মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান

সংগীতের উচ্চনাদী আওয়াজ জ্যাককে হতোদ্দম করে দিল, ভয় পাইয়ে দিল এবং একই সঙ্গে পরমানন্দের মধ্যে প্রথমবারের মতো সে নিজের শক্তি, টিকে থাকার সীমাহীন ক্ষমতা টের পেল। ওই পরমানন্দ উৎসবের গোটা সময় ধরেই তার সঙ্গে ছিল। ওখানে যা কিছু ঘটছিল সবকিছু থেকে তাকে দূরে কোথাও নিয়ে যাচ্ছিল। সেই অনুভূতিটা তারা যখন বাড়ি ফিরে এলো এবং আত্মীয়স্বজনদের জন্য দেওয়া অন্য দিনের চেয়ে একটু ভালো খাবারের আয়োজনে সাজানো টেবিল পর্যন্ত অটুট ছিল।

অন্যদেরও যেন সেই পরমানন্দ ছুঁয়ে দিয়েছিল। কেন না তাদের উপস্থিতির মধ্যে রুমটা ধীরে ধীরে বিশাল এক উচ্ছলতায় ভরে উঠেছিল। অন্য সবার আনন্দের প্লাবন জ্যাকের আনন্দ যেন নষ্ট করে দিল। শেষে ফলার পরিবেশনের সময় জ্যাক ডুকরে কেঁদে উঠল। নানি ধমক দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কী হয়েছে তোর?
আমি জানি না। জানি না।

নানি অধৈর্য হয়ে জ্যাককে চড় মেরে বললেন, এইবার তুই জানতে পারবি কাঁদছিস কেন। কিন্তু বাস্তবে সে নিজের কান্নার কারণ জানত। টেবিলের অন্য পাশে মায়ের দিকে তাকিয়ে জ্যাক দেখতে পেল, মা করুণ একটা ক্ষীণ হাসি নিয়ে তার দিকে চেয়ে আছেন।

পরীক্ষার প্রস্তুতি পর্বের শেষের দিকে এম বার্নার্ড একদিন বললেন, প্রস্তুতি মোটামুটি ভালোই হয়েছে। আর কয়েকটা দিন কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। এম বার্নার্ডের বাড়িতে পাঠ্যসূচির শেষের দিকের অধ্যায়গুলো পড়া শেষ হয়ে গেলে একদিন সকাল বেলা তারা চারজন জ্যাকদের বাড়ির পাশের ট্রলি বাসস্টপে জমায়েত হলো। সঙ্গে লেখার সরঞ্জাম: লেখার প্যাড, কলম রাখার ছোট বাক্স ইত্যাদি। জ্যাক দেখতে পেল, তাদের বাড়ির ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে তার মা এবং নানি জোরে জোরে হাত নাড়ছেন তাদের উদ্দেশে।

তাদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো লিসিতে, শহরের একেবারে প্রান্তে। সমুদ্রের ধারে শহরের যে আধো গোলাকার অবয়ব ঠিক তার শেষ প্রান্ত অবস্থিত ওই এলাকাটা এক সময় সমৃদ্ধ এবং আনন্দহীন ছিল। তবে ভাগ্যিস ওখানে স্পেনীয়রা এসেছিল অভিবাসী হয়ে; আলজিয়ার্সের সবচেয়ে ভীড়ের প্রাণবন্ত এলাকা সেটা। লিসি যে রাস্তায় অবস্থিত সেখানকার অন্যসব কিছুর ওপর দিয়ে মাথা তুলে দাঁড়ানো আয়তাকার এবং চোখে পড়ার মতো ভবন নিয়েই লিসির অবস্থান। প্রবেশ করার জন্য দুপাশে ছিল সিঁড়ি। সামনের বিশাল সিঁড়ির দুপাশে ছোটখাটো বাগান, কলাগাছের বাগানের চারপাশে বেড়া দিয়ে ঘেরা যাতে ছাত্ররা নষ্ট করতে না পারে। মাঝখানের সিঁড়ি সামনের দিকে গিয়ে একটা খিলানের সংযোজনে মিশেছে দুপাশের সিঁড়িগুলোর সঙ্গে। খিলান থেকে সামনের দিকে খুলে গেছে বিশাল দরজা। বিভিন্ন উপলক্ষে দরজা খোলা হয়। এটার পাশে একটা ছোট দরজা। সেটা প্রাত্যহিক ব্যবহারের জন্য। এই দরজাটা চলে গেছে দ্বাররক্ষীর কাচঘেরা কেবিন পর্যন্ত।

প্রথম দিকে যেসব ছাত্র এসে জমায়েত হয়েছে তাদের অনেকেই স্বাভাবিক আচরণ দিয়ে নিজেদের বিচলিত অবস্থা আড়াল করার চেষ্টায় সফল হয়েছে। কারও কারও বিচলিত অবস্থা ফুটে উঠেছে তাদের নীরবতা আর ফ্যাকাশে মুখের কারণে। ওই ছাত্রদের মাঝে খিলানের নিচে বন্ধ দরজা খোলা পর্যন্ত এম বার্নার্ড এবং তার চারজন ছাত্র অপেক্ষমাণ। সকালের প্রথমভাগে তখনো ঠাণ্ডা ভাবটা বিরজ করছে আর সূর্যের প্রখরতায় ধূলি পড়ার আগ পর্যন্ত রাস্তাটাও কিছুটা আর্দ্র। তারা চারজন প্রায় আধাঘণ্টা খানেক আগেই চলে এসেছে এবং তাদের শিক্ষক এম বার্নার্ডের চারপাশে ভীড় করে দাঁড়িয়ে আছে। এম বানার্ড তাদের কিছু বলার মতো খুঁজে না পেয়ে চুপচাপই ছিলেন। শেষে একটু পরেই ফিরে আসবেন বলে কোথায় যেন চলে গেলেন। আসলেই কয়েক মিনিট পর তারা দেখল, তিনি ফিরে আসছেন। পশমি টুপি আর স্প্যাট পরার কারণে তাকে বেশ রুচিবাগীশ দেখাচ্ছে। বিশেষ উপলক্ষে তিনি এই পোশাকগুলো পরেন। দুহাতে টিস্যু পেপারে মোড়ানো প্যাকেট। তৈলাক্ত আঠলো পদার্থে টিস্যু পেপারগুলো জায়গায় জায়গায় ভিজে উঠেছে। তার ছাত্রদের উদ্দেশে তিনি বললেন, এখানে কয়েকটা মিষ্টির রোল আছে। একটা করে খাও। দশটার সময় খাওয়ার জন্য একটা করে রেখে দাও। তারা এম বার্নার্ডকে ধন্যবাদ দিয়ে খাওয়া শুরু করল। ময়দার তাল দিয়ে তৈরি ভারী জিনিসটা চিবুতে পারলেও গিলতে বেশ বেগ পেতে হলো তাদের। এম বার্নার্ড বলতে থাকলেন, মাথা ঠিক রেখে লিখে যাবে। যে সমস্যাগুলো দেওয়া থাকবে সেগুলো খেয়াল করে পড়ে দেখবে। কম্পোজিশনের বিষয়বস্তু ভালো করে বুঝে নেবে। সবগুলো প্রশ্ন ভালো করে কয়েকবার পড়ে নেবে। হাতে সময় অনেক থাকবে। তারাও মনে মনে ঠিক করে নিল, তারা প্রশ্নগুলো কয়েকবার ভালো করে পড়ে নেবে। তার কথা তারা মেনে চলবে। জীবনে যতই বাধা থাকুক না কেন তিনি তাদের পথ প্রদর্শক হিসেবে থাকলে তারা সব বাধা পেরিয়ে যেতে পারবে। এবার ছোট দরজাটার পাশে হৈচৈ শুরু হয়ে গেল। প্রায় ষাটজনের মতো ছাত্র দরজার দিকে এগিয়ে গেল। একজন অ্যাটেন্ড্যান্ট দরজা খুলে দিয়ে ছাত্রদের নাম বলতে লাগল। প্রথম দিকেই জ্যাকের নাম শোনা গেল। নিজের নাম শোনামাত্র জ্যাক তার শিক্ষকের হাতটা চেপে ধরল। তিনি বললেন, যাও, বাবা। কম্পমান পদক্ষেপে দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে বার বার জ্যাক পেছনে এম বার্নার্ডের দিকে তাকাতে লাগল। জ্যাক দেখতে পেল তার দীর্ঘদেহী অবয়ব; তাকে ভরসা দেওয়ার জন্যই দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। জ্যাকের দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসিতে ভরসার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি মাথা নাড়াতে লাগলেন।

দুপুরে এম বার্নার্ড তাদের বের হয়ে আসার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রইলেন। সবাই ফিরে এসে তাদের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেখাল। শুধু সান্টিয়াগো একটা অঙ্কে ভুল করেছে। জ্যাকের দিকে তীর্যক দৃষ্টিতে তিনি বললেন তোমার কম্পোজিশনটা খুব ভালো হয়েছে। পরীক্ষা শেষে বেলা একটার সময় তাদের সঙ্গে এম বার্নার্ডের দেখা হলেও প্রায় চারটা পর্যন্ত তিনি ওখানেই পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে নানা আলোচনায় মেতে রইলেন। শেষে তিনি বললেন, চলো আমাদের ফিরতে হবে। ফলাফলের জন্য অপেক্ষা ছাড়া আর কোনো কাজ আপাতত নেই।

দুদিন পরে চার ছাত্র এবং এম বার্নার্ড ওই দরজার কাছে এসে হাজির হলেন বেলা দশটার দিকে। সেই অ্যাটেন্ড্যান্ট এসে দরজা খুলে নামের তালিকা পড়া শুরু করল। কৃতকার্য ছাত্রদের নামের তালিকা বেশ সংক্ষিপ্ত। ছাত্রদের হৈচৈয়ের কারণে জ্যাক কিছু শুনতে পায়নি। তবে এম বার্নার্ডের হাতের হালকা চাপড় অনুভব করে জ্যাক শুনতে পেল তিনি বলছেন, সাবাস, পন্ডিত! তুমি পাস করেছ।

শুধু সুদর্শন সান্টিয়াগো অকৃতকার্য হয়েছে। তারা সবাই সান্টিয়াগোর দিকে অন্যমনস্ক দুঃখি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এম বার্নার্ড তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, ও কিছু না, বাছা। ও কিছু না।

সে মুহূর্তে কোথায় আছে, কী ঘটছে কিছুই স্পষ্ট টের পাচ্ছিল না জ্যাক। তারা ট্রলিবাসে বাড়ি ফিরছিল সবাই। এম বার্নার্ড বললেন, আমি তোমাদের সবার বাবা মায়ের সঙ্গে দেখা করে আসব। প্রথমে যাব জ্যাকের বাড়িতে। সবচেয়ে কাছের।

তাদের হত দরিদ্র খাবারের টেবিলের চারপাশে মহিলারা এসে ভীড় করেছেন। তার নানি, মা, রাজমিস্ত্রি বাড়ির মহিলারা, প্রতিবেশী মহিলারা সবাই। তার পরীক্ষার রেজাল্ট উপলক্ষে (?) তার মা ছুটি নিয়েছেন। শেষ বারের মতো কোলনের সুবাস নেওয়ার জন্য এম বার্নার্ডের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়েছে জ্যাক। নানি উপস্থিত মহিলাদের সামনে আনন্দে জ্বল জ্বল করছেন। নানি বললেন, আপনাকে ধন্যবাদ, এম বার্নার্ড, অনেক ধন্যবাদ। এম বার্নার্ড জ্যাকের মাথায় আদরের হাত রাখলেন।

তিনি বললেন, আমাকে আর দরকার হবে না তোমার। এখন অনেক শিক্ষক পাবে। তারা আমার চেয়ে অনেক জানাশোনা। তবে তোমার তো জানাই থাকবে আমি এখানে আছি। যখন যে দরকার পড়বে চলে এসো। একথা বলেই এম বার্নার্ড বের হয়ে গেলেন। জ্যাক একাকী মহিলাদের মধ্যে পরিত্যক্ত হয়ে শেষে দৌড়ে জানালার কাছে গিয়ে বাইরে তাকাতেই এম বার্নার্ডকে দেখতে পেল। তিনিও যেতে যেতে জ্যাকের দিকে ফিরে তাকিয়ে শেষ বারের মতো হাত নাড়াতে লাগলেন। জ্যাক বুঝতে পারল, তিনি তাকে একাকী রেখে চলে যাচ্ছেন। সফলতার আনন্দ যেন বিশাল এক বেদনায় বালক জ্যাকের হৃদয় মুচড়ে দিয়ে যাচ্ছে। সে আগেই বুঝতে পারছে তার এই সাফল্য দারিদ্রের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ থেকে তার শিকড় উপড়ে ফেলছে। দারিদ্র তাদের জীবনে পরিবার আর সমাজেরই আরেক রূপ। সেখান থেকে তার এই সাফল্য তাকে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে অচেনা এক জগতে। সেখানেও শিক্ষক পাবে সে। তার বিশ্বাস তারা আরো বেশি জানাশোনা। কিন্তু এম বার্নার্ডের সর্বজ্ঞ হৃদয় তাদের কারও থাকবে না। তাকে এখন সবকিছু বুঝতে হবে, জানতে হবে একাকী। তাকে উদ্ধারকারী এম বার্নার্ডের মতো কারও সাহায্য সেখানে পাওয়া যাবে না। বড় হতে হবে একাকী, নিজেকে গড়ে তুলতে হবে একাকী এবং তার বিনিময়ে দিতে হবে সবচেয়ে বড় মূল্য।

চলবে...

 

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

 

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউজিসি থেকে বরাদ্দ পাওয়া যাবে ৬৯ কোটি টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সোমবার (৩০ জুন) প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে সিন্ডিকেট এর ১০৪তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এই বাজেট উপস্থান করেন। একই সঙ্গে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের সরকারি বরাদ্দের ভিত্তিতে ৭৫ কোটি ৬৯ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করা হয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট চাহিদা ৯২ কোটি ৭০ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা হলেও প্রায় ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বাজেট ঘাটতি নিয়েই পাশ হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট।

পাশকৃত বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই খাতে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। এছাড়া মোট বাজেটের ৬২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ। পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, গবেষণা অনুদান খাতে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে মূলধন খাতে।

বাজেট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, '২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে বাজেট ছিল এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা, সেখান হতে আজকের বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ৭৬ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। আশার কথা হলো গত বছরের তুলনায় নিজস্ব অর্থায়ন হ্রাস করে সরকারি অনুদান বৃদ্ধি করা গেছে। ভবিষ্যৎ-তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক চাহিদা অনুযায়ী সর্বমোট বাজেট বৃদ্ধি পাবে।'

তিনি আরো বলেন, 'ইউজিসির বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত। তবে সংশোধিত বাজেটে ইউজিসির সাথে আলোচনা করে বাজেট আরও বৃদ্ধি করা হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী বলেন, 'সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে বাজেট ব্যয় করা হবে।'

Header Ad
Header Ad

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ খালি রয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০২৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এর বিপরীতে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯১ জন কর্মরত আছেন; খালি আছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ।

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৭টি, ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি, ২০২০ সালে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫ এবং ২০২১ সালে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি, ২০২২ সালে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টি এবং ২০২৩ সালে ৪ লাখ ৭৩ হাজার একটি পদ ফাঁকা ছিল।

এখন সরকারি চাকরিতে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের (আগের প্রথম শ্রেণি) ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৭টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন এক লাখ ৯০ হাজার ৭৭৩ জন। ফাঁকা আছে ৬৮ হাজার ৮৮৪টি পদ।

১০ থেকে ১২তম গ্রেডে (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৮৯টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৬ জন। ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ১৬৬টি পদ।

১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডে (আগের তৃতীয় শ্রেণি) ৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৪টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৫ জন। ফাঁকা আছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৯টি পদ।

অন্যদিকে ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডে (আগের চতুর্থ শ্রেণি) ৫ লাখ ১৯ হাজার ৮১২টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৭৭ জন। ফাঁকা রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৩৫টি পদ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত ও অন্যান্য কাজের জন্য ১৬ হাজার ১১৬টি পদ থাকলেও এসব পদের বিপরীতে কাজ করছেন ৭ হাজার ৮৯০ জন। ফাঁকা রয়েছে ৮ হাজার ১৩৬টি পদ।

প্রথম থেকে ১২তম গ্রেডের গেজেটেড পদগুলোতে নিয়োগ দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আর ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ৬ হাজার ৬৪টি এবং অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে ২ লাখ ৯৬ হাজার ১১২টি পদ ফাঁকা রয়েছে। আর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৫ হাজার ২৯টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ৫১ হাজার ১৫টি পদ।

Header Ad
Header Ad

পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার

ছবি: সংগৃহীত

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) সদস্যদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘পুলিশ পরিচয়ে’ ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কমিশনার মো. মজিদ আলী। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আচরণ সর্বক্ষেত্রে পেশাদার ও সংবেদনশীল হতে হবে।

সোমবার (৩০ জুন) আরপিএমপির মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ কমিশনার এই নির্দেশনা দেন।

কমিশনার বলেন, "পুলিশ সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের পেশাগত পরিচয় ব্যবহার করতে পারবেন না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে।"

তিনি আরও যোগ করেন, সদস্যদের অনলাইন জিডি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে, যাতে জনগণ আরও দ্রুত ও কার্যকর সেবা পায়।

সভায় কমিশনার মজিদ আলী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, দায়িত্ব পালনে সতর্কতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখা জরুরি। পুলিশ সদস্যদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, "পুলিশের দায়িত্ব শুধু আইন প্রয়োগ নয়, এটি একটি জনসেবামূলক পেশা।"

সভায় আগের মাসের কল্যাণ সভায় উত্থাপিত বিভিন্ন সমস্যা ও সুপারিশের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। অনেক বিষয় সমাধানের নির্দেশও দেন কমিশনার।

এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) নরেশ চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) সফিজুল ইসলাম, উপপুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) হাবিবুর রহমান, উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) তোফায়েল আহম্মেদ, এবং উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুর রশিদ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প
আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন ‘আইনটা দেখিনি’
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন: মির্জা ফখরুল
বিপিএলে নোয়াখালীর অভিষেক, আসছে ‘নোয়াখালী রয়্যালস’
হোটেল থেকে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্তে যা জানা গেল
আমাদের ডিভোর্স হয়নি, হিরো আলম অভিমান করেছিল: রিয়ামনি
সরকারি উদ্যোগেও কমেনি ইলিশের দাম, খালি হাতেই ফিরছেন ক্রেতারা
মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে সব লেনদেন
বিরামপুরে ১৭০তম সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন