শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩৯

নেই দেশের নাগরিক

‘নাহ, এখন গাঢ় অন্ধকার তো, তাই আর কি।’ আলগোছে বলল সাদ্দাম।
‘জীবনের অন্ধকারের থেকে কি ঘরের অন্ধকার বেশি গাঢ়? বেশি ভয়ানক?’
‘না, তা নয়।’ হাত কচলায় সাদ্দাম।
‘তবে?’ গলায় বাজ পড়ে আতিফের। তারপর খ্যাঁকানি দিয়ে বলে ওঠে, ‘বালিশে মাথা রেখে ঘুমোনোর জন্যে আমাদের জীবন নয়? আমাদের জীবন জ্বালানির মতো। সুযোগ পেলেই জ্বলে উঠতে হবে।’

চুপ মেরে যায় সাদ্দাম। বুঝতে পারে, আতিফ এখন আবেগে এসব বকছে। নিজের পরিবার তো। নিজের গর্ভধারিণী মা, জন্মদাতা বাপ, সহোদর ভাই যখন ব্যাপারটার সাথে জড়িয়ে তখন আবেগ থাকবেই। থাকাটাই স্বাভাবিক। সেও তো রক্ত-মাংসের মানুষ। সে তো আল্লাহর নুরের দ্বারা তৈরি কোন ফেরেশতা নয়। সাদ্দাম ভাবে, আতিফকে আর রাগানো ঠিক হবে না। সে যা বলছে তাইই করতে হবে। একবার পথে বেরোলে বুঝতে পারবে, ঠেলা কাকে বলে। ‘তিড়িং’ করে খাটিয়া থেকে নামল সাদ্দাম। বলল, ‘ঠিক আছে, চল, এখনই চল, দেখি কী করতে পারি।’
‘তুই ফোনে ফোনে বোট’টার ব্যবস্থা করতে পারিস কি না দেখ।’
‘এত রাতে কাউকে ফোনে পাব না।’

‘আগে ফোনটা করেই দেখ না ক্যানে।’ কণ্ঠ চড়াল আতিফ। প্লাস্টিকের মোড়কে জড়ানো মোবাইলটা মোড়ক থেকে বের করে কোথাও ফোন লাগাল সাদ্দাম। কানে কিছুক্ষণ ঠেসে ধরে থাকল। ‘সুইচঅফ’। কলটা কেটে দিয়ে অন্য একজায়গায় ডায়াল করল। নাহ! এটাও সুইচঅফ! মুখটা বাংলা পাঁচের মতো করে বলল, ‘নাহ, কাউকেই পাচ্ছি নে! সব ‘সুইচঅফ’।’
‘কোনো বিকল্প পথ?’
‘বিকল্প পথ’! আতিফের আবদার শুনে খচে উঠল সাদ্দাম। মনে বিড়বিড় কাটল, হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমি তো একেবারে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, যে সব পথ আমার জন্যে খোলা? এটা কি আমার মগের মুলুক না বাপের জমিদারি? যে ইচ্ছে করলেই সব কাজ আপনা আপনি হয়ে যাবে? আরে বাবা, আমি হলেম কি একজন ঘরপোড়া উদ্বাস্তু। পরের মুলুকে কোনোক্রমে ঠাঁই নিয়েছি। আমি কি এখানকার জায়গির নিয়েছি? আরে, কাজের হাল্কা কঠিনও তো আছে। সম্ভব অসম্ভব আছে। যেটা আমার দ্বারা সম্ভব নয়, সেটাই আমাকে জোর করে করতে বলছে! বিজিবি’র ঠ্যালা তো খায়নি? একবার খেলে টের পেত, ঠাপের নাম বাবাজী কাকে বলে।

‘কোনো পথ নেই।’ কথায় গরম বাষ্পের ঠেলা দিয়ে বলল সাদ্দাম।
‘তুই কিন্তু রেগে যাচ্ছিস, সাদ্দাম।’ সাদ্দামের কথার ঝাঁঝ শুনে বলল আতিফ।
‘আরে না না, রাগব কেন? এতে রাগারই বা কী আছে। তোর কাজ মানেই তো আমার কাজ। তোর পরিবার মানেই তো আমার পরিবার।’ রাগটাকে ধামা চাপা দিয়ে ‘আমি তো তোরই লোক’ গোছের কথার প্রলাপ করল সাদ্দাম। সে পরনে ছাই রঙের একটা ফুলপ্যান্ট পরতে পরতে আরও বলল, ‘নয়াপাড়া চৌকি হয়ে যেতে হবে। ওখানে বাংলাদেশ নেভির এক মেজর আমার খুউব ঘনিষ্ট। তাকে পটিয়ে পাটিয়ে একটা স্পিডবোট ম্যানেজ করতে হবে। তবে এজন্যে আমাদের একটা পাপ কাজ করতে হবে।’

‘পাপ কাজ! মানে?’ চোখ কপালে আতিফের।
‘মানে, কাজটা খুবই সহজ। আবার কঠিনও।’
‘হেঁয়ালি মারিস ন্যা। খুলে বল।’
‘হেঁয়ালি আর কী মারব। যেটা বাস্তব সেটা বলছি।’
‘কাজটা কী?’ উতসুক হয়ে ওঠে আতিফ। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় খাড়া হয়ে ওঠে তার।
‘একটা মেয়ে জোগাড় করতে হবে।’ আমতা আমতা করে বলল সাদ্দাম।
‘মেয়ে! মেয়ে কী হবে!’ আকাশ থেকে পড়ল আতিফ।
‘মেয়ে আবার কী হয়। মেয়ে যা কাজে লাগে তাই।’ আলগোছে বলল সাদ্দাম।
‘তার মানে তুই বলতে চায়ছিস ওই নোংড়া কাজ। ছিঃ! ছিঃ সাদ্দাম! ছিঃ!’ কিছু একটা আন্দাজ করে ছিছি করে ওঠে আতিফ।
‘দেখ, যুদ্ধে মেয়েদের শরীরও একটা অস্ত্র। আর এটা কোন যুগে ছিল না, বল?’
‘ছলনা কপটতা করে যুদ্ধ জয় হতে পারে, কিন্তু মানুষের মন জয় করা যায় না।’
‘মানুষ থাকলেই তো মানুষের মন জয় করবি? যাদের কথা বলছি, তারা আর মানুষ নেই। ক্ষমতা আর টাকায় অমানুষ হয়ে গেছেন।’

‘তাই বলে এক মায়ের শরীরের বিনিময়ে আরেক মায়ের শরীর উদ্ধার! অসম্ভব। এ হারাম কাজ। এ আমি হারগিজ মেনে নেব না।’ কণ্ঠ বাজিয়ে বলল আতিফ। তারপর ফিসফিস করে বলল, ‘শরীরের বিনিময়ে শরীর! এক নারীর বিনিময়ে আরেক নারী উদ্ধার! ছিঃ!’
‘এ ছাড়া কোনো উপায় নেই। ওই মেজর নারীর শরীর অথবা টাকার থলে ছাড়া কাউকে ভিড়তে দেবেন না। এই রাতে একমাত্র উনিই ভরসা ছিলেন। সেটা যদি বাতিল করি, তাহলে সাঁতার কেটে নদী পেরোতে হবে। সেটাও সম্ভব নয়।’ হাত-পা ছেড়ে নিজের কথা নিজেই ঢিলা দিল সাদ্দাম। আতিফ থপাস করে অন্তরফাটা টুলটায় বসল। এবার টুলটা একটু জোরে ‘ক্যাঁচ’ করে কেঁদে উঠল। আতিফের মনটাও কেঁদে উঠছে। তার অন্তরও যে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। যন্ত্রণার পেরেক বিষ মেখে অনবরত হাঙছে হৃদয়। যে হৃদয়ে এখন ঠোকর খাচ্ছে পরিবার পরিজন ফিরে পাওয়ার আকুতি। হৃদয়ের দেওয়ালে, ঠক্কর খাচ্ছে সাদ্দামের নোংড়া প্ল্যানিংটা। চোখ ঘোলা হয়ে আসছে তার। খিজিবিজি করছে মাথা। নারীর শরীরকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে তার কুন্ঠাবোধ হচ্ছে। সে ভালই জানে, নারীর শরীর যুগযুগ ধরে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু এ যে কাবিরা(বড়) গুনাহর কাজ। সারাজীবন জাহান্নামে থাকতে হবে। কিন্তু স্পিডবোট ছাড়া তো এত অল্প সময়ে নাফ নদী হন্যতন্য করে আব্বাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। এই দুঃসময়ে স্পিডবোটটাও যে খুবই দরকার। দোলাচলে পড়ে গেল আতিফ। মনের চিন্তনে দোটানার মন্থনে একটু একটু করে উঠে আসে আপনজনের টান। মন গাহায়, এই গণনিধনে কত মেয়েই তো ধর্ষিতা হয়ে মারা গেল, কত নারীর যৌবন নেকড়ের মতো ছিঁড়ে খেল বার্মিজ সেনারা। কত শরীর কত মানুষের খাবার হল। সেখানে আরও একটা মেয়ে না হয় আরও ছ ছটা মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্যে তার শরীরকে একটা পুরুষের কাছে কিছুক্ষণের ভোগের জন্যে বন্ধকই না হয় দিল। এতটুকু একটা ভিটেমাটির জন্যে কত তাজা প্রাণ ঝরে যাচ্ছে। আর এ তো শরীরের কিছুটা এঁটো যৌবন কিছুক্ষণের জন্যে চেটেপুটে খেতে দেওয়া। কিছুটা ইজ্জত যাচ্ছে, প্রাণ তো আর যাচ্ছে না? আর সে এঁটো ইজ্জত কেউ তো আর বাহির থেকে দেখতে পাচ্ছে না? তাছাড়া অনেক মেয়েই তো আছে যারা টাকার বিনিময়ে ইজ্জত বিক্রি করে। সে আমার আপত্তি থাকলেও করবে, আপত্তি না থাকলেও করবে। রক্তের টানের কাছে ধর্মের টান আলগা হয়ে আসছে আতিফের। পাপবোধের জায়গাটা একটু একটু করে ঢিলা হয়ে আসছে। যে হৃদয়ে এতদিন পুণ্যের চাষ করে এসেছে, সেই হৃদয়েই বপন করছে পাপ। ঘাড় থেকে নিচের দিকে মাথা ঝুলিয়ে ফিস করে বলল, ‘এত রাতে মেয়ে কোথায় পাবি?’

এই তো! বগা এবার ঠিক লাইনে ভিড়েছে। যে জোয়াল কাঁধে দিয়েছি তাতে না ভিড়ে উপায় আছে? মনে মনে বলল সাদ্দাম। তারপর চোখ উল্টিয়ে সাদ্দাম বলল, ‘সে তোকে ভাবতে হবে না। এই শিবিরে ওসব গাঢ়ি গাঢ়ি। সব খুইখুই করে বেড়াচ্ছে। একটা টোপ দিলেই হল। খপ করে বড়শিতে আটকে যাবে।’
‘এই শিবিরে!’ চোখে বিস্ময় আতিফের।
‘হ্যাঁ, এই শিবিরে। এই নয়াপাড়া রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু শিবিরে।’
‘আমাদের ভিটেমাটি ছাড়া মেয়েরা এসব কুকাজ করছে!’
‘কেন করবে না? পেট তো সবারই আছে নাকি? এখানে শরীরের খিদের থেকে পেটের খিদে মারাত্মক। এরা শরীরের খিদে বেঁচে পেটের খিদে মেটায়। ইজ্জত বিক্রি করে পেটের খোরাক জোগায়। আরে, শরীরের জানটাকে তো বাঁচিয়ে রাখতে হবে নাকি? জান না থাকলে, আর ইজ্জত রেখে কী লাভ। পেট বাঁচলেই তো ইজ্জত বাঁচবে?’
‘খদ্দের কারা?’ উৎসাহ বাড়তে থাকে আতিফের।
‘আমরাই। এই শিবিরে থাকা মানুষরাই।’
‘মানে, আমাদের রোহিঙ্গা পুরুষরা?’
‘হ্যাঁ, তবে শুধু রোহিঙ্গারা একা নয়, বাংলাদেশিরাও আছেন।’
‘রুজগার কেমন হয়?’ গোয়েন্দার মতো প্রশ্ন করে আতিফ।
‘যার যেমন ডিমান্ড, তার তেমন। গতর দেখে আয়।’
‘এই মেয়েদের সংখ্যাটা কেমন?’
‘তা না না করেও শ-খানেক তো হবেই। আর ভেতরে ভেতরে আরও কত আছে কে জানে। কেন তোর অত আগ্রহ কেন? এক্ষুনি যে আমাকে ছিছিক্কারি করছিলি?’

সাদ্দামের কথার কোনো উত্তর দেয় না আতিফ। সে সাদ্দামের কথায় অন্য এক অংকের মারপ্যাঁচে পড়ে যায়। এক অন্য হিসেব তার মাথাটাকে নাড়িয়ে দিচ্ছে। কুরে কুরে খাচ্ছে তার হৃদয়। তার দেশের মেয়েদের ইজ্জত বাঁচানোর জন্যে নিজের দেশ ছেড়ে এ দেশে পালিয়ে এসে, পেটের তাগিদে সেই ইজ্জতই বিক্রি করতে হচ্ছে! এ তো বিড়ালের হাত থেকে বাঁচতে বাঘের খপ্পরে পড়া! এ জাতি তো নিজের পাপের ভারেই ধ্বংস হয়ে যাবে! ওই জন্যেই মনে হয় আল্লাহ, এত ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় দিলেন। এ তো এক ধরনের আল্লাহর গজবই। আর আমাদের জাতভাইয়েরাও হয়েছে এক একটা নরপিশাচ। শয়তানের বিছন। এত ঠেলা খেয়েও মনের ভেতরে পুষে রাখা পশুটাকে মেরে ফেলতে পারছে না! পাশবিক হৃদয় নিয়ে কী দরকার ছিল নদী পেরিয়ে এদেশে আসা? ওদেশে গুলি খেয়ে মরলেই তো পারত? নদী পেরিয়ে আসার সময় নৌকো উল্টে ডুবে মরে যায়নি কেন? মাঝ নদীতে কেন নেমে আসেনি আল্লাহর গযব? এসব খবিষের দল কেন যে এখানে এসে জায়গা দখল করে বসে আছে! ভেতরে রাগে ক্ষোভে টগবগ করে ফুটতে থাকে আতিফ। তার রগ-রক্ত তীর হয়ে বেরিয়ে আসছে। ইটভাটার তপ্ত চিমনির মতো গনগন করছে শিরা-ধমনি। চোখ মুখ দিয়ে গলগল করে বেরিয়ে আসছে সে আগুনের গরম ধোঁয়া। এবার ‘ভক’ করে একটা লেলিহান শীখা বেরিয়ে এল, ‘এই খদ্দেরগুলোকে নজরে রাখ, সব শালাকটাকে জবেহ করব। এইসব কাফেরদের আগে জবেহ না করতে পারলে কীসের জেহাদ? কীসের মুজাহিদ? শালোরা মদ্দা হনুর মতো নিজের স্বজাতিকেই খেয়ে নিচ্ছে! এ তো নিজের গায়ে নিজের থুথু ফেলা! ছিঃ!’ ঘৃণায় গা হাংলিয়ে ওঠে আতিফের। পাশের তাক’এ রাখা জগ থেকে ঢকঢক করে জল ঢালে গলায়। গলাটা বাঁশের চাঁচির মতো শুকিয়ে গেছে। জল পান করার পর ‘ঠক’ করে জগটা যেখানে ছিল সেখানে রেখে দিল। বাঁশের চাটাইয়ের ঘুপসি ঘর। ঘর না বলে চট-চাটাইয়ের ছাউনি বলায় ভালো। মাথার ওপরে বাঁশের ডাপের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে বাঁধা কালো রঙের একটা ত্রিপল। পশ্চিম দিকের একটা দেওয়ালে কাঠ দিয়ে বানানো দেড় হাত লম্বা দুটো তাক। নিচের তাকে কমলা রঙের মুখ চ্যাপ্টা একটা জলের জগ, একটা স্টেনলেসস্টিলের গিলাস আর কয়েকটা বাসনপত্তর। আর ওপরের তাকে থাক থাক করে সাজানো কয়েকটা বই। সব ওপরে রেহেলের ওপর যত্ন করে শুইয়ে রাখা একটা কোরআনশরীফ। পুবদিকের দেয়াল হেলে টাঙ্গানো একটা টার। তাতে ঝুলছে কিছু পোশাক আশাক। সাদ্দামের ‘উঠ বললে চট বগলে’র সংসার। কক্সবাজারেও সাদ্দামের একটা আস্তানা আছে। সেখানেও সে প্রায়শই ঘাঁটি গেঁড়ে থাকে। আর জে এফ’এর কাজে তাকে কখনো কক্সবাজার কখনও এই নয়াপাড়ায় রাত কাটাতে হয়। সাদ্দামের ‘মানুষকে মগজ ধোলাই করার’ টেকনিক এবং বুদ্ধি প্রখর। সে এই অল্প সময়েই এই চত্বরের প্রশাসনের অনেককে হাত করে ফেলেছে। কাকে কোন টোপ দিলে খাবে, তা তার ভালো ভাবেই জানা। সেভাবে চাড় তৈরিতেও সে সিদ্ধহস্ত। এই এলাকার সব লটঘটের খবর রাখে সে। এই জোনে আর জে এফ’এর সব ফন্দিফেউর’এ তার মগজ থাকে। সাদ্দাম আর জে এফ’এর একটা শক্তিশালী হ্যান্ড। তার যখন জন্ম হয়, তখন ইরাক দেশে সাদ্দাম হুসেনের বিশাল দাপোট। সাবেক রাষ্ট্রপতি সাদ্দাম হুসেন তখন বিশ্বজুড়ে মুসলিম দুনিয়ায় একটা বীরত্বের নাম। ফাতাংজার এই সবকত হুসেন তার সদ্য জন্মানো তৃতীয় পুত্রের নাম রাখলেন ‘সাদ্দাম হুসেন।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

Header Ad

টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

নির্মাণাধীন ভবন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিরাপত্তা বেষ্টুনীবিহীন একটি ভবনে কাজ গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে বাবুল মিয়া বাবু (৫৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার মাইজবাড়ী এলাকার গুটু মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ভূঞাপুর পৌর শহরের ফসলআন্দি এলাকায় সাংবাদিক আসাদুল ইসলাম বাবুলের তিন তলা ভবনের নিচের একটি ড্রেনে পড়ে গিয়ে তিনি মারা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াহেদুজ্জামান পলাশ জানান, জুয়েল নামে এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন বাসায় কাজ করছিলেন ওই নির্মাণ শ্রমিক। কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ পা ফসকে ভবনের চার তলা ছাদ থেকে নিচের একটি ড্রেনে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে তার সহকর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, নির্মাণাধীন এই ভবনের কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল না। নির্মাণ শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে আসছিলেন। নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় এর আগেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

অভিযোগ উঠেছে, থানা পুলিশকে না জানিয়ে কৌশলে ভবনের মালিক জুয়েল হাসপাতাল থেকে তার লাশ নিয়ে যায়।

ভবন মালিক জুয়েল বলেন, নির্মাণ শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের সাথে সমঝোতা হয়েছে। পরিবারকে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হবেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, এ বিষয়ে কেউ অবগত করেনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজিবুল ইসলামকে (বাপ্পি) সভাপতি ও সজল কুণ্ডুকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অনুমোদন দিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ কমিটির অনুমোদন দেন।

কমিটি অনুমোদন দিয়ে এতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'স্মার্ট বাংলাদেশ', 'স্মার্ট মহানগর' বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো।

ঘোষিত কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন কাউসার আহমেদ (ইমন), সৈয়দ ইমরান হোসেন, মো. নাজমুল হোসেন, উবায়দুর রহমান লিও, নিবাস মজুমদার, রেহানুল হক রাফি, রাজীব সাহা, আবু তালিম ভূইয়া, আরাফাত হোসেন মারুফ, মো. হাসিবুল আলম পুলক, শাখাওয়াত হোসেন আরেফিন, মো. শাকিল তালুকদার, আহমেদ আলী রেজওয়ান, সালমান রহমান (আশরাফ), আদনান আইয়ুব, মো. রিয়াজ মোল্লা, শাহজালাল শাহীন, ইশতেফাক হক (ইফাজ), সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (নিবিড়), কাজী জাহিদুল ইসলাম রাজন, মাশরুফ বিন নেসার শান, মো. শাহরিয়ার শাওন, মো. আক্তার হোসেন, মো. বিপ্লব খান,নাইমুল ইসলাম নোমান, নাজমুল হাসান প্রিন্স তালুকদার, সারোয়ার হোসেন, ফারকিলিত সাফাক-ই-আরফাকসাজ, আনিসুর রহমান আনিস, জুটন চন্দ্র দাস,মাহমুদুল হাসান (ইমন)।

এছাড়াও সহ-সভাপতি হিসেবে আরও আছেন, মাজেদুল মজিদ মাহমুদ (সাদমান), সাদি মোহাম্মদ সৈকত, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ রাজু, রাকিবুল ইসলাম শাওন, মো. ফজলে রাব্বি, সোহানুর রহমান সোহান, ওহিদুল ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান, তানভীর আহমেদ, রুবেল মাহমুদ, সাব্বির বিন ইসলাম, মাসুদ রানা, মো. আবু ইউসুফ হৃদয়, আশিক মাহমুদ, মো. নুরুদ্দিন হাওলাদার, মাহমুদ হাসান জিল্লু, মো. ইনজামুল ইসলাম (আকিব), সোহেল রানা, আব্দুল্লাহ আল-হাসান, আহমেদ সারোয়ার স্বচ্ছ, মো. কামরুজ্জামান ইফতি, আরাফাত হোসেন রনি, মো. ইমরান হোসেন, সিফাত হোসেন, শেখ কোরবান ইসলাম, আব্দুল্লাহ আশিক, এফ এম সাইফুজ্জামান সজিব, মো. শামীম খান, বখতিয়ার শিকদার বাপ্পি, সুজন দাস, মো. তাবারক হোসেন (বিপ্লব), বাবু দাস, মো. ইমরান হোসেন পাভেল, জবিউল্লাহ শান্ত, বিশ্বজিৎ হাওলাদার জিৎ, ফেরদাউস আনসারী, নাইমুর রহমান দুর্জয়, জহিরুল ইসলাম খান তুহিন, মেহেদী হাসান রাজু, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, আল আমিন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাগর (সানাফ), সৈয়দ মুক্তাদির সাদ, সৌরভ দেব নয়ন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবিয়াজ সাজেদ, নয়ন শিকদার, কাজী তানবীর হোসেন, মাহবুব আলম মাহিব, রফিকুল ইসলাম রাসেল, ইয়াসির আরাফাত, আক্তারুজ্জামান মান্না।

সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন, সাকিব হোসাইন, শাকিল হোসেন (জীবন), আরমান মাহমুদ তুষার, রহমান ইকবাল (ইকু), জোবায়েদ সাদাফ সাজিদ, দিপ্ত কুন্ডু, জাহিদুল ইসলাম দিপু, মো. রাকিব হোসেন, নাইমুল ইসলাম, মো. সাইদুল ইসলাম জনি, মো. রাহাত হোসেন রাব্বি।

প্রচার সম্পাদক হয়েছেন হামিম খান কাজল। উপ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছেন আরিফুল ইসলাম, এরশাদ হোসাইন, এম আহসানুর রহমান ইমন, এম এস আর সবুজ, মাহবুব আলম খান তনিম, মুনতাসির রাফি।

দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে মো. সাকিব আল হাসান (রাজিব) কে। উপ-দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন নাঈফুজ্জামান কোতোয়াল, শিমুল রায়, জুনাইদ বোগদাদী প্রধান, রাইসুল আলম ইসতিয়াক, শফিক বেপারী, কাজী রাকিব হোসেন।

গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মীর মোহাম্মদ সাইকুন আলী শান্ত। উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মোকারোম হোসাইন রুদ্র, মো. জনি ইসলাম, জুয়েল রানা, মো. মারজুক হোসেন ভুবন, মারুফ বিল্লাহ ও জাফরুল ইসলাম (লিটন)।

শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক করা হয়েছে শাহাদাত মাহমুদ সাকিবকে। উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হয়েছেন মো. জিন্নাত হোসেন, সাব্বির হাওলাদার, প্রতীম বিশ্বাস, রোহান আহমেদ, আহসান হাবিব ইমরান।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন তমাল পাল। উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক করা হয়েছেন এইচ. এম. আমিনুল, নীলপদ্ম রায় প্রান্ত, স্বপন চৌধুরী, রাহুল কুমার ভৌমিক, সোহেল জামান রাকিব।

সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন শাকিল আহমেদ হৃদয়। উপ-সমাজসেবা সম্পাদক করা হয়েছে শেখ মেহেদী হাসান, মাসুম বিল্লাহ, সাদ্দাম হোসেন সাদমানকে। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন মো. আবু হোসাইন। উপ-ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন নাঈম ইসলাম দুর্জয়, তারিকুল ইসলাম অপু, সজল হাওলাদার, মো. নূর নবী (রাঈদ), সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, আব্দুল্লাহ সাবিত আনোয়ার চৌধুরী।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহ আলম বিজয়। উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহরিয়া ইসলাম জয়, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, শেখ মুহাম্মদ নাঈম উল ইসলাম, ওয়াহিদুল ইসলাম নিশান, সৈয়দ লামমিম হাসান নিলয়। পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন সাফায়েত খন্দকার সিয়াম। উপ-পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন ইমতিয়াজ আহমেদ ইমরান, ফয়সাল আহম্মেদ তমাল, মাহমুদুল হাসান তুষার।

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন হাবিবুর রহমান শাকিল। উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন ফয়সাল আহমেদ ভুবন, সাবের হোসাইন, মুরসালিন সরকার। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সোহাগ রানা। উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সুরুজ ফরাজী, গোলাম রাব্বি সিকদার শফিউদ্দিন মাহমুদ তুষার, আখিয়ারুল ইসলাম আফিক।

আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান (নাহিদ)। উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন কাজী জার্জিস বিন এরতেজা, মো. মঈন হোসেন (সজীব), মো. জুবায়ের হোসেন শেখ রওনক আহমেদ, আরিফুর রহমান ফাহাদ, নওফেল হামিদ জয়। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইরফান আহমেদ বাধন। উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. রাব্বী হোসেন, সজীব হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম।

স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. আরাফাত উল্লাহ। উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আহসানুল্লাহ সজীব, নিয়ামাল ওয়াকিল, নিবিড় হাসান, মো. ফয়সাল রাব্বি। বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবরার খান তাহমিদ। উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবু কাওসার, মো. তানভীর আহমেদ বাপ্পি, মো. জিসান হাওলাদার, মো. ওয়ালিউল।

দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু

দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের হাকিমপুরে গরুবোঝাই ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের থাকা দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। এর আগে, সকালে ঘোড়াঘাট উপজেলায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকের চালক ও সহকারীর মৃত্যু হয়।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে বিরামপুর-হাকিমপুর আঞ্চলিক সড়কের ডাঙ্গাপাড়া বাজারের উত্তর পাশে হাকিমপুর - বিরামপুর উপজেলার জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে ভোরে ঘোড়াঘাট উপজেলার দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের টিএন্ডটি মোড় এলাকায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই মোটরসাইকেল আরোহী হলেন- নবাবগঞ্জ উপজেলার কুমারপাড়া গ্রামের ধীরাজ কুমার ছেলে ধীমান কুমার ঘোষ (৩০) ও একই উপজেলার দাউদপুর এলাকার আনারুলের ছেলে আরিফ হোসেন (৩৫)।

হাকিমপুর থানা পুলিশ জানায়, দুপুরের দিকে মোটরসাইকেল যোগে হাকিমপুর থেকে দুই বন্ধু বিরামপুর যাবার পথে হাকিমপুর উপজেলার শেষ সীমানায় গরু বোঝাই ভটভটির সাথে মোটরসাইকেল ধাক্কা খেয়ে পাকা রাস্তায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়।

নিহত ধীমান কুমার ঘোষ এর মামা হাকিমপুর হিলি পৌরসভার বাসিন্দা স্বপন কুমার বলেন, আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে মোবাইল ফোনে আমাকে ভাগিনা ধীমান কুমার বলেন, মামা আমি জরুরি কাজে হিলি আসছিলাম তাই আপনার সাথে দেখা করতে পারলাম না। এর কিছুক্ষণ পরে দুর্ঘটনার খবর শুনতে পাই এবং হাসপাতালে এসে দেখি আমার ভাগিনা মারা গেছে।

হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. দুলাল হোসেন জানান, দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেলের আরোহীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গরুবাহী ভটভটি জব্দ করে থানায় এবং নিহতদের হাসপাতালে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি না থাকায় লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ভটভটি চালক পলাতক রয়েছে।

এদিকে ঘোড়াঘাট উপজেলায় মালবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার দিনাজপুর -ঢাকা মহাসড়কের ঘোড়াঘাট টিএনটি মিশন মোড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ট্রাকচালক গোলাম রাব্বি (৪৫)। সে জয়পুরহাট জেলা সদরের আমদই এলাকার মমতাজের ছেলে। তার সহযোগী রেজোয়ান ইসলাম (২৮) একই এলাকার চৌমুহনীর বাসিন্দা।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা ভুট্টাবোঝাই ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট-২০৬৬৪৯) সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা দিনাজপুর শহরমুখী সারবোঝাই ট্রাকের (ঝিনাইদহ-ট-১১১৬৪৬) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা সকালে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ২ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছি।’

ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. সা-আদ আস সামস বলেন, ‘সকালে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ২ জন রোগীকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে।’

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উপজেলার টিএনটি মোড় এলাকায় ভুট্টা ও সারবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা ভুট্টাবোঝাই ট্রাকটিকে দিনাজপুর শহরমুখী সারবোঝাই একটি ট্রাক সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ভুট্টাবোঝাই ট্রাকের চালক ও সহকারীর মৃত্যু হয়। ট্রাক দুটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রিকশাচালক নিহত, আটক ১
ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের ভেতরে আগুন
৭৬ বছরের তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভাঙল, জানা গেল বৃষ্টির তারিখ
ফিলিস্তিনি মৃত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি আর বেঁচে নেই
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শ্রীময়ী, দুশ্চিন্তায় কাঞ্চন মল্লিক
প্রথমবার এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবেন বাংলাদেশের জেসি
বিয়ে না দেওয়ায় মাকে জবাই করলো ছেলে
রেকর্ড তাপপ্রবাহের জন্য সরকার দায়ী: রিজভী
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, জনজীবনে অস্বস্তি
বিএনপির আরও ৭৫ নেতা বহিষ্কার
প্রেমিকার আত্মহত্যা, শোক সইতে না পেরে প্রেমিকও বেছে নিলেন সে পথ
দুই বিভাগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
অভিষেকেই শূন্য রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন রোহমালিয়া
ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে অস্ত্র ত্যাগ করবে হামাস
দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না: ওবায়দুল কাদের
কয়েক মিনিটের দেরিতে বিসিএসের স্বপ্ন ভঙ্গ ২০ পরীক্ষার্থীর
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত