড়কের ঘোড়াঘাট টিএনটি মিশন মোড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ট্রাকচালক গোলাম রাব্বি (৪৫)। সে জয়পুরহাট জেলা সদরের আমদই এলাকার মমতাজের ছেলে। তার সহযোগী রেজোয়ান ইসলাম (২৮) একই এলাকার চৌমুহনীর বাসিন্দা।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা ভুট্টাবোঝাই ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট-২০৬৬৪৯) সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা দিনাজপুর শহরমুখী সারবোঝাই ট্রাকের (ঝিনাইদহ-ট-১১১৬৪৬) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা সকালে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ২ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছি।’

ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. সা-আদ আস সামস বলেন, ‘সকালে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ২ জন রোগীকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে।’

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উপজেলার টিএনটি মোড় এলাকায় ভুট্টা ও সারবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা ভুট্টাবোঝাই ট্রাকটিকে দিনাজপুর শহরমুখী সারবোঝাই একটি ট্রাক সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ভুট্টাবোঝাই ট্রাকের চালক ও সহকারীর মৃত্যু হয়। ট্রাক দুটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রিকশাচালক নিহত, আটক ১
ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের ভেতরে আগুন
৭৬ বছরের তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভাঙল, জানা গেল বৃষ্টির তারিখ
ফিলিস্তিনি মৃত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি আর বেঁচে নেই
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শ্রীময়ী, দুশ্চিন্তায় কাঞ্চন মল্লিক
প্রথমবার এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবেন বাংলাদেশের জেসি
বিয়ে না দেওয়ায় মাকে জবাই করলো ছেলে
রেকর্ড তাপপ্রবাহের জন্য সরকার দায়ী: রিজভী
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, জনজীবনে অস্বস্তি
বিএনপির আরও ৭৫ নেতা বহিষ্কার
প্রেমিকার আত্মহত্যা, শোক সইতে না পেরে প্রেমিকও বেছে নিলেন সে পথ
দুই বিভাগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
অভিষেকেই শূন্য রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন রোহমালিয়া
ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে অস্ত্র ত্যাগ করবে হামাস
দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না: ওবায়দুল কাদের
কয়েক মিনিটের দেরিতে বিসিএসের স্বপ্ন ভঙ্গ ২০ পরীক্ষার্থীর
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত