বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৪২

নেই দেশের নাগরিক

‘পারলে তুমিই কিছু করতে পারবে, বাপ। খোদার দোহাই, একবার দেখ না, আমার বাপ-মা মরা মেয়েটি কোথায় আছে।’ সাদ্দামের পায়ের কাছে হুটরে পড়েন বৃদ্ধা। সাদ্দাম, আশস্ত করে বলে, ‘ফুপু, চোখের পানি মুছেন। আমি কালকের মধ্যেই সুমির খোঁজ নিচ্ছি।’ মাতব্বরের মতো দায়িত্ব নিয়ে বলল সাদ্দাম। যদিও সে জানে, এসব ফাঁকা বুলি ছাড়া কিছুই নয়। ফাঁপা বাঁশে ফুঁ দেওয়া মাত্র।

সুমি যাদের খপ্পরে পড়েছে, তাদের ডেরা থেকে স্বয়ং যমও তাকে উদ্ধার করে আনতে পারবে না। তার ঠিকানা এতক্ষণে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের কোন নিষিদ্ধপল্লী। এতক্ষণে হয়ত নেকড়ে পুরুষদের খপ্পরে পড়েও গেছে। সাদ্দাম, আর বেশি কিছু বলল না। বৃদ্ধাকে শান্তনা দিয়ে, ছঞ্চে ডিঙিয়ে সিঁথির মতো সরু গলিরাস্তায় এল। সাদ্দামকে দুশ্চিন্তার মেঘে আচ্ছন্ন হতে দেখে আতিফ জিজ্ঞেস করল, ‘কী ব্যাপার বল তো? আমি ঠিক ঠাহর করে উঠতে পারলাম না।’
‘এটা একটা বড় সমস্যা আতিফ। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ কোনোভাবেই পাচ্ছি নে।’
‘কী সমস্যা, সাদ্দাম?’
‘কিডন্যাপ।’
‘কিডন্যাপ! মানে, পাচার?’
‘হু।’ ঘাড় নড়ায় সাদ্দাম। বিড়বিড় করে বলে, ‘মানুষ পশুর থেকেও কত অধম হতে পারে একবার ভেবেছিস! মানুষ মানুষকে পণ্য করছে! মানুষের খাবার হচ্ছে মানুষ!’

‘আল্লাহ তো বলেইছেন, মানুষ যেমন সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ, ঠিক তেমনি মানুষ সৃষ্টির নিকৃষ্টও। তুই ভুলে যাচ্ছিস কেন, আল্লাহ কোনো পশু, গরু ছাগল ভেড়ার জন্যে জাহান্নাম বানাননি, তিনি মানুষ আর জিনের জন্যেই জাহান্নাম বানিয়েছেন।’ হাদিসের মশলা ঘাটল আতিফ। তারপর ফুঁ দিয়ে বুঁদবুঁদি ছেড়ে দেওয়ার মতো করে বলল, ‘এ তো দুনিয়ার আদিম সমস্যা। সে বুদ্ধের আমলেও ছিল, নবীজীর আমলেও ছিল।’
‘কিন্তু, এভাবে আমাদের এই রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে শিশু আর নারী পাচার হতে থাকলে তো একদিন পুরো শিবিরগুলো শিশু আর নারীহীন হয়ে যাবে! আমাদের অস্তিত্বই তো বিপন্ন হয়ে যাবে! এর থেকে পরিত্রাণের উপায় আমাদের খুঁজতেই হবে।’ মাথা খুঁটে সাদ্দাম। দুশ্চিন্তা এমন করে তার শরীরের রগরক্তে কটকট করে কাটছে, যে এই হিমশীতল ঠান্ডা রাতেও ঘামে ভিজে কাদা হয়ে যাচ্ছে সাদ্দাম! কপালের চুল কপালের ঘামে লেপ্টে যাচ্ছে! জুলপি দিয়ে চোয়াচ্ছে চুলচেপা ঘাম।
‘তুই এখানে মাঝেমধ্যে সচেতনতা-শিবির কর। যাতে করে মেয়েরা কারও টোপে না পড়ে।’ পরামর্শ দিল আতিফ।
‘সচেতনতা-শিবির? সেসব অনেকবার করেছি। এমনকি
প্রত্যেক মহল্লায় একটা করে ‘নজরদারি টিম’ও করে দিয়েছি। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। আসল ব্যাপার হল, ক্ষিদে, পেটের টান। পেটের টান যে সব থেকে বড় টান। কোথাকার লোক এসে রুটিরুজির টোপ দিয়ে দিচ্ছে, আর খপ করে সে টোপে পড়ে যাচ্ছে মেয়েরা! একবার খোঁজখবর নিয়েও দেখছে না, যে লোকগুলো যা বলছে তা সত্যি না ভুয়ো!’
‘এই চক্রে নিশ্চয় লোকাল লোক আছে। লোকাল লোক ছাড়া একাজ সম্ভব নয়।’
‘সে তো আছেই। ওই খবিষগুলোকে খুঁজে বের করে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিতে হবে। শালোরা মানুষ হয়ে মানুষ বিক্কিরি করে!’ তেতে ওঠে সাদ্দাম।

‘তুই কথাটা ঠিকই বলেছিস। এদিকটায় বেশি করে জোর দিতে হবে। আমাদের মা বোনেরা না থাকলে আমাদের প্রজন্ম টিকে থাকবে কী করে?’
‘আতিফ, তুই আর জে এফ কে বল, এদিকটায় কিছু ফান্ড ব্যয় করতে। মানুষচোরদের একটা জুতসই ব্যবস্থা করতেই হবে।’ দাঁত খিঁচল সাদ্দাম।
‘আমি এ ব্যাপারে কথা বলব। ব্যাপারটা নিয়ে ভাবতেই হবে। একটা নতুন কোন প্রজেক্ট বানাতে হবে।’
‘মানুষই যদি না থাকে তাহলে আর নতুন দেশ বানিয়ে কী লাভ, তাই না?’
‘সে তো ঠিকই।’ মাথা কাত করল আতিফ। প্রসঙ্গ পাল্টে বলল, ‘তাহলে এখন কী করবি, সুমি তো হাতছাড়া।’
‘দেখি, মেজর আসলামকে অন্য কোনভাবে পটানো যায় কি না।’ মাথার ঘেলু খুঁটে সাদ্দাম।
‘যা করবি, তাড়াতাড়ি কর। ভোর হতে আর খুব দেরি নেই।’ তাড়া দেয় আতিফ।

‘আয়।’ বলেই গডগড করে হাঁটা ধরে সাদ্দাম। আতিফ কিছু বলে না। ঘাড়ের ব্যাগটা পিঠে ঝুলিয়ে সেও সাদ্দামের পিছু নেয়। রাত তখন শেষপ্রহরের বাঁশি বাজাচ্ছে। ফেঁসোর মতো ফিনফিন করে ছড়িয়ে থাকা মেঘের আড়াল দিয়ে উঁকিঝুঁকি মারছে নক্ষত্ররাজি। কাঁধে রাত চাপিয়ে ছোপ ছোপ অন্ধকার ধানের শীষ বেয়ে নেমে যাচ্ছে পাতায়। ঘাসের ডগায় ঘুমোচ্ছে বৃষ্টির ফোটা। ঝিঁঝিঁর ডাকে নাক ডেকে ঘুমোচ্ছে চরাচর। যেন দিগন্ত জুড়ে ঘুমের বিছানা পেড়ে নিজে হাঁটু ভাঁজ করে ঘুমোচ্ছে রাত। মাথার ওপরের আকাশ যেন রাতের চোখ। জেগে থাকা চোখ। মাটি, ধানখেত, চরাচর রাতের শরীর আর আকাশ যেন তার জেগে থাকা চোখ। আতিফ, একবার আকাশের ঈশান কোণের দিকে তাকাল। একটা তারা আকাশের বুক থেকে খসে পড়ল নিচে। আতিফ ভাবল, আল্লাহ শয়তানকে ঢিল ছুড়ে মারলেন। আতিফ মনে মনে ‘আয়তাল কুরশি’ পাঠ করল। মনে মনে বলল, আহাঃ, আমাদেরও যদি তারার মতো এমন ঢিল থাকত, তাহলে আকাশ থেকে ছুড়ে ছুড়ে মারতাম মায়ানমার সেনাদের গায়ে। তাদের সেনাক্যাম্পে। আলপথ শেষ করে একটা ডাঙা রাস্তায় উঠল দুজনে। রাস্তাটা আগের মোড়াম রাস্তার থেকেও সরু। আতিফ পেছন থেকে আচপাচ করে বলল, ‘নয়াপাড়া চৌকিটা আর কতদূর?’

‘এই সামনেই। মোড়াম রাস্তাটা শেষ হলেই, বিজিবি’র সীমান্তকরিডর। সংরক্ষিত জোন। বর্ডারের ঝাঁ চকচকে পিচ রাস্তা। আর দেড়মাইলের মতো পথ বাকি।’ বলল সাদ্দাম। রাত ক্রমশ পাতলা হতে শুরু করে দিয়েছে। একটা বাবলা গাছের তলা দিয়ে মোড়াম রাস্তাটা বেঁকে চলে গেছে পুব দিকে। আকাশের নিচের এই ফালি রাস্তাটা সিঁথিতে সিঁদুর দেওয়ার মতো চিপসে আছে। দুধারে ভাঁট-পিটুলির জঙ্গল। নয়ানজলির নিচে সবুজ ধানখেত। রাতের হিম গাছের পাতায় জড়সড় হয়ে জমে আছে। টসটস করে তাকাচ্ছে বিন্দু বিন্দু হিম অথবা বৃষ্টির ফোটা। সাদ্দাম ঠিকই বলেছে, মোড়াম রাস্তার মুখ থেকে এই জোনটা দেড়মাইলের মতোই হবে। একটা সুউচ্চ কারিকুরি করা ফটক থেকে কিছুটা দূরের পাতাবাহার গাছের আড়ালে এসে দাঁড়াল সাদ্দামরা। সামনে বি জি বি’র লোগো আঁকা একটা বিশাল তোরণ। ফটকে রাইফেল তাক করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কয়েকজন অতন্দ্রপ্রহরী। সাদ্দাম আতিফকে তার স্বয়ংক্রিয় এস আই জি প্রো সেমি অটোমেটিক পিস্তল এবং দামাস্ক ভূজালিটা রাখতে দিয়ে বলল, ‘এগুলো লুকিয়ে রাখ। আমি ভেতর থেকে ঘুরে আসি। এসব সঙ্গে করে নিয়ে গেলে, ধরা পড়ে যাব। তখন আর ফিরে আসার জো থাকবে না। হয় গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যাব অথবা আজীবন জেলে থেকে থেকে পচব।’
‘ঠিক আছে। তাড়াতাড়ি ফিরে আসিস।’ সাদ্দামের দিকে ভ্যালভ্যাল করে চোখ বের করে বলল আতিফ।
‘সে তো চেষ্টা করবই। তবে কিছুটা দেরি হবেই। মেজর মহম্মদ আসলামের কোয়ার্টারটা একেবারে পেছনে। নদীর ধার লাগোয়া।’
‘নদীটা কতদূর?’ নদীর কথা শুনেই উথলে ওঠে আতিফ।
‘এই তো, সামনেই। বিজিবি’র এই সীমান্তচৌকির পরেই তো।’
‘তার মানে আমরা নদীর কাছে চলে এসেছি?’
‘হ্যাঁ, আর মিনিট কুঁড়ি পথ হাঁটলেই তো নদীর পানি দেখা যাবে।’
‘তাহলে তো কাছেই।’ মুখটা জিরাফের মতো ওপরে তুলে একবার পুবদিকে তাকাল আতিফ। সাদ্দাম আতিফের হাবভাব দেখে বলল, ‘অত মুখ তুলে লাভ নেই। এখান থেকে দেখা যাবে না। তবে নদীর হাওয়া টের পাওয়া যাবে।’ প্যান্টের পকেট থেকে সবুজরঙের একটা কার্ড বের করতে করতে বলল সাদ্দাম।
‘ওটা কী?’ জানতে চায়ল আতিফ।
‘গেটপাস।’
‘কীসের গেটপাস?’
‘বিজিবি’র গেটপাস। কার্ডটা মেজর মহম্মদ আসলামই পাইয়ে দিয়েছেন। আমাকে মাঝেমধ্যেই তো হ্যান ত্যান নিয়ে যেতে হয়। মেজর আসলামকে হাতে রাখাটা রোহিঙ্গাদের জন্যে খুবই প্রয়োজন।’
‘যেভাবেই হোক, একটা স্পিডবোট কিন্তু ম্যানেজ করতে হবে।’ কথাটা আরও একবার মনে করিয়ে দেয় আতিফ।
‘দেখি, কী করতে পারি।’

মূলফটকের দিকে পা বাড়াল সাদ্দাম। আতিফ পাতাবাহার গাছের আড়াল থেকে লুকিয়ে দেখতে থাকল। সাদ্দাম দুই হাত ওপরে তুলে খাড়া করে ফটকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ওপরে তোলা ডানহাতের আঙুলে খাড়া করে ধরা আছে সবুজ রঙের গেটপাসটি। থপ থপ করে হেঁটে গিয়ে মূল দরজার সামনে দাঁড়াল সাদ্দাম। দুজন ফটক প্রহরী দাঁড় করালেন তাকে। আতিফ লক্ষ্য করল, প্রহরীদের সঙ্গে সাদ্দামের ফিসফিস করে কিছু কথাবার্তা হল। তারপর সাদ্দাম তার হাতের ‘গেটপাসটা’ একজন প্রহরী চেক করলেন। পাশের ওপর প্রহরী ঠোঁটে হাসি মাখিয়ে কি যেন একটা বললেন। তারপর সাদ্দাম মিচকি হেসে ভেতরে ঢুকে গেল। যাক, গেটের বাঁধা তো পেরোল! বুক থেকে একটা পাথর নেমে গেল আতিফের। সে এবার ল্যাটা মেরে পাথরের একটা চাইএর ওপর বসল। চরাচরে ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে। পুব দিগন্ত থেকে লেপ্টে থাকা অন্ধকার একটু একটু করে মুছতে শুরু করে দিয়েছে। রঙের আগের রঙ দিয়ে আকাশ দখল করতে শুরু করে দিয়েছে ভোরের তুলি। প্রায়ই থেমে গেছে ঝিঁঝিঁপোকার ডাক। আর একটু পরেই মসজিদ থেকে ভেসে আসবে ফজরের আযান। বাঁশঝাড় থেকে পাখির কিচিরমিচির। আতিফের মাথায় ঠকঠক করে কড়া নাড়ল, নাফনদীতে ভেসে থাকা তাদের নৌকোটা। সন্ধ্যার ঝড় থেমে, রাতের ঘোমটা সরে এখন দিনের আলো ফোটার তোড়জোড় চলছে। তার আব্বা-মা, ভাই-ভাবীদের কথা মনে পড়তেই, বৃষ্টিতে জুবুথুবু কাকপাখির কথা মনে পড়ছে। আব্বারাও নিশ্চয় ওভাবে ভিজে সারারাত থত্থর করে কেঁপেছে! হয়ত এখন অনেকেই জ্বরে কাবু হয়ে হলহল করে হালছে! হে আল্লাহ, ওদের জানে সবুর দাও। প্রকৃতির ঝড়ঝঞ্ঝা সহ্য করার শক্তি দান কর।

আতিফ পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে নবীকে একটা ফোন লাগাল। ‘স্যুইচঅফ’। এর আগেও কয়েকবার ফোন লাগিয়েছে আতিফ। একই কথা বেজে গেছে। তার ‘অ্যাকশানটা’র কী যে হল, খবর নেব তো, মোবাইল স্যুইচঅফ! তবে কি, নবী..... কি যেন একটা ভেবে মনে মনে ডুকরে উঠল আতিফ। হৃদয়ের তারে দুঃসংবাদের একটা ঘা পড়ল। বাইরেটা ইস্পাতের মতো শক্ত দেখালেও ভেতরটা ধসের মতো ভাঙতে লাগল। আতিফ আকাশের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকাল। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের নয়াপাড়া সীমান্ত চৌকির সুউচ্চ তোরণের ওপর মায়ানমারের আকাশে একটা নীলরঙের তারা টিপটিপ করে জ্বলছে। তারাটার গায়ে সাদা ওড়নার মতো ফিনফিনে সাদা মেঘের পালক লেগে আছে। যেন ফিনফিনে মেঘটুকু বাঁধনহীনভাবে তারার নিচে ঝুলে আছে। আর সেই ঝাঁঝরি ফিনফিনে সাদা মেঘের বিত্তিফাঁক দিয়ে গলে পড়ছে তারাটা থেকে খসে পড়া নীল-সাদা আলো। আতিফ চোখ পুঁতে তারাটাকে দেখতে থাকল। তারা আর তার চোখের মাঝে ভবনার সরলরেখাটা ধীরে ধীরে মোটা হচ্ছে। আতিফের চোখ আকাশ থেকে নিচে নেমে আসতেই মূলফটকের কাছে দৃশ্যমান হল সাদ্দামের থিনথিনে অস্পষ্ট অবয়ব। কানে ভেসে এল দূর কোনো মসজিদ থেকে ফজরের আযানের সুর। আতিফের অন্তরটা ধিন করে উঠল। এ কি আনন্দ? নাকি, আনন্দকে আহ্বানের আরতি? খাড়া হয়ে উঠল আতিফ। আযান শুনে আযানের প্রত্যুত্তর দিতে লাগল মনে মনে। পাশের গাছগাছালি থেকে মিহি করে পাখির কিচিরমিচির আসছে। অন্ধকারের কালো দেহ ধীরে ধীরে হলুদ হয়ে উঠছে। ফ্যাকাসে হয়ে উঠছে রাত। রাতের পাঁজর ভেঙে সময়ের দরজায় টোকা দিচ্ছে দিন। সাদ্দাম এগিয়ে আসতেই হুড়মুড় করে পাতাবাহার গাছের আড়াল থেকে বেরিয়ে এল আতিফ। চোখে মুখে এক আকাশ উৎকণ্ঠা। হাজার হাজার প্রশ্ন। সাদ্দাম মুখের সম্মুখে আসতেই তার মুখ থেকে বেরিয়ে এল, ‘বোটটা পাওয়া গেল?’
‘থাম থাম, অত উতলা হচ্ছিস কেন? বলছি। সব বলছি।’ ফিসফিস করে বলল সাদ্দাম।
‘সব বলছি মানে! সব আবার কী!’ আতিফ ভ্রূ কুঁচকায়। মুখ ভেংচে বলে, ‘কথা তো একটাই, বোটটা পাওয়া গেল না পাওয়া গেল না। আর তো কোনো কথা নেই।’
‘আছে, আছে।’ হেঁয়ালি মারে সাদ্দাম।
‘আছে, তো বল। অত হেঁয়ালি না করে বল।’ রেগে ওঠে আতিফ।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

Header Ad

রবিবার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও চলবে ক্লাস

রবিবার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফাইল ছবি

তাপপ্রবাহের কারণে এক সপ্তাহ ছুটির পর নতুন করে আর ছুটি না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। যার ফলে মাউশির আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে রবিবার (২৮ এপ্রিল) থেকেই পাঠদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। খোলার পর শনিবারও ক্লাস চালু থাকবে।

তবে, এ বিষয়ে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাউশি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল-ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপদাহের কারণে গত ২০ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ঘোষিত ছুটি শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হলো।

এতে বলা হয়, আগামী ২৮ এপ্রিল রোববার থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশ শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং যেসব কার্যক্রমে সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে।

তাপদাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে উপ-সচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের সই করা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। ছবি: সংগৃহীত

অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নতি করেছে, বাংলাদেশের দিকে তাকালে এখন লজ্জিত হই বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।

দেশটির ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি। খবর ডন অনলাইনের।

১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগ হওয়ার পর বাঙালিদের এ ভূখণ্ড পাকিস্তানের একটি অংশ হয়ে শাসিত হতে থাকে। কিন্তু সবকিছুতে এ জনপদের মানুষের ওপর ছিল বৈষম্য। পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে একসময় মুক্তির সংগ্রাম শুরু হয়, যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে হয় স্বাধীনতার যুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ শেষে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে পাকিস্তানের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

মুক্তিযুদ্ধের আগের সময়ের প্রসঙ্গ টেনে শেহবাজ শরিফ বলেন, আমি তখন অনেক তরুণ ছিলাম...তখন আমাদের বলা হতো ওই অঞ্চল (বাংলাদেশ) আমাদের জন্য বোঝা। আজ আপনারা জানেন, সেই ‘বোঝা’ কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে (অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে)। তাদের দিকে তাকালে আমি এখন লজ্জিত হই।

অনুষ্ঠানে শেহবাজ শরিফ পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সেদেশের ব্যবসায়ীদের রপ্তানি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন। এসময় তিনি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের বিষয়েও কথা বলেন। এছাড়া দেশে ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা’র জন্য পিটিআই প্রধান ইমরান খানের প্রতি তার নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গিও প্রকাশ করেন শেহবাজ।

উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রী হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শেহবাজ। বেশ কিছু বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনীতি ধুঁকছে। মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য বৃদ্ধি, দুর্নীতিসহ নানা সংকটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন শেহবাজ শরিফ।

মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৯.২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে নওগাঁ

মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৯.২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে নওগাঁ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৯দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে বদলগাছি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস। যা জেলায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা তিনটায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

বদলগাছি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানিয়েছেন, আজ জেলায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯দশমিক ২ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাতাসের আর্দ্রতা ২৭ শতাংশে পৌঁছেছে। আকাশ পরিষ্কার থাকায় রোদ এর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী কয়েকদিন জেলায় বৃষ্টির কোনো আগাম বার্তা নেই। দেশে যেহেতু হিট-অ্যালার্ট চলছে তাই খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ায় ভালো।

এদিকে তীব্র তাপদাহে বিপাকে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ। তাপমাত্রা বেশি থাকায় দৈনন্দিন কাজ করতে তাদের ব্যাঘাত ঘটছে। অনেক স্থানে কাজ না থাকায় অলস সময় পার করছে তারা। তীব্র গরমে একটু গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে অনেকে। জেলায় বর্তমানে ধান কাটাই মাড়াই এর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তীব্র তাপমাত্রায় অতি হয়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ইসতিস্কার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লীরা। বৃষ্টির জন্য দুই হাত তুলে প্রার্থনা করেছেন তারা।

তীব্র গরমে বেশি বেশি পানি পান করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এছাড়াও হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণের কথা জানিয়েছেন তারা।

সর্বশেষ সংবাদ

রবিবার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও চলবে ক্লাস
বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৯.২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে নওগাঁ
চেন্নাইয়ের হয়ে খেলা সবসময় স্বপ্ন ছিল: মোস্তাফিজ
বৃষ্টি কামনায় টাঙ্গাইলে ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে আরও ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ
বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
এফডিসিতে ইউটিউবার প্রবেশ নিষিদ্ধ চাইলেন অঞ্জনা
অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, ক্ষোভে বাসে আগুন দিল শিক্ষার্থীরা
থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় ‘এমপিরাজ’ তৈরি হয়েছে: রিজভী
অনুমতি মিললে ঈদের আগেই গরু আমদানি সম্ভব: ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত
আবারও ঢাকাই সিনেমায় কলকাতার পাওলি দাম
ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক কৃষকলীগ নেতাসহ নিহত ২
গোবিন্দগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়
বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নগদ অর্থের তথ্য চেয়ে চিঠি দুদকের
ভূমি মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, নেবে ২৩৮ জন
জয়কে আজীবন বয়কট, ২ জনকে সাময়িক বহিষ্কার
বৃষ্টির আশায় নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়