বিজ্ঞান-তথ্যপ্রযুক্তি
৭ অক্টোবর আকাশে ভাসবে বছরের প্রথম সুপারমুন
চাঁদের অপার সৌন্দর্যের ভক্তদের জন্য আসছে এক বিশেষ মুহূর্ত। আগামী ৭ অক্টোবর দেখা যাবে ২০২৫ সালের প্রথম সুপারমুন। এ সময় চাঁদ পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে সবচেয়ে কাছে চলে আসবে। ফলে স্বাভাবিকের তুলনায় চাঁদকে আরও বড় এবং উজ্জ্বল দেখা যাবে। জ্যোতির্বিদদের ভাষায়, শরৎ ঋতুর শুরুর এই বিশেষ পূর্ণিমার চাঁদকে বলা হয় ‘হার্ভেস্ট মুন’।
চলতি বছর পরপর তিনটি সুপারমুন দেখার সুযোগ মিলবে। এর প্রথমটি হলো অক্টোবরের এই হার্ভেস্ট মুন। পরবর্তী দুটি দেখা যাবে আগামী ৫ নভেম্বর ও ৫ ডিসেম্বর। শেষ সুপারমুন হয়েছিল ২০২৪ সালের নভেম্বরে। প্রায় ১১ মাস পর আবারও সুপারমুন দেখার সুযোগ আসছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৫ সালের হার্ভেস্ট মুন ঘটবে শারদ বিষুবের (Autumnal Equinox) কাছাকাছি সময়ে। বিষুবকালে সূর্য পৃথিবীর নিরক্ষরেখার ওপর অবস্থান করে বলে দিন ও রাত প্রায় সমান হয়। এ সময় পূর্ণিমার চাঁদ সাধারণ সময়ের চেয়ে অনেক বেশি উজ্জ্বল ও বড় দেখায়। বিশেষ করে দিগন্তের কাছাকাছি অবস্থায় এটি সোনালি বা কমলা রঙের অপূর্ব দৃশ্য উপহার দেয়।
চাঁদপ্রেমীদের জন্য সুখবর হলো, এই সুপারমুন গড় পূর্ণিমার চাঁদের তুলনায় প্রায় ১৪ শতাংশ বড় এবং ৩০ শতাংশ উজ্জ্বল দেখাবে। ৭ অক্টোবর রাতে চাঁদ পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৬১,৪০০ কিলোমিটার (২,২৪,৫৯৯ মাইল) দূরত্বে অবস্থান করবে।
ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ‘হার্ভেস্ট মুন’ নামটির পেছনে রয়েছে কৃষিকাজের প্রেক্ষাপট। বিদ্যুতের যুগ আসার আগে কৃষকেরা শরৎ মৌসুমে ফসল কাটার সময় চাঁদের উজ্জ্বল আলো ব্যবহার করে রাত পর্যন্ত কাজ চালাতেন। এজন্যই শরতের এই পূর্ণিমার চাঁদকে বলা হয় হার্ভেস্ট মুন।
দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে সুপারমুন দেখা যাবে ৬ ও ৭ অক্টোবর দুই রাতেই। বিশেষত সন্ধ্যার সময় দিগন্তরেখার কাছাকাছি অবস্থায় এটি অনেক বেশি মনোমুগ্ধকর লাগবে।
এই অসাধারণ দৃশ্য উপভোগ করতে কোনো বিশেষ যন্ত্রের প্রয়োজন নেই। খোলা আকাশে তাকালেই এটি দেখা সম্ভব। তবে আলোদূষণমুক্ত পরিবেশে সুপারমুন আরও স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে ধরা দেবে।
২০২৬ সালের জানুয়ারির শুরুতে আরেকটি সুপারমুন দেখা যাবে, যদিও সেটি ২০২৫ সালের সুপারমুন চক্রের অন্তর্ভুক্ত নয়।