রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: শেষ পর্ব

দ্য ফার্স্ট ম্যান

তার মনের ভেতরের অন্ধকার থেকে লাফিয়ে উঠত ক্ষুধায় মৃতপ্রায় আকূলতা, তার চিরসঙ্গী উন্মাদ জীবনাকাঙ্ক্ষা। সেই আকাঙ্ক্ষা এখনও তার সঙ্গেই আছে, অপরিবর্তনীয় অবস্থায় আছে। যে পরিবার সে পুনরাবিষ্কার করেছে সেখানে তিক্ততার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং প্রায়ই তার ছেলেবেলার চিত্রকল্পের মুখোমুখি এসে যায় সেই আকাঙ্ক্ষা। সে বুঝতে পারে, তার ছেলেবেলার আকস্মিক অনভূতি একজন বিশেষ নারীর মতো নাগালের বাইরে চলে যায়। সেই নারীকে সে ভালোবেসেছে, হৃদয় উজাড় করা ভালোবাসা দিয়েছে। সে ভালোবাসায় তার শরীরও স্বর্গীয় পুলক লাভ করেছে। তার সঙ্গে ভালোবাসার অভিজ্ঞতায় জ্যাকের আকাঙ্ক্ষা ছিল গনগনে আগুনের মতো। তার সঙ্গে ভালোবাসার লীলায় রাগমোচনের মুহূর্তে জ্যাকের মধ্যে এক ধরনের নীরব কান্না চলে আসত। নিজের জগতের সঙ্গে তৈরি হতো এক গভীর ঐক্যের বন্ধন। জ্যাক তাকে ভালোবেসেছে তার সৌন্দর্যের জন্য, জীবনের প্রতি তার হতাশাভরা আকূলতার জন্যও। তার এমন মানসিকতার জন্য সময়ের চলে যাওয়ার বিষয়টা সে অস্বীকার করত। যদিও সে জানত, সময় ঠিক ওই মুহূর্তেও চলে যাচ্ছে। তবু সে চাইত সবাই তাকে সে এখনও অল্পবয়সী আছে না বলে বরং বলুক সে সব সময়ই অল্পবয়সী ছিল ও আছে।

হাসতে হাসতে একদিন জ্যাক তাকে বলেছিল, যৌবনকাল চলে যাচ্ছে। দিনগুলোও শেষ হয়ে যাচ্ছে। তখনই সে কান্নায় ভেঙে পড়েছিল। অশ্রুভরা চোখে সে বলেছিল, না, না। এ হয় না। আমি প্রেমের প্রেমে পড়েছি। অনেক দিক থেকেই সে বুদ্ধিমতি ছিল। সবার থেকে আলাদা ছিল। সে কারণেই হয়তো সে চারপাশের জগৎ যেমন আছে তেমনভাবে গ্রহণ করতে পারত না। যে বিদেশ বিভূইয়ে তার জন্ম সেখান থেকে স্বল্প সময়ের ভ্রমণ সেরে ফিরে আসার পরও এমন হতো। আগে কখনও কখনও বেড়াতে গেলে কোনো কোনো খালা ফুপুদের সম্পর্কে তাকে বলা হতো, এবারই তাকে শেষ দেখা, আর হয়তো দেখা নাও হতে পারে। পরে তাদেরই কারো দাফনের জন্য যেতে হতো। তাদের মায়াভরা মুখ, শরীর, ভেঙে যাওয়া চেহারা দেখে তার চিৎকার দিয়ে বের হয়ে আসতে ইচ্ছে হতো। কখনওবা আত্মীয় স্বজনদের পারিবারিক খাবারে অংশগ্রহণ করতে গেলে খাবার টেবিল ক্লথ দেখে মনে পড়ে যেত অনেক দিন আগে গত হয়ে যাওয়া কোনো দাদি, নানি কিংবা তাদের মায়ের কথা।
টেবিলে বসে হয়তো সে ছাড়া আর কেউ তখন ওই প্রিয় মানুষটির কথা ভাবত না। তার মনে পড়ে যেত তার নিজের মতোই তাদের অল্প বয়সের কথা, তাদের আনন্দের কথা, তাদের জীবনাকাঙ্ক্ষার কথা। তারাও যৌবনকালে তার মতোই অদ্ভূত সৌন্দর্যের অধিকারিনী ছিলেন। খাবার টেবিলে বসে অন্যরা তার সৌন্দর্যের প্রশংসা করলে দেয়ালে সাজানো ছবিগুলোর মানুষের যৌবনের কথা মনে পড়ে যেত তার। তারাও এক সময় ফুটন্ত ফুলের মতোই ছিলেন। কেউ কেউ আর নেই; কেউ কেউ এখন চেহারায় ভেঙে পড়েছেন। তারপর তার রক্তে যেন আগুন লেগে যেত। পালিয়ে আসতে ইচ্ছে হতো এমন এক জায়গায় যেখানে কেউ বুড়িয়ে যায় না, যেখানে শরীরের সৌন্দর্য অক্ষয়, যেখানে জীবন থাকবে বুনো, থাকবে ঔজ্জ্বল্যে ভরা। কিন্তু জীবন তো সে রকম থাকে না, থাকেনি কখনও। এরকম মানসিকতায় ফিরে এসে জ্যাকের বাহু বেষ্টনে সে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠত। জ্যাক তাকে বেপরোয়া ভালোবাসায় ভরিয়ে দিত।

আর জ্যাকের অবস্থা তার চেয়েও শোচনীয়; যেখানে তার জন্ম সেখানে তার কোনো পুর্বপুরুষ ছিল না। ছিল না কোনো স্মৃতির উৎস। সেখানে তার পূর্বে যারা এসেছিল তাদের পরিপূর্ণ ধ্বংসই ছিল অনিবার্য। কোনো সভ্য সমাজে মানুষ যেভাবে সান্ত্বনা পেয়ে থাকে সেখানে বার্ধক্যে সান্ত্বনার তেমন কোনো সুযোগই ছিল না। একটা নিঃসঙ্গ ও ধারালো তরবারির মতো একটিমাত্র কোপে চিরতরে ভেঙে চুরমার হওয়ার নিয়তি ছিল তার। জীবনের প্রতি তার প্রবল ও অবিমিশ্র অনুভূতি সব সময় যেন মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিল। আজ তার মনে হয় মানুষ, জীবন, যৌবন- সবই যেন তার কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। কাউকে ধরে রাখতে পারছে না সে। এখন শুধু আছে তার একটি অন্ধ প্রত্যাশা এই অদৃশ্য শক্তিই এতগুলো বছর ধরে তাকে দৈনন্দিন গতানুগতিকতার ঊর্ধ্বে তুলে রেখেছে, তাকে পুষ্টি জুগিয়েছে উদারভাবে, সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতেও মাথা নত না করার ক্ষমতা দান করেছে। এই শক্তিই অশেষ উদারতায় তাকে বেঁচে থাকার সুবুদ্ধি দান করেছে। তেমনিভাবে কোনো রকম বিদ্রোহ ছাড়াই বার্ধক্যে পৌঁছে যাওয়া এবং মৃত্যুবরণ করার মতো কাণ্ডজ্ঞান সে লাভ করবে এই অদৃশ্য শক্তির কাছ থেকেই।

সমাপ্ত

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫৬
দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান:পর্ব-৪৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

এসএন 



 

 

 

 

 

Header Ad

পৃথিবীতে ধেয়ে আসতে পারে আরও ভয়ানক সৌরঝড়

ছবি: সংগৃহীত

অনিন্দ্য সুন্দর নর্দান লাইট বা অরোরা দেখতে পর্যটকদের সাধারণত মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করতে হয়। পাশাপাশি, তীব্র ঠান্ডায় ঘোরাঘুরির জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবেও প্রস্তুত থাকতে হয়। কিন্তু গত সপ্তাহে বিশ্ব জুড়ে যে অকল্পনীয় রঙের বর্ণালী দেখা গিয়েছিল, তার জন্য এমন কঠিন প্রস্তুতির দরকার হয়নি। কেবল মাথা তুলে আকাশের দিকে তাকালেই মানুষ দেখতে পেয়েছে স্বপ্নের অরোরা।

পৃথিবীতে মূলত উত্তর মেরুর দেশগুলোতে অরোরা দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু গত ১০ মে রাতে মেক্সিকো, দক্ষিণ ইউরোপ, এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার আকাশেও দেখা গেছে রঙিন আলোর খেলা। সবুজ, গোলাপি, বেগুনি- নানা বর্ণের উজ্জ্বল অরোরার ছবিতে ছেয়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরমগুলো।

কিন্তু যে কারণে দেখা দিয়েছিল এমন অনন্য সৌন্দর্য, যার কারণে তৈরি হয়েছিল বিশ্বব্যাপী অরোরা, সেই সৌরঝড়ের কথা ভেবেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই মহাজাগতিক ঘটনার পেছনে ভয়ানক বিপদের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন তারা।

ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার (ইএসএ) স্পেস সেফটি প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর কুয়েন্টিন ভারস্পিয়ারেন বলেন, আমাদের বুঝতে হবে, এই সৌন্দর্যের পেছনে বিপদ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টারের মাইক বেটউইয়ের কথায়, আমরা সৌরঝড়ের আরও ভয়ংকর সম্ভাব্য প্রভাবের দিকে মনোনিবেশ করছি; যেমন-পাওয়ার গ্রিড ও স্যাটেলাইট অচল হয়ে যাওয়া বা নভোচারীরা বিপজ্জনক মাত্রায় বিকিরণের সম্মুখীন হওয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওসেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ)-এর স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টারের মতে, গত ১০ মে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার পর থেকে বেশ কয়েকটি করোনাল ম্যাস ইজেকশনের (সিএমই)-এর ঘটনা ঘটে। সূর্য থেকে প্লাজমা এবং চৌম্বক ক্ষেত্র বেরিয়ে আসার ঘটনাকে সিএমই বলা হয়ে থাকে।

পরে এটি ‘মারাত্মক’ ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ে রূপান্তরিত হয়। ২০০৩ সালের অক্টোবরে তথাকথিত ‘হ্যালোইন স্টর্মস’-এর পরে এ ধরনের ঘটনা ছিল এটিই প্রথম। ২১ বছর আগের ঐ সৌরঝড়ে সুইডেনে ব্ল্যাকআউট এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্যুত্ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এমন ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের কারণেই গত সপ্তাহে দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল অরোরা।

তবে সাম্প্রতিক সৌরঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা কম হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও স্যাটেলাইট কোম্পানিগুলোর সমস্যা প্রকাশ করতে প্রায়শই সপ্তাহখানেক লেগে যায় বলে জানিয়েছেন বেটউই। তিনি বলেছেন, সৌরঝড়ের কারণে জিপিএস সিস্টেম অচল হয়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে কিছু স্বচালিত ট্রাক্টর কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল বলে খবর পাওয়া গেছে।

বিপদ শেষ হয়নি: সূর্যের পৃষ্ঠে বিশাল বিস্ফোরণ ঘটলে তা থেকে অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে প্লাজমা, বিকিরণ এবং কখনো কখনো চৌম্বক ক্ষেত্র নিক্ষিপ্ত হয়। এর প্রভাব পড়ে পৃথিবীতেও। সাম্প্রতিক সৌরঝড়টি এসেছিল পৃথিবীর আকার থেকে ১৭ গুণ বড় একটি সানস্পট ক্লাস্টার থেকে, যা এখনো সক্রিয় রয়েছে।

গত মঙ্গলবার এটি বছরের মধ্যে দেখা সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরশিখার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। সানস্পটটি সূর্যের ডিস্কের প্রান্তের দিকে ঘুরছে। তাই আশা করা হচ্ছে, সাময়িকভাবে এর প্রভাব বন্ধ হবে। কারণ এর বিস্ফোরণগুলো আমাদের গ্রহ থেকে দূরে নিক্ষিপ্ত হচ্ছে। কিন্তু, মোটামুটি দুই সপ্তাহের মধ্যেই সানস্পটটি ঘুরে আবারও পৃথিবীর দিকে আসবে।

ইএসএর স্পেস ওয়েদার সার্ভিসের সমন্বয়ক অ্যালেক্সি গ্লোভার জানান, এরই মধ্যে আরেকটি সানস্পট নজরে আসছে, যা আগামী দিনগুলোতে বড় ধরনের কার্যকলাপ শুরু করতে পারে। সুতরাং, সৌর কার্যকলাপ অবশ্যই শেষ হয়ে যায়নি। এই সানস্পটগুলো কতটা ভয়ানক হতে পারে বা তারা আরও অরোরা ছড়াতে পারে কি না, তা অনুমান করা কঠিন।

কিন্তু বেটউই বলেছেন, সৌর কার্যকলাপ কেবল তার প্রায় ১১ বছর চক্রের শীর্ষে পৌঁছেছে। তাই এখন থেকে আগামী বছরের শেষের মধ্যে আরেকটি বড় সৌরঝড়ের আশঙ্কা বেশি।

পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আটজন শিশু রয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

শনিবার দেশটির খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের নওশেরায় ব্রেক ফেল করে গাড়ি খাদে পড়ে গেলে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। খবর ডনের।

খুশাবের রেসকিউ ১১২২ ইমার্জেন্সি অফিসার ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ জানান, একই পরিবারের ২৩ জন সদস্য বান্নু থেকে নওশেরা (খুশাব) যাওয়ার সময় ব্রেক ফেল করে ট্রাকটি ২০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়।

মৃতদেহ ও আহতদের নওশেরার টিএইচকিউ হাসপাতালে এবং জোহরাবাদের ডিএইচকিউ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

যাত্রীরা সবাই শ্রমিক শ্রেণির এবং কাজের জন্য খুশাব শহরে যাচ্ছিলেন।

স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার ভেড়ম সোনাদিঘী আদিবাসী পাড়া এলাকায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৯ মে) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত লুবিন বাস্কে (৭৫) ধামইরহাট উপজেলার ভেড়ম সোনদিঘী আদিবাসী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভেড়ম সোনাদিঘী আদিবাসী পাড়া গ্রামের লুবিন বাস্কের সঙ্গে তার স্ত্রী মালতী রানীর (৫৫) প্রায় পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিকেল ৫ টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে লুবিন বাস্কে তার স্ত্রী মালতী রানীকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই মালতী রানীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পরদিন লুবিন বাস্কের বড় ভাইয়ের স্ত্রী শ্যামলী মর্মু বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় মামলা করেন। ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে লুবিন বাস্কের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রপক্ষের ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন সাক্ষী আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন। রাষ্ট্রপক্ষের উপস্থাপিত সাক্ষ্য-প্রমানে আসামী লুবিন বাস্কের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দন্ডিত করেন নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ। একই সঙ্গে এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নওগাঁ জজ কোর্টের সরকারি কৌসুলি (পি.পি) আব্দুল খালেক। আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী এস এম মর্তুজা মহাতাব উদ্দিন।

সর্বশেষ সংবাদ

পৃথিবীতে ধেয়ে আসতে পারে আরও ভয়ানক সৌরঝড়
পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত
স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঈদের আগেই মসলার বাজার গরম, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির অযুহাত ব্যবসায়ীদের
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংক : অমিত শাহ
কারও কাছে ভিক্ষা করে দেশের মানুষ চলবে না : প্রধানমন্ত্রী
যশোরে বিনা যৌতুকে ৫০ জোড়া তরুণ-তরুণীর বিয়ে
বাংলাদেশের স্টাইলে ভোট করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী : অরবিন্দ কেজরিওয়াল
রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ কর্মী নিহত
টাঙ্গাইলে পুলিশকে পিটিয়ে আসামি ছিনতাই
পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন চট্টগ্রামের বাবর আলী
সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২৮ হাজারের বেশি হজযাত্রী
দুই বাংলাদেশিকে অপহরণ করেছে আরসা
কিরগিজস্তানে হামলা, সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
সৌদি আরবে আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
দুপুরের মধ্যে ১০ জেলায় ঝড়ের আশঙ্কা
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস, যা জানাল আবহাওয়া অফিস
‘বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে নারী খেলোয়াড়দের ধর্ষণ করতো’
তথ্য দিতে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক