শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৪৫

নেই দেশের নাগরিক  

“সে তো যাবই। একা একা এই ধূ ধূ সমুদ্রে পড়ে থেকে মরব নাকি। আব্বার অবস্থা খুবই খারাপ। জানটা জিভের ডগায় ধুকধুক করছে। এবার যেভাবেই হোক, বাংলাদেশের কোনো পাড়ে উঠতেই হবে।“
“হ্যাঁ হ্যাঁ, পাড় তো তোমার কেনা। বাপের জায়গির যে ইচ্ছে হলো আর ফট করে উঠে গেলে! বর্ডার সব সিল করে দিয়েছে, দেখছ না?” কথায় আগুনের ছ্যাকা দেয় নুহু।
“তুই ঘোড়ার ডিম জানিস। বর্ডার সিল থাকলেও, ফাঁকফোকর থেকেই যায়। সব জায়গায় তো আর কাঁটাতার নেই। অনেক জায়গা ফাঁকা আছে। ওগুলোকে চোরাবর্ডার বলে। ওইসব চোরাই বর্ডার দিয়ে কোনোমতে ঢুকে পড়ে আব্বার মরদেহটাকে কবর দিয়ে দিতে পারলেই তো হলো, তারপর আমরা না হয় নদীতেই পড়ে থাকব। আব্বা কবরের মাটি তো পাবে।“ প্রথম কথাটা বলার সময় চোখমুখ উলটালেও, শেষের কথাটা বলার সময় মতির চোখেমুখে যেন একটা ড্যাফোডিল ফুল ফুটে উঠল। মাটি পাওয়ার গন্ধ মনে লাগতেই, মনটা আচানক পাঁপড়ি মেলে উঠল। মতি এবার ঠোঁটে হাসির মোম লাগিয়ে বলল, “আব্বা পরহেজগার মানুষ, আল্লাহর এলেম জানা বান্দা, বুদ্ধি হয়ে থেকে আল্লাহর আমল করে আসছে, আর তার মরদেহ কবরের মাটি পাবে না, তাই হয়?”

“না পেতেও পারে। দেহের আর কী আছে। আল্লাহর তো রুহু নিয়ে কাজ। রুহুর উপরেই যত হিসাব-নিকাশ। আব্বা যেসব নেক কাজ করেছে, তাতে সে জান্নাতবাসী হতে পারে। মরা দেহ মাটি পেল কি না পেল, তাতে কী যায় আসে? হিসাব তো দেবে রুহু, নাকি?” নহুর কণ্ঠ যেন লঙ্কাপেষাইয়ের মেশিন থেকে বেরিয়ে আসে। মতিও ঝাল পেড়ে উঠল। তার কণ্ঠও ধানি লঙ্কা হয়ে উঠল, “তুই হাদিস কোরানের কী জানিস? আল্লাহর কাছে, দেহটা কি ফকেটিয়া ভাবছিস? ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে তিনি দেহের হিসাব নেবেন। আল্লাহ, দেহ ছেড়ে চলে যাওয়া রুহু আবার পুনরায় দেহে ফিরিয়ে আনবেন। মানুষকে আবার জ্যান্ত করবেন। অক্ষরে অক্ষরে বুঝে নেবেন দুনিয়াদারির হিসাব।“ পায়ের তালু গিঁটটায় চেপে ধরে, হাত দিয়ে টেনে, শরীরটাকে ধনুকের মতো বেঁকিয়ে, কুঁত পেড়ে বাঁধনটাকে পোক্ত করল মতি। একেবারে জাব্দা করে ছইটাকে বেঁধে দিল। ঝড়ে নৌকো পাল্টি খেলেও, ছইটা যাতে খুলে না যায়। জাব্দা বাঁধনের সাথে সাথে মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল জাব্দা কথা, “আল্লাহ শুধু রুহুর চাষ করেন না, দেহেরও চাষ করেন। মাটির হিসাব কাঠিতে বুঝে নেবেন।“
“মাটি দেহ, দেহ মাটি।“ মুখটা নদীর দিক করে কথায় মিহি সুর লাগিয়ে বলল নুহু।

“মর, তখন বুঝবি।“ ঠ্যালা মেরে বলল মতি। তারপর চোখ কটমট করে বলল, “টাপাটাকে(ছই) একটু উপরের দিকে ঠেলে তুলে ধর। দেখছিস ন্যা, কাত হয়ে যাচ্ছে?”

মতি ছইটার যেদিক খাড়া করে বাঁধল, তার বিপরীত দিকও ঢেরখানি কাত হয়ে আছে। সেদিকটায়ও একটা শক্ত বাঁধন দিতে হবে। নুহুকে বেশি বকবক করতে দেখে, তাকেই হুকুমটা করল। নুহু তার ডান কাঁধটার উপরে কাত হয়ে থাকা ছইটা ভার নিয়ে উপরের দিকে তোলা দিয়ে ধরল। দুমড়ে যাওয়া ছইটা আগের মতো হয়ে গেল। মতি পাশের বাঁশের খুঁটির সাথে ছইটাকে দঢ় করে বাঁধল। নুহু একটু ঝুঁকে আলতো করে ভর খাওয়া কাঁধটাকে ছইয়ের ভেতর থেকে বাইরে বের করে নিয়ে এল। ছইটা কী সুন্দর অর্ধচোঙাকৃতি ঘরের চালা হয়ে গেল। মতি এবার বানরের মতো তিড়িং করে লাফ মেরে নিচে নামল। নৌকোটা আলুথালু করে নড়ে উঠল। একটা লম্বা কালো ছায়া হাত-পা বাড়িয়ে নৌকোর পাটাতনে ভাঁজ হয়ে পড়া শরীরটাকে ছুঁল। ছইয়ের এই সাতসকালের ছায়াটা তার গা-গতরের ছায়াকে খেয়ে ফেলল। দিগন্ত থেকে নিঙরে আসা হলুদ রঙে গলা ডুবিয়ে স্নান করছে নৌকোটা।

রোদ উঠতে দেখে মতি তাড়া দিল, “নুহু, তাড়াতাড়ি হাত চালা, সন্ধ্যের আগে নয়াপাড়া পৌঁছতে হবে।“ হালটা ধরে একটা জোর প্যাঁচ মারে মতি। নুহু আনমনে তিরতির করে ঢেউ ওঠা কালাপানি দেখে। জলের কত ঢং! এখন তিরতির করে প্রজাপতির ডানার মতো উতলাচ্ছে, অথচ ঝড়ের হুল ফুটলেই একেবারে বাঘের মতো হালুম করে ওঠে। গ গ করে আছড়ে পড়ে দুই পাড়ে। ভেঙে মুচড়ে সব লণ্ডভণ্ড করে দেয়। ঠোঙার মতো দুমড়ে মুচড়ে দেয় ভেসে থাকা নৌকোগুলোকে। আর এখন সেই নদীর রূপ দেখে মনে হচ্ছে, আহাঃ, এমনই নিরীহ যেন ভাজা মাছটা উল্টে খেতে জানে না! প্রকৃতি এভাবেই কখনো ফুল হয়ে ওঠে আবার কখনো কাঁটা হয়ে জীবনকে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়! বুঝিয়ে দেয়, জীবনের মালা এভাবেই ফুল আর কাঁটা দিয়ে গড়া।
“সাঁই সাঁই করে হাত চালাও। গায়ে বল লাগিয়ে বৈঠা ঠ্যালো। সেরকম খাবার আর মজুত নেই। বিকেলের মধ্যে কিছু একটা জোগাড় না হলে না খেয়ে মরতে হবে!” ছইয়ের বাইরে বেরিয়ে এসে ঘোমটা টানল আরিফা। চোখে-মুখে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ।
“কিছুই নেই!” মতির চোখ থির।
“থাকা বলতে গেলে, ক-গাল মুড়ি আছে। ওতে আর কী হবে! কোনোরকমে এক বেলার পেট চলবে।“ হাঁড়ির খবর দিল হাঁড়িমানুষ। আরিফা একখানা আস্ত হাঁড়িমানুষ। সেই যে বিয়ের পর থেকে হাঁড়ির সাথে লেগে গেছে, ছাড়ার আর কোন ফুরসত পায়নি। হাঁড়ি-হেঁসেল আর উঠোন-ঘর করেই তার তিন সিকি জন্ম কেটে গেল।
“কত করে বললাম, চালের বস্তাটা বুকে জাপটে ধরে থাকি, তা না করে আমাকে বৈঠা টেনে ধরে থাকতে বললে, এখন দ্যাখো, মজা। হাওয়া আর পানি খেয়ে থাকো।“ নদীর দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করল নুহু।
“কী করে জানব, অমন কুলক্ষণে ঝড় টাপার ভেতরেও শিং ঢুকিয়ে দেবে! বস্তাটা তো টাপার ভেতরেই ছিল। আমরা নৌকো সামলাব না চালের বস্তা সামলাব? আরিফা তো খেয়াল করতে পারত?” বৌ’এর ঘাড়ে দোষ চাপায় মতি। স্বামীর কথা শুনে ছ্যান করে ওঠে আরিফা, “ওহ, আমার দোষ? আমি একা হাতে তোমার বুড়ো বাপ-মা আর পেটের ছেলেকে সামলাব না ওই চালের বস্তা কুছায় ভরে নিয়ে বসে থাকব? মেয়ে মানুষের ঘাড়ে দোষ চাপাতে ভালই লাগে!”
“একবার তো মুখের কথা বলতে পারতে যে, দেখো গো চালের বস্তাটা পানিতে পড়ে যাচ্ছে।“
“হ্যাঁ হ্যাঁ, আমার তো চারটে চোখ যে, দুর্যোগের সময় সব দিক তাকিয়ে বসে থাকব? তিন তিনটে অসহায় মানুষ দেখব না চালের বস্তা দেখব? মানুষের থেকে কি চালের বস্তা বড়ো?” ধানি লঙ্কা হয়ে ওঠে আরিফা। আহারের টান পড়তেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঠুকমুক লেগে গেল। দুজনেরই মেজাজ তেতো হয়ে উঠতে লাগল। মানুষের থেকে চাল বড়ো নয়, এটা ঠিকই, তবে এই আপদে চাল না পেলে যে মানুষগুলোও মরে বস্তা হয়ে যাবে! ক্ষুধা মনে হয় এভাবেই ধীরে ধীরে ভালোবাসার মাঝে খুটুরমুটুর লাগিয়ে সম্পর্ককে তেতো করে তোলে।
“তোরা চুপ কর। এই আকালে একে তো আপদের শেষ নেই, তার ওপর নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি লাগিয়ে এই হাঁটুগুঁজে বাঁচাটাকে জাহান্নাম বানিয়ে দিস ন্যা।“ ভেতর থেকে হালেমার কাতর স্বর।
“আমি কি আর একবার নদীতে লাফ মেরে দেখব, বস্তাটা কোথাও আটকে আছে কি না?“ অনুমতি চাইল নুহু।
“হ্যাঁ মার, লাফ মার, চালের বস্তা গেছে, এবার তুই যা।“ চোখ গরম করল মতি।
“না, বাপ, তুই অমন কাজ করতে যাস নে। এই জায়গাটা নদী নয়, সমুদ্র, ঢের পানি, একবার নামলে কোন তলে তলিয়ে যাবি, তার হদিসও পাবি ন্যা।“ হালেমার কন্ঠ হেলে উঠল। আরিফা কিচ্ছু বলল না। চোখ ছল ছল করে ছইয়ের ভেতরে ‘দ’ মেরে বসে থাকল। একটা কষ্টের দলা ভেতর থেকে ঠেলা মেরে উঠছে। মানুষটা বলে কি, আমার দোষেই নাকি চালের বস্তাটা জলে পড়ে গেছে! আমার কি এতটুকুও জ্ঞান-বোধ নেই, যে ছেলের মা হয়ে এই আপদের সময় চালের বস্তাকে চোখের সামনে জলে পড়তে দেখেও চুপ করে থাকব? আমি সারাক্ষণ ভাবছি, কী করে ছেলেটার মুখে দুটো দানাপানি তুলে দিতে পারব, কী করে বুড়ো শশুর-শ্বাশুড়ির পেটে একগাল সেদ্ধভাত তুলে দিতে পারব? আর মানুষটা আমাকে বলছে কি না, আমি চোখের সামনে চালের বস্তাটাকে নদীতে পড়ে যেতে দেখেও কিচ্ছু বলিনি! আমি কি জানি নে, ওই চালকটা শুধু শুধু ধানসেদ্ধ চাল নয়, ওই চালকটা এই নৌকোতে থাকা মানুষকটার পেটের একমাত্র রিজিক। পেটে একগাল সেদ্ধভাত পড়লেও জান’টা ধরে বেঁচে থাকবে। এই উপরে আকাশ আর নিচে জলের জীবনে একটা সেদ্ধভাত মানে আকাশের চাঁদ পাওয়া। মানুষটা আমাকে অমন কী করে ভাবতে পারল! অমন কথা বললই বা কোন মুখে! হালেমা তার থুত্থুরে হাত’টা বৌমার পিঠে দিয়ে বলেন, “চুপো মা, চুপো। ছেলেদের কাজই হল, মেয়েদের ঘাড়ে দোষ চাপানো। শোনো মা, সব কথা মনে পুষে রাখতে হয় না। আল্লাহ দুটো কান কেন দিয়েছে, জানো? একটা কান দিয়ে শোনা আর একটা কান দিয়ে বের করে দেওয়ার জন্যে।“
কাঁথায় জড়ানো মানুষটার মুখ থেকে ‘খক’ ‘খক’ করে নলি ছেঁড়া কাশি বেরিয়ে এল। হালেমা ওদিকে চোখ ঘোরাতেই,ছইয়ের চালার ফাঁক দিয়ে ভেসে এল একটা বিকট ‘ভু’ ‘ভু’ শব্দ! নুহু নৌকোর পাটাতন থেকে তিড়িং করে লাফ মেরে বলল, “হেলিকপ্টার! হেলিকপ্টার!” মতিও জিরাফের মতো গলা তুলে ফড়িঙের মতো দুই হাত বাড়িয়ে চিৎকার করে উঠল, “খাবার খাবার।“ নুহু এবার ওপরের দিকে হাত ছুড়ে ছুড়ে আরও জোরে চিৎকার করে উঠল, “খাবার খাবার, খাবার দিন, খাবার।“
হেলিকপ্টারটা ‘ভু’ ‘ভু’ করে ডেকে বনবন করে পাখা ঘুরিয়ে চক্কর কাটতে কাটতে নৌকোটা টপকাচ্ছে। হেলিকপ্টারটা তুলনামূলকভাবে কিছুটা উঁচুতেই। যে উচ্চতায় কপ্টারটা রয়েছে সেখান থেকে নৌকোটাকে একটা ছোট্ট ডিঙির মতো লাগবে। নুহু মতিরা আগে থেকেই জানে, আকাশে ওড়া হেলিকপ্টার থেকে ত্রাণের খাবার ছুড়ে ফেলে। রাষ্ট্রসংঘের হেলিকপ্টার এই নাফ নদীর ওপরের আকাশে উড়ে উড়ে নৌকোয় আটকে থাকা মানুষের উদ্দেশে শুকনো খাবার ছুড়ে ছুড়ে ফেলে। বাংলাদেশের বিভিন্ন শরণার্থীশিবিরেও হেলিকপ্টার থেকে খাবার ছুড়ে ফেলা হয়। ঘাড় কাত করে উপরের দিকে চেঁচিয়েই যাচ্ছে নুহু আর মতি। নিচ থেকে হেলিকপ্টারটাকে একবার একটা বড়ো ঘুড়ির মতো লাগছে। আরেকবার ছোট ঢেঁকির মতো লাগছে। পাখাগুলো এতটুকুও দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু তার ব্লেড ঘোরার ‘সাঁ’ ‘সাঁ’ শব্দ কান ফুঁড়ে ঢুকছে। হেলিকপ্টারটার বুকের আঁকিবুঁকি দেখে মনে হচ্ছে, রাষ্ট্রসংঘেরই হেলিকপ্টার। অত চোখে না পড়লেও, আঁকিবুঁকির আন্দাজ সে কথায় বলছে।

আরও একটু মাথার উপরে আসতেই, হেলিকপ্টারটার লেজটার কাঠামো অনেকটাই দেখা গেল। নুহু এবার হাঙরের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ল। এমন করে ওপরের দিকে হাত বাড়িয়ে ঝাঁপাতে লাগল, দেখে মনে হচ্ছে, হেলিকপ্টারটাকে হাত দিয়ে ধরে টেনে নামাবে। চিৎকার করে তার গলা ছিড়ে যাওয়ার উপক্রম হল। দুই ভাইয়ের চেঁচামেচি নদীর তলার পোকারা শুনতে পেলেও, হেলিকপ্টারটার কেউ শুনতে পেলেন না! স্বামী দেউরকে লাফানো ঝাপানো, চিল-চিৎকার করতে দেখে ছইয়ের ভেতর থেকে ধড়ফড় করে বেরিয়ে এল আরিফা। সে বুদ্ধি করে একটা লালরঙের কাপড়কে শূন্যে উড়িয়ে উড়িয়ে আগোলদারি হাঁক হাঁকতে লাগল। তার মিহি স্বর বাতাস ভেদ করে হেলিকপ্টারের ধাতব গায়ে ঠক্কর লাগলেও, হেলিকপ্টারের ভেতরের কোনো মানুষের কান ছুঁল না!

এবার হাঁটু ভাঁজ করে থড়বড় করে বেরিয়ে এলেন হালেমা। জড়ানো গলায় কাঁইকুঁই করে আকাশের দিকে গলা ছাড়লেন। চারজনের সমবেত হাঁক বাঘের গর্জনের মতো বাতাস ফুঁড়লেও হেলিকপ্টারের অন্দরের কোনো মানুষকে ছুঁতে পারল না! ‘ভু’ ‘ভু’ ‘গ’ ‘গ’ ‘সাঁ’ ‘সাঁ’ করতে করতে হেলিকপ্টারটা আকাশ ফুঁড়ে নয়াপাড়ার দিকে উড়ে গেল! নুহু মতিরা হাত নাড়িয়ে চেঁচাতে চেঁচাতে একসময় তাদের ডুকরানো কণ্ঠ মিহি করে থেমে এল। যেন পেটের ভেতরের সবটুকু চিৎকার বেরিয়ে খোল হয়ে গেল। গলার চিৎকার ফুরিয়ে এলে চোখ দিয়ে গলগল করে বেরোতে থাকল অশ্রু। ফুঁপিয়ে উঠল দু-ভাই। আরিফা তার গায়ে হাত দিতেই হাউমাউ করে উঠল মতি।

আরিফার চোখও ছলছল। পেটের ক্ষিদের টানে একপেট খাবার জোগাড় করার মরিয়া চেষ্টায় দুই মানুষের মধ্যে একটু আগে হওয়া খুটুরমুটুরটা এখন বাসি। বিপদ এভাবেই মানুষের সম্পর্কের মধ্যে যেমন চিড় ধরায়, ঠিক তেমনি চিড় ধরা সম্পর্ককে জোড়ও লাগায়। আসলে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে, তখন ছোটখাট ভুলত্রুটি, রাগ-অভিমান জল হয়ে একে অপরকে আঁকড়ে ধরে। ভালোবাসা আরও গাঢ় হয়। বন্ধন পোক্ত হয়ে ওঠে। সম্পর্কের সংজ্ঞা এখানেই জীবন্ত হয়ে ওঠে। প্রকৃত রূপ-রস পায়। দেহ নামক খোলের ভেতরে ভালোবাসার একতারা বাজায় বেঁচে থাকার টিকে থাকার নিখাদ প্রেম।

চলবে...
আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

এসএন

 

২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ জনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস শনাক্ত। ছবি: সংগৃহীত

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৬ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৯৪ জনে অবস্থান করছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ২৯৪ জন। সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৮৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৬৪৩টি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার চার দশমিক ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ আইসোলেশনে আসেনি এবং আইসোলেশন থেকে কেউ ছাড়পত্র পায়নি। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৫২ হাজার ৯৬৬ জন এবং আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন চার লাখ ২৩ হাজার ৭১৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৯ হাজার ২৫১ জন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হিট অ্যালার্ট জারি

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র তাপদাহ। টানা চারদিন ধরে ৪০ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণিকুল। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩ টার সময় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র তাপপ্রবাহে শুকিয়ে গেছে পুকুরের পানি। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র তাপদাহে হিট ওয়েভ অ্যালার্ট জারি করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। মাইকিং করে বলা হয়, খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হতে।

দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তাপে চরম গরম অনুভূত হচ্ছে। রোদে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। রোদের তীব্র প্রখরতায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে চারপাশ। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, ইজিবাইক চালক ও ভ্যান-রিকশা চালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদেরকে। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না তারা। তাপদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।

গরম থেকে বাঁচতে পানিতে নেমেছেন শিশু-কিশোররা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, ‘তীব্র তাপদাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, আপাতত বৃষ্টির সম্ভবনা নেই। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এখনও পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে না।’

২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।

গাছের ছায়ায় বসে আরাম করছেন ক্লান্ত মানুষজন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের আশু মিয়া ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, প্রচণ্ড গরমে মাঠে জমিতে কাজ করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। ভ্যাপসা গরমে বেশিক্ষণ মাঠে অবস্থান করা সম্ভব হচ্ছেনা। ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জমিতে সেচ দেওয়ার পরও মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে।
কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুজন আলী বলেন, সকালে কাজের জন্য অফিসে আসতে হয়। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। সড়ক থেকে গরম উঠে শরীর পুড়ে যাচ্ছে। বাইরে বেশি সময় অবস্থান করা যাচ্ছে না।

উথলী গ্রামের শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, বারবার পানি পান করেও তৃষ্ণা মেটানো যাচ্ছে না। বৃষ্টি একান্ত প্রয়োজন। পরিবেশের ভারসাম্য বাজায় রাখতে গাছ লাগানোর কোনো বিকল্প নেই। ৪০ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে প্রতিদিন।

এদিকে চুয়াডাঙ্গাতে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শক্রমে চুয়াডাঙ্গাতে বৃহস্পতিবার ৭২ ঘণ্টার জন্য হিট ওয়েভ অ্যালার্ট (তীব্র তাপদাহের সতর্কতা) জারি করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলায় তথ্য অফিসের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী ও গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত। ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর দলের নেতাকর্মীদের সক্রিয় বিভিন্ন কর্মসূচি দিচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তারই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধন করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। এই গণসংযোগ চলবে আগামী ৩ মে পর্যন্ত।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজপথের আন্দোলনে বদ্ধপরিকর বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ইসলামের সুমহান আদর্শের দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। পাড়া-প্রতিবেশী, সহকর্মী, আত্মীয়-স্বজন কেউই আমাদের দাওয়াতের বাইরে থাকবে না। আর সর্ব প্রথম দাওয়াত হবে নিজের নফসের প্রতি। আমাদের কথা ও কাজে যেন অমিল না থাকে। যেটা মানুষকে করতে বলব, সেটা যেন আমি নিজে আগে আমল করি।

তিনি আরও বলেন, ইসলামী আন্দোলনের প্রতিটি জনশক্তির কথাবার্তা, লেনদেন, সামাজিক কাজকর্ম আল্লাহর দ্বীন বা কোরআন অনুযায়ী হতে হবে। যতই বাঁধা আসুক আমরা ইকামাতে দ্বীনের কাজ চালিয়ে যাব। মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়াতে হবে। জনকল্যাণমূলক কাজে নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। তাহলেই আমাদের দাওয়াত কার্যকর হবে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে অনলাইন মাধ্যম জুম, ইউটিউব ও ফেসবুক লাইভ-এ ঈদপুনর্মিলনী ও গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধনে এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আব্দুল হালিম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মনজুরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ, মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মো. সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. খলিলুর রহমান মাদানী, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী প্রমুখ।

এসময় সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, রমজানের প্রকৃত শিক্ষাকে আমাদের জীবনে কাজে লাগাতে হবে। যারা রমজানে তাকওয়া অর্জনের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন মূলত তাদের জন্যই ঈদের আনন্দ। আমীরে জামায়াতের ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে ১৫ দিনব্যাপী গণসংযোগ পক্ষ চলবে।

সর্বশেষ সংবাদ

২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ জনের করোনা শনাক্ত
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হিট অ্যালার্ট জারি
জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
শহরে কৃষক লীগের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না: ওবায়দুল কাদের
রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ১০
পালিয়ে আসা ২৮৫ সেনা সদস্যকে ২২ এপ্রিল ফেরত নেবে মিয়ানমার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
সারাদেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
বিমানবন্দরের বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে পড়ল বাস, প্রকৌশলী নিহত
১০ হাজার টাকা চেয়ে না পেয়ে বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালক লুৎফুলকে শোকজ করল আওয়ামী লীগ
হামলার পর ইসরায়েলকে যে হুমকি দিল ইরান
আওয়ামী লীগ দেশকে মগের মুল্লুকে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল
স্বচ্ছতার সাথে অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে
তীব্র গরমের মধ্যেই ঢাকাসহ তিন বিভাগে ঝড়-শিলাবৃষ্টির আভাস
ফরিদপুরে মন্দিরে আগুন, সন্দেহের জেরে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহত
রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন