শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১৩

যারা যুদ্ধ করেছিল

রমিছা বিবি হাত ধরে রকিবকে ঘরে নিয়ে এসে বসায়। গলা নামিয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘মুখ শুকনা দেখতাছি। কিছু মনে হয় খাও নাই?’
রকিব সহজে বলে, ‘না খালা। সকালে চারটা মুড়ি খাইছিলাম। তারপর মুখে আর কিছু দেওয়ার সুযোগ হয় নাই। ভীষণ খিধা লাগছে।’
রমিছা বিবি অসহায়ভাবে স্বামী করিম মিয়ার দিকে তাকায়। করিম মিয়া লুকোছাপা না করে সোজাসুজি বলে, ‘আমরাও না খায়া আছি বাবা। ঘরে এক চিমটি দানা নাই।’
রকিব হতভম্ব মুখে তাকিয়ে থাকে। তারপর পকেট থেকে টাকা বের করে করিম মিয়াকে দেয়। বলে, ‘এখন কি দোকান-টোকান খোলা পাবেন? পাইলে কিছু চাল ডাল কিনা আনেন।’
রমিছা বিবি বলে, ‘এক সের চাইল আনেন। ডাইল আনেন আর আলু আনেন ভর্তা খাওয়ার জন্য। ছোয়ালডারে শুধু ডাইল দিয়া ভাত দিবেন?’
করিম মিয়া থলি নিয়ে বেরিয়ে যায়।

রকিব শব্দ করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। রমিছা বিবি বলে, মমিন আসবে না?
‘রকিব সে কথার জবাব না দিয়ে আচমকা জিজ্ঞেস করে, ‘সাথীর খবর কি? ওকে দেখতাছি না যে?’
এই প্রশ্নে রমিছা বিবি বোবা হয়ে যায়। একই প্রশ্ন দ্বিতীয়বার করায় রমিছা বিবি আঁচলে মুখ ঢেকে কান্না শুরু করে। রকিব ভয়ংকর খারাপ খবরের আশঙ্কা করে। সে তাগাদা দিতে থাকে। বলে, ‘খালা কান্না বন্ধ করেন। কি হইছে তাই কন। মমিন ভাই সাথীর খবর নিতেই আমাকে পাঠাইছে।’
বেশ কিছুক্ষণ পর রমিছা বিবি ধাতস্থ হয়ে চোখ মোছে। তারপর কান্না কন্ঠে ঘটনা খুলে বলে রকিবকে। রকিব শুনে হতভম্ব হয়ে বসে থাকে।

করিম মিয়া চাল ডাল আর আলু পেঁয়াজ নিয়ে এলে রমিছা বিবি দেরি করে না। দ্রুত রান্না চড়িয়ে দেয়। ঘরে ফিস ফিস করে কথা বলছিল করিম মিয়া ও রকিব। করিম মিয়া বলে, ‘তোমাদের বাড়ির কী খবর? সবাই আছে কেমন?’
‘ভালো না খালুজান। আমাদের বাড়ি-ঘর মিলিটারি পোড়াইয়া দিছে। নানাকে ধইরা নিয়া গেছিল। মাইরা হাড়হাড্ডি ভাইঙ্গা গুঁড়া কইরা দিছে। তবে ভাগ্যিস জানে মারে নাই। এখন জ্যান্তমরা হয়ে বিছানায় পইড়া আছে।’
‘কও কী! এখন তাইলে সবাই আছে কোথায়?’
‘বন্যাকান্দি বোনের বাড়ি। ওখানে শুনছি তেমন ভয়-টয় নাই।’
‘কী যে দিন আইলো বাবা। কবে যে এর আবসান হবে আল্লাই জানে।’
সকালে সাথীর সঙ্গে রকিবের দেখা হয়ে যায়। সাথী বাড়ি এসেছে প্রতিদিন যেমন আসে। এসেই রকিবকে দেখে চমকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। রকিব দেখতে পেয়ে ডাক দেয় সাথীকে। সাথী ফিরে এসে মাথা নামিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। রকিব বলে, ‘আমি এতক্ষণ চলে যেতাম। শুধু তোমার অপেক্ষায় দেরি করছি।’
কান্না গলায় সাথী বলে, ‘আর কীসের অপেক্ষা? আমাকে তুমি ভুলে যাও।’
‘ভুলে যেতে চাইলে কি ভোলা যায়?’
‘জোর করে আমাকে ভুলতে হবে। আমি কী আর আমি আছি। আমি নষ্ট হয়ে গেছি।’
‘না। তুমি নষ্ট হও নাই। আমার কাছে তুমি পবিত্র। দেশের জন্য যেমন আমরা যুদ্ধ করছি। তুমি যেটা করছ সেটাও যুদ্ধ। তুমি চিন্তা কর না। এর জবাব সে পাবে। ভালো থাকার চেষ্টা কর।’
এ কথা বলে রকিব বলার মতো আর কোনো কথা খুঁজে পায় না। একটু পর সে উঠে দাঁড়ায়। বলে, ‘বিদায় দাও সাথী। আর কোনোদিন দেখা হবে কি না জানি না।’
সাথী কাঁদতে থাকে। রকিব বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাথী পেছন থেকে ডাক দেয়। ঘর থেকে সাথী একটি ভাঁজ করা কাগজ এনে রকিবের হাতে দেয়।’
‘কী এটা?’ রকিব প্রশ্ন করে।
সাথী বলে, ‘ভাইয়াকে দেবে। পথে তুমিও পড়ে নিতে পার। তাহলে আমার কলঙ্কময় জীবনের নির্মম ইতিহাস তুমিও পরিষ্কার জানতে পারবে।’
করিম মিয়া আর রমিছা বিবিকে সালাম করে রকিব বেরিয়ে যায়। চাদর দিয়ে মাথা মুখ ঢেকে সে পথ চলতে থাকে। সড়ক পথে না গিয়ে রকিব আইল পথে নেমে পড়ে।

দুপুর নাগাদ নয়নগাঁতি এসে উপস্থিত হয় রকিব। পাশের গ্রামেই তাদের বাড়ি। বাড়িতে এখন আর কেউ থাকে না। তাই সেখানে যাওয়ার কথা ভাবছে না। নয়নগাঁতির প্রথমেই সুবলদের বাড়ি। বাড়ির পোড়া জিনিস এখনো আগের মতো যত্রতত্র পড়ে আছে। সুবলের বাবাকে মেরে ফেলেছে মিলিটারিরা। সুবল ও ওদের ভাইবোন, মা, কাকি, পিসি সবাই ইন্ডিয়া চলে গেছে। বাড়িটার দিকে তাকিয়ে রকিবের বুকটা হাহাকার করে ওঠে। এই বাড়িতে কত আড্ডা দিয়েছে। সুবলের ছোটবোন স্মৃতির কণ্ঠে কতদিন গান শুনেছে। আহা কী সুন্দর দিন ছিল তখন। আর কি সেদিন ফিরে আসবে?
নয়নগাঁতির অর্ধেক পরিবার ছিল হিন্দু। বারো মাস পূজা-পার্বণ লেগেই থাকত। প্রতি রাতে কোনো না কোনো বাড়িতে বসতো গানের আসর। না হলে যাত্রাপালা। সেই উৎসবমুখর দিন কোথায় হারিয়ে গেল। রকিবের মন খারাপ হয়ে গেল এইসব ভাবতে ভাবতে।
ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। একটি গাছের তলায় খানিক বিশ্রাম নিয়ে রকিব আবার হাঁটতে শুরু করে। বার বার শুধু সাথীর কথা মনে হতে থাকে। সাথীকে সে মনে মনে ভীষণ পছন্দ করত। খালার বাড়ি আসত রকিব ঘন-ঘন। সেটা সাথীর টানে। সে যখন গান গাইত জানালা দিয়ে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকত সাথী। তার মায়াভরা চোখ রকিবকে উদাস করে দিত।
একদিন কথায় কথায় সাথী বলেই ফেলে আপনার গান আমার খুব ভালো লাগে।
‘সত্যি?’
‘তবে কি মিথ্যে বলছি?’
বিদায় বেলায় জিজ্ঞেস করেছিল, ‘আবার কবে আসবেন?’
রকিব তাৎক্ষণিক কোনো জবাব দিতে পারেনি। বুকটা তির তির করে কাঁপছিল। এই প্রথম হৃদয়ে তুমুল ঝড় ওঠে রকিবের। অনেকখানি পথ হেঁটে আসার পরও ফিরে দেখে সাথী পথ চেয়ে আছে। সেই থেকে সাথীর প্রতি রকিবের দুর্বলতা।
রকিব চলে যাবার পর থেকে সাথীর বেদনা ভারি হয়ে ওঠে। ঘরে একাকি শুয়ে থাকে। রকিবের কণ্ঠে একটি গান তার ভীষণ প্রিয়। ‘এতোদিন পরে এলে একটু বসো। তোমায় অনেক কথা বলার ছিল যদি শোন।’ এই গানটি সাথী বার বার শুনেছে। এই মুহূর্তে বার বার মনে হতে থাকে। কিন্তু সে গাইতে পারে না। মনে মনে গুণ গুণ করে। কী ভেবে তার চোখ ভিজে আসে। রকিবকে নিয়ে মনে মনে কত স্বপ্ন দেখেছিল। যুদ্ধ এসে সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিল। কখনো কখনো মমিন ভাইকে দায়ী করে। সে যদি মুক্তিযুদ্ধে যোগ না দিত তাহলে তাকে আজ ঘানি টানা গরুর মতো এমন করে ফেঁসে যেতে হতো না। জীবনটা এমনভাবে ত্যানা ছেঁড়া কাঁথার মতো জুবু থুবু হয়ে যাবে সাথী কোনোভাবেই ব্যাপারটা মেনে নিতে পারছে না। ভাবতে ভাবতে সাথী নিঃশব্দে চোখের জল ফেলতে থাকে।
এই এলোমেলো ভাবনার মধ্যে চিৎকার চেঁচামেচি হৈচৈ হট্টগোল চারদিকে ভয়ার্ত আর্তনাদ সাথীকে সজাগ করে তুলল। ঘরের বাইরে এসে দেখতে পায় দক্ষিণ পাড়ায় আগুনের কুণ্ডলি পাঁক খেয়ে আকাশের দিকে উঠে যাচ্ছে। ত্রস্ত্র ছুটছে মানুষজন। যে যেদিকে পারে পালাচ্ছে।

খবর নিয়ে জানতে পারে দক্ষিণ পাড়ার সোলেমান মিয়ার বাড়িতে আগুন দিয়েছে মিলিটারি। সোলেমানের বাড়িতে নাকি রাতে রাতে মুক্তিফৌজ এসে থাকে। সোলেমান মিয়া তাদের থাকতে দেয়। খেতে দেয়। এই খবর শান্তি কমিটির সদস্যরা মিলিটারিদের জানালে তারা এসে সোলেমান মিয়াকে খোঁজে। তাকে না পেয়ে তার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। গোলাগুলির শব্দ হলে মানুষ দিকবিদিক ছুটতে থাকে। মুহূর্তে প্রচার হয়ে যায় সোলেমান মিয়ার বৃদ্ধ মাকে পাকিস্তানি মিলিটারি গুলি করে মেরে ফেলেছে। গোয়াল থেকে গরু খুলে নিয়ে গেছে। গুলির শব্দে রমিছা বিবি দৌড়ে পালাতে গিয়ে সাথীকে দেখতে পেয়ে সে জোর করে সাথীকে ফজলুর রহমানের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন-

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১২

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১১

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১০ 

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৯

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৮

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৭

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৬

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৫

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৪

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৩

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-২

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১

এসএন 

আজকের ইফতারের সময় (ঢাকা)

0

ঘণ্টা

0

মিনিট

0

সেকেন্ড

বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে লরি-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে লরি ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. আব্দুর রহিম (৩০) নামে এক কাভার্ডভ্যানের চালক নিহত হয়েছেন। এ সময় দুটি গাড়িতেই আগুন ধরে যায়।

নিহত মো. আব্দুর রহিম তিনি রংপু্র জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামগঞ্জ গ্রামের মৃত মুনছের আলীর ছেলে। এছাড়াও এই ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন। তারা হলেন- কাভার্ডভ্যান চালকের সহকারী শাকিল (২৫) ও নোমান (২৪)। আহত দুইজনই একই উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের জোকার চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি আলমগীর আশরাফ জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কনটেইনারবাহী লরি ও উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা কাভার্ডভ্যান জোকারচর এলাকায় পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই গাড়িতেই আগুন ধরে যায়। পরে আহত দুইজনকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়।

তিনি জানান, দূর্ঘটনার কারণে মহাসড়কে দুইপাশের সড়কে পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ক্ষতিগ্রস্থ গাড়ি দুইটি সড়ক থেকে সড়িয়ে নেয়ার পর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সন্তানের মুখ দেখার আগেই ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল বাবার

সজিবুল ইসলাম সুজন। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলে ট্রাকচাপায় সজিবুল ইসলাম সুজন (৩০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেলযোগে ঢাকা থেকে বাড়ির ফিরছিলেন। আগামী ১৫ এপ্রিল তার বাবা হওয়ার কথা থাকলেও সন্তানের মুখ দেখার আগেই তার মৃত্যু হয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে গোড়াই-সখীপুর সড়কের তক্তারচালা বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনায় ঘটে।

নিহত সুজন সখীপুর উপজেলার বড়চওনা চটানপাড়া গ্রামের আবদুল বাছেদ মেলেটারির ছেলে। সুজন বড়চওনা বাজারের ব্যবসায়ী ছিলেন। আগামী ১৫ এপ্রিল সুজনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সন্তান প্রসব হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সন্তানের মুখ দেখার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মোটরসাইকেল চালিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন সুজন। রাত ৮টার দিকে গোড়াই-সখীপুর সড়কের তক্তারচালা বাজার এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাঁকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আগুনে পুড়লো ‘ভূঞাপুর থানা’ মার্কেটের ৪ দোকান

ভূঞাপুর থানা মার্কেটে আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্থ দোকান। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানা মার্কেটে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুড়ে ৪টি দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারণে এই আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ভোররাতে থানা মার্কেটের এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কেটের লামিয়া স্টোর পুরোপুরি ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া মৌ কনফেকশনারী, উৎসব মডেল মেডিসিন ও মা-বাবার দোয়া ফ্যাশনের আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

বাজারের নৈশ প্রহরী মিন্টু জানান, রাতে বাজারে টহলরত অবস্থায় দেখতে পাই থানা মার্কেটের একটি মুদিখানা দোকান থেকে ব্যাপক ধোয়া বের হচ্ছিল। পরে মুহুর্তেই আগুন ছড়িয়ে পরে। বিষয়টি থানায় অবহিত করা হয়।

ভূঞাপুর ফায়ার স্টেশন সার্ভিসের টিম লিডার স্বপন আলী জানান, খবর পাওয়ার পরই ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এতে একটি দোকানের পুরোপুরি ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া আরও ৩ টি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যেখানটিতে আগুন লেগেছে তার কয়েক মিটার পরেই ভূঞাপুর থানা ভবন।

তিনি আরও জানান, থানা মার্কেটের পাশে ভূমি অফিসের পুকুর থেকে পানি পাওয়া না গেলে আরও বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হতো। এতে ঝুঁকিতে পড়তো থানা ভবনও। তবে- ওই পুকুরের পানিতে ব্যাপক ময়না-আবর্জনা থাকায় পানি তুলতে অনেক কষ্ট হয়েছে।

এ ঘটনায় ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান উল্লাহ বলেন, থানা মার্কেটে আগুন লাগার খবরটি বাজারের নৈশ প্রহরী জানানোর পর তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে কয়েকটি দোকান ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে লরি-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১
সন্তানের মুখ দেখার আগেই ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল বাবার
আগুনে পুড়লো ‘ভূঞাপুর থানা’ মার্কেটের ৪ দোকান
পছন্দের শীর্ষে ভারতীয় নায়ক-নায়িকাদের নামে দেশে তৈরি পোশাক
‘জিম্মি নাবিকদের মুক্তিপণের বিষয়ে এখনো কথা হয়নি’
প্রাথমিকের শেষ ধাপের পরীক্ষা আজ
সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রী নিহত, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত
ফিলিস্তিনি নারীদের অন্তর্বাস নিয়ে অশ্লীল খেলায় মেতেছে ইসরায়েলি সেনারা
যত জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছি, একজনও মাদরাসার ছাত্র নন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরোধিতা করায় সাংবাদিকের কারাদণ্ড
বাতিঘরের শ্যুটিংয়ে হিমাচলে শিরোনামহীন ব্যান্ড
যৌনস্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় রাখুন এ সব
গাজায় নিহত আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি
৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু আজ
ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা পাচার, গ্রেপ্তার ৫
দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু: বিশ্বব্যাংক
বরিশালে নামাজ চলাকালে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ
নওগাঁয় পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
গুলি করে মারা হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেই সাপটিকে