রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৫৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান

শুধু কি এমনই ছিল সব? সেই আদব, ওইসব খেলাধুলা, ওই রকম সাহস, পরিবার, কেরোসিনের বাতি, অন্ধকার সিঁড়ি, বাতাসের তালগাছ, সমুদ্রে জন্ম ও অভিসিঞ্চন এবং শেষে গ্রীষ্মের কঠোর পরিশ্রমই কি সব ছিল? ওইসব কিছু ছিল ঠিকই। তবে তার নিজের সত্তার গহন গোপন বলতেও একটা কিছু ছিল।

ভূতলের অপরিমেয় পানির মতো তার ভেতর থেকে একটা কিছু নাড়া দিয়ে যাচ্ছিল এতগুলো বছর ধরে। ভূতলের পানি শিলাময় গোলকধাঁধার নিচে থেকে আলোর মুখ দেখে না। তবু কে জানে আবছাভাবে পৃথিবীর বিকীরণশীল কেন্দ্র থেকে কৈশিক নালির মধ্য দিয়ে গুহার কৃষ্ণ বাতাসে আলোর বিচ্ছুরণ ফেলে। তার ফলে যেখানে অন্য কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয় সেখানেও অতিভোজী ঊদ্ভিদের খাদ্যলাভ সম্ভব হয়। তার ভেতরের ওই অন্ধ নাড়া কখনো থামেনি। এখনো সে টের পায় এর অস্তিত্ব। মাটির নিচের পচা উদ্ভিদের আগুনের মতো তার ভেতরের আগুন বাইরে বেরিয়ে এসেছে। তবু ভেতরের জ্বলুনি থামেনি। বরং পচা উদ্ভিদের বাইরের ফাটল কুণ্ডলি পাকিয়ে বের হয়ে এসে ছড়িয়ে পড়েছে গাছপালার জগতে। তাতে জলাভূমির পচা উদ্ভিদের মতোই বাইরের কর্দমাক্ত ভূপৃষ্ঠও একই গতি ও ছন্দে এগিয়ে গেছে। আর সেই অদৃশ্য ঢেউগুলো দিনের পর দিন তার সবচেয়ে ভয়াবহ এবং প্রচণ্ড কামনা বাসনার জন্ম দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, আরও জন্ম দিয়েছে সবচেয়ে ঊষর দুশ্চিন্তা, সবচেয়ে ফলপ্রসু স্মৃতিকাতরতা, তার আকস্মিক ক্ষমতাহীনতা ও সংযম এবং কেউ না হওয়ার আকাঙ্ক্ষা।

হ্যা, তার ভেতরের এই আলোড়ন এই বিশাল দেশটার সঙ্গে মানানসই হয়েই তার সঙ্গে সঙ্গে ছিল এতগুলো বছর। বালক বয়স থেকেই সে এই আলোড়নের চাপ, সামনের বিশাল সমুদ্রের এবং পেছনে সীমাহীন পাহাড়ের বিস্তৃতি, সমতলভূমি, অন্তর্জগৎ বলে পরিচিত মরুভূমি— এসবের চাপ অনুভব করেছে। সামনে পেছনের মাঝে ছিল অহর্নিশ বিপদ। সে বিপদের কথা কেউ মুখ ফুটে বলেনি। কারণ সেটাই স্বাভাবিক মনে হয়েছে সবার কাছে। কিন্তু জ্যাক এর অস্তিত্ব টের পেয়েছে বিরমানড্রাইসের উঁচু খিলানের মতো ছাদ এবং সাদা রং করা দেয়ালঅলা ছোট খামারবাড়িতে থাকাকালে। সেখানে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় তার খালা ভালো করে পরোখ করেছেন পুরু কাঠের তৈরি ঝাঁপ ঠিকমতো বন্ধ করা হয়েছে কি না। সেখানে তার মনে হতো, তাকে জোর করে ফেলে দেওয়া হয়েছে যেন সে সেখানকার প্রথম বাসিন্দা কিংবা প্রথম বিজেতা। সেখানে যেন তখনও জঙ্গল জীবনের আইন বলবত। করুণা ছাড়াই ন্যায়বিচার যেন শুধু শাস্তি দিতে প্রস্তুত এবং সেই ব্যবস্থাকে প্রতিহত করতে ব্যর্থ প্রচলিত প্রথাও। তার সামনের মানুষগুলোকে মনে হতো প্রলুব্ধকর তবে বিরক্তিকর, খুব কাছের কিন্তু বিচ্ছিন্ন। তাদের চারপশেই সারাদিন থাকতে হতো। কখনোবা বন্ধুত্ব কিংবা সৌহার্দ্য তৈরি হতো। সন্ধ্যার দিকে তারা সবাই যার যার বন্ধ ঘরে ফিরে যেত। সেসব ঘরে জ্যাক কখনো ঢুকে দেখেনি। ঘরে ঢোকার পথে আরেক বাধা ছিল তাদের নারীরা। তাদেরকে হয়ত কখনো দেখা হয়নি। কিংবা রাস্তা-ঘাটে দেখা হলেও পরে চেনার কোনো উপায় ছিল না, মুখের বেশিরভাগ ঢাকা থাকত বোরকায়। তাদের সাদা পোশাকের ফাঁকে দেখা যেত সুন্দর, আকর্ষণীয়, কোমল চোখ। এমনকি চাল চলনে ক্লান্ত এবং নমনীয় হলেও এলাকাজুড়ে তাদের সংখ্যা এতই বেশি ছিল যে, তাদের উপস্থিতি প্রায়ই উপদ্রবের মতো মনে হতো, বিশেষ করে যখন সন্ধ্যার সময় রাস্তায় কোনো ফরাসি লোকের সঙ্গে কোনো আরব লোকের মারামারি শুরু হয়ে যেত। মারামারি অবশ্য দুজন আরবের মধ্যে কিংবা দুজন ফরাসি লোকের মধ্যেও হতে পারত। তবে সেসব ক্ষেত্রে লড়াইটাতে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হতো না। রংচটা নীল রঙের ঢিলা পোশাক কিংবা বিশ্রী রঙের আলখাল্লা পরিহিত পাড়ার আরব লোকেরা চারদিক থেকে চলমান ধারার মতো ধীরে ধীরে এগিয়ে আসত। কোনো রকম উচ্চবাচ্য না করলেও গায়ে গা লাগানোর মতো ভিড়ের নিঃশব্দ ধাবমান চেহারা দেখেই মারামারি দেখতে আসা গুটিকয় ফরাসি লোক এলাকাছাড়া হয়ে যেত। আর যে ফরাসি লোকটা মারামারিতে জড়িত থাকত সে খানিক পরে দেখতে পেত, তার সামনে তার প্রতিপক্ষ তো আছেই, তার চারপাশে অগণিত দুর্বোধ্য মুখের উপস্থিতিও প্রচণ্ড জোরালো। সে যদি এই দেশে জন্মগ্রহণ না করে থাকত এবং এখানে টিকে থাকতে হলে সাহস থাকা চাই— এই সত্য যদি তার জানা না থাকত তাহলে ওই মুখগুলো তার সমস্ত সাহস বিলীন করে দিত। সে যা-ই হোক, ওই মুহূর্তে তার সামনের ভিড়ের আরব জনতা তার কাছে উচ্চবাচ্য করে কোনো রকম ভয়ভীতি দেখাত না ঠিকই। কিন্তু তাদের উপস্থিতি এবং সামনের দিকে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে আসাটাই ছিল তার জন্য যথেষ্ট ভয়ের। আর সাধারণত ওই আরব লোকদের ভিড়ের অধীনেই চলে যেত রণক্ষেত্রের দখল। শেষে পড়িমরি করে ফরাসি লোকটা পালিয়ে বাঁচত পুলিশ আসার আগেই। মারামারি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য কে বা কারা পুলিশকে চটজলদি জানিয়ে দিত। পুলিশ এসে পারতপক্ষে মারামারিতে জড়িতদের ধরে নিয়ে যেত। জোর জবরদস্তি করে পুলিশের লোকেরা আসামিদের নিয়ে জ্যাকের জানালার পাশ দিয়ে থানার দিকে চলে যেত। তাদের চলে যাওয়া দেখে জ্যাকের মা বলে উঠতেন, বেচারা সব!

আসামিদের দুজনকে শক্ত করে বেঁধে ঘাড় ধরে ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে যেত পুলিশ। তারা চলে যাওয়ার পর জ্যাক বুঝতে পারত রাস্তায় সংঘর্ষ, ভয় এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ভয়ে বালক জ্যাকের কণ্ঠ পর্যন্ত শুকিয়ে কাঠ হয়ে যেত। সেরকম কোনো রাত তার মনের ভেতর জট পাকানো শিকড়-বাকড় নিয়ে এই বিশাল এবং ভয়াবহ দেশের সঙ্গে তাকে বেঁধে ফেলতেন দেশের তাপে ফুটন্ত দিন, হৃদয় ভেঙে দেওয়ার মতো দ্রুত গতিতে ধেয়ে আসা গোধূলির সঙ্গেও তাকে একাত্ব করে দিত। সেটাই ছিল দ্বিতীয় জীবনের মতো। দ্বিতীয় জীবনটাই তার বাইরের জীবনের প্রাত্যহিকতার চেয়ে যেন বেশি সত্যি বলে মনে হতো। ওই জীবনের ইতিহাস বয়ান করা যেতে পারত আবছা আকুলতা এবং শক্তিশালী অবর্ণনীয় চাঞ্চল্যে স্কুলের নিজস্ব গন্ধে, পাড়ার আস্তাবলগুলোর গন্ধে, মায়ের হাতে লন্ড্রি করতে দেওয়া কাপড়গুলোর গন্ধে, শহরের দিকের ওপরের এলাকার জুঁই, মধুমতি ফুলের সুগন্ধে, অভিধান এবং গোগ্রাসে পড়া বইগুলোর গন্ধে, বাড়ির এবং চাকরি করার সময়ের সেই দোকানের টয়লেটের কটু গন্ধে, ক্লাসের আগে কিংবা পরে একা একা দেখতে যাওয়া সুপরিসর ঠাণ্ডা শ্রেণিকক্ষের গন্ধে, তার প্রিয় সহপাঠিদের শরীরের উষ্ণতায় এবং দিদিয়েরের আনা পশমি কাপড়ের গন্ধে। বিশাল বপুঅলা মার্কোনির মা তার গায়ে বেশি করে কোলনের গন্ধ মেখে দিতেন। জ্যাক ওর খুব কাছে ঘেঁষে বসার চেষ্টা করত। পিয়েরে তার খালাদের কাছ থেকে লিপস্টিকের গন্ধ নিয়ে আসত। সবাই মিলে সে গন্ধ শুঁকে দেখত। উত্তেজনায় তাদের অবস্থা হতো কোনো বাড়িতে কামদশায় থাকা কোনো মাদী কুকুরের কাছে চলে আসা পুরুষ কুকুরের মতো। কল্পনায় তারা বুঝতে পারত, এটাই নারীর অস্তিত্বের লক্ষণ। কসমেটিক ক্রিমের মিষ্টি গন্ধে তাদের হৈচৈ, চিৎকার, ঘাম আর ধূলির জগৎ থেকে তাদের এক মার্জিত, কোমল এবং অবর্ণনীয় রকমের প্রলুব্ধকর জগতে নিয়ে যেত। লিপস্টিক সম্পর্কে তাদের মুখ থেকে বের হয়ে আসা অশ্রাব্য ভাষার খিস্তিও ওই মোহনীয় জগৎ থেকে তাদের ফিরিয়ে রাখতে পারত না। খুব ছোটবেলা থেকে শরীরের প্রতি ভালো লাগা, শরীরের সৌন্দর্য তার ভেতরে হাসির উদ্রেক করত। সমদ্রতটে দেখা নারী শরীরের প্রতি টান তার কখনো কমেনি। মনের মধ্যে অবশ্য বিশেষ কোনো জান্তব অস্বাভাবিকতা থাকত না। শরীরকে পাওয়ার মতো কোনো বাসনা তখন থাকত না। অবশ্য পাওয়ার পথও তার জানা ছিল না তখন, শুধু শরীরের ঔজ্জ্বল্যের ভেতর থাকতে ইচ্ছে করত। বন্ধুদের কারো কাঁধের সঙ্গে হেলে থেকে কিছুটা আত্মবিশ্বাসের অনুভূতির ছোঁয়া পেত। কখনো ট্রলিবাসের মধ্যে কোনো নারীর হাত তার হাতের ওপর খানিকক্ষণ রেখে দিলে ওই টানটা টের পেত সে। এই পার্থিব জীবন সবচেয়ে যে উষ্ণতাটা দিতে পারে তেমনি একটা উষ্ণতা সে পেত ওই সময়। মনে হতো, ওই প্রশান্তির মধ্যে ডুবে গিয়ে অনেকক্ষণ থেকে যায়। মায়ের কাছ থেকেও তেমনি প্রশান্তির উষ্ণতা প্রত্যাশা করত জ্যাক। কেন প্রত্যাশা করত সেই ব্যাখ্যা তার জানা ছিল না। সেই প্রশান্তি পেত না সে। পাওয়ার দুঃসাহসও ছিল না। তাদের বাড়ির কুকুর ব্রিলিয়ান্টের পাশে শুয়ে পশমের কড়া গন্ধের মধ্যে সেই প্রশান্তির উষ্ণতা পেত সে। আরও একটা অপ্রতিরোধ্য জান্তব গন্ধ পেত ব্রিলিয়ান্টের গা থেকে। সেই গন্ধের মধ্যে জীবনের একটা চমৎকার উষ্ণতা তার জন্য পুষে রাখা হয়েছে। সেই উষ্ণতা ছাড়া তার চলে না।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান:পর্ব-৪৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

আরএ/

Header Ad

কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন দিল অটোরিকশাচালকরা

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে এবার ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকরা।

রোববার (১৯ মে) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।

পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান জানান, কালশী মোড়ে অবস্থিত একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে অটোরিকশাচালকরা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

এর আগে কালশীতে সড়ক অবরোধ করে অটোরিকশাচালকরা রাস্তা অবরোধ করেন। এতে সড়কের দুই দিকে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে হাইকোর্টের আদেশের পর মিরপুর এলাকা থেকে অটোরিকশা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে অটোরিকশাচালকরা মিরপুর-১০, মিরপুর-১ ও আগারগাঁও এলাকার সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভে মিরপুরজুড়ে তীব্র যানজট শুরু হয়েছে। ক্রমেই তা আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।

‘পৃথিবী থেকে বিদায়,ভালো থাকো সবাই, সব শেষ আমার’ লিখে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে যুবকের আত্নহত্যা

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর সাপাহারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তৌফিক হোসেন (২০) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। রবিবার (১৯ মে) দিবাগত ভোর ৫ টার দিকে যে কোন সময় নিজ বাড়ির মাটির ঘরের তালের তিরে মায়ের ব্যবহৃত ওড়নায় ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

নিহত তৌফিক হোসেন উপজেলা সদর ইউনিয়নের জয়পুর মাষ্টারপাড়া এলাকার মোস্তফার ছেলে। খবর পেয়ে পুলিশ রবিবার সকালের দিকে লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তৌকির পারিবারিক কলহের কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে জানা যায়। আত্মহত্যার আগে তৌকির তার ফেসবুক আইডিতে লিখেন- ‘পৃথিবী থেকে বিদায়,ভালো থাকো সবাই, সব শেষ আমার।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘ফেসবুকের স্ট্যাটাস দেখে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের কারণ বলে মনে হয়েছে। হয়তো পরিবারের সদস্যদের সাথে কোন ধরনের মান অভিমান ছিল। যার কারনে অভিমান থেকেই তৌফিক আত্নহত্যা করে থাকতে পারেন।’

ওসি আরও বলেন, ‘নিহত তৌফিক এর পরিবার বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ দাফন করার জন্য আবেদন করেছিল। পরিবার থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ রবিবার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

মেট্রোরেলের উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে পাঁচ স্টেশন

ছবি: সংগৃহীত

উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত এমআরটি লাইনে উত্তরা উত্তর স্টেশনের পরে আরও ৫টি স্টেশন হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক।

তিনি বলেছেন, মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ রুটটি বর্তমানে মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এখন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত কাজ সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

রেববার (১৯ মে) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ডিএমটিসিএল আয়োজিত ঢাকা মেট্রোরেলের ব্র্যান্ডিং সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

এম এ এন সিদ্দিক বলেন, এ রুটের কাজ শেষ হলে মেট্রোরেল অতিরিক্ত ৫ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। উত্তরা উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এ রুটের দৈর্ঘ্য হবে ৭.৫ কিলোমিটার। এ রুটে নতুন ৫ স্টেশন হবে- দিয়াবাড়ী বাজার, সোনারগাঁও জনপদ রোড পূর্ব, পশ্চিম, টঙ্গী বাজার, টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন।

ভ্যাট বসানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর আগে মেট্রোরেলে ভ্যাট বসানো হয়েছিল। তখন কথা বলে জুন পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়। এখন সেটা আবার ১ জুলাই থেকে কার্যকরের কথা বলা হচ্ছে। যদি ভ্যাট দিতে হয় তাহলে এটি যাত্রীর দিতে হবে। তাই এটি রিভিউ করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।

অনুষ্ঠানের জানানো হয়, মেট্রোরেল চালু করার পর থেকে এ পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম তিনবার বেড়েছে। কিন্তু মেট্রোরেলের ভাড়া বাড়ানো হয়নি। এখন ভ্যাট যুক্ত হলে ভ্যাটের টাকা যাত্রীদেরকে দিতে হবে মেট্রোরেলের পক্ষে সেটি বহন করা সম্ভব না। ফলে মেট্রোরেলের ভাড়ার পরিমাণ বেড়ে যাবে।

সেমিনার উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরি প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ

কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন দিল অটোরিকশাচালকরা
‘পৃথিবী থেকে বিদায়,ভালো থাকো সবাই, সব শেষ আমার’ লিখে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে যুবকের আত্নহত্যা
মেট্রোরেলের উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে পাঁচ স্টেশন
টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ হারালো রাজমিস্ত্রী
পৃথিবীতে ধেয়ে আসতে পারে আরও ভয়ানক সৌরঝড়
পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত
স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঈদের আগেই মসলার বাজার গরম, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির অযুহাত ব্যবসায়ীদের
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংক : অমিত শাহ
কারও কাছে ভিক্ষা করে দেশের মানুষ চলবে না : প্রধানমন্ত্রী
যশোরে বিনা যৌতুকে ৫০ জোড়া তরুণ-তরুণীর বিয়ে
বাংলাদেশের স্টাইলে ভোট করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী : অরবিন্দ কেজরিওয়াল
রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ কর্মী নিহত
টাঙ্গাইলে পুলিশকে পিটিয়ে আসামি ছিনতাই
পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন চট্টগ্রামের বাবর আলী
সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২৮ হাজারের বেশি হজযাত্রী
দুই বাংলাদেশিকে অপহরণ করেছে আরসা
কিরগিজস্তানে হামলা, সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
সৌদি আরবে আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু