শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩০

নেই দেশের নাগরিক

 

“আর এই ঘাগুমাল’টাকে ‘আউট’ করতে না পারলে, তুই কিন্তু এই মাকড়সার জালের ঘেরাটোপ থেকে বেরোতে পারবি না। এই যে তুই ভাবছিস, দু’দিনের মধ্যে চুরি করে গোপনে এখান থেকে হুট করে তোর আব্বা-মা’দের হদিশ করতে যাবি, সেটা ও মাল বেঁচে থাকা অবধি হবে না। সেটা করতে হলে, ওকে ‘আউট’ করতেই হবে। ওর মৃত্যুই আমাদের সমাধান।“
“কিন্তু সেটা তো আরও মারাত্মক কঠিন কাজ। ব্যাপক ঝুঁকি। বিপদ একেবারে পায়ে পায়ে।“
“শোন, একটা কথা আছে না, বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো।“
“হ্যাঁ, তা আছে।“
“তাহলে, আবার চিন্তা কীসের?”
“চিন্তা কীসের মানে? ‘প্রবাদ’ আছে মানেই কি ‘সমাধান’ আছে? ও তো কথার কথা। সব কথা কি সব জায়গায় খাটে?”
“ভুলে যাস না, ‘সমস্যা’ আছে মানেই ‘সমাধান’ আছে। শুধু খুঁজে বের করার বুদ্ধি লাগে, এই যা।“
“কিন্তু, এ যে অন্ধকার আর অন্ধকার, ঘুটঘুটে অন্ধকার। ওসব চক্রান্ত আর অভিসন্ধির কাঠখড়ও তো দেখতে পাওয়া যাবে না!”
“অন্ধকারকে দেখার জন্যেও আল্লাহ মানুষকে একটা চোখ দিয়েছেন। সে চোখ বন্ধ রাখলে হয় না। আর সেটা হলো, বুদ্ধির চোখ। বুদ্ধির চোখের সামনে সব অন্ধকারই আলো।“
“কিন্তু, এ সমস্যার মাথা তো বহুদূর লম্বা। তার নাগাল পাওয়া কি সম্ভব?”
“সমস্যার মাথা নয় বন্ধু, সমস্যার গোঁড়া কাটতে হয়। আর তার জন্যে শিকড়ে শিকড়ে চলতে জানতে হয়।“
“তোর অত ধাঁ ধাঁ’ওয়ালা কথা আমি বুঝতে পারছি না। কী করতে হবে এখন সেটাই বল।“ চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াল আতিফ। জানালার কাছে গিয়ে বাইরের দিকে চোখ ফেলল। বাইরে ‘সকাল’ হামাগুড়ি দিয়ে উঠে, ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ করে কেবলই হাঁটছে। রোদের মাড়িতে গজাচ্ছে দাঁত। জানালার রডের ফাঁক দিয়ে তেরছা করে ঢুকছে ‘কিত কিত খেলা বয়সী দিন’।
“শোন আতিফ, আমি একটা প্ল্যান অলরেডি করে রেখেছি। তুই যদি সঙ্গ দিস, তবেই সেটা করা সম্ভব।“ আতিফের ঘাড়ের কাছে এসে দাঁড়ায় নবী। আতিফ তার দিকে মুখ তুলে দাঁড়ায়। থুতনি ছোট করে বলে, “কী প্ল্যান?”
