শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩৮

নেই দেশের নাগরিক

“আর যদি নৌকো পাড়ে ভেড়াতে না পারে!” সাদ্দামের মুখের দিকে তাকিয়ে বলল আতিফ। সাদ্দাম এবার ফ্যাসাদে পড়ে গেল, তাই তো! তাহলে! যা ঝড় হলো তাতে নদীর ওপর নৌকো ভেসে থাকা অসম্ভব। আতিফের ফ্যাকাসে মুখের দিকে তাকাল সাদ্দাম। মুখটা ইট চাপা দেওয়া ঘাসের মতো হলুদ হয়ে গেছে। চোখে দুশ্চিন্তার কালো ছায়া। মুখের আদলে এতিম এতিম ভাব। সাদ্দাম মনে মনে ভাবল, এই মুখে কী আর মিথ্যে সান্ত্বনা দেব। সত্যি যে বড় কঠিন। বড় রুঢ়। ওর যে পরিবারকে ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনায় পুরো জল ঢেলে দিয়েছে আশ্বিনের ঝড়। পরিবারের সঙ্গে মিল হওয়ার এক আনা সম্ভাবনাও যে নেই। তবুও মনের আসল কথাটাকে জিভের তলে আটকে রেখে ওপরে ওপরে সান্ত্বনা দিয়ে বলল, “নৌকোর মাঝি যদি দক্ষ হন, আর নৌকোর কাঠামো যদি পোক্ত হয়, তাহলে এ ঝড়ে খুউব বেশি ক্ষতি করতে পারবে না।”

আতিফ ভাবল, মতি ভাই নৌকো চালনায় যথেষ্ট দক্ষ। নৌকোবাইচ প্রতিযোগিতায় ঢের কয়েকবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। নুহু ভাইও ভালোই সঙ্গ দেয়। তার হাতের বাহুতে বলদের দোম। বুকে নেকড়ের সাহস। সুতরাং মাঝি হিসেবে তারা সুদক্ষ পাল্লাদার। আর আমাদের বাড়ির ‘ঘাটবাড়ি কৌশা’ নৌকোটা একটু পুরোনো হলেও, কাঠে এখনো ঘুণ ধরেনি। রোদে জলে শুকিয়ে ভিজে এখনো সেভাবে ফাটল ধরেনি। এখনো হাতুড়ের ঘা দিলে ‘টং’ করে ওঠে। এতটুকুও টুস্কায় না। তা ছাড়া, বছর বছর নৌকোর খোলে আলকাতরা মাখানো হয়। যত্নআত্তিরের কোনো খামতি থাকে না।

যে আতিফ বাড়িতে থাকলে একবারও নৌকোয় ওঠে না। একবার মজা করেও ছুঁয়ে দেখে না। মা হালেমা ‘আমরা হলেম কি নদীর কূলের মানুষ, সাঁতার আর নৌকো না চালাতে জানলে হয়, যা শিখে রাখ’ বলে কানের কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর করলে আতিফ তিড়িংবিড়িং করে বলত, ‘জেলের ছেলে জেলে হবে কেন? লেখাপড়া শিখে চাকরি করবে। ব্যবসা করবে। গোটা বংশ সারাজীবন একই ঘাটে পড়ে থাকবে কেন?’ সেই আতিফ এখন, নৌকোর ফাঁটল খুঁজছে, নৌকোটায় কোথাও তিল পরিমাণ ঘুণ ধরেছে কি না, তা হন্যে হয়ে হাতড়াচ্ছে। নৌকোটা কতটা ঝড়ের ঝাপটা এড়াতে পারবে, তার চুলচেরা পরিমাপ করছে। একই বলে, ঘাটের ছেলে ঘাটে ফিরে আসা। যে নাড়ি কেটে পেটের ছেলে দূরে চলে গেছিল সেই নাড়ির টানেই আবার নাড়ির বাঁধনে ফিরে আসা।

বাইরের বীভৎসতা দেখে আঁতকে ওঠে আতিফ। বেশীরভাগ ত্রিপলের ঘর ঝড়-বৃষ্টিতে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে! যাকে বলে, একেবারে মাটিতে মিশে যাওয়া। চারিদিকে হাহাকার আর আর্তনাদ। এই সময়ে আশ্বিনের ঝড়টা যেন ঘা’এর ওপর বিষফোঁড়া! লোকগুলো এমনিতেই ভিটেমাটি আত্মীয়স্বজন হারিয়ে সহায় সম্বলহীন পথের ভিখিরি হয়ে গেছে, তার ওপর আবার এমন জানে মেরে দেওয়া ঝড়! আল্লাহর রহমানের রহিম হয়েও বান্দার ওপর কেন এত রুষ্ট? আল্লাহ গযব দেওয়ার কি আর জায়গা পেলেন না? পাকা ফলনে মলন দিলে যা হয়, নয়াপাড়ার এই শরণার্থী শিবিরের এখন সেই অবস্থা! মানুষ, গরু, ছাগল, ভেড়া, ত্রিপলের ঘর ঘাসপাতার মতো পানিকাদায় পুঁতে গেছে! জীবন এখানে নাক অবধি মরে কোনরকমে বেঁচে আছে। “সাদ্দাম, এখানকার শরণার্থীদের খাবারের সমস্যা কেমন?” জানতে চায়ল আতিফ। “চরম। কেউ একবেলা খেয়ে কেউ আবার অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।”

“কেন? ইউনিসেফ তো টনটন খাবার পাঠায়। সেগুলো কোথায় যায়?” “সেগুলোর সব কি আর এখানে পৌঁছায়? মাঝপথে নিশ্চয় কিছু হাপিস হয়ে যায়।” “শরণার্থীদের খাবারও চুরি! লোপাট! মানুষ আর কত নিচে নামতে পারে! ছিঃ!” “মানুষ তো জ্যান্ত মানুষকেই খেয়ে ফেলছে, আর এ তো খাবার। লোপাট তো করবেই।” “এখানে যা দেখছি, ত্রিপলেরও তো প্রচুর ঘাটতি। বহু মানুষ খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাচ্ছে।“
“নীল আকাশ হল ছাদ আর মাটি হল বিছানা। পৃথিবীর সব উদ্বাস্তুদেরই তো এই অবস্থা। না আছে মাথার ওপর ছাদ না আছে পায়ের নিচে মাটি।” “তোরা খাবারের দিকটা ব্যাপক জোর দে। এদিক ওদিক লোক পাঠিয়ে ত্রাণ সংগ্রহ কর।”

“সে পথও তো মারা। বাংলাদেশ সেনা এখান থেকে কোন রোহিঙ্গাকে অন্যত্র যেতে দেয় না। নথিভুক্তিকরণের সময় সেটা কড়া ভাবে বলে দিয়েছে।” “কেন, আগে যে সবাই এদিক ওদিক কাজ করতে যেত?” “এখন নিয়ম বদলেছে। এখন কড়াকড়ি বেশি। ঢাকা শাহবাগ চত্বরে বোমব্লাস্টের পর থেকে এই কড়াকড়িটা বেড়েছে।” “তাহলে তো কাজ করা খুবই মুশকিল। তোর কাজও কঠিন হয়ে গেছে নিশ্চয়?” “কঠিন মানে, কোন কঠিন, যাকে বলে জান হাতে করে কাজ করতে হচ্ছে। তবে দেশের জন্যে তো এটুকু করতেই হবে। আমরা তো আর নুন-তেলের মানুষ নই? আমরা হলেম গুলি-বারুদের মানুষ। জীবন তো এমনিতে যাবেই, যাবেই যখন তখন দেশের স্বাধীনতার জন্যেই যাক। ‘স্বাধীন রাখাইন রাষ্ট্র’ আমরা প্রতিষ্ঠা করবই।” সাদ্দামের বুকের সিনা কয়েক ইঞ্চি ফুলে ওঠে। চোখে মুখে জেহাদের বিপ্লবী-মন্ত্র। “রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি এখানে আসেন?”

“হ্যাঁ, শুধু কি রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি, অনেক দেশের প্রতিনিধিই এখানে আসেন। তারা এলাকা পরিদর্শন করেন। অনেকেই ত্রাণ পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান।” “শোন, মানুষের ক্ষোভকে কিন্তু কাজে লাগাতে হবে। ক্ষোভ, হিংসা, রাগ যত বাড়বে, আর জে এফ’এর সদস্য সংখ্যাও তত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে।” “সে ফরমুলা আমার জানা বন্ধু। পেটের খিদেকে আগুন বানিয়ে শত্রুর দোরে ছুড়ে দাও। মনের হিংসাকে ‘বোম’ বানিয়ে শত্রুর ডেরায় ফেলে দাও। ব্যস, কেল্লাফতে।”

“একদম ঠিক। দারুন বলেছিস। একেই বলে ‘চালাকির দ্বারা কাজ হাশিল করা’।” চোখ ঘুলিয়ে উঠল আতিফ। তারপর চোখের মণিতে টিপ করে পাতা ফেলে, মুহূর্তে ঘোমটা টানার মতো ওপরে তুলে বলল, “আচ্ছা, এখন নাফ নদীতে আছে, এমন কেউ তোর পরিচিত নেই?” “না, সেরকম কেউ নেই। তবে কাজের সূত্রে কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। এই যা। সেটাও না না করে মাসখানেক তো হয়ে গেল।” “ওদের কারও সঙ্গে কোনোভাবে কন্ট্যাক করা যাবে না?” “না না, তা কী করে সম্ভব? আমার কাছে তো ওদের কোনো ফোন নম্বর নেই।” “কন্ট্যাকটা করা গেলে খুব ভালো হতো রে!” আফসোস করে আতিফ। ধীরে ধীরে পা তুলে ত্রিপলের চাটায়ের ঘরের ভেতরে ঢুকল আতিফ। ছাপুর ঘরটার মাথার ফাঁক দিয়ে উঁকি মারছে বৃষ্টিস্নাত আধক্ষোয়া চাঁদ।

তরমুজের ফালির মতো চাঁদটা ফিনফিনে সাদা থানের মতো মেঘ কেটে কেটে যাচ্ছে। স্কুলে পড়া কবিতার লাইনটা একটু ঘুরিয়ে তার মনে ঠক করে ওঠে, মেঘ দেখে করিস নে ভয়, আড়ালে তার চাঁদ হাসে। সত্যিই আকাশ পারেও বটে এত কলা করতে! কানে রূপোর দুল আর পরনে হলুদ শাড়ি পরে খুপরি ঘরের মটকার ফাঁক দিয়ে ঘুমোতে আসছে জ্যোৎস্না। তার লাবণ্যমাখা শরীর ঝড়ে কুঁকড়ে যাওয়া ত্রিপলের ঘরটাকে মাদকাময় করে তুলছে। সঙ্গের গা কাঁটা দেওয়া হীমশীতল বাতাস সে শরীরে আরও মোহময়ী খুসবু ছড়িয়ে দিচ্ছে। মাটির সোঁদা গন্ধ সে বাতাসের ঘাড়ে ভর করে ছড়িয়ে পড়ছে ঘরময়। ডাগর ধানের শীষের গন্ধ মাটির সোঁদা গন্ধে মিশে মনের একতারায় পাগলপারা সুর তুলছে। অন্য সময় হলে আতিফ নাক ডুবিয়ে ঘাস, মাটি, ধান, কাদাপানির ঘ্রাণ নিত। শুঁকত গন্ধ। কিন্তু আজ তার উচাটন মন সেদিকে সিঁদ কাটতেই পারছে না। মনের মধ্যে পুঁতে আছে দুশ্চিন্তার ঘোর।আপনজনকে খুঁজে পাওয়ার তাড়না। মনের আকাশে এভাবে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ জমলে, ফুলকেও কাঁটা মনে হয়। চাঁদের আলোকে মনে হয় কাঠপোড়া আগুন। জীবনের সব স্বাদ তখন কষ্টে তেতো হয়ে যায়।

আতিফের ক্লান্ত শ্রান্ত চোখ আলতো করে মুদে আসতেই, বাড়ির নৌকোটার কথা ‘ধড়াক’ করে উঠল। তার মা’এর মুখটা বড্ড মনে পড়ছে। মনে পড়ছে হাড়গিলে বাপ’টার কথা। মতিভাইয়ের রোদপুড়া তামাটে মুখ। চোখ খুললেই, ফালি চাঁদের একটা মিহি আলো চোখের আয়নায় ঠিকরে পড়ল। চোখের দুই কোণ চাপা অশ্রুতে চিকচক করছে। অশ্রুর এই বিন্দু ফোটায় প্রতিবিম্বিত হচ্ছে, নাফ নদী, আশ্বিনের ঝড়, ঘাটবাড়ি কৌশা নৌকো আর আব্বা মায়েদের মুখ। অন্য সময় হলে, এভাবে কাস্তে চাঁদের আলো চোখে ঠিকরে পড়লে মনের আকাশে হেসে উঠত পূর্ণিমার মতো ভরা যৌবনের চাঁদ। আর আজ সেই একই আলোকে তার শত্রুর ছোড়া তীর মনে হচ্ছে। যে মনের আকাশে উড়ে বেড়াত লাল-নীল ঘুড়ি, সেই আকাশে এখন চরে বেড়াচ্ছে মরা খেকো শকুন। আতিফের মন কাগজের ঠোঙার মতো একটু একটু করে গুটিয়ে যাচ্ছে। দেহের বদল হতে ঢের সময় লাগলেও, মনের বদল যে মুহূর্তে হয়ে যায়। এই লাগে কাশফুলের দোলা তো ওই লাগে আগুনের ছ্যাকা। জীবন এখানে এক অঙ্কের বিয়োগ। শূন্যের গুণ। উদরে যাওয়া মলাট।

সাদ্দাম দড়ির খাটিয়াটাকে ঝেড়েঝুরে বলল, “শুয়ে পড়। রাত অনেক হয়ে গেছে।” রাত কি শুধু এই চরাচরেই হয়েছে? মনের চরাচরে তো সেই কবে থেকেই রাত হয়ে আছে। সেখানে তো শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার। সূর্যের বিন্দুমাত্র দেখা নেই। সে রাতে কতবার আছড়ে পড়েছে ‘আশ্বিনের ঝড়’ ‘কালবৈশাখী’, পাড় ভেঙে হৃদয়ের দুকুল প্লাবিত করে দিয়েছে মনের নাফ নদী। গাছপুড়া মানুষপুড়া দাবানলের আগুন দাউদাউ করে পুড়িয়ে দিয়েছে মনের বসতভিটে। সে রাতের যে সকাল হওয়ার নাম নেই! শুধু অন্ধকারেই মুখ ঢুকিয়ে বসে আছে। মনে মনে বিড়বিড় করে আতিফ। মনের দেওয়ালে আঁচড় টানে মনের কালি। মনের কথনে সুর বাঁধে যন্ত্রণার বাঁশি। মনের অন্ধকারে নেমে আসে আরও ঘন রাত। পাশের খেতি থেকে ভেসে আসছে ঝিঁঝিঁর ডাক। দূরে শিয়ালের হুক্কাহুয়া। মিহি করে ভেসে আসছে সাপের ব্যাং ধরার করুণ শব্দ। ‘ক্যাঁচ’ করে একটা শব্দ গেঙড়ে উঠল! সাদ্দাম পা তুলে শাট হয়ে শুলো খাটিয়াটার একপাশে। বালিশে রাখা মাথা ঘুরিয়ে বলল, “আয়, শুয়ে পড়। ভোর ভোর উঠতে হবে।”

“নাহ, শুব না। শুলে হবে না। এখনই রওনা দিতে হবে।” থুতনি সরু হয়ে উঠল আতিফের। ‘তড়াক’ করে উঠল সাদ্দাম। চোখে বিস্ময়। “এখন রাত কটা বাজে, জানিস? এই চত্বরে এত রাতে বের হওয়া কতটা বিপদের তা তোর আন্দাজও নেই। আমি জানি। আমি আড়াই বছর ধরে এখানে আছি। এখানকার পানি-হাওয়া কি কথা বলে, তা আমিই জানি। তুই হয়ত জানিস না, এখন বাংলাদেশ সরকার প্রত্যেক রোহিঙ্গার পায়ে সন্দেহের বেড়ি পরিয়ে দিয়েছে। পায়ের পাওঠায় পাওঠায় পাতা থাকে তাদের গোপন আড়কাঠি।” মেজাজ কুসুম গরম হয়ে ওঠে সাদ্দামের। এলাকার চালচুলোর আভাস দেয়। দেয় গোয়েন্দাদের হাঁড়ির খবর। আতিফ তার একগুঁয়েমিকে রশা দিয়ে আরও কড়া করে বাঁধে। বলে, “আমাদের জীবন শেয়ালের, নেড়ি কুত্তার, রাতবিরেত বলে কোনও শব্দ নেই। আরাম আয়েশ কবেই হারাম হয়ে গেছে। এখন একটা মিনিট নষ্ট করা মানে, ভুলের ‘পরে ভুল করা। জীবন থেকে জীবনকে হারিয়ে ফেলা। আমাদের জীবনকে কেউ যদি ছাগলের খাল ছাড়ানোর মতো ছাড়িয়ে নেয়, তবুও আমাদের উচিৎ, সত্যের জন্যে ‘ভ্যা’ করে যাওয়া। মৃত্যু আমাদের কানের দুল, গলার হার। মৃত্যুভয়ের জন্যে আমাদেরকে ঘরে শুয়ে থাকতে হবে? এত মোমের মানুষ আমরা কবে হলাম, সাদ্দাম? তুই হয়ত ভুলে যাচ্ছিস, আমরা জীবনের কাঠিতে কবেই বারুদ লাগিয়ে নিয়েছি। এতে আগুন লাগবে তো এখন আর তখন কী।”

চলবে...

আগের পর্ব পড়ুন

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

 

Header Ad

টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

নির্মাণাধীন ভবন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিরাপত্তা বেষ্টুনীবিহীন একটি ভবনে কাজ গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে বাবুল মিয়া বাবু (৫৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার মাইজবাড়ী এলাকার গুটু মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ভূঞাপুর পৌর শহরের ফসলআন্দি এলাকায় সাংবাদিক আসাদুল ইসলাম বাবুলের তিন তলা ভবনের নিচের একটি ড্রেনে পড়ে গিয়ে তিনি মারা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াহেদুজ্জামান পলাশ জানান, জুয়েল নামে এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন বাসায় কাজ করছিলেন ওই নির্মাণ শ্রমিক। কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ পা ফসকে ভবনের চার তলা ছাদ থেকে নিচের একটি ড্রেনে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে তার সহকর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, নির্মাণাধীন এই ভবনের কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল না। নির্মাণ শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে আসছিলেন। নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় এর আগেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

অভিযোগ উঠেছে, থানা পুলিশকে না জানিয়ে কৌশলে ভবনের মালিক জুয়েল হাসপাতাল থেকে তার লাশ নিয়ে যায়।

ভবন মালিক জুয়েল বলেন, নির্মাণ শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের সাথে সমঝোতা হয়েছে। পরিবারকে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হবেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, এ বিষয়ে কেউ অবগত করেনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজিবুল ইসলামকে (বাপ্পি) সভাপতি ও সজল কুণ্ডুকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অনুমোদন দিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ কমিটির অনুমোদন দেন।

কমিটি অনুমোদন দিয়ে এতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'স্মার্ট বাংলাদেশ', 'স্মার্ট মহানগর' বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো।

ঘোষিত কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন কাউসার আহমেদ (ইমন), সৈয়দ ইমরান হোসেন, মো. নাজমুল হোসেন, উবায়দুর রহমান লিও, নিবাস মজুমদার, রেহানুল হক রাফি, রাজীব সাহা, আবু তালিম ভূইয়া, আরাফাত হোসেন মারুফ, মো. হাসিবুল আলম পুলক, শাখাওয়াত হোসেন আরেফিন, মো. শাকিল তালুকদার, আহমেদ আলী রেজওয়ান, সালমান রহমান (আশরাফ), আদনান আইয়ুব, মো. রিয়াজ মোল্লা, শাহজালাল শাহীন, ইশতেফাক হক (ইফাজ), সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (নিবিড়), কাজী জাহিদুল ইসলাম রাজন, মাশরুফ বিন নেসার শান, মো. শাহরিয়ার শাওন, মো. আক্তার হোসেন, মো. বিপ্লব খান,নাইমুল ইসলাম নোমান, নাজমুল হাসান প্রিন্স তালুকদার, সারোয়ার হোসেন, ফারকিলিত সাফাক-ই-আরফাকসাজ, আনিসুর রহমান আনিস, জুটন চন্দ্র দাস,মাহমুদুল হাসান (ইমন)।

এছাড়াও সহ-সভাপতি হিসেবে আরও আছেন, মাজেদুল মজিদ মাহমুদ (সাদমান), সাদি মোহাম্মদ সৈকত, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ রাজু, রাকিবুল ইসলাম শাওন, মো. ফজলে রাব্বি, সোহানুর রহমান সোহান, ওহিদুল ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান, তানভীর আহমেদ, রুবেল মাহমুদ, সাব্বির বিন ইসলাম, মাসুদ রানা, মো. আবু ইউসুফ হৃদয়, আশিক মাহমুদ, মো. নুরুদ্দিন হাওলাদার, মাহমুদ হাসান জিল্লু, মো. ইনজামুল ইসলাম (আকিব), সোহেল রানা, আব্দুল্লাহ আল-হাসান, আহমেদ সারোয়ার স্বচ্ছ, মো. কামরুজ্জামান ইফতি, আরাফাত হোসেন রনি, মো. ইমরান হোসেন, সিফাত হোসেন, শেখ কোরবান ইসলাম, আব্দুল্লাহ আশিক, এফ এম সাইফুজ্জামান সজিব, মো. শামীম খান, বখতিয়ার শিকদার বাপ্পি, সুজন দাস, মো. তাবারক হোসেন (বিপ্লব), বাবু দাস, মো. ইমরান হোসেন পাভেল, জবিউল্লাহ শান্ত, বিশ্বজিৎ হাওলাদার জিৎ, ফেরদাউস আনসারী, নাইমুর রহমান দুর্জয়, জহিরুল ইসলাম খান তুহিন, মেহেদী হাসান রাজু, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, আল আমিন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাগর (সানাফ), সৈয়দ মুক্তাদির সাদ, সৌরভ দেব নয়ন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবিয়াজ সাজেদ, নয়ন শিকদার, কাজী তানবীর হোসেন, মাহবুব আলম মাহিব, রফিকুল ইসলাম রাসেল, ইয়াসির আরাফাত, আক্তারুজ্জামান মান্না।

সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন, সাকিব হোসাইন, শাকিল হোসেন (জীবন), আরমান মাহমুদ তুষার, রহমান ইকবাল (ইকু), জোবায়েদ সাদাফ সাজিদ, দিপ্ত কুন্ডু, জাহিদুল ইসলাম দিপু, মো. রাকিব হোসেন, নাইমুল ইসলাম, মো. সাইদুল ইসলাম জনি, মো. রাহাত হোসেন রাব্বি।

প্রচার সম্পাদক হয়েছেন হামিম খান কাজল। উপ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছেন আরিফুল ইসলাম, এরশাদ হোসাইন, এম আহসানুর রহমান ইমন, এম এস আর সবুজ, মাহবুব আলম খান তনিম, মুনতাসির রাফি।

দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে মো. সাকিব আল হাসান (রাজিব) কে। উপ-দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন নাঈফুজ্জামান কোতোয়াল, শিমুল রায়, জুনাইদ বোগদাদী প্রধান, রাইসুল আলম ইসতিয়াক, শফিক বেপারী, কাজী রাকিব হোসেন।

গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মীর মোহাম্মদ সাইকুন আলী শান্ত। উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মোকারোম হোসাইন রুদ্র, মো. জনি ইসলাম, জুয়েল রানা, মো. মারজুক হোসেন ভুবন, মারুফ বিল্লাহ ও জাফরুল ইসলাম (লিটন)।

শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক করা হয়েছে শাহাদাত মাহমুদ সাকিবকে। উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হয়েছেন মো. জিন্নাত হোসেন, সাব্বির হাওলাদার, প্রতীম বিশ্বাস, রোহান আহমেদ, আহসান হাবিব ইমরান।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন তমাল পাল। উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক করা হয়েছেন এইচ. এম. আমিনুল, নীলপদ্ম রায় প্রান্ত, স্বপন চৌধুরী, রাহুল কুমার ভৌমিক, সোহেল জামান রাকিব।

সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন শাকিল আহমেদ হৃদয়। উপ-সমাজসেবা সম্পাদক করা হয়েছে শেখ মেহেদী হাসান, মাসুম বিল্লাহ, সাদ্দাম হোসেন সাদমানকে। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন মো. আবু হোসাইন। উপ-ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন নাঈম ইসলাম দুর্জয়, তারিকুল ইসলাম অপু, সজল হাওলাদার, মো. নূর নবী (রাঈদ), সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, আব্দুল্লাহ সাবিত আনোয়ার চৌধুরী।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহ আলম বিজয়। উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহরিয়া ইসলাম জয়, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, শেখ মুহাম্মদ নাঈম উল ইসলাম, ওয়াহিদুল ইসলাম নিশান, সৈয়দ লামমিম হাসান নিলয়। পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন সাফায়েত খন্দকার সিয়াম। উপ-পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন ইমতিয়াজ আহমেদ ইমরান, ফয়সাল আহম্মেদ তমাল, মাহমুদুল হাসান তুষার।

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন হাবিবুর রহমান শাকিল। উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন ফয়সাল আহমেদ ভুবন, সাবের হোসাইন, মুরসালিন সরকার। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সোহাগ রানা। উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সুরুজ ফরাজী, গোলাম রাব্বি সিকদার শফিউদ্দিন মাহমুদ তুষার, আখিয়ারুল ইসলাম আফিক।

আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান (নাহিদ)। উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন কাজী জার্জিস বিন এরতেজা, মো. মঈন হোসেন (সজীব), মো. জুবায়ের হোসেন শেখ রওনক আহমেদ, আরিফুর রহমান ফাহাদ, নওফেল হামিদ জয়। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইরফান আহমেদ বাধন। উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. রাব্বী হোসেন, সজীব হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম।

স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. আরাফাত উল্লাহ। উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আহসানুল্লাহ সজীব, নিয়ামাল ওয়াকিল, নিবিড় হাসান, মো. ফয়সাল রাব্বি। বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবরার খান তাহমিদ। উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবু কাওসার, মো. তানভীর আহমেদ বাপ্পি, মো. জিসান হাওলাদার, মো. ওয়ালিউল।

দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু

দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের হাকিমপুরে গরুবোঝাই ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের থাকা দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। এর আগে, সকালে ঘোড়াঘাট উপজেলায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকের চালক ও সহকারীর মৃত্যু হয়।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে বিরামপুর-হাকিমপুর আঞ্চলিক সড়কের ডাঙ্গাপাড়া বাজারের উত্তর পাশে হাকিমপুর - বিরামপুর উপজেলার জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে ভোরে ঘোড়াঘাট উপজেলার দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের টিএন্ডটি মোড় এলাকায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই মোটরসাইকেল আরোহী হলেন- নবাবগঞ্জ উপজেলার কুমারপাড়া গ্রামের ধীরাজ কুমার ছেলে ধীমান কুমার ঘোষ (৩০) ও একই উপজেলার দাউদপুর এলাকার আনারুলের ছেলে আরিফ হোসেন (৩৫)।

হাকিমপুর থানা পুলিশ জানায়, দুপুরের দিকে মোটরসাইকেল যোগে হাকিমপুর থেকে দুই বন্ধু বিরামপুর যাবার পথে হাকিমপুর উপজেলার শেষ সীমানায় গরু বোঝাই ভটভটির সাথে মোটরসাইকেল ধাক্কা খেয়ে পাকা রাস্তায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়।

নিহত ধীমান কুমার ঘোষ এর মামা হাকিমপুর হিলি পৌরসভার বাসিন্দা স্বপন কুমার বলেন, আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে মোবাইল ফোনে আমাকে ভাগিনা ধীমান কুমার বলেন, মামা আমি জরুরি কাজে হিলি আসছিলাম তাই আপনার সাথে দেখা করতে পারলাম না। এর কিছুক্ষণ পরে দুর্ঘটনার খবর শুনতে পাই এবং হাসপাতালে এসে দেখি আমার ভাগিনা মারা গেছে।

হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. দুলাল হোসেন জানান, দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেলের আরোহীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গরুবাহী ভটভটি জব্দ করে থানায় এবং নিহতদের হাসপাতালে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি না থাকায় লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ভটভটি চালক পলাতক রয়েছে।

এদিকে ঘোড়াঘাট উপজেলায় মালবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার দিনাজপুর -ঢাকা মহাসড়কের ঘোড়াঘাট টিএনটি মিশন মোড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ট্রাকচালক গোলাম রাব্বি (৪৫)। সে জয়পুরহাট জেলা সদরের আমদই এলাকার মমতাজের ছেলে। তার সহযোগী রেজোয়ান ইসলাম (২৮) একই এলাকার চৌমুহনীর বাসিন্দা।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা ভুট্টাবোঝাই ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট-২০৬৬৪৯) সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা দিনাজপুর শহরমুখী সারবোঝাই ট্রাকের (ঝিনাইদহ-ট-১১১৬৪৬) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা সকালে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ২ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছি।’

ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. সা-আদ আস সামস বলেন, ‘সকালে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ২ জন রোগীকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে।’

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উপজেলার টিএনটি মোড় এলাকায় ভুট্টা ও সারবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা ভুট্টাবোঝাই ট্রাকটিকে দিনাজপুর শহরমুখী সারবোঝাই একটি ট্রাক সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ভুট্টাবোঝাই ট্রাকের চালক ও সহকারীর মৃত্যু হয়। ট্রাক দুটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রিকশাচালক নিহত, আটক ১
ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের ভেতরে আগুন
৭৬ বছরের তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভাঙল, জানা গেল বৃষ্টির তারিখ
ফিলিস্তিনি মৃত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি আর বেঁচে নেই
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শ্রীময়ী, দুশ্চিন্তায় কাঞ্চন মল্লিক
প্রথমবার এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবেন বাংলাদেশের জেসি
বিয়ে না দেওয়ায় মাকে জবাই করলো ছেলে
রেকর্ড তাপপ্রবাহের জন্য সরকার দায়ী: রিজভী
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, জনজীবনে অস্বস্তি
বিএনপির আরও ৭৫ নেতা বহিষ্কার
প্রেমিকার আত্মহত্যা, শোক সইতে না পেরে প্রেমিকও বেছে নিলেন সে পথ
দুই বিভাগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
অভিষেকেই শূন্য রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন রোহমালিয়া
ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে অস্ত্র ত্যাগ করবে হামাস
দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না: ওবায়দুল কাদের
কয়েক মিনিটের দেরিতে বিসিএসের স্বপ্ন ভঙ্গ ২০ পরীক্ষার্থীর
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত