শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩২

বিষাদ বসুধা

শাহবাজ খান ঘুমের ঘোরে মোহিনীকে ডাকছেন। নীলিমা খান অবাক বিস্ময়ে তার দিকে তাকিয়ে আছেন। ওই নাম শুনে তার শরীরে কাঁপন ধরেছে। বুকের মধ্যে চিনচিন করে ব্যথা শুরু হয়েছে। মাথাটা উথালপাথাল ঘুরছে। আতঙ্ক আর বিস্ময়ভরা কণ্ঠে তিনি বললেন, এ কী সর্বনাশা কাণ্ড! মোহিনী! এ নাম তো আগে কখনো শুনিনি! তার বান্ধবীর তালিকায় আরেকটি নাম নতুন যুক্ত হলো! নাকি মোহিনীর প্রেমে সে দেওয়ানা! ঘুমের ঘোরে কখন মানুষ কারও নাম ধরে ডাকে?

নীলিমা খান উৎকট মদের গন্ধ টের পান। শাহবাজ খান যে রাতভর মদ গিলেছে সেই কথা তিনি ভুলেই গিয়েছিলেন। তিনি জানেন, শাহবাজ খানের পেটে মদ পড়লেই মনের কথা সব বেরিয়ে যায়। মোহিনীর সঙ্গে নিশ্চয়ই তার কোনো বিশেষ সম্পর্ক আছে। অথবা নতুন তৈরি হয়েছে। তা না হলে এই নাম বলার কথা না। মোহিনার নাম শোনার পরই তার মাথায় আগুন ধরে যায়। তিনি শাহবাজ খানের কাছে এগিয়ে যান। তাকে ডাকেন। এই! শাহবাজ! কী হয়েছে তোমার?

শাহবাজ খান এদিক সেদিক মোড়ামুড়ি দিয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়েন। নীলিমা শাহবাজ খানের মোবাইল হাতে নিয়ে কললিস্ট দেখেন। কললিস্টে মোহিনীর নাম দেখে তার মেজাজটা আরও বিগড়ে যায়। তিনি নম্বরটা নিজের মোবাইলে সেভ করেন। তারপর বিছানা ছেড়ে সোফায় গিয়ে বসেন। রাজ্যের ভাবনা তার মাথায় ঘুরপাক খায়। মোহিনী কে? কী করে সে? সে কি কোনো মডেল? নাটক-সিনেমা করে? নাকি অন্য কিছু...? নীলিমা মনে মনে এও ভাবেন, শাহবাজ খান কিছুতেই মোহিনীর কথা স্বীকার করবে না। সে যে তার নাম ধরে ডেকেছে এটাকে বলবে, আমার বানানো গল্প। ইস! আমি যদি রেকর্ড করে রাখতাম! এত দ্রুত কি আর রেকর্ড করা সম্ভব! মোহিনী নামটা আগে কখনো আমি শুনিনি। এটা যে নতুন জুটেছে সেটা আমি নিশ্চিত। ঘুম ভাঙার পর তাকে ধরতে হবে। মোহিনী কে তা তাকে বলতে হবে।

এসব কথা ভাবতে ভাবতেই নীলিমা কেঁদে ওঠেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কান্না চেপে রাখার চেষ্টা করেও পারেন না। কাজের লোকগুলো বাইরে থেকে কান্নার শব্দ পেয়ে দরজার সামনে এসে দাঁড়ায়। কৌতূহলের বসে দরজা নক করে। নীলিমা ধমকের সুরে বলেন, এই কে! মুহূর্তের মধ্যে সবাই চলে যায়। তারা যে যার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। নীলিমা বসে থাকেন। তার মাথায় হাজারো ভাবনা ঘুরপাক খায়। তিনি নিজের মোবাইল হাতে নিয়ে ফেসবুকে ঢোকেন। শাহবাজ খানের ফ্রেন্ডলিস্ট দেখেন। পাঁচহাজার বন্ধু তালিকায় মোহিনী নাম নেই। তার ফলোয়ারের সংখ্যা দুই লাখ। নিশ্চয়ই ফলোয়ার তালিকায় থাকবে। নীলিমা এবার নিজের ফেসবুকে মোহিনী নাম সার্চ দেন। বেশ কিছু নাম তার মোবাইলের স্ক্রিনে ভেসে ওঠে। কেউ ছাত্রী। কেউ চাকরিজীবী। কেউ গৃহিণী। চেহারা দেখে একটাও তার পছন্দ হয় না। তার মনেই হয় না, এর মধ্যে কেউ শাহবাজ খানের বান্ধবী হবে। তারপরও তিনি মনে মনে বলেন, পুরুষ মানুষকে ভিমরতিতে পেলে কাজের লোকের সঙ্গেও শুতে পারে। সে তুলনায় এগুলো তো ভালোই!

নীলিমার কোনো কিছুই ভালো লাগছে না। সবকিছু কেমন এলোমেলো লাগছে। সংসার শুরুর সময়ও সে এ রকম ঝামেলায় পড়েছিল। প্রতিরাতে মদ খেয়ে শাহবাজ খান একেক জনের নাম ধরে ডাকত! কী যে ভয়ঙ্কর ছিল সেই সময়গুলো! তার অসংখ্য বান্ধবী। এদের কেউ না কেউ তার বিদেশ যাত্রার সঙ্গী হতো। এ নিয়ে কত ঝগড়াঝাটি, কান্নাকাটি করেছে! কোনো কিছুতেই যখন কাজ হচ্ছিল না, তখন শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে নালিশ করল। তারপর কিছুদিন বন্ধ ছিল। ইদানিং আবার বান্ধবীদের নিয়ে ঘোরাঘুরি শুরু হয়েছে।
নীলিমা মনে মনে সিদ্ধান্ত নেন, এর একটা বিহিত করতেই হবে। সে যদি তার অভ্যাস পরিবর্তন করতে না পারে তাহলে আমি আর থাকব না। অথবা পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করব। তার আগে বিষয়টা কি শ্বশুর-শাশুড়িকে জানাব? বার বার সে একই কাণ্ড করবে; আর আমি শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে নালিশ করবে! এই করে কতদিন! আমি বরং তাকেই জিজ্ঞাসা করি। সে আসলে কী চায়? কেন সে আমার সঙ্গে এমন প্রতারণা করছে? সে কি ভাবছে, আমার আর যাওয়ার জায়গা নেই! সেটা যদি ভেবে থাকে তাহলে সে আমাকে ভুল চিনেছে। আমি ছেলে মেয়ে দেখব না। নিজের জীবনই যদি বিপন্ন হয় তাহলে ওসব দিয়ে কী হবে!

নীলিমা আবার কাঁদেন। কাঁদতে কাঁদতে দুই চোখ ফুলে যায়। তিনি বাথরুমে দাঁত ব্রাশ করেন। চোখে পানির ঝাপটা দেন। নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। মনকেও শক্ত করার চেষ্টা করেন। তিনি নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলেন। দেখ নীলিমা; তোমাকে অনেক বেশি শক্ত হতে হবে। এভাবে ভেঙে পড়লে চলবে না। তোমার বাবা অনেক সম্পদ তোমার জন্য রেখে গেছেন। তুমি যদি চলেও যাও তাহলে তোমার কোনো সমস্যা হবে না। ইচ্ছা করলে তোমার দুই প্রজন্ম শুয়ে বসে খেতে পারবে। এত কী ভাবছ! তুমি শাহবাজের মুখোমুখি দাঁড়াও। তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাও। দেখ কি জবাব দেয়। তুমি যদি তার জবাবে সন্তুষ্ট না হও তখন সরাসরি তাকে বলবে। কঠিনভাবে বলবে। দেখ শাহবাজ, তুমি যদি তোমার অভ্যাস পরিবর্তন করতে না পারো তাহলে কিন্তু আমি আর থাকব না। আমাকে তুমি হারাবে।

নীলিমা আবার ঘরে আসেন। সোফায় হেলান দিয়ে বসেন। শাহবাজ খানের জন্য অপেক্ষা করেন। কিন্তু তার ঘুম থেকে ওঠার কোনো লক্ষণ নেই। সম্ভবত আরও কয়েক ঘণ্টা সে ঘুমাবে। সারাদিন ঘুম থেকে নাও উঠতে পারে। নীলিমা আর অপেক্ষা না করে বাইরে বের হন। বাচ্চাদের খোঁজখবর নেন। তারপর বাচ্চাদের নিয়ে নাশতার টেবিলে যান। অনেকদিন পর নীলিমা আবার শাহবাজ খানের মুখোমুখি হন। তার কাছে তিনি জানতে চান, তুমি আমাকে সত্যি করে বলো, হু ইজ মোহিনী? একটুও মিথ্যা বলবে না।
মোহিনী? কেন, কী হয়েছে?
আমি যা জানতে চেয়েছি তার জবাব দাও।
আচ্ছা, হঠাৎ মোহিনীকে নিয়ে তুমি এত উত্তেজিত কেন?
কারণ নিশ্চয়ই আছে। তুমি বলো কে সে?
আমার একটা ফ্রেন্ড। একসঙ্গে পড়েছি।
তাই! কই আগে তো কখনো বলোনি!
বলিনি প্রসঙ্গ আসেনি।
দুয়েক দিনের মধ্যে তার সঙ্গে কি দেখা হয়েছে?
না।
কথা হয়েছে?
হ্যাঁ।
আর তাতেই সারাক্ষণ তার নাম জপছো!
মানে!
ভোরে ঘুমের ঘোরে মোহিনী মোহিনী বলে ডাকাডাকি করেছ। কেন করেছ?
বোগাস কথা বলার আর জায়গা পাও না!
মোটেই না। আমি তাহলে মোহিনীর নাম কি করে জানলাম?
সেটা আমি কী করে জানব?
দেখ, এসব বাদ দাও। আর যদি বাদ দিতে না পারো সেটাও আমাকে খোলাখুলি বলো।
কী বাদ দেব? আমার বন্ধুবান্ধব?
না। তোমার বান্ধবীদের বাদ দেবে।
আচ্ছা, কিছু দিন পর পর তোমার কী হয়? এমন কেন করো তুমি?
তুমি করাও বলেই তো করি! তুমি আমার পাশে শুয়ে আরেক নারীর নাম জপবে; আর আমি তা সহ্য করব? মোটেই না। কিছুতেই না।
আমার মনে হয় তোমার মানসিক সমস্যা আছে।
মানসিক সমস্যা যদি হয়েই থাকে সেটা তোমার কারণে।
বাজে কথা রাখো তো!
কোনটা বাজে কথা?
তুমি যা বলছ।
সত্য কথাগুলো সব বাজে কথা; তাই না?
নীলিমার কথায় শাহবাজ খানের মেজাজ চড়ে যায়। তিনি উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করবে না। তাহলে কিন্তু ভালো হবে না।
নীলিমা ক্রোধের দৃষ্টিতে শাহবাজ খানের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তারপর বলেন, বাড়াবাড়ি আমি করছি না তুমি করছ?
আবার কথা বলো! ভালো না লাগলে তোমার সিদ্ধান্ত তুমি নিতে পারো। আমার ঝগড়াঝাটি ভালো লাগে না।
ঠিক আছে। আমার সিদ্ধান্ত আমিই নেব।
কথা শেষ করে নীলিমা হনহন করে চলে গেলেন। বিরক্তি আর বিস্ময় ভরা দৃষ্টিতে শাহবাজ খান তার চলে যাওয়া দেখলেন।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৩১

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৩০

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৯

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৭

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৬

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২২

বিষাদ বসুধা: পর্ব ২০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১৯

 

জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

শিব নারায়ণ দাস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার ও জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস (৭৮) মারা গেছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে তিনি রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের আইসিইউতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

জানা গেছে, শিব নারায়ণ রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।

১৯৭০ সালের ছয় জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নম্বর কক্ষে রাত ১১টার পর পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১-এর দুই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়।

১৯৭০ সালের সাত জুন ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক সামরিক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এই জন্য ছাত্রদের নিয়ে একটি জয়বাংলা বাহিনী, মতান্তরে 'ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনী' গঠন করা হয়। ছাত্র নেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।

১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে শিবনারায়ন দাশের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার শিবনারায়ন দাসের নকশা করা পতাকার মধ্যে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ, রঙ, ও তার ব্যাখ্যা সংবলিত একটি প্রতিবেদন দিতে বলে পটূয়া কামরুল হাসানকে। কামরুল হাসান দ্বারা পরিমার্জিত রূপটিই বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।

ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর অস্বীকার ইরানের, তেহরানে বিমান চলাচল স্বাভাবিক

ছবি: সংগৃহীত

ইরানে ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবিটি নাকচ করে দিয়েছে ইরান। তেহরানের দাবি, ইরানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা হয়নি, তিনটি ড্রোন এসেছিল সেগুলো আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এক ইরানি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ইরানি ওই কর্মকর্তা বলেন, ইসফাহানের বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের যে শব্দ পাওয়া গেছে তার কারণ ইরানের আকাশ সুরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে ওঠা। ইরানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।

এদিকে ইরানের মহাকাশ সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান সামাজিকমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, এয়ার ডিফেন্সের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ড্রোন সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে। আপাতত কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর নেই।

এর আগে ইসফাহান শহরের কাছে বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পর বিভিন্ন প্রদেশে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করে ইরান। একই সঙ্গে তেহরান, ইসফাহান এবং শিরাজের ফ্লাইট স্থগিত করা হয়। এবার তেহরানের প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরানের ইমাম খোমেনি ও মেহরাবাদ বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে ইরানের ইসফাহান শহরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসফাহান শহরের কাছে বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পর বিভিন্ন প্রদেশে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ইরান। একই সঙ্গে তেহরান, ইসফাহান এবং শিরাজের ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছিল।

এর আগে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরানে পাল্টা হামলার কথা বলেছিল ইসরায়েল।

এর আগে, ইরান বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানায়, ইসরায়েলকে তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে সামরিক দুঃসাহসিকতা বন্ধ করতে বাধ্য করতে হবে।

নওগাঁয় ভুয়া সিআইডি কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

নওগাঁয় ভুয়া সিআইডি কর্মকর্তা গ্রেপ্তার। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর ধামুরহাটে ভুয়া সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরের দিকে উপজেলার রুপনারায়নপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।

গ্রেপ্তারকৃত রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলার রিয়াজ আহমেদ এর ছেলে।

ভুক্তভোগী মানুয়েল তপন বলেন, ভয়ভীতি দেখিয়ে বিকাশ এবং নগদের মাধ্যমে ২৯,৫৩৮ টাকা গ্রহণ করে এবং আরো টাকা দাবি করলে স্থানীয় জনতা এই ভুয়া সিআইডি পুলিশ কর্মকর্তাকে চ্যালেঞ্জ করে ধামইরহাট থানায় খবর দেয়। বেশকিছু দিন ধরে আমার মতো এলাকার অন্য লোকজনের কাছেও বিভিন্ন ফন্দি এঁটে প্রতারণা করে এই প্রতারক।

নওগাঁয় ভুয়া সিআইডি কর্মকর্তা গ্রেপ্তার। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

পরে থানার এসআই (নিঃ) পরিতোষ চন্দ্র সরকার সঙ্গীয় কনস্টেবল মো. ইকবাল হোসেন, মো. নুর ইসলাম ও মো. ফরহাদ হোসেন গিয়ে ভুয়া সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী প্রতারক রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়ালকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।

এ প্রসঙ্গে ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বাহাউদ্দিন ফারুকী বিপিএম, পিপিএম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ভুয়া সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী প্রতারক রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় নিজেকে সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতেন। সিউডি কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও ভুয়া পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নিতেন। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ মামলা দায়ের হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর অস্বীকার ইরানের, তেহরানে বিমান চলাচল স্বাভাবিক
নওগাঁয় ভুয়া সিআইডি কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
মানুষ এখন ডাল-ভাত নয়, মাছ-মাংস নিয়ে চিন্তা করে: প্রধানমন্ত্রী
দাঁড়িয়ে থাকা বাসকে পিকআপের ধাক্কা, ১০ পোশাককর্মী আহত
নতুন রেকর্ড গড়ে ইউরোপা লিগের সেমিতে লেভারকুসেন
ইরানে ইসরাইলের হামলা: লাফিয়ে বাড়ছে তেল ও স্বর্ণের দাম
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ১৩ বিজিপি সদস্য
চুয়াডাঙ্গায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার লক্ষ্যে কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে সেমিনার
ইরানে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, ডিপজলকে শোকজ
টাঙ্গাইলে সেরা ওসি হলেন আহসান উল্লাহ্, পেলেন শ্রেষ্ঠ সম্মাননা পুরস্কার
দেশে প্রতিদিন সড়কে প্রাণ হারাচ্ছেন ১৬ জনের বেশি
টানা তিনদিন চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট অ্যালার্ট জারি
তীব্র গরমে পশ্চিমবঙ্গে স্কুল ছুটি ঘোষণা
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের 'প্রিমিয়াম টিম': সেনাপ্রধান
আগামীকাল ঢাকা মাতাবেন আতিফ আসলাম
এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে আ.লীগের নির্দেশনা
নওগাঁয় শান্ত বাহিনীর শাস্তির দাবিতে ঝাড়ু মিছিল ও মানববন্ধন