“ওদিকে আয়।“ বলে নবী জানালার কাছ থেকে সরে এসে ঘরের আড়ালে এসে দাঁড়াল। আতিফও তার কদমে কদম মেলাল। “এখানে বোস” বলে সোফাটায় আলতো করে বসল নবী। আতিফ চেপে বসতে গিয়ে ‘কচ’ করে একটা মিহি শব্দ গেয়ে উঠল। নবী যেখানে বসেছিল সেখান থেকে কিছুটা সরে গিয়ে আতিফের গা ঘেঁষে বসল। তার দেহের ভারে কুঁচকে যাওয়া শোফার গদিটা তাওয়ায় ভাজা রুটির মতো ফুলে উঠল। “ভালো করে শোন, আতিফ।“ বলে নবী তার মনের মধ্যে আঁটা ষড়যন্ত্রের ‘ফন্দিফেউর’গুলো ফুসুরফুসুর করে বলতে লাগল। সেসব শুনতে শুনতে আতিফের থির চোখগুলো ঘুঘু পাখির মতো ঘোলা পাকিয়ে পাকিয়ে চিলের মতো ধারালো হয়ে উঠতে লাগল। পাকানো দড়ির মতো টান হয়ে উঠতে লাগল চোখের তটরেখার চামড়া। মণির নিচে রক্ত রঙের নালা। যেন রাগ আগুন হয়ে বেরিয়ে আসছে। কানের লতিকায় নেমে এসে জমছে প্রতিহিংসা।
“ঠিক আছে। তুই যা বললি, তাইই হবে। তোর কথামতোই কাজ হবে।“ গা ঝাড়া দিয়ে উঠল আতিফ।
“ও কে বন্ধু, চল, এবার গৃহযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি।“ বলে হো হো করে হেসে উঠল নবী। আতিফের ঠোঁটের কলসা দিয়েও বেরিয়ে এল বাঁকা হাসি। চোখও ট্যারা করে ‘ফিক’ করে উঠল।
সাত
‘দেহ’টা গাড়ির ভেতরে ন্যাকড়ার মতো দুমড়ে মুচড়ে গেছে! সামনের ভিউকাঁচ ভেঙে চোখ ফুঁড়ে গেছে! ‘সেফটি বেল্ট’ ব্যবহার না করায়, শরীরটা হ্যাঁচকা টান সামলাতে না পেরে একেবারে ‘ঠক’ করে কাঁচে লেগে থেঁতলে একাকার! একেবারে স্পটডেথ! পেছনের সিটে বসে থাকা দু’জন নিরাপত্তাকর্মীর মাথা-বুক-পেট এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে লোহালক্কড় ঢুকে একেবারে ছ্যাড়ড়া ব্যাড়ড়া হয়ে গেছে! মনে হয় ‘বাপ গো’ বলারও সময় পায়নি! ড্রাইভারের পেট চিরে ঢুকে পড়েছে ‘স্টেয়ারিং’। চোখের মণি ফুঁড়ে আটকে গেছে সম্মুখের কাবা শরীফের ছবি রাখা স্টিলের নকশাকাটা শো-পিসদানিটা। লালরঙের বিলাসবহুল ‘অডি এ সিক্স’ গাড়িটির চারজন সওয়ারিরই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছে। ঝাঁ চকচকে গাড়িটি চট্টগ্রাম-বান্দরবান মহাসড়ক থেকে ছিটকে পাশের নয়ানজলিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে। গাড়িটা যেখানে আটকে আছে, সেখানে নাগবল্লীফুলের একটা ঘন ঝোপ। চারপাশকে ছেয়ে আছে পাহাড়ি ভাঁটফুল। দোপ হয়ে আছে জংলি ঝুমকা লতা। পুরো গাড়িটা ঠোঙার মতো দুমড়ে মুচড়ে গেছে। দশ চাকার পাথর বোঝায় ট্রাকটা পেছন থেকে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এসে সরাসরি ‘চারচাকা’ গাড়িটাকে ধাক্কা মেরে, ‘গ’ করে আরও হাইস্পিডে পিকআপ তুলে পালিয়েছে। জায়গাটা একটা ফাঁকা মাঠ। কাছের বাজারঘাট বলতে গেলে, সেই দূরে রোয়াংছড়ি পুলিশ-ফাঁড়ি। তাও সেটা কম করে আট দশ মাইল তো হবেই। রাস্তার দুপাশে সেরকম বাড়িঘরও নেই। মাইল খানেক দূরে একটা ধাবা গোধূলির আলোতে লুকোচুরি খেলছে। সন্ধ্যা কেবলই তার ঝাঁপি খুলছে। মাগরিবের আযান দেওয়া মিনিট কুড়ি মতো হলো। ‘অডি এ সিক্স’ গাড়িটা যখন পেছনের পাহাড়ের ঢালের হিন্দু গ্রাম ধোপাছড়ি ছেড়ে আসছিল, তখনই মিহি করে কানে ভেসে আসছিল শঙ্খধ্বনি। তাও সেটা আধঘণ্টা মতো হয়ে গেল। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটাকে দেখে রাস্তায় চলন্ত দুএকটা গাড়ি ‘ঘ্যাঁচ’ করে থামল। কেউ জানালা দিয়ে মুখ বের করে দেখে চলে গেলেন। কেউ কেউ গাড়ি থেকে বেরিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটার ফাঁকফোকর দিয়ে উঁকিঝুকি মারতে লাগলেন। তারপর আপন আপন গন্তব্যে কেটে পড়তে লাগলেন।
এদিক ওদিক হুচুক পুচুক করে, তিনটে রাস্তা বদলে একটানা প্রায় তিরিশ কিমি পথ পেরিয়ে একটা পেট্রোল পাম্পের কাছে এসে থামল ট্রাকটা। পাম্পটার গা লাগা একটা চাটাইয়ে ঘেরা চায়ের দোকান। গাড়িটা তখনো ‘কটকট’ করছে। পাকা ইটের রঙের ট্রাকটার ইঞ্জিনটা তেতে আগুন। পেট্রোল পাম্পের তালগাছের মতো লম্বা ল্যাম্পপোস্টের দুধ সাদা আলোতে গাড়ির পেছনের লোহার উপরে লেখাগুলো জ্বলজ্বল করছে। কালো কালি দিয়ে বড়বড় হরফে লেখা গাড়ির নম্বর। তার উপরে নীল কালি দিয়ে লেখা ‘ট্রাফিক আইন মেনে চলুন’। তার এক সিঁথি নিচে লাল রঙ ধেড়িয়ে লেখা, ‘ডোন্ট কিস মি’। ‘হড়াম’ করে বামদিককার গেট’টা খুলে লাফ মেরে নিচে নামল আতিফ। ডান দিকের ড্রাইভারের আসন থেকে পাদানিতে পা দিয়ে ‘থপ’ করে নামল নবী। দুজনের মুখেই সাফল্যের চওড়া হাসি। চোখে খুশির কাশফুল। আতিফ নবীর কাছে আসতেই, নবী বলল, “ব্যাটা খালাস।“
“খালাস মানে, একেবারে ভুউউ করে উপরে পাঠিয়ে দিয়েছি। সরাসরি আজরাইলের দরবারে।“ আতিফের ঠোঁটে যুদ্ধজয়ের হাসি।
“প্ল্যানিংটা কেমন ছিল, বল?” লাল রঙের গামছাটায় মুখ মুছতে মুছতে বলল নবী।
“ফাটাফাটি।“
“একেই বলে, লাঠিও ভাঙল না আবার সাপও মরল। তবে, সাবিরকে ধন্যবাদ জানাতেই হবে। ও একেবারে ঠিক ঠিক খবর দিয়েছে, কখন হোটেল থেকে বেরোলেন, কখন গাড়িতে উঠলেন, গাড়ির রঙ, নম্বর, রুট, সমস্ত কিছুর ব্যাপক টাইমিং করে দিয়েছে! ওর মতো পাকা ছেলে না থাকলে, আমরা এত সহজে কাজটা হাসিল করতে পারতাম না।“
“আসলে, সাবিরের ফোন মানে ছিল, বেটা জুনাইদ মোল্লার মৃত্যুর ফেরেস্তা আজরাইলের ফোনকল। হা হা।“ আতিফের ঠোঁটে বিদ্রুপের হাসি।
“আর আমরা হলেম কি সেই আজরাইলের নখ-দাঁত। হা হা।“ নবীর ঠোঁটেও তাচ্ছিল্যের হাসি।
“কেউ লরির নম্বরটা দেখে নেয়নি তো!” আতিফের চোখে সন্দেহের মেঘ।
“আরে না না, যখন ঘটনাটা ঘটে, তখন ওখানে কোনো জনমানুষ ছিল না। না ছিল মানুষ, না ছিল কোনো গাড়ি। আমি তো ওই জায়গাটার জন্যে অতক্ষণ পেছন পেছন যাচ্ছিলাম। আমি তো জানি ওই জাগাটায় সব থেকে ফাঁকা। ধাক্কা মেরে পালিয়ে আসার পক্ষে আদর্শ। আর কেউ যদি দূর থেকে দেখেও থাকে, কিচ্ছু কবলাবে না। আরে এখন কেউউ ঝুটঝামেলার মধ্যে ঢুকতে চায় না। সবাই আপন আপন গা বাঁচিয়েই চলে। সুতরাং ও টেনশন মনের মধ্যে পুষে রাখার কোনো দরকারই নেই। একেবারে ফ্রেস থাক।“
“ঠিক তো?”
“আলবাত ঠিক।“
“ওকে, তাহলে চল, এবার জম্পেস করে একটা চা খাই।“
“তা আর দেরি কেন? এক্ষণই চল।“ বলেই নবী চায়ের দোকানটার দিকে পা বাড়াল। যেতে যেতে আতিফ বলল, “তবে তুই যা ড্রাইভ করলি না, একেবারে পাকা ড্রাইভার। হেঁচিয়ে পেঁচিয়ে, এদিক ঘুরিয়ে ওদিক ঘুরিয়ে, হাইস্পিডে পিকআপ তুলে, গ গ করে যেভাবে গাড়ি টানলি, মায়রি, তুই এরোপ্লেন চালাতে পারবি।“
“ছোট থেকেই আমার গাড়ি চালানোর নেশা। আমাদের বাড়িতে একটা ট্রাক্টর ছিল, আমি মাঝেমধ্যেই চালাতাম। কতদিন ট্রাক্টরে করে জমি বাতাল করেছি। আর আর জে এফ’এ এসে তো হাতটা আরও পোক্ত করতে হলো। আমরা যে মুজাহিদ, আমাদের সবই শিখে রাখতে হয়।“ বাড়ির কথা বলতেই, আতিফের আব্বা-মা, ভাইয়েদের কথা মনে পড়ে গেল। ভারাক্রান্ত হয়ে উঠল মন। ভারী গলায় আতিফ বলল, “কাল সকালেই বেরিয়ে যাব। আর দেরি করা একদম ঠিক হবে না।“
“সেইই ভালো। আবার তো ফিরে আসার ব্যাপার আছে।“ আতিফ একটা তেলচিটচিটে কাঠের বেঞ্চের উপর পা ঝুলিয়ে বসল। নবী জলের জগটা হাতে নিয়ে ঝোপের আড়ালে চলে গেল। হাতের চেটোয় জল ঢেলে চোখে মুখে ছিটা দিল। পরপর তিনবার জলের ছিটা দিল মুখে। তিন সিকি ক্লান্তি যেন জলের মধ্যে দিয়ে ঝরে গেল। বেশ ফ্রেস লাগছে শরীরটা। জলের জগটা একটা কাঠের টুলের উপর রেখে আতিফের পাশে আরাম করে বসল। “তুই চোখে মুখে পানি দিবি না?” জিজ্ঞেস করল আতিফকে। “নাহ, এই ঠিক আছি। ঘরে গিয়েই গোসুল করে নেব।“ বলল আতিফ।
“এই দুটো দুধ চা।“ নবী হাঁক ছেড়ে চায়ের অর্ডার দিতেই আতিফ বলল, “অর্ডার দিয়ে দিয়েছি। চা বাদ দিয়ে অন্য কিছু খাবি কি?”
“নাহ, শুধু চা, তুই খেলে খা।“
“নাহ, আমিও কিচ্ছু খাব না, পেট’টা গুড়গুড় করছে। অনলি চা।“

চলবে...

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

 
Header Ad

থাই প্রধানমন্ত্রীর গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে শেখ হাসিনা

ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে যান তিনি। এ সময় থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

শুরুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সেখানে থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এসময় থাইল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল কর্তৃক প্রদত্ত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা পরে সরকারী ভবনের অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে।

সরকারি বাসভবন ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তার থাই প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর করছেন।

আগুন নেভাতে দেরি হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, ২ ফায়ারম্যান আহত

ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের কাহারোলে পেট্রোল পাম্পে আগুন নেভাতে দেরি হওয়ায় জনতার হামলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দুই সদস্য আহত হয়েছেন এবং পানিবাহী একটি ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আহতরা হলেন- দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের রেজাউল করিম ও গাড়িচালক মোতালেব হোসেন। আহতদের দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৮টার দিকে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের কাহারোল উপজেলার দশমাইল এলাকায় আরিফ ফিলিং স্টেশনে লরি থেকে রিজার্ভ ট্যাংকে পেট্রোল নামানোর সময় আগুন লাগে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।

আগুন ছড়িয়ে পড়ায় আরও ২টি ট্যাংকে আগুন লেগে পুড়ে যায়। খবর পেয়ে কাহারোল উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে গেলেও মহাসড়কে প্রচণ্ড যানজটে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে দেরি করে। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সেখানে থাকা ২৫ থেকে ৩০ জন ব্যক্তি লোহার অ্যাঙ্গেল ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে পানি বহনকারী ট্রাকের ইন্সপেক্টর ও চালকসহ দুই সদস্য মারাত্মকভাবে আহত হয়।

খবর পেয়ে কাহারোলের ইউএনও আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি জানান, লরি থেকে পেট্রোল নামানোর সময় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ফায়ারম্যানদের ওপর হামলা চালানোয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

 

পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা আত্নসাৎ, গ্রেপ্তার ৩

ছবি: সংগৃহীত

পাবনার সাঁথিয়ায় অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ভল্ট থেকে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে ব্যাংকের প্রধান তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দিনভর নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাদেরকে সাঁথিয়া থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার মৃত জান বক্সের ছেলে ও অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার আবু জাফর, সুজানগর দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হারুন বিন সালাম এবং বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের মৃত শুশীল চক্রবতীর্র ছেলে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবতী। ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবর্তী টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন।

গ্রেপ্তার প্রিন্সিপাল অফিসার আবু জাফর ও ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবতী 

সাঁথিয়া থানা ও অগ্রণী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অগ্রণী ব্যাংক রাজশাহী বিভাগীয় ও পাবনা আঞ্চলিক শাখা থেকে পাঁচজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আকস্মিক অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসেন। অডিট শেষে সেখানে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকার আর্থিক অনিয়ম দেখতে পান। পরে ওই অডিট কর্মকর্তারা সাঁথিয়া থানায় অবহিত করলে পুলিশ অভিযুক্ত ওই তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় অগ্রণী ব্যাংক পাবনা আঞ্চলিক শাখার উপমহাব্যবস্থাপক রেজাউল শরীফ বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আদালতে প্রেরণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, অর্থ আত্মসাৎ ও অন্যান্য বিষয়ে দুদক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সর্বশেষ সংবাদ

থাই প্রধানমন্ত্রীর গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে শেখ হাসিনা
আগুন নেভাতে দেরি হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, ২ ফায়ারম্যান আহত
পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা আত্নসাৎ, গ্রেপ্তার ৩
মৃত্যুর দু’বছর পর ব্রুনাই থেকে দেশে ফিরছে দুই প্রবাসীর লাশ
৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা চলছে
পরিবারের অমতে বিয়ে, স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সৌদির যেকোনো ভিসা থাকলেই ওমরাহ পালন করা যাবে
নাটোরে বোনের বৌভাতে গিয়ে একে একে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
জনপ্রতি ১২-১৪ লাখ চুক্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস, গ্রেপ্তার ৫
কুড়িগ্রামে হিট স্ট্রোকে নারীর মৃত্যু
রবিবার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও চলবে ক্লাস
বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৯.২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে নওগাঁ
চেন্নাইয়ের হয়ে খেলা সবসময় স্বপ্ন ছিল: মোস্তাফিজ
বৃষ্টি কামনায় টাঙ্গাইলে ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে আরও ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ
বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
এফডিসিতে ইউটিউবার প্রবেশ নিষিদ্ধ চাইলেন অঞ্জনা
অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, ক্ষোভে বাসে আগুন দিল শিক্ষার্থীরা
থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